নওগাঁয় বলাকা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
সালমান ফার্সী: ননওগাঁয় ভুল অপারেশনে সিজারিয়ানের সময় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে গাইনি চিকিৎসক ডা: মানজুদা খাতুন পপির বিরুদ্ধে। নিহত প্রসূতির নাম রিতু বন্যা (২০)। তিনি জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের রুবেল হোসেনের স্ত্রী। বুধবার সকালে শহরের বলাকা ক্লিনিকে সিজারিয়ানের পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ডা: মানজুদা খাতুন পপি ওই ক্লিনিকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রসব ব্যাথা উঠায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে প্রসূতি রিতু বন্যাকে ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। অপারেশনের পূর্বে কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ছাড়াই সিজারিয়ান করে। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিজার করে ওই প্রসূতি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সিজারের পর প্রসূতির খিচুনি শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী যাওয়ার পথে জেলার মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট নামক স্থানে সকাল ১০টার দিকে প্রসূতি মারা যায়।
নিহতের স্বামী রুবেল হোসেন অভিযোগ বলেন, প্রসব ব্যাথায় উঠায় সকালে সুস্থ্য স্ত্রীকে ক্লিনিকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। সিজারের পর এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। ডাক্তার বলেছে রোগীর সমস্যা থাকায় খিচুনি উঠেছে। যদি রোগীর সমস্যাই থাকে তাহলে সিজার কেন করবে ? পরে তড়িঘড়ি করে জোরপূর্বক ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রাজশাহীতে পাঠায়। পথিমধ্যে স্ত্রী মারা যায়। ডাক্তারের ভুলের কারণেই স্ত্রী মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মৃত্যুর সাথে জড়িতদের বিচার দাবী করেন তিনি।
গাইনি চিকিৎসক ডা: মানজুদা খাতুন পপি বলেন, প্রসূতির অবস্থা খুব খারাপ ছিল। প্রসূতি এবং বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয়েছে। সিজারিয়ানের পর খিচুনি শুরু হয়। পরে প্রসূতিকে রেফার্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বলাকা ক্লিনিকে মাঝে মাঝেই রোগী মারা যায়। রোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন পরবর্তীতে অর্থের বিনিময়ে এবং পেশিশক্তি দিয়ে দফারফা করেন বলাকা ক্লিনিকের মালিক মো. এনামুল হক।