Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


মহাদেবপুর রাইগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম সাময়িক বরখাস্ত
 নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম মঞ্জুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইপ-১ অধি শাখার উপ সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে (স্মারক নং-৪৬.০০.৬৪০০.০১৭.২৭.০০১.১৭-২৮৮, তাং ১৫ মার্চ ২০২০) এই আদেশ জারী করা হয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় যে, চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী এ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারী নওগাঁর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৫ দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় রাইগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। চেয়ারম্যান মঞ্জুর পরে নওগাঁ জেলা জজ আদালতে আপিল দায়ের করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। বিধি অনুযায়ী নওগাঁ জেলা প্রশাসক রায়ের বিষয়টি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠান।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘তিন দিনের মধ্যে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের স্থলে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়ার নিয়ম রয়েছে। বিধি অনুযায়ী যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।


রাণীনগরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে ঋণের চেক বিতরন
 হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে সামনে রেখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পরিবারকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরন করা হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অর্থায়নে পরিবার ভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৮টি দলের মোট ৪০জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে এই ঋণের চেক তুলে দেওয়া হয়।  বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই চেক বিতরন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রাহকদের হাতে চেক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশিষ কুমার ঘোষ, সহকারি কর্মকর্তা আকরাম হোসেন প্রমুখ। ৪০জন সদস্যদের মোট ৪লাখ ৮০হাজার টাকার চেক বিতরন করা হয়।


নওগাঁয় ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে মানববন্ধন
নওগাঁর আত্রাইয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে আড়াই লাখ টাকার মাছ জব্দ করা সহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছয়জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৫দিনের জেল দেয়ার প্রতিবাদে দূর্নীতিবাজ ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।  বুধবার দুপুর ১২টায় শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে বিশা গ্রামের সাধারন মানুষ ও ভুক্তভোগী জেলে পরিবার এ কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন জলাশয়ের মালিক তোফাজ্জল হোসেন খাঁন। এসময় বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসী মনোরঞ্জন, জেলে থাকা ভুক্তভোগী আতাব আলীর স্ত্রী রজুফা, সাবিনা সহ অনেকে। বক্তারা দূর্নীতিবাজ ইউএনও’র বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন এবং জেলেদের মুক্তির দাবী জানানো হয়। জানাগেছে, আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের বিশা গ্রামে গত ১১ মার্চ রাতে বাজারে মাছ বিক্রি করতে জলাশয় থেকে মাছ ধরা হয়। ১২ মার্চ সকালে মাছ আহরণকারী জেলে, ম্যানেজারসহ ১২ জনকে আটক করে ছয়জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১৫ দিনের জেল এবং অন্য ছয়জনকে ছেড়ে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছানাউল ইসলাম। ইউএনও জলাশয়ের কর্তৃত্ব নেওয়ার তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়াত ডা. রেবতী কান্ত সান্যালের ভাতিজা বীরেন্দ্রনাথ সান্যালের পক্ষে তোফাজ্জল হোসেন খান জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ চারজনকে বিবাদী করে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালত ওই বছরের ১৮ জুলাই উভয়পক্ষের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরই একপর্যায়ে গত ১১মার্চ রাতে তোফাজ্জল হোসেন ওই জলাশয় থেকে মাছ আহরণ করেন। পরদিন সকালে মাছ বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় ইউএনও তার লোকজন এবং পুলিশ নিয়ে মাছগুলো জব্দ দেখিয়ে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে জেল দেওয়া হয়। জলাশয়ের মালিক তোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, প্রয়াত ডা. রেবতী কান্ত স্যান্যাল ও তার ভাতিজা বীরেন্দ্রনাথ স্যান্যালের কাছ থেকে ক্রয়, লিজ এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে ৮ একর ৫৯ শতক ওই জলাশয়ের আইনগত মালিক আমি। অথচ ইউএনও ওই জমি সরকারি কাজে ব্যবহার করার নামে আমাকে হয়রানি করে আসছেন। এমনকি বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নওগাঁর ধামইরহাটের ভন্ড কবিরাজ রায়হানের কারাদন্ড

