কয়েকজন বালকের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেল হাজারো ট্রেন যাত্রী
বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ: নওগাঁর রানীনগরে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রানীনগর উপজেলা থেকে দক্ষিণে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় বেশ কয়েকজন বালকের বুদ্ধিমত্তায় ট্রেনটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
জানা গেছে, রানীনগর স্টেশন আউটারে চকের ব্রিজের আগে বড়বড়িয়া-গোনা এলাকায় রেললাইনের নিচের অংশ প্রায় দ্বিখন্ডিত হয়ে আছে। রেললাইন পার হওয়ার সময় সন্ধ্যায় বিষয়টি বেশ কয়েকজন বালকের নজরে আসে। তারা দেখতে পায় যে কোন সময় লাইনটি ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরপর তারা ভাঙা রেললাইনের পাশে অপেক্ষা করতে থাকে। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন রানীনগরে ঢুকছিল। তাৎক্ষণিক তারা লাল গেঞ্জি উঁচিয়ে ট্রেন থামার জন্য সংকেত দেন। এ সময় ট্রেনচালক রেললাইনের ভাঙা অংশের আগে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় হাজারো যাত্রী। এরপর ট্রেনচালক বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান।
রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মানিক জানান, রাণীনগরের বড়বড়িয়া নামক স্থানে স্থানীয় কিছু বালক রেলের উপরের অংশে ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষার জন্য তারা গামছা, গেঞ্জী, উড়িয়ে সংকেত দিয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করে। এতে কোন প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের আইডব্লিউ একটি চৌকশ দল এসে লাইন মেরামত করে উভয় পাশের আটকে থাকা ট্রেন চলাচলে স্বাভাবিক করা হয়। আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, রেললাইনের একটি অংশ স্থানীয় কয়েকজন বালক ভাঙা দেখতে পান। তাদের বুদ্ধিমত্তায় একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ভাঙা স্থানের পাশে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেমে যায়। এতে রানীনগরে আটকা পড়েছিল ঢাকাগামী আন্তনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। এছাড়া আত্রাই আহসানগঞ্জে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেললাইনের ভাঙা ওই অংশ সরিয়ে সেখানে আরেকটি পাত বসিয়ে সংস্কার করা হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।