নওগাঁয় বই উৎসব
তন্ময় ভৌমিক, নওগাঁ : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র্র মজুমদার বলেছেন, শিক্ষার উন্নতি না হলে একটি জাতির উন্নতি হয় না। জাতির উন্নয়নের প্রথম শর্তই হচ্ছে শিক্ষা। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। বছরের প্রথম দিন পৃথিবীর একমাত্র বাংলাদেশেই সারা দেশেই একই দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে এক সেট করে বই তুলে দেন। উপস্থিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, আপনারা যারা শিক্ষকতা করেন তারা শহরে গিয়ে নিজের সন্তানের লেখাপড়া না করিয়ে নিজের বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করান এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের দেশের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ১ জানুয়ারীতেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাতে হবে।
বুধবার বেলা ২টায় উপজেলার নিয়ামতপুর উপজেলার বামইন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে ২০২০ সালে প্রাথমিক, এবতেদায়ী ও মাধমিক স্তর বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক উৎসব ও বিতরণ অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি তার বক্তৃতায় কথাগুলো বলেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবেদ হোসেন মিলন, উপজেলা মাধমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম।
বামইন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে বই উৎসবের পূর্বে নিয়ামতপুর বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও গাংগোর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেও খাদ্য মন্ত্রী বই উৎসব পালন করেন।
এদিকে নওগাঁ সদরের চকএনায়েত মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হ্রাুন-অর-রশীদ। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম, জেলা শিক্ষা অফিসার মোবারুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নায়ার সুলতানাসহ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে সীমান্ত পাবিলক স্কুলে নতুন বই বিতরণ করেন বিজিবি-১৬ (নওগাঁ) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম আরিফুল ইসলাম পিএসসি। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান গোলাম রসুল সাকলায়েন।
উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ে ২ লাখ ৭০ হাজার ৮শ’ ৯৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭শ’ ৯৮টি বই এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ লাখ ৩০ হাজার ২শ’ ৬৫টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।