নওগাঁর ধামইরহাটের আলোচিত রায়হান কবিরাজকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‌্যাবের অভিযানে কবিরাজের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ ঔষধ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে র‌্যাবের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশীদ পিপিএম এর নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা বুধবার দুপুরে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাতকুন্ডু মন্ডলপাড়া গ্রামের ভন্ড কবিরাজ রায়হানের বাড়ীতে অভিযান চালায়। অভিযানে বিপুল সংখ্যক নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক, মদক ও বিভিন্ন প্রকার তেলসহ কয়েক লক্ষ টাকার ঔষধ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায়ের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কবিরাজ রায়হান (৩২)কে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। কবিরাজ রায়হান ওই গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। মঙ্গলবাড়ী পলাশতলী গ্রামের অক্টো বিক্সা চালক তরিকুল ইসলাম বলেন, দির্ঘদিন ধরে কবিরাজ রায়হান এলাকার মানুষকে চিকিৎসা ও কবিরাজির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রথম বার রোগির কাছ থেকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে কবিরাজ রায়হান চিকিৎসার শুরু করতো। পনের দিন পর আবারও রোগিকে তার সাথে সাক্ষাত করতে বলতো। এবার রোগিকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ করতে হতো। কিন্তু ফলাফল শুন্য হতো। সে সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা করতো। রায়হান নিজেকে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতো। কিন্ত অভিযানের সময় সঙ্গে থাকা ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আরাফাত ইমাম বলেন, তার একটি ড্রাগ লাইন্সেস আছে। তবে সে বাড়ীতে মিনি চেম্বার দিয়ে এলোপাথিক, আর্য়বেদীক, হোমিও, ঔষধি, কবিরাজী, ঝাড় ফুঁকসহ বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা দিতো। নিজেকে পল্লী চিকিৎসক দাবী করলেও তার কোন সনদপত্র দেখাতে পারেনি।
জাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে রায়হান নিজ বাড়ীতে সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা ও কবিরাজি শুরু করে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত নিষিদ্ধ ঔষধগুলো ঘটনাস্থলে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় ঝালকাঠিতে বিএমএসএফ'র প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে : কুড়িগ্রামে সাংবাদিক রিগ্যান নির্যাতনের ঘটনায় দেশের বৃহত্তম সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম" বিএমএএফ কতৃক ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসেবে ঝালকাঠি জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিএমএসএফ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু সঞ্চানালয়  সমাবেশে জেলা কমিটির সভাপতি আজমির হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, নারী নেত্রী ডালিয়া নাসরিন, ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, বিএমএসএফ’র রাজাপুর শাখার সভাপতি আহসান হাবিব সোহাগ, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমূখ। সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করেন ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক সরওয়ার হোসেন স্বপন ও প্রেসক্লাব সদস্য আলী হায়দার তালুকদার, ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম সভাপতি মোঃ মনির হোসেন প্রমূখ।  

উক্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সহ উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে সাংবাদিক রিগ্যান নির্যাতনের বর্ননা দিতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কুড়িগ্রমের ডিসি প্রত্যাহার করা ও সাংবাদিক রিগ্যান জামিন দেয়া কোন বিচার নয়। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, সহযোগী আরডিসি নাজিম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা এবং সাংবাদিককে জামিন দেয়াই কোন বিচার হয়না। তাই সাংবাদিক নির্যাতনে কুড়িগ্রাম ডিসি সহ পুরো টিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বিচার দ্রুত আইনে সম্পন্ন করার মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ উত্তাল সাংবাদিক সমাজ। আজ সকল সাংবাদিক তথা সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ। কুড়িগ্রামে সাংবাদিক রিগ্যানকে গভীর রাতে তার ঘরের দরজা লাথি মেরে ভেঙ্গে স্ত্রী সন্তানদের সামনে থেকে ধরে নিয়ে চোখ বেঁধে উলঙ্গ করে মারপিট, লাঞ্ছিত ও ক্রসফায়ারের হুমকির ঘটনায় পুরো সাংবাদিক সমাজ লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ। ডিসির বাহিনী দিয়ে গভীর রাতে ডিসি অফিসে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে কারাদন্ডে দন্ডিত আইনের লঙ্ঘন বলেও প্রতিবাদ জানানো হয়। এ বিষয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএমএসএফ’র সকল শাখা সমূহ ছাড়াও সকল সাংবাদিক সংগঠনকে মাঠে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে থাকার আহবান জানান। সেই সাথে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাগুরার এমপি শেখরের মামলা, ঢাকায় সাংবাদিক কাজল অপহরণ, মাদারীপুরে সাংবাদিক দম্পতির ওপর এলজিইডির কর্মচারী ও ঠিকাদারদের হামলার ঘটনায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও  পুলিশের মামলা না নেয়া, কুমিল্লায় সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে মাদক ব্যবসায়ীরা কুপিয়ে রক্তাক্ত করা সহ বিএমএসএফ চট্টগ্রাম সভাপতি কেএম রুবেলসহ ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক হয়রাণী মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একইসাথে অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়ন, সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালাসহ বিএমএসএফ ঘোষিত ১৪ দফা দাবী বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করেন। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কতৃক সাংবাদিক রিগ্যানকে শারীরিক নির্যাতন করে মাদক মামলায় মোবাইল কোর্টে এক বছরের কারাদন্ড দেয়ার প্রতিবাদে বিএমএসএফ কতৃক ঘোষিত ১৬ মার্চ সকালে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। ডিসির অনিয়ম ও দূর্ণীতি ধামাচাঁপা দিতে গভীর রাতে নিজ বাসভবন থেকে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুলকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মনগড়া ভাবে কারাদন্ড প্রদানের বিষয়টি আজ পরিস্কার হয়ে গেছে।
অপরদিকে দেশের বৃহত্তম সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন "বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম" বিএমএসএফ'র আয়োজনে ঝালকাঠি,  কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রাজশাহি, দিনাজপুর, শ্রীপুর, কালিগঞ্জ, নরসিংদী, ফেনী, আশুলিয়া, গাজীপুর, হবিগঞ্জ,  মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, বাহুবল, ছাতক, কাঠালিয়া, নলছিটি, পিরোজপুর, পাইকগাছা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, কালকিনি শাখাসহ বিভিন্ন প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স  ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন  বিভিন্ন জেলা উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। বিএমএসএফ'র পক্ষ থেকে ডিসি কান্ডের বিরুদ্ধে সকল সাংবাদিক এবং সংগঠনসমুহকে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখারও আহবান জানানো হয়েছে।

ভাস্কর্যটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চান নওগাঁর ফরহাদ

অন্তর আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যক্তি উদ্যোগে ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য তৈরি করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ফরহাদ আলী সরদার (৫৩)। এ ভাস্কর্য তৈরি করে জেলায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে এ ভাস্কর্যটি জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণে রাখার ইচ্ছা তার। হতদরিদ্র ফরহাদ আলী নওগাঁ শহরের কালীতলা মহল্লার কাঠহাটির মুক্তিযোদ্ধার মৃত মোজাহার আলী সরদারের ছেলে।
একটি ছবি না বলা অনেক কথা বলে দেয়। ছবি স্থান করে নেয় কতশত স্মৃতি। তেমনি তিন চাকার ওপর তৈরি ছোট একটি ‘৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য’ বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক কিছু জানান দিচ্ছে। সেই ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিচ্ছবি। একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন-নিপীরন ও নির্যাতনে মারা যাওয়া বাঙালিদের মরদেহ শকূনে ছিঁড়ে খাওয়ার চিত্র, বাঙালি নারী-পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া, পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ, শহীদ মিনার, স্বাধীন বাংলাদেশের দুটি পতাকা, ভাষার জন্য আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে এ ভাস্কর্যে। এছাড়া পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজির আত্মসমর্পণের দলিলে সই করার প্রতিচ্ছবি, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও এম মনসুর আলীর ছবি। তার এ ভাস্কর্যটি দেখানোর জন্য শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে ও জনবহুল এলাকায় রাখা হয়েছে। এছাড়া মাঝে মধ্যে ভাস্কর্যটি টেনে নিয়ে শহরের রাস্তায় প্রদক্ষিণ করেন ফরহাদ আলী। জানা গেছে, ফরহাদ আলী সরদার চার ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয়। আর্থিক দৈন্যতার করণে ১৯৭৫ সালে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। এরপর আর লেখাপড়া করা হয়নি। বর্তমানে তিনি নওগাঁ বাস মালিক সমিতিতে চেনমাস্টার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। স্ত্রী মাহফুজা গৃহিণী, বড় ছেলে মিনান নাওম একটি বেসরকারি ব্যাংকের অফিস সহকারী, ছোট ছেলে মাহিন আলী গার্মেন্ট দোকানের কর্মচারী ও মেয়ে ফাদিলা নুসরাত ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। মুক্তিযোদ্ধা বাবা মোজাহার আলী সরদার ২০১৪ সালে মারা গেছেন। ফরহাদ আলী সরদার চেনমাস্টারের কাজের পাশাপাশি বাড়িতে ২০১৭ সাল থেকে রড, সিমেন্ট, বালু ও পাথর দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি শুরু করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এ ভাস্কর্যের কাজ শেষ হয়। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো কারিগর না হলেও নিজ চেষ্টায় তিন বছরে এ ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি যখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নওগাঁ শহরের তালতলী সড়কে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে ফুলের মালা উপহার দিয়েছিলেন। সে সুবাদে ২০০৯ সালে তালতলি থেকে দুবলিহাটি পর্যন্ত সড়কের একপাশে তালের বীজ রোপণ করেন, যা এখন দৃশ্যমান। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর স্মরণে জনগণের মাঝে সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে গাছের চারা বিতরণ করেন। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিল মারা যাওয়ার পর তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে সদর উপজেলার শৈলগাছী পুরো ইউনিয়নের মসজিদ, স্কুল ও পাড়ামহল্লায় ২০১৫ সালে ৪ হাজার ৭৭৫টি তালবীজ রোপণ ও ২০৬টি জাম গাছ রোপণ করেন। ২০১৭ সালে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামে হাসাইগাড়ী ইউনিয়ন, এম মনসুর আলীর নামে শিকারপুর ইউনিয়ন, দুবলহাটি ইউনিয়নে এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নামে ৩ হাজার ৩৭৫টি করে এবং জেলার রানীগরের মিরাট ইউনিয়নে তাজউদ্দীন আহমদের স্মরণে ৪ হাজার ৪৭৫টি তালবীজ রোপণ করেন। ভাস্কর্যের কারিগর ফরহাদ আলী সরদার বলেন, বাবার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শিখেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবং জাতির সামনে ইতিহাস তুলে ধরতে মনের মাধুরী মিশিয়ে এ ভাস্কর্য তৈরি করার চেষ্টা করেছি। ভাস্কর্যটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। তবে এ ভাস্কর্য তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা জানি না। হৃদয়ের ভালোবাসা থেকে তৈরি এ ভাস্কর্যের কাছে টাকা কিছুই না। এ ভাস্কর্য তৈরি করতে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের সাথে বেশি সময় না দেয়াই অনেক কথাও শুনতে হয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ আগামী প্রজন্মের মাঝে সঠিকভাবে তুলে ধরতে চাই। এতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে পারবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে জাতির কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জানানো দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার চাওয়া আমি দরিদ্র ও ভূমিহীন। এ ভাস্কর্যটি আমার কাছে রাখার মতো জায়গা নেই। আমি মারা যাওয়ার পর আমার সন্তানেরা এটার যতœ নিতে পারবে কি-না জানি না। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি এটা গ্রহণ করেন আমি শান্তি পেতাম। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা ও নিরাপদে থাকার জন্য দোয়া করি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget