Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁর রাণীনগরে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি স্থাপন

নওগাঁর রাণীনগরে রফিজান মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রফিজান মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আল মামুন। পরে এক অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভান্ডারগ্রাম প্রতিবন্ধী ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ও গবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সাধারন সম্পাদক শামছুর রহমান, পারইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: দুলাল আলম, কামতা এসএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরদার আ: হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুল মতিন, রফিজান মেমোরিয়াল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সাজেদুর রহমান সাজু, আকরাম হোসেন বিজয়, এনামুল হক রানা প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০১৫সাল থেকে উপজেলার এই প্রত্যন্ত এলাকা ভান্ডারগ্রাম ও তার আশেপাশের এলাকার অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিয়ে আসছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই সব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা সমাজের বোঝা নয় তাদেরকে উপযুক্ত পরিবেশে শিক্ষা প্রদান করলে ও সার্বিক সহযোগিতা দিলে তারাও সম্পদে পরিণত হতে পারে এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে এই প্রতিষ্ঠানটি  অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করে আসছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ১০৬জন অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুরা অধ্যায়ন করছে।

নওগাঁর বদলগাছীতে বিলুপ্তির পথে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন হলুদ বিহার

 খালিদ হোসেন মিলু, বদলগাছী: নওগাঁর বদলগাছীতে বিলুপ্তির পথে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন হলুদ বিহার। ঐতিহাসিক হলুদ বিহার প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এখন গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ফলে বিহারের চতুরধার দ্রুত ভেঙ্গে পড়ছে। এতে বিলুপ্ত হতে চলেছে ইতিহাস ঐতিহ্যের এই নিদর্শন। প্রাচীন এই বিহারটির উপর কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজর নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের পাশাপাশি হলুদ বিহারে ও দেশের বিভিন্ন এলকা থেকে পর্যটক দেখার জন্য আসে।

এছাড়া শিক্ষা সফরে দেশি বিদেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যটকরা আসেন। বিহারটিকে সংস্কার করে এর ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার দাবি এই এলাকার মানুষের। বিহারটির চতুর দিকে বাউন্ডারী ওয়াল নেই। এ কারণে গরু-ছাগল অনায়াসে প্রবেশ করে এতে বিহারের সৌন্দর্য বিকৃত হয়ে পড়েছে। যা এখানে দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানাযায় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের নিভৃতপল্লী হলুদ বিহার গ্রামের এক প্রান্তে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এই দ্বীপ। ইতিহাস ও প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন এই দ্বীপে নজর পরলেই দর্শকরা আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আসলে এটি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ এটি ছিল এক সময় গাছ গাছড়া ঝোড় জঙ্গলে পরিপূর্ণ উচু একটি দ্বীপ। দ্বীপের মাথায় ছিল একটি বড়ই গাছ, যার নিচে ছিল একটি গভীর কূপ। দ্বীপটি মাথায় পাটকূপ সম্পর্কে এই এলাকাবাসীর সকলেই জানা শুনা রেখেছে। দ্বীপের ঝোড় জঙ্গল গাছপালা কেটে ফেলার আগেই কূপটি ভরাট হয়ে যায়।

পরবর্তীতে দ্বীপটি সংস্কারকালে এই কূপের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশে পাশের লোকজন দ্বীপের চতুর ধারে মাটি কেটে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেন। মাটি কাটার এক পর্যায়ে দ্বীপের পূর্ব দিকে ইটের সিঁড়ি বের হয়। তখন এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তার পরেই এই দ্বীপটি বাংলাদেশ প্রতœতত্ব। বিভাগের অধীনে নেয়া হয়। হলুদ বিহার গ্রামে ছিল অনেকগুলো বিক্ষিপ্ত ঢিপি তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়েছিল পুরনো ইট, ভাংগা মৃৎ শিল্পের বিভিন্ন নিদর্শন। এথেকেই এখানে বৌদ্ধ বসতির প্রমান মিলে। ১৯৭৬ খ্রীঃ এই দ্বীপটি সংরক্ষিত করা হয়।

১৯৮৪ খ্রীঃ বাংলাদেশ প্রতœতত্ব বিভাগ ১ম বারের মত খনন কাজ শুরু করেন। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ২য় বার খননকালে দ্বীপের অভ্যন্তরে ১টি মন্দির আবিষ্কৃত হয়। এটি খননকালে বেশ কিছু প্রাচীন নিদের্শন সামগ্রী মানুষের মূর্তি সম্বলিত ভাঙ্গা, পোড়া মাটির ফলক, পাথর সামগ্রী ও মূর্তির স্তম্ভ মূল অলংকারের ঢালাই ছাচ এবং চুর্ণ যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রসাশনিক উদাসীনতা ও সংরক্ষণের অভাবে এই প্রাচীনতম নিদর্শন আজ প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে।

এ বিষয়ে হলুদবিহার গ্রামের শাহিনুর ইসলাম শাহিন, রোস্তম আলী, বলরামপুর গ্রামের নাজমুল, রকি সহ আরও অনেকে জানান বিহারটির চতুরদিকে দ্রুত বাউন্ডারি, সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়াসহ সংস্কার ও সংরক্ষনের প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের কাষ্টডিয়ান আবু সাঈদ ইনাম তানভিরুল এর সংগে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, বিহারটি নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে আরও খননের প্রয়োজন আছে। চতুর্দিকে তার কাঁটা দিয়ে ঘিরতে হবে। যাতে করে বাহির থেকে বিহারটি সাধারণ লোকজন দেখতে পায়। এছাড়াও এই বিহারটি ব্যাপারে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা আছে। বিহারটি সর্বাক্ষনিক দেখাশুনার জন্য আবু বক্কর নামে এক কর্মী নিয়োজিত আছে।

গত অর্থবছরে বিমানের লাভ ২১৮ কোটি টাকা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট আয় করে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। ব্যয় করে ৫ হাজার ৭৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। ফলে ওই অর্থ বছরে বিমানের নিট লাভ হয় ২১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আবার চলতি অর্থবছরে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত এবং পূর্বনিট লাভ হয় ৪২৩ কোটি টাকা।

রোববার জাতীয় সংসদে এমপি আবুল কালাম আজাদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ১২টি এবং লিজের ৬টি বিমানসহ মোট ১৮ টি উড়োজাহাজ আন্তর্জাতিক রুটে ১২টি দেশে ১৭টি এবং অভ্যান্তরীণ রুটে ৭টি স্টেশনে যাতায়াত করছে, যা পূর্ববর্তী যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া বিমানের যাত্রীদের ব্যাগেজ ডেলিভারির সময় প্রথম ব্যাগেজ ১৮ মিনিট এবং শেষ ব্যাগেজ ৬০ মিনিট করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যার ফলে যাত্রীসেবার মান বেড়েছে।

তিনি বলেন, বিমানের দুর্নীতি ও ব্যয় সংকোচনের জন্য প্রশাসনকে ঢেলে সাজান হয়েছে। ফলে বিমানের দুর্নীতি বহুলাংশে কমে এসেছে।


নওগাঁয় উগ্রবাদ ও সহিংস প্রতিরোধ “আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী  বাহিনীর করনীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সালমান ফার্সী: নওগাঁয় উগ্রবাদ ও সহিংস প্রতিরোধ “আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করনীয়” শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকালে পুলিশ লাইন্স ড্রিল-সেডে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্ধোধন করেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম।
সেমিনারে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা ও করনীয় নিয়ে কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বিপিএম, পিপিএম।
বাংলাদশ পুলিশের সন্ত্রাস ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এ আয়োজন করে । 
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম রাকিবুল আক্তার, ফারজানা হোসেন, অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার সুরাইয়া খাতুনসহ জেলার ১১ টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ এর সৌজন্য সভা অনুষ্ঠিত

আব্দুল মান্নান: নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বামন পাড়ার (উত্তর পাতাড়ী) সীমান্তে  বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বিএসএফ) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন অটুট রাখার লক্ষে এ সৌজন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নওগাঁ- ১৬-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ১১টায় নওগাঁ-১৬ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বামনপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ২৪৪ পিলার এর নিকটবর্তী উত্তর পাতাড়ী নামক স্থানে ভারতের অভ্যন্তরে ১২২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এল এন পুর বিএসএফ ক্যাম্প এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ দুই দেশের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ের ওই সৌজন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সৌজন্য সভায় বিজিবি’র পক্ষে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম, পিএসসি, ১২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সময় উপ অধিনায়ক মেজর এ.টি.এম আহসান হাবীব তার সাথে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র  ১২২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পক্ষে কমান্ড্যান্ট শ্রী এইচ.পি.এস কান্ডারী ১৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব প্রদান করেন। সৌজন্য সভায় উভয় দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদকদ্রব্য পাচার রোধ, অবৈধভাবে অস্ত্র গোলাবারুদ পাচার রোধ, যে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ সমন্বিত টহল জোরদার করণের বিষয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হয়। দুপুর প্রায় ১টায় উভয় দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে সৌহার্দ্যপূণ ভাবে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এ সৌজন্য সভা সমাপ্ত হয়।

নওগাঁর রাণীনগরে বাড়ির ছাদে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ঘৃতকুমারী

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরে বাড়ির ছাদে বাগান তৈরি করে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে অ্যালোভেরা(ঘৃতকুমারী)। ঔষুধী গুনসম্পন্ন এই ফসল চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার মাধাইমুড়ী মহিলা সিআইজি দলের (কমোন ইন্টারেস্ট গ্রুপ) সদস্য হোসনে আরা। হোসনে আরার দেখাদেখি বর্তমানে ওই গ্রামের প্রায় ১০জন মহিলা তাদের নিজ নিজ বাড়ির ছাদকে আবার কেউ কেউ বাড়ির উঠানের পরিত্যক্ত জমিতে এই ফসল চাষ করে বাড়তি অর্থ আয় করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা, সুপরিচিত ঔষুধী গুন সম্পন্ন একটি গাছ হচ্ছে অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী)। এই গাছের পুরো অংশটিই ঔষুধী হিসেবে বহুল ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে সরবতের সঙ্গে প্রচুর এই অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) খাওয়া হয়। এছাড়াও বর্তমানে রূপচর্চাতেও এই ঔষুধী গাছটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই গাছটির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মধ্যে যশোর জেলা অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) চাষের জন্য বিখ্যাত ছিলো। কিন্তু বর্তমানে রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভাবে অ্যালোভেরার (ঘৃতকুমারী) চাষ শুরু করেছেন ওই গ্রামের কৃষি ভিত্তিক সিআইজি (কমোন ইন্টারেস্ট গ্রুপ) দলের মহিলারা। আর তাদেরকে এই লাভজনক আবাদ চাষে আগ্রহী করে তুলেছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ওই গ্রামে প্রথমে হোসনে আরা এই চাষ শুরু করেন। আর তার দেখাদেখি বর্তমানে প্রায় ১০জন মহিলা তাদের বাড়ি ছাদে ও পরিত্যক্ত জায়গায় অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) চাষ শুরু করেছেন। এছাড়াও মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরাও জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) চাষ শুরু করেছেন। কম পরিশ্রম ও কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায়  অ্যালোভেরা (ঘৃতকুমারী) চাষের দিকে ঝুঁকছেন ওই গ্রামের অনেক মহিলা ও পুরুষরা।

 
নওগাঁর রাণীনগরে বাড়ির ছাদে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে ঘৃতকুমারী

গৃহিনী হোসনে আরা বলেন বর্তমানে মাধাইমুড়ি গ্রামটি ঘৃতকুমারী গ্রাম নামে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি প্রথমে শখের বসে বাড়ির ছাদে একটি-দুটি টবে ঘৃতকুমারীর গাছ রোপন করেন। এরপর নিজেদের প্রয়োজনে সেখান থেকে ঘৃতকুমারী ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে গরমের সময় সরবতে এই ঔষুধী গাছের ব্যবহার বেড়ে যায় বহুগুনে। খুব সহজে ও কম পরিশ্রমে এই ফসলের চাষ করা সম্ভব। এরপর কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি বাণিজ্যিক ভাবে এই গাছের চাষ শুরু করেন। তিনি বর্তমানে বাড়ির ছাদের আর কোন জায়গা অবশিষ্ট রাখেননি। যেখানেই একটু জায়গা পেয়েছেন সেখানেই তিনি ঘৃতকুমারীর চারা রোপন করেছেন। সারাবছরই এই গাছ থেকে ফলন পাওয়া যায়। মূলত এই গাছের পাতার মোটা অংশের ভিতরের মাংসগুলো ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে পাইকার ব্যবসায়ীরা এসে তার ছাদ বাগান থেকে ঘৃতকুমারী কিনে নিয়ে যায়। তাই এটি বিক্রির জন্য আলাদা ভাবে চিন্তা করতে হয় না। তিনি আরো বলেন বর্তমানে তার এই অ্যালোভেরার  (ঘৃতকুমারী) ছাদবাগান থেকে তিনি প্রতি মাসে ১০-১২হাজার টাকার ঘৃতকুমারী বিক্রয় করেন। নিজের পরিবারের কাজ শেষ করে তিনি তার ঘৃতকুমারীর বাগানে পরিচর্যা করেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ায় তার এই এতো বড় ঘৃতকুমারীর বাগান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও গ্রামের অন্য মহিলাদের এই লাভজনক বাগান তৈরি করতেও তিনি উদ্ধুদ্ধ করে আসছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন আমরা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কৃষিভিত্তিক সিআইজি দলের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী ও বিষমুক্ত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় মাধাইমুড়ি গ্রামে মহিলাদের মাধ্যমে এই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে অ্যালোভেরার (ঘৃতকুমারী) চাষ শুরু করা হয়েছে। আর এই অ্যালোভেরার (ঘৃতকুমারী) চাষে দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন হোসনে আরা। এই গাছের রোগবালাই খুব কম। শুধুমাত্র পাতাতে পচন রোগ দেখা দিলে চুন ও তুঁতের বৌদ্ধ মিশ্রন প্রয়োগ করলেই যথেষ্ট। এছাড়া তেমন কোন বড় ধরনের রোগ হয় না। এই গাছের চারা সহজলভ্য, পরিশ্রম ও খরচ খুবই কম হয়। এতে করে লাভের পরিমাণ খুবই বেশি। আর এই গাছের চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় বাজারজাত করা নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না। পাইকাররা এসে বাড়ি থেকে এগুলো নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন বর্তমানে এই গ্রামের মহিলারা পরিবারের কাজের ফাঁকে ঘৃতকুমারীর বাগান তৈরির দিকে ঝুঁকছেন। আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছি। আশা রাখছি আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে মাধাইমুড়ির পুরো গ্রামে ঘৃতকুমারীর চাষ ছড়িয়ে পড়বে। শুধু এই গ্রামেই নয় আমরাও চেষ্টা করবো উপজেলার অন্যান্য গ্রামেও এই চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার। যাতে করে গ্রামীণ মহিলারা অযথা সময় নষ্ট না করে সংসারের কাজের ফাঁকে ঘৃতকুমারীর এই বাগানের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে লাভবান হন সেই প্রত্যয় নিয়েই আমরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget