Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

আমের অধিক ফলনের আশায় নওগাঁয় পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত বাগান মালিকরা

সালমান ফার্সী: আগামী মধুমাসে আমের ফলন বাড়াতে এখন থেকেই আমের রাজধানী খ্যাত উত্তরের নওগাঁ জেলার পোরশা ও সাপাহার উপজেলায় বাগানে বাগানে আমচাষীরা এখন বাগান পরিচর্যা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে তারা কীটনাশক দোকান থেকে কীটনাশক সংগ্রহ করে অতিরিক্ত মজুরী দিয়ে হলেও তারা আম গাছে কীটনাশক স্প্রে-করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের দিনে দেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছিল আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত। বর্তমানে পর পর কয়েকবছর ধরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আম বহি:বিশ্বসহ দেশের রাজধানী এবং প্রাায় পতিটি জেলায় সুনামের সাথে স্থান করে নেয়ায় দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষ এক নামে এখন সাপাহার উপজেলাকে চিনে ও জানে।

আমের সিজন আসলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা সাপাহারে এসে ভিড় জমায়। গতবছর আমের মৌসুমে শুধু সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত আড়াই শতাধিক আমের আড়ত থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার আম বিক্রি হয়েছে বলে আম আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা জানিয়েছেন।

উপজেলা সদরের আম বাগান মালিক জানান, পিছল ডাঙ্গা গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, জবই গ্রামের শাহজাহান আলীসহ একাধীক আমবাগান মালিকরা বলেন, সাপাহার উপজেলার সব জায়গার মাটি আম চাষের উপযোগী। এজন্য এখানকার কৃষককুল ধানের বদলে আমচাষে ঝুঁকে পড়েছেন। তাছাড়া এখানকার জমি অপেক্ষাকৃত উঁচু ও অসমতল। সেচ সংকট প্রবল। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করতে পারা যায়। পক্ষান্তরে ওই এক বিঘা জমিতে আম চাষ করে কম পক্ষে ১লাখ টাকার আম বিক্রি করা যায়। তফাৎটি আকাশ পাতাল ব্যবধান হওয়ায় এখানকার কৃষকরা এখন আম চাষে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলায় যে লোকের ১০ শতাংশ জমি রয়েছে, সেও তার ওই টুকু জমিতে কয়েকটি আম গাছ লাগিয়েছেন।

বর্তমানে সাপাহারে কোন অচেনা ব্যক্তি আসলে চারিদিকে চোখে পড়বে শুধু আমের বাগান আর বাগান। গেলবছর উপজেলায় ৬ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হয়েছিল। এবছর এর পরিধি আরোও ব্যাপকতা লাভ করে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ২৫০হেক্টর জমিতে উন্নীত হয়েছে বলে উপজেলা কৃষিদপ্তর থেকে জানা গেছে। পর পর কয়েক বছর ধরে এলাকায় আম চাষে এক বিপর্য ঘটে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ইতোমধ্যেই এই উপজেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা নির্ধারণসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। উপজেলাসহ আশেপাশের আমচাষীরা অচিরেই এখানে একটি অত্যাধুনিক আম সংরক্ষনাগার ও জুস জেলি তৈরীর কারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ও দেশের বিত্তবানদের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।


ঝালকাঠিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে : ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে ছোট ভাই  দায়ের কোপে বড় ভাই আব্দুর রহমান নিহত হয়েছেন। ২৭ জানুয়ারী সোমবার দিবাগত রাত আনুমানি ৯টার সময় রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের কেওতা গ্রাম এই ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুর রহমান স্থানীয় বাসিন্দা আবু বক্করের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, রাতে কেক খাওয়াকে কেন্দ্র করে কলেজ পড়ুয়া বড় ভাই আব্দুর রহমানের সাথে ছোট্ট ভাই দাখিল এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল্লাহর সাথে বাকবিতণ্ডার শুরু হলে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা দাও দিয়ে বড় ভাই আব্দুর রহমানকে কোপ দেয়। এ সময় দায়ের কোপের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বড় ভাই আব্দুর রহমান। এ ঘটনা রাজাপুর থানা পুলিশ জানতে পেরে মৃত আবদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। পুলিশ যাওয়ার পূর্বে ঘাতক আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছে।

এ বিষয় রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘাতক আব্দুল্লাহকে আটক করতে অভিযান চলছে সেই সাথে হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান চলছে।

ঝালকাটিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী প্রচারনা ও সচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে : ঝালকাঠিতে সদর উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী প্রচারনা ও সচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার ঝালকাঠি সদর উপজেলাধীন গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নস্থ শাহ মাহমুদিয়া কলেজ ও ভারুকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী প্রচারনা ও সচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় শাহ মাহমুদিয়া কলেজের সেমিনার কক্ষে বাংলা বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণ চন্দ্র বনিকের সঞ্চালনায় ও কলেজে অধ্যক্ষ মো: নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে দ্বদশ শেনীর ছাত্র মো: মনিরুজ্জামানের পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরে কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্পনা বড়াল গিতা পাঠ করেন। 

অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের প্রভাসক কৃষ্ণ চন্দ্র বনিকের সঞ্চালনায় এবং কলেজের অধ্যক্ষ নূরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে মাদক বিরোধী প্রচারনা ও সচেতনতা মূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মোসা: তানিয়া ফেরদৌস, ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা।  এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্য মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে কাউন্সিলিং করার আহবান জানান। এ সময় তিনি তার বক্তব্যে মাদক সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে তামাকজাত দ্রব্য যেমন তামাকজাত দ্রব্য বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গাজা ইত্যাদী নেশাজাত দ্রব্য ইয়াবা, ফেন্সিডিল, আফিন, কোকেন ইত্যাদির কুফল সম্পর্কে বলেন।  সেই সাথে বিড়ি, সিগারেটের কুফলের উদাহরনের মাধ্যমে তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, মাদকের " শুরু হয় সিগারেট দিয়ে যার শেষ হয় মৃত্যু " তাই তোমরা বাড়িতে গিয়ে তোমাদের বাবা -মাকে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা খাওয়া থেকে বিরত রাখর চেষ্টা করবে। মনে রাখবে তোমাদের তথা সন্তানদের মঙ্গলের জন্য সকল বাবা-মাকে সন্তান যদি এগুলো পরিহার করতে বলে অবশ্যই বাবা-মায়েরা এগুলো পরিহার করবে বলে আমি মনে করি। তবে সকলেকেই মনে রাখতে হবে বাবা-মাকে তামাকজাত পন্য পরিহারের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রী কে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরকেও তার সন্তানকে মাদকের কুপল থেকে বাচাঁতে হলে একই পথ অবলম্বন সহ বাড়তি কিছু সতর্কতা থাকতে হবে। একজন অভিভাবকের মনে রাখতে হবে আপনার সন্তান স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে আসলে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে কি না ? সন্ধা হওয়ার সাথে সাথে আপনার সন্তান ঘরে ফিরছে কি না ?  সে রিতিমত সঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করছে কি না এগুলোর দিক বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। বর্তমান সরকার ও তার প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে সচ্চার তাই মাদক মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষে মাদক বিরোধী আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রেও এনেছেন আমুল পরিবর্তন। তাই ছাত্রছাত্রীরা আগে থেকে সচেতন হও, সরকার আগামীতে সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রকার মাদকাসক্তদের নিয়োগ দিবে না, নিয়োগের পূর্বে প্রার্থী মাদকাসক্ত কি না তা ডোপ টেষ্টের মাধ্যমে যাচাই পূর্বক নিয়োগ করা হবে। তাই সবাই হাত তুলে আমরা একসাথে মাদককে না বলি।

উক্ত সেমিনারে মাদকের কুফল সম্পর্কে আরো বক্তব্যে রাখেন, গোপাল মন্ডল সহকারী অধ্যাপক ভূগোল, মো সিরাজুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক ইসলাম শিক্ষা। এছাড়াও সেমিনারে কলেজে কর্মরত অধ্যাপক, প্রভাষকগন উপস্থিত ছিলেন।শাহমাহমুদিয়া কলেজের সেমিনার শেষে ভারুকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুপুর সাড়ে বারোটায় ভারুকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কতৃক আয়োজিত মাদক বিরোধী প্রচারনা ও  সচেতনতা মূলক সেমিনারে অংশ গ্রহন করেন। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে মাদক বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহবান জানান।

     ত্রিশালে পাঁচদিন পর মাছের খামার থেকে সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিখোঁজের ৫দিন পর আশরাফুল আলম সিয়াম (২২) নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে একটি মাছের খামার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার পৌর সদরের দরিরামপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।  পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ত্রিশাল পৌর সদরের দরিরামপুর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি মাছের খামারে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।  নিহতের বাবা আক্কাস আলী জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সিয়াম। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।  সিয়াম স্থানীয় নজরুল একাডেমি থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি ও ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে ২০২৯ সালে এইচএসসি পাস করে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি কলেজে পড়াশুনা করছিলেন। সিয়ামের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিখোঁজের ৫দিন পর আশরাফুল আলম সিয়াম (২২) নামে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে একটি মাছের খামার থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার পৌর সদরের দরিরামপুর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে ত্রিশাল পৌর সদরের দরিরামপুর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি মাছের খামারে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের বাবা আক্কাস আলী জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সিয়াম। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সিয়াম স্থানীয় নজরুল একাডেমি থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি ও ত্রিশাল কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এইচএসসি পাস করে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি কলেজে পড়াশুনা করছিলেন। সিয়ামের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

হুমকির মুখে কারিগরি শিক্ষা!

  >> বিধির বাইরেও ক্লাস পরিচালনায় মেলে না সম্মানী
>> ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা
>> সমস্যার দ্রুত সমাধান, আন্দোলনের দরকার নেই: সচিব

নতুন করে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে দেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা। জনবল সংকট থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্বিতীয় শিফটে (প্রথম শিফটের অনুরূপ) দ্বিগুণ পরিশ্রম করলেও সেভাবে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এ কারণে নতুন ব্যাচে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনসহ দু’দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামছেন তারা। শিক্ষক-কর্মচারীদের এমন সিদ্ধান্তে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন। এ কারণে নতুন করে আন্দোলনে নামার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

কারিগরির শিক্ষকরা জানান, সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ৪৯টি ও ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে নানামুখী উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছে। এ খাতে বাজেট বাড়িয়ে নতুন নতুন কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এত উদ্যোগের পরও জনবল সংকটের কারণে সবকিছু ভেস্তে যেতে বসেছে।

জানা গেছে, দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে (টিএসসি) নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণিতে পাঠদান হলেও এসএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের দুই শিফটে পড়ানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-কর্মচারী ও লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।


অন্যদিকে ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন প্রায় দুই হাজার পাঁচজন শিক্ষক-কর্মচারী। এক শিফটের শিক্ষক দিয়ে দুই শিফটের ডিপ্লোমা কোর্স পড়ানো হচ্ছে। ১৯৮৩ সাল থেকে দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে জোড়াতালি দিয়ে চলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

 
হুমকির মুখে কারিগরি শিক্ষা!
তারা জানান, মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বেতন-ভাতা সুবিধা দিয়ে দুই শিফটের ক্লাস পরিচালনা করেন শিক্ষকরা। দ্বিতীয় শিফটের শিক্ষকদের জন্য ২০১৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে তাদের বেতনের ৩০ শতাংশ বাড়তি দেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এবং নীতিনির্ধারক পদগুলোতে কারিগরি ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে গত দুই বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. তাহের জামিল জাগো নিউজকে বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে দুই শিফটে ক্লাস নিলেও শিক্ষকরা ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শুরুতে বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়া হলেও গত দুই বছর ধরে ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী বেতনের ৩০ শতাংশ দেয়া হচ্ছে। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা সে অর্থ উত্তোলন করছেন না।

তিনি আরও বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক ও মাহপরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডারদের নিয়োগ দেয়ার কথা। কিন্তু গত দুই বছর এসব পদে চলতি দায়িত্বে প্রশাসন ক্যাডারদের বসানো হচ্ছে। তারা আমাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো গুরুত্ব দেন না।


সভাপতি বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্বের জন্য আগের মতো বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ প্রদান, ভবিষ্যতে তা শতভাগে উন্নীতকরণসহ পরিচালক ও মহাপরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডার নিয়োগের দাবিতে আমরা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিকেটনিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হাফিজ আহমেদ সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, গত ১৯ মাস ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্বিতীয় শিফটের বেতন সুবিধা কমিয়ে আনা হয়েছে। গত বছর জুনে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং দ্রুত সেগুলো সমাধান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। কিন্তু এখনও কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় শিক্ষকরা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি বলেন, চাকরির বিধিতে না থাকলেও প্রথম শিফটের মতো শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্বিতীয় শিফটে সমপরিমাণ কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সেভাবে তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। উল্টো সম্মানীর পরিমাণ আগের চেয়ে কমিয়ে আনা হয়েছে। এ কারণে নতুন করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করতে চাই’- যোগ করেন মো. হাফিজ আহমেদ সিদ্দিক।


তবে আন্দোলনের কারণে নতুন করে সংকট তৈরি হবে না বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সম্প্রতি তিনি জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে দুই শিফট চালান। তাদের সেভাবে সুবিধা দেয়া হয় না। বাড়তি পরিশ্রমের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থ অনুমোদন দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, অর্থ বরাদ্দের যৌক্তিকতা তুলে ধরে দুই দফায় চিঠি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

‘কাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে’ উল্লেখ করে মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সুখবর পাবেন। এ কারণে নতুন করে আন্দোলনে নামার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।’

‘আশা করি, শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাবেন’- যোগ করেন তিনি।

নওগাঁর ধামইরহাটে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির সাথে গ্রামবাসীর টহল

মো.হারুন আল রশীদ: নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও পুশইন ঠেকাতে গ্রামবাসীকে নিয়ে ব্যাপক টহল দিচ্ছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকার এ কাজে সহায়তা করছে গ্রামের সব বয়সী মানুষ। বর্তমানে সীমান্তে রাতে পাহারা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিজিবি।

জানা গেছে, ধামইরহাট সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন ঠেকাতে সীমান্তবর্তী গ্রামের সর্ব সাধারণকে নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গণসচেতনামূলক কাজ করছে। যে সব পয়েন্ট দিয়ে বিএসএফ অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারে ওই সব এলাকার জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এক সাথে কাজ করছে বিজিবি ও গ্রামবাসী। 
 
সোমবার রাত ৮টার দিকে ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অন্তর্গত উপজেলার শীমুলতলী বিওপির (বর্ডার অবজারভেশন পোষ্ট) আয়োজনে সীমান্ত পিলার ২৫৮/২ এর সাব পিলারের ২শত গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর গ্রামে এক গণসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এব্যাপারে শীমুলতলী বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো.ফিরোজ হোসেন বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও গ্রামের জনগণকে সাথে নিয়ে সীমান্তে পুশইনসহ যেকোন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামের জনগণকে সচেতন করার জন্য সচেতন করার কাজ চলছে। এ কাজের গ্রামের সব বয়সী মানুষ ব্যাপক সহযোগিতা করছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget