নওগাঁয় ৭৫ হাজার পরিবারের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ৭৫ হাজার পরিবারের মাঝে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে এককালীন মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর-রশীদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, সেনাবাহিনীর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বগুড়া সেনানিবাসের ১০ বি এর অধিনায়ক লে: কর্নেল মাহবুদ হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড: এ,কে,এম ফজলে রাব্বী বকু, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাজমুল হক সনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিকাশ, রকেট ও নগদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধোধনী দিনে জেলার ৫ জনকে এ টাকা বিতরন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া ৫০ লাখ মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ জানান, করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া জেলার ১১টি উপজেলার ৭৫ হাজার পরিবারের মাঝে এককালীন ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত বিতরন করা হবে। এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৭ হাজার, নওগাঁ পৌরসভায় ৪ হাজার ২০০, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৮০০, পোরশায় ৫ হাজার ২০০, সাপাহারে সাড়ে ৭ হাজার, পতœীতলায় ৬ হাজার ৮০০, ধামইরহাটে সাড়ে ৫ হাজার, মহাদেপপুরে ৬ হাজার ৮০০, বদলগাছী সাড়ে ৫ হাজার, মহাদেপুরে ৮ হাজার ৭০০, রানীনগরে সাড়ে ৫ হাজার ও আত্রাইয়ে সাড়ে ৫ হাজার পরিবারে মাঝে বিতরন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভাতা পাওয়ার তালিকায় আছেন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, রিকশা চালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ-শ্রমিক, কৃষক, দোকানের কর্মচারী, শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষ। তালিকাভুক্তদের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এই টাকা উপকার ভোগীদের কাছে, ফলে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচ সরকার বহন করবে। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতা-ভোগীদের কোন খরচ দিতে হবে না বলে জানান তিনি।
(২নং ছবি)