Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় জেলা ও বিভাগে ১৪ বার শ্রেষ্ঠ উদ্ধার কারি নির্বাচিত হয়েছেন মিজান

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ বারংবার যোগ্যতা প্রমান করে চলেছেন নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মিজান। ১৯ জানুয়ারি রবিবার নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মাসিক কল্যান ও অপরাধ পর্যালচনা সভায় তাকে ডিসেম্বরের/১৯ এর  শ্রেষ্ঠ উদ্ধার কারির পুরস্কারে ভূষিত করেন জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া (বিপিএম)।

এছাড়া ২০১৯ ইং বছরে ১১ বার জেলার ও ৩ বার রাজশাহী রেন্জ্ঞের শ্রেষ্ঠ উদ্ধার কারি (মাদক,অস্ত্র,সন্ত্রাসী,চাদাবাজ)দের গ্রেফতার করে শেশ্রষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা ও বিভাগসহ গতবছরে মোট ১৪ বার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। নেই কোন ভয়, নেই কোন অহংকার,নওগাঁবাসীর গর্ব যে মানুষটি দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তি উজ্জল করার অবদান রাখাসহ মাদক ব্যাবসায়ী চোরা কারবারিদের জাত শত্রু এস আই মিজানুর রহমান মিজান। ২০১৯ ইং জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরপর ১৪ বার শ্রেষ্ঠ র্নিবাচিত হওয়ায় নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র' পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।এবিষয়ে মিজানুর রহমান মিজান বলেন, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া (বিপিএম) স্যারের দিক র্নিদেশনায় বিষেশ করে ওসি (ডিবি) কে এক শামসুদ্দিন স্যারের বলিষ্ঠ নেত্রীতে আমাদের সকল কাজে অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের অপারেশন টিম অভিযানে বাহিরে থাকা কালিন সময়ে দিনে কিম্বা গভির রাত্রিতেও ওসি স্যারকে ফোন করামাত্রই তিনি তৎখনিক দিক র্নিদেশনা দিয়ে থাকেন আমার এই অর্জনের পিছনে ওসি স্যারের ব্যাপক অবদান রয়েছে। নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি (ডিবি) কে এম শামসুদ্দিন বলেন, মিজানকে আমি কাছে থেকে পেয়েছি সে সাহসী, অকুতোভয়া, দিন রাত সবসময় নিরলস পরিশ্রম করে কখোনও তার মুখে না শব্দটি নেই। তার কষ্ট হলেও সিনিয়র দের কোন কমান্ডে কখনও তার অ-পারকতা বা অনিহা নেই। এক কথায় গোয়েন্দা শাখায় মিজানের ভুমিকা অপরিসীম।

নওগাঁকে ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বগুড়া জয়ী
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়ানশীপ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়ানশীপ-২০২০ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে নওগাঁ ষ্টেডিয়ামে জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশানের সহযোগীতায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এর আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসাবে এর উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর রশীদ।
প্রতিযোগিতায় নওগাঁ জেলা বনাম বগুড়া জেলা দল অংশ গ্রহন করেন। খেলায় নির্ধারিত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় খেলায় পরে ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে নওগাঁ জেলা দলকে হারিয়ে বগুড়া জেলা দল চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এ সময় পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, জেলা ফুটবল এ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি মামুনুর রশীদ, সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ এ্যাসোসিয়েশানের অন্যান্যরা নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিতাদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।

১২ বছর ধরে দড়িতে বাঁধা সুজন

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর রানীনগর উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক সুজন আলী (২৫)। গত এক যুগ ধরে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। সুজন আলীর বাড়ি উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের করজগ্রামে। অর্থের অভাবে তার ভাগ্যে জোটেনি উন্নত চিকিৎসা। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ির বারান্দায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন।

জানা গেছে, করজগ্রামের মৃত লিতব আলী মন্ডলের ছেলে সুজন। ৯ ভাই-বোনের মধ্যে সুজন ৬ নম্বর। জন্মের পর ১০/১১ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই চলত সুজন। কিন্তু যতই বড় হতে থাকে ততই তার মাঝে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ ধরা পড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাগলামি বেড়ে যাওয়ায় বাবা লিতব আলী জমিজমা বিক্রি করে সাধ্যমতো তার চিকিৎসার চেষ্টা করেন। পাবনা মানসিক হাসপাতালে নেয়া হলে সুজন কোনো দিন ভালো হবে না বলে জানিয়ে কিছু ওষুধ দেন চিকিৎসকরা। সেই ওষুধগুলো খাওয়ার পর সুজনের অবস্থার আরও অবনতি হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
১২ বছর ধরে দড়িতে বাঁধা সুজন

