শুঁটকি নিয়ে ব্যাস্ত নওগাঁর ব্যবসায়ীরা
বাজারে মিলছে প্রচুর দেশি প্রজাতির মাছ। নদী-নালা, খাল-বিলের পানি কমতে থাকায় এসব মাছের দেখা মিলেছে। এসব মাছের ওপর নির্ভর করে প্রতি বছর এক শ্রেণির মানুষ জীবন-জীবিকার উৎস খুঁজে নেন। তারা এ মাছগুলো শুঁটকি করেন। শুঁটকি ব্যবসা করে সারা বছর পরিবারের খরচ জোগান দেন।
জানা গেছে, বছরের তিন থেকে চার মাস শুঁটকির মৌসুম। নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নওগাঁর মান্দা উপজেলায় অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল রয়েছে। এসব বিলে প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যায়। শুঁটকি তৈরিতে বিশেষ করে পুঁটি, টাকি, খলিসা, গোছি, সইল মাছ ব্যবহার হয়।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা এসব মাছ শিকার করে হাট-বাজারে বিক্রি করেন। স্বল্প দামে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা এসব মাছ কেনেন। নওগাঁ সদর, মান্দা, আত্রাই ও রানীনগর উপজেলায় শুঁটকি তৈরি করা হয়। জেলার প্রায় আড়াইশ মানুষ শুঁটকি ব্যবসা ও নিজেদের খাবারের জন্য শুঁটকির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এসব মাছ থেকে শুঁটকি তৈরি করছেন নুহু মন্ডল। তিনি উপজেলার ভারশো ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া হাটের পাশে শীব নদীর তীরে অস্থায়ীভাবে শুঁটকির খামার করেছেন। গত তিন বছর থেকে তিনি এখানে শুঁটকি তৈরি করে আসছেন।
তিনি এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর কাজি গ্রাম থেকে। এখানে ১০৬টি বাঁশের মাচায় শুঁটকি তৈরি করছেন তিনি। মাছ শুকানোর সময় যেন দুর্গন্ধে মানুষ বিব্রত না হয় সেজন্য এই স্থান নির্বাচন করেছেন নুহু মন্ডল। মৎস্যজীবীরা প্রকারভেদে ৯০-১২০ টাকা কেজি দরে খামারে মাছ দিয়ে যান। এছাড়া বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে মাছ সংগ্রহ করেন তিনি।
মাছগুলো সংগ্রহ করার পর প্রথমে বেছে নেয়া হয়। এরপর পরিষ্কার করে লবণ মেখে রোদে শুকানো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এসব শুঁটকি উৎপাদন করতে সময় লাগে তিন-চার দিন। শুঁটকি তৈরি করে সারা বছরই মাছ সংরক্ষণ করা হয়।
এক কেজি পুঁটি মাছ থেকে আধা কেজি শুঁটকি উৎপাদন করা যায়। প্রতি কেজি শুঁটকি বিক্রি হয় ২০০-৩০০ টাকা। প্রতি সপ্তাহে এ খামার থেকে প্রায় ৫০-৬০ মণ বা তারচেয়ে কমবেশি শুঁটকি মাছ উৎপাদন হয়। এরপর নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, দিনাজুপর ও সৈয়দপুরের মেসার্স শেখ এন্টার প্রাইজ বা অন্যান্য আড়তে সরবরাহ করা হয়। তবে বিলের মাছের ওপর শুঁটকি মাছের ব্যবসা নির্ভও করে।
শুঁটকি ব্যবসায়ী নুহু মন্ডল বলেন, প্রায় ২০-২২ বছর থেকে শুঁটকির ব্যবসা করছি। যে বছর কাঁচা মাছের দাম কম থাকে সে বছর লাভ একটু বেশি হয়। তবে বেশ পরিশ্রম করতে হয় এ ব্যবসায়। শুঁটকি তৈরির পর নিজে মহাজনদের কাছে দিয়ে আসি। শুঁটকি মৌসুমে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়।
আত্রাই উপজেলার ভর-তেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকির চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন ভোরে আত্রাই বাজার থেকে মাছ কিনে পরিষ্কার করা হয়। এটা খুব কষ্টের কাজ। লাভ ভালো হলে সব কষ্ট লাঘব হয়। এবার বন্যা হওয়ায় শুঁটকি কেনা-বেচা করে ভালো লাভ থাকবে।
নওগাঁ জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমল কুমার রায় বলেন, গত বছর জেলায় প্রায় ৫৫ টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। এবার খাল-বিলে ভালো মাছ রয়েছে। কাজেই এবার শুঁটকির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এখন বাজার ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। জেলায় ২৫০ জন শুঁটকি ব্যবসায়ী ও সুফলভোগী রয়েছেন। শুঁটকি উৎপাদন ও প্রক্রিয়া জাতের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের।
শুঁটকি ব্যবসায়ী নুহু মন্ডল বলেন, প্রায় ২০-২২ বছর থেকে শুঁটকির ব্যবসা করছি। যে বছর কাঁচা মাছের দাম কম থাকে সে বছর লাভ একটু বেশি হয়। তবে বেশ পরিশ্রম করতে হয় এ ব্যবসায়। শুঁটকি তৈরির পর নিজে মহাজনদের কাছে দিয়ে আসি। শুঁটকি মৌসুমে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়।
আত্রাই উপজেলার ভর-তেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শুঁটকির চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন ভোরে আত্রাই বাজার থেকে মাছ কিনে পরিষ্কার করা হয়। এটা খুব কষ্টের কাজ। লাভ ভালো হলে সব কষ্ট লাঘব হয়। এবার বন্যা হওয়ায় শুঁটকি কেনা-বেচা করে ভালো লাভ থাকবে।
নওগাঁ জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অমল কুমার রায় বলেন, গত বছর জেলায় প্রায় ৫৫ টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছিল। এবার খাল-বিলে ভালো মাছ রয়েছে। কাজেই এবার শুঁটকির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এখন বাজার ভালো থাকলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। জেলায় ২৫০ জন শুঁটকি ব্যবসায়ী ও সুফলভোগী রয়েছেন। শুঁটকি উৎপাদন ও প্রক্রিয়া জাতের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তাদের।