নওগাঁ প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমনের ঝুঁকি মোকাবেলা ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে বুধবার নওগাঁ জেলাকে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করতে নওগাঁ জেলায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সড়কসমুহে ম্যাজিষ্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পথচারীদের এসব প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নওগাঁ জেলায় এখনও করোনা সনাক্ত না হলেও ভবিষ্যতে যাতে না হয় তারই আগাম ব্যবস্থা হিসেবে এই লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সরকার ঘোষিত সাধারন ঝুকি এবং গণ পরিবহন বন্ধের কারনে সৃষ্ট কর্মহীন মানুষদের সহায়তায় এ পর্যন্ত জেলায় সরকারী ভাবে ১ হাজার ১৪১ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৫০ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলার ১১টি উপজেলায় এবং ৩টি পৌরসভা এলাকায় ৭৬ হাজার ৫০০ জন উপকারভোগির মধ্যে ৭৬৫ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৩২ লক্ষ ১৭ হ্জাার ৫০০ টাকা বিতরন করা হয়েছে। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের তহবিলে ৩৭৬ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা মজুদ রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ আকন্দ মোঃ আখতারুজ্জামান আলাল জানিয়েছেন বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় নওগাঁ জেলায় নতুন করে আরও ৯৪ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৭১০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ২ জন। উল্লেখ্য শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৭২১ জনকে হোম কোয়ানেটাইনে এবং ২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২ হাজার ১১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই সুস্থ রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নওগাঁ জেলা থেকে এ পর্যন্ত ১৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত এদের মধ্যে ১৪৫ জনের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। এদের কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায় নি। সকলেরই পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।