২০১০ সালে বাবা লিতব আলী মারা যাওয়ার পর সুজনের ভাগ্যে আর কোনো উন্নত চিকিৎসা জোটেনি। বাবা মারা যাওয়ার পর সুজনের ভাইয়েরা আলাদা বসবাস শুরু করে। দিন যতই যাচ্ছে ততই সুজনের আচরণের অবনতি হচ্ছে। শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমেও সুজনের একমাত্র আশ্রয়স্থল বাড়ির উঠান। সকালে উঠানে বেঁধে রাখা হয়। আর সন্ধ্যা হলে ঘরে ঢুকানো হয় তাকে। হাতের দড়ি খুলে দিলেই সুজন পথচারীদের বিরক্ত করে, উদ্ভট আচরণ করে। তাই তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

সুজনের মা রিজিয়া বেওয়া বলেন, জন্মের পর থেকেই সুজনের মাঝে কিছুটা অস্বাভাবিক আচার-আচরণ ধরা পড়ে। তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাগলামি বেড়ে যায়। আমরা গরিব মানুষ। তারপরও সাধ্যের মধ্যে ছেলের চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের তেমন সামর্থ নেই। সম্প্রতি সুজন প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় এসে ভাতা পেলেও চিকিৎসার জন্য তা যথেষ্ট নয়। সরকারিভাবে যদি কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে সুজনের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব। উন্নত চিকিৎসা পেলে সুজন ভালো হয়ে উঠতে পারে।

রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার কয়েকজন এ রকম মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সুজনের বাড়িতে গিয়ে তার সর্বশেষ অবস্থা জেনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরী অবস্থায় সিভিল সার্জন ও আরএমও না আসায় নাগরিক ফোরামের ক্ষোভ প্রকাশ

ইমাম বিমান, ঝালকাঠি  : ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরী অবস্থার সংবাদ পেয়েও দুঘন্টা পর সিভিল সার্জন ও আরএমও হাসপাতালে আসায় ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের ক্ষোভ প্রকাশ। 

এ বিষয় নাগরিক সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠিত ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম এর সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আহমেদ আবু জাফরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গত ১৯ জানুয়ারী জেলার প্রতাপ গ্রামে এক বিয়ে বাড়ির বৌভাত অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার সময় থেকে একে একে রোগী আসতে থাকে।  উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঐ দিন সন্ধায় আমি সহ নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যাই। আমরা হাসপাতালে যাওয়ার পর  হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখতে পাই কতর্ব্যরত নার্সের সংখ্যা একজন হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় এক-দুই জন নার্সের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে একসাথে এতো রোগী হওয়ায় নার্সদের দ্রুত সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটায় কতিপয় রোগী বেশি অসুস্থ হওয়ায় রোগীর স্বজনরা দিশেহারা হয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে তাৎক্ষনাৎ আমরা তাদেরকে ধর্য্যধরতে অনুরোধ জানাই। হাসপাতালে অবস্থান কালে আমাদের পক্ষ থেকে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের আরএমও আবুয়াল হাসানকে মুঠো ফোনে বিষয়টি জানাই এবং দ্রুত হাসপাতালে এসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করি। আমাদের কথায় তারা হাসপাতালে আসার কথা বললেও একঘন্টা পরও তাদের কোন দেখা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অাসতে দেরি করায় একটি শিশুর অবস্থা আসংঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বিষয়টি  ঝালকাঠির জনবান্ধব জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী মহাদ্বয়ের দৃষ্টিতে আসলে তিনি দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কর্তব্যরত একজন নার্সকে জিজ্ঞাসা করেন এই ওয়ার্ডে এখন কতজন নার্স আছেন ?  এ সময় নার্স জানায় তিনি একাই ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন। সাংবাদিক আবু জাফর দু:খ প্রকাশ করে বলেন, গত রবিবার বৌভাত অনুষ্ঠানের খাবার খাওয়াকে কেন্দ্রকরে বিকেল থেকেই হাসপাতালে রোগী ভর্তি হতে শুরু করে। আমাদের পক্ষ থেকে হাসপাতালর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সিভিল সার্জন ও আরএমও কে জানানো হলেও তারা ঘটনার ২ঘন্টা পর হাসপাতালে উপস্থিত হন। 

অপরদিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আরএমও আবুয়াল হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আসলে আমি এখানে রেগুলার আরএমও না আমি হয়েছি মেডিসিন কলসালটেন্ট আরএমও চলে যাওয়ার কারনে আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার বাসা বরিশালে তাই আসতে একটু দেরি হয়েছে। আমাদের এখানে সন্ধ্যা ৭টায় রোগী আসতে শুরু করে তারপর ফোনের মাধ্যমে হাসপাতালে যোগাযোগ করে আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়েছি এবং রাত ৮ মধ্যে হাসপাতালে পৌছালেও রোগীদের  কোন সমস্যা হয়নি। 

উল্লেখ্য গত ১৯ জানুয়ারী জেলার প্রতাপ গ্রামের প্রয়াত আজাহার আলী হাওলাদারের ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে পার্শবর্তী গ্রাম ভৌরবপাশা গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের মেয়ে ছাবিনা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। তাদের বিয়েকে কেন্দ্র করে নজরুলের বাড়ীতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। ঐ দিন আয়োজিত বৌভাত অনুষ্ঠানের কাবার খেয়ে উভয় পক্ষের আমন্ত্রিত অতিথিরা বিকেল থেকেই অসুস্থ হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল সহ নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালটি ঐ গ্রাম থেকে নিকটবর্তি হওয়ায় অধিকাংশ রোগী ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন। 
এত রোগী একসাথে আসার কারন হিসেবে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়াম আহসানের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, খাদ্যের বিষক্রিয়া থেকে এরা সবাই অসুস্থ হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শিশু এবং বৃদ্ধরাও এ খাবার খাওয়ায় তারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের অবস্থা পর্যাবেক্ষন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতালে অবস্থানরত অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের মাধ্যমে জানাযায়, রোববার প্রতাপ গ্রামে নজরুলদের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠান ছিলো। আর ঐ অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন ও এলাকার তিন শত লোক অনুষ্ঠানের  আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে অংশ নেয় এবং বৌভাতের খাবার খায়। খাবার খাওয়া শেষে যে যার প্রয়োজনে নিজ নিজ বাড়িতে যায়। কিন্তু খাবার খাওয়ার ঘন্টা খানিকপর থেকেই বিয়ে বাড়ি সহ দাওয়াত খেয়ে চলে যাওয়া আশে পাশের বাড়ি থেকে একে একে বমি ও পেট ব্যথায় অসুস্থ হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল সহ নলছিটি, বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রায় দুইশতাধিক অতিথি ভর্তি হয়ে  হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এক ঘন্টার মধ্যে এতো রোগী ভর্তি হওয়ার সংবাদে  ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী সহ পর্যায়ক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল এম এম মাহমুদ হাসান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান, হাসপাতালে ছুটে যান  এবং রোগীদের খোঁজ খবর নেন ।এছাড়াও ঝালকাঠি জেলার নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠির মিডিয়া ফোরামের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন, দেশ বাংলা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাসপাতালে ছুটে যান।

নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২০’ ফুটবল প্রতিযোগীতার হোম ম্যাচ অনুষ্ঠিত

আশরাফুল নয়ন: নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২০’ ফুটবল প্রতিযোগীতার হোম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টায় নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে ফেস্টুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগীতায় খেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
খেলায় নওগাঁ জেলা দল বনাম বগুড়া জেলা দল অংশ নেয়। খেলায় দুই দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন গোল দিতে না পারায় ট্রাইবেকারে বগুড়া ৪-৩ গোলে নওগাঁকে পরাজিত করে।
এসময় জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, সদর থানা আ’লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল, আওয়ামীলীগ নেতা এমআর মাহিন, অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধূরী শাহীন ও নাছিম আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ইদু, সহ-সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব রকেট, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সহ প্রমূখ। কয়েকশ খেলা প্রেমীরা খেলা উপভোগ করেন।

নওগাঁয় সমাজসেবাা প্রতিবন্ধীদের কার্ড বিতরণের তালিকা যাচাইবাছাই

লোকমান আলী: নওগাঁয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৭শত কার্ড বিতরণের তালিকা যাচাইবাছাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় শহরের পার-নওগাঁর সমাজসেবা অফিস চত্ত্বরে সমাজসেবা অধিদপ্তর নওগাঁ পৌরসভা এলাকার ৭শত প্রতিবন্ধীদের নামের তালিকার যাচাইবাছাই করেন।

নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায়, সমাজসেবা অফিসার সাইদুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ্ পরান নয়ন সহ সমাজসেবা দপ্তরের কর্মকতা কর্মচারি ও  পৌরসভার সকল ওয়ার্ড কমিশনার গন উপস্থিত ছিলেন। 

সমাজসেবা দপ্তরের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা সুযোগসুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন। যারা বেশি প্রতিবন্ধী তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে তবে পর্যায় ক্রমে সকল প্রতিবন্ধীদের কার্ড প্রদান করা হবে। তিনি প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য কাউকে কোন প্রকার টাকা দিতে প্রতিবন্ধী পরিবারদের নিশেধ করেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget