Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ধান চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে ধামইরহাটের কৃষক

মো.হারুন আল রশীদ:
নওগাঁর ধামইরহাটে চলতি আমন মৌসুমে বিনা-১৭ ধান চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে কৃষক। ধানের রোগবালাই না থাকায় এবং আগাম ধান পাকায় কