সাপাহারে ছাত্রী ধর্ষণ,ধর্ষক আটক
বাবুল আকতার: নওগাঁর সাপাহারে এক ধর্ষককে গনপিটুনী দিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে এলাকাবাসী। এবিষয়ে থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার সহদল পাড়া ও উমইল বাজার এলাকার মাঝামাঝি একটি আমবাগানে ঘটনাটি ঘটেছে।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সহদল পাড়ার জৈনক আশরাফুল ইসলামের এক মেয়ে স্থানীয় উমইল দাখিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীতে পড়া শোনা করত। সে সূত্রে মেয়েটি প্রতিদিনের ন্যায় সেদিন দিনও বিকেলে ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়তে মাদ্রাসায় আসে। ঘটনাক্রমে প্রাইভেট শিক্ষক সে দিন না আসায় শিক্ষকের অপেক্ষায় সময় কাটিয়ে মেয়েটি সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার দিকে সহদলপাড়া তার বাড়ির উদ্দেশ্যে মাঠের আইল রাস্তা দিয়ে রওনা করেন। মেয়েটি মাদ্রাসা হতে তার গ্রামের অদুরে একটি আমবাগানের নিকট পৌঁছা মাত্র পূর্ব হতে ওই বাগানে ওঁত পেতে বসে থাকা একই গ্রামের জৈনক তছলিম উদ্দীনের ছেলে মোর্শেদ আলী (২২) তার পথ রোধ করে। এর পর মোর্শেদ মেয়েটিকে জোর পূর্বক ঝাপটে ধরে বাগানের ভিতর নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করে। এসময় ধর্ষকের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মেয়েটি আতœচিৎকার করতে থাকলে মেয়েটিকে আগাইয়ে নিতে আসা তার মা ও তার সাথের লোকজন মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে তারাও চিৎকার শুরু করে। এসময় গ্রামের ভিতর থেকে অনেক লোকজন ছুটে এসে সমস্ত বাগান ঘেরাও করে ধর্ষক মোরর্শেদ আলীকে হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং উত্তম মধ্যম দিতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায়ে ধর্ষকের মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ষ বের হলে স্থানীয় লোকজন তাকে তাৎক্ষনিক সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করে দেয়। এর পর মেয়েটির বাবা ঘটনার বিবরণ শুনে ও বুঝে গভীর রাতে সাপাহার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে হাসপাতালে ধর্ষক মোরর্শেদকে আটক করে। বর্তমানে ধর্ষক মোরর্শেদ পুলিশ পাহারায় সাপাহার হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ভর্তি রয়েছে।