রিপোর্ট : ইমাম বিমান: দেশে
গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” এর উদ্যোগে খাদ্য
সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ৮এপ্রিল বুধবার সকালে “জার্নালিস্ট
হেল্প সেন্টার” (জেএইচসি) এর উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে
সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পেশাদার সাংবাদিকদের মাঝে সম্মানী সরূপ খাদ্য সামগ্রী
বিতরণ করা হয়।
সাংবাদিকদের সম্মানি হিসেবে
জেএইচসি'র সংবাদিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনে প্রধান অতিথি জাহিদুল
ইসলাম সোহাগ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল জোন) “জার্নালিস্ট হেল্প
সেন্টার” এর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তথ্য সংগ্রহ সহ রাস্ট্র ও
জনগণের কল্যাণের স্বার্থে সাংবাদিকদের যেকোন সহযোগিতা করবে পুলিশ। সহকারী
পুলিশ কমিশনার সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরে গুজব প্রতিরোধে
সরকারকে সহযোগিতা করতে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
“জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” সংগঠনের চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিকের
সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসে উপস্থিত ছিলেন আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশনের
সভাপতি আতাউল্লাহ খান ও রুলার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মোঃ জহির এবং
খিলগাও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম.পি. চৌধুরি। সাংবাদিকদের
সম্মানি হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা
হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয় সাংবাদিক কর্মী
বান্ধব “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” মহাসচিব এস এম জীবন বলেন, সাংবাদিকরা
হলেন দেশের দর্পন তারা জনগণ, রাস্ট্র ও সরকারের খবর রাখলেও, সাংবাদিকদের
খবর কেউ রাখেনা। এটা সাংবাদিকদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন
সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হওয়ার
সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকার লকডাউন করে দেন। এ অবস্থায় দেশের সকল স্থানে
দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি
দেশের গনমাধ্যম কর্মীরাও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার
জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচার প্রচারনায় নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
দেশের এ অবস্থায় সরকারি স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও পুলিশ বেতন পেলেও দেশের
সাংবাদিকরা বেতনতো পাচ্ছেনই না বরং এ সময়ও সরকারের সহযোগীতা থেকে বঞ্চিত
থেকেই যাচ্ছেন। দেশের এরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের প্রধান মৌলিক চাহিদা
থেকে তারা বঞ্চিত। চাহিদা পুরনেও হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেক সাংবাদিক
পরিবারকে। একদিকে সরকার কতৃক ঘরে অবস্থান করা সহ সামাজিক দূরুত্ব বজায়
রাখতে গরীবদের মাঝে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশের চতুর্থ স্তম্ভে
থাকা সাংবাদিক লকডাউন দেশে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশে গুরুত্ব
পূর্ন ভূমিকা পালন করলেও সরকারি সহায়তার বাহিরেই থেকে সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি কামনা করেন।
সংগঠনের
চেয়ারম্যান ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণে আজগর আলি মানিক বলেন, সকল পত্রিকার
সম্পাদক ও প্রকাশকদের সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে
সাংবাদিকদের সকল সংগঠন গুলো ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে করোনা পরিস্থিতিতে
সাংবাদিকদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার”এর
পাশে থেকে সকলের সহযোগিতা কামনা করে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দূরারোগ্য
কামনা সহ মৃত ব্যাক্তিদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা শেষে প্রোগ্রামের
সমাপ্তি ঘোষনা করেন।