Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁর কয়েকটি মহল্লায় স্বেচ্ছায় লকডাউন ঘোষণা করলেন এলাকাবাসী

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ শহরের রজাকপুর বউবাজার, দুর্গাপুর, সদর উপজেলার তিলকপুর এবং হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভুতুলিয়া এক শিশুসহ অপর ৩ জনের জ্বর সর্দি এবং গলা ব্যাথা ইত্যাদি লক্ষ্যন জনিত কারনে এলাকাবাসী নিজ উদ্বোগে লকডাউন ঘোষণা করেন। এলাকাবাসীর দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রজাকপুর বউবাজার এলাকার সন্ধেহ জনক ব্যক্তি সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়নগঞ্জ থেকে জ্বর সদি এবং গলা ব্যাথা ইত্যাদি লক্ষন আছে বলে জানতে পেয়ে এলাকাবাসীর মাঝে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐসব এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় আরও জনসচেতন মূলক সমাজের সচেতন ব্যক্তি বর্গরা এলাকার সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে সচেতন মূলক মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। ঐসব এলাকাতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এলাকার সচেতন যুবকরা তাদের নিজ উদ্বোগে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তিন ফিট পরপর দাড়িয়ে মহল্লাবাসীকে ঘরের ভিতর থেকে বাহিরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন । সেই সাথে বাহিরের ব্যক্তিদেরর এসব মহল্লার ভিতরে আসতে বাধাঁ দিয়ে তারা বিভিন্ন ভাবে সচেতন মূলক কথা বলছেন এবং সকল ব্যক্তিদের সাবান, ডিটল, সাভলুন, জীবানু নাশক পানি দিয়ে স্প্রে করার পরে সাধারণ মানুষদের ঐসব মহল্লাতে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এবং তাদের বলে দেওয়া হচ্ছে এই এলাকা লকডাউন ঘোষণ করা হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে নিজ নিজ এলাকা সুরক্ষিত রাখার জন্য এইধরণের উদ্বেগ সমাজের সকলের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। তিনি আরও বলেন বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন থেকে রক্ষাপেতে নওগাঁ পৌর এলাকার মানুষ তাদের নিজেদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এলাকার সচেতন মহলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

“জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” এর উদ্যোগে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: দেশে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে  “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ৮এপ্রিল বুধবার সকালে “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” (জেএইচসি) এর উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের প্রতিপাদ্য বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পেশাদার সাংবাদিকদের মাঝে সম্মানী সরূপ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সাংবাদিকদের সম্মানি হিসেবে জেএইচসি'র সংবাদিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনে  প্রধান অতিথি জাহিদুল ইসলাম সোহাগ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল জোন) “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” এর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তথ্য সংগ্রহ সহ রাস্ট্র ও জনগণের কল্যাণের স্বার্থে সাংবাদিকদের যেকোন সহযোগিতা করবে পুলিশ। সহকারী পুলিশ কমিশনার সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরে গুজব প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতা করতে সাংবাদিকদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহবান জানান। “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” সংগঠনের চেয়ারম্যান আজগর আলী মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসে উপস্থিত ছিলেন আইপি টিভি ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আতাউল্লাহ খান ও রুলার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মোঃ জহির এবং খিলগাও প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম.পি. চৌধুরি। সাংবাদিকদের সম্মানি হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয় সাংবাদিক কর্মী বান্ধব  “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার” মহাসচিব এস এম জীবন বলেন, সাংবাদিকরা হলেন দেশের দর্পন তারা জনগণ, রাস্ট্র ও সরকারের খবর রাখলেও, সাংবাদিকদের খবর কেউ রাখেনা। এটা সাংবাদিকদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকার লকডাউন করে দেন। এ অবস্থায় দেশের সকল স্থানে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি দেশের গনমাধ্যম কর্মীরাও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচার প্রচারনায় নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের এ অবস্থায় সরকারি স্বাস্থ্য, প্রশাসন ও পুলিশ বেতন পেলেও দেশের সাংবাদিকরা বেতনতো পাচ্ছেনই না বরং এ সময়ও সরকারের সহযোগীতা থেকে বঞ্চিত থেকেই যাচ্ছেন। দেশের এরকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের প্রধান মৌলিক চাহিদা থেকে তারা বঞ্চিত। চাহিদা পুরনেও হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেক সাংবাদিক পরিবারকে। একদিকে সরকার কতৃক ঘরে অবস্থান করা সহ সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে গরীবদের মাঝে ত্রান বিতরন করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশের চতুর্থ স্তম্ভে থাকা সাংবাদিক লকডাউন দেশে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশে গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করলেও সরকারি সহায়তার বাহিরেই থেকে সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভদৃষ্টি কামনা করেন।

সংগঠনের চেয়ারম্যান ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণে আজগর আলি মানিক বলেন, সকল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে সাংবাদিকদের সকল সংগঠন গুলো ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে “জার্নালিস্ট হেল্প সেন্টার”এর পাশে থেকে সকলের সহযোগিতা কামনা করে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দূরারোগ্য কামনা সহ মৃত ব্যাক্তিদের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা শেষে প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আরো ৪৮ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে


বেনাপোল প্রতিনিধি: আজও লকডাউনে ভারতের কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া আরো ৪৮ জন বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন।  বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা ফিরে  এসেছেন দেশে। বেনাপোল চেকপোস্টে প্রতিটি যাত্রীকে সতর্ককতার সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ১৪ দিন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইনটিনে রাখার জন্য বেনাপোল পৌরসভার কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  

গত ৪ দিনে এ পর্যন্ত ২৩৩  জন বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। আরো বহু বাংলাদেশী বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ভারত থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে ৮ জনের শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে উপজেলা হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইশোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। গত দু' দিনে বেনাপোলে মোট ৯৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টনে রাখা হয়েছে।

ইমিগ্রেশনে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, মঙ্গললবার দুপুরে ফেরত আসা ৪৮ যাত্রীকে সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে  বেনাপোলে  পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠনিক কোয়ারাইন্টনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোম কোয়ারাইন্টন শেষে তারা তাদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী জানান, কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া অরো  ৪৮ জন বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন বিশেষ ব্যবস্থাপনায়।


নওগাঁর রাণীনগরে পানি নিষ্কাশনের খারি (নালা) বন্ধ রাখায় কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ॥ দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহি বিল রক্তদহ। এই বিলটি রাণীনগর ও বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত। প্রায় ৩শত বিঘা জমি নিয়ে অবস্থিত এই বিলটির সিংহ ভাগই রাণীনগর উপজেলার পারইল, কালীগ্রাম ও সদর ইউনিয়নের অংশের মধ্যে। দীর্ঘদিন যাবত এই বিলের নিচু ও বিল সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার বিঘা জমিতে স্থানীয়রা ইরি-বোরো ধান চাষ করে আসছে।

সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে এই বিলে প্রায় ২২টি খারি দিয়ে পানি প্রবেশ করে আর হাতে গোনা একাধিক ছোট-বড় খারি দিয়ে পানি বের হয়। তারপরও দীর্ঘদিন পানি বের হওয়া এই খারিগুলো খনন না করার কারণে মাটি জমে সরু হয়ে গেছে আবার কোনটি দিয়ে পানি বেরও হয় না। তাই বিল থেকে পানি বের হওয়ার প্রধান দুটি খারি হচ্ছে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের রতনডারী খারি (হাতিরপুল) ও সিম্বা খারি। কিন্তু রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের সংস্কার, ২২টি ব্রিজ ও ৩টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এই সড়ক, ব্রিজ ও সেতুর কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজগুলো বন্ধ থাকায় রতনডারী খারির হাতিরপুল ও সিম্বা ব্রিজ নির্মাণের কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। এই দুই ব্রিজের খারি বন্ধ করে যে পার্শ্ব রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়নি। অপরদিকে বর্ষা মৌসুম আসন্ন। যদি বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই এই দুই খারিসহ আরো ছোট-খাটো খারির মুখগুলো খুলে দেওয়া না হয় তাহলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে রক্তদহ বিলের নিচু ও তার সংলগ্ন কয়েক হাজার বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

বোদলা গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন বিল থেকে পানি বের হওয়ার খারিগুলোর অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে প্রতি ইরি-বোরো মৌসুমে বর্ষার সময় আমরা খুবই শঙ্কিত থাকি। কারণ বিলের পানি বের হতে না পারায় প্রতি বছরই কিছু না কিছু জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়। কিন্তু এবছর জমির ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। কারণ বিল থেকে পানি বের হওয়ার প্রদান দুটি খারির মুখ বন্ধ করে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে কিন্তু বর্ষা মৌসুমের আগে যদি এই খারির মুখগুলো খুলে দেওয়া না হয় তাহলে বিলের নিচু জমিসহ আশেপাশের কয়েক হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই অতিদ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এই বিল এলাকাসহ উপজেলায় ১৮হাজার ৫৮৫হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও রোগ-বালাইয়ের তেমন আক্রমন না হওয়ায় এখন পর্যন্ত ধানগুলোর অবস্থা খুবই ভালো রয়েছে। এছাড়া রক্তদহ বিল ও তার আশেপাশের জমির ধানগুলোও খুবই ভালো হয়েছে কিন্তু বিল থেকে পানি বের হওয়ার খারির মুখগুলো বন্ধ করার ফলে বিলে বর্ষার পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আনুমানিক দেড় হাজার বিঘা জমির ধান তলিয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমি এই বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি কিন্তু তারা এখনো এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি।

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন আমি এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেছি।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কারণে কাজ বন্ধ না থাকলে বর্ষা মৌসুমের আগেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যেতো। তবুও আমি এই বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করেছি।

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসলাফিল আলম বলেন, রাণীনগর- আবাদপুকুর সড়কের কাজ নিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অনেক দিন ধরে ছিনিমিনি খেলছে। শত কোটি টাকার এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ করার বিষয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। শুধু চরম কষ্ট ভোগ করছে আমার এলাকার লাখ লাখ মানুষ। রক্ত বিল থেকে পানি বের হওয়ার খারিগুলোর মুখ খুলে দেওয়ার জন্য আমি অনেকবার সড়ক কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলেছি। যদি তাদের কারণে বিলের জমির ধানগুলো বর্ষার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয় তাহলে সেই ক্ষতিপূরন তাদেরকে দিতে হবে তা না হলে আমার কৃষক ভাইরা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।

নওগাঁয় চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রি উদ্যোগে প্রায় দেড় হাজার কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রি উদ্যোগে নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে খেটে খাওয়া কর্মহীন প্রায় দেড় হাজার দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের মানুষদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে এ কর্মসুচীর উদ্ধোধন করেন, নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের পরিচালক এম,এ খালেক, পরিচালক মীর জাহিদুল হাসান জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির হোসেনসহ চেম্বারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০কেজি চাল, ২কেজি আটা, ৪কেজি আলু, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি লবন, ১ লিটার তেল, ৪টি মাস্ক, ২টি সাবান ও ডেটলসহ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র। রাসেল বলেন, করোনার সময় মানুষদের ঘরে রাখার দায়িত্ব হলেও সামাজিক দায়বদ্ধ থেকে আমরা এগিয়ে এসেছি। বেঁচে থাকার জন্যে দামী খবার দিতে না পারলেও নুন্যতম খাবার দিতে পারছি। ৫দিন ব্যাপী বাড়ী বাড়ী গিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হবে বলে। তিনি সরকারি নির্দেশ পালন করে জনসাধারণদের ঘরে থাকারও অনুরোধ জানান তিনি।

নওগাঁয় ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুর্যোগকালীন সহায়তা দিলেন ছাত্রলীগ নেতা শেখ- আব্দুল্লাহ আল মামুন

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাস্ক, সাবান, লিফলেট ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সংগঠনের জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ-আব্দুল্লাহ্ আল মামুন (এ্যালবার্ড)। মঙ্গলবার বিকেল ৬.০০ টার সময় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান মো: শামীম হোসেন, মো: জাহিদ ইকবাল, মো: রাসেল হোসেন, শেখ-হামিম অনয় প্রেম সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।

এসময় নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ-আব্দুল্লাহ্ আল মামুন (এ্যালবার্ড) বলেন, দেশের সকল দুর্যোগকালীন সময়ে ছাত্রলীগ তার ভূমিকা রেখেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে ছাত্রলীগ আবারো মাঠে নেমেছে। এরই অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নওগাঁয় শৈলগাছী ইউনিয়নে অসহায় মানুষের মাঝে সাধ্যমত সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget