নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রঘুনাথপুর গ্রামে পরকীয়ার জেরে ৬ বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা তামান্না আক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে মা তামান্না আক্তার পলাতক রয়েছে। তাকেসহ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্যে পুলিশ কাজ করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সদরের শিকারপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। সুমাইয়া ওই গ্রামের প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সিরাজুল ইসলাম তিন বছর থেকে সৌদিআরবে তিনি রয়েছেন।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে সিরাজুল ইসলামের মা রশিদা এক ঘরে শুয়ে পরেন। অন্য ঘরে সুমাইয়া ও তামান্না ঘুমিয়ে পরেন। সকালে রশিদা ঘুম থেকে উঠে ছেলের বউ এবং নাতনিকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। এ সময় সুমাইয়ার খাটের উপরে শুয়ে থাকা দেখতে পেলেও তার মা তামান্নাকে পাওয়া যায়নি। সুমাইয়ার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় পরিবার ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তখন নিশ্চিত হন সুমাইয়া মারা গেছে। এরপর পুলিশে সংবাদ দেন। পুলিশ সংবাদ পেয়ে সুমাইয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এ সময় ওই ঘরের মধ্যে বিছানার চাদর অগোছালো ছিল। ঘরের মধ্যে থেকে সিগারেটের প্যাকেট ও প্যাকেটের সাথে ৫০টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সুমাইয়ার বাবা দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে অবস্থান করার সুযোগে সুমাইয়া মা তামান্না এলাকার বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিভিন্ন সময় তাদের সাথে বিভিন্ন সময় ঘুরতে যেতেন। এ নিয়ে একাধিকবার নিষেধ করা হলে অবৈধ সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন সুমাইয়া।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দি হোসেন জানান, নিহত সুমাইয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। ওই ঘরের মধ্যে থেকে সিগারেটের প্যাকেট ও প্যাকেটের সাথে ৫০টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরাকীয় দেখে ফেলায় সুমাইয়াকে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তামান্না আক্তার পলাতক রয়েছে। ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের জন্যে পুলিশ কাজ করছে। তামান্নাকে গ্রেফতার করতে পারলেই এ ঘটনায় অন্য কে কে জড়িত তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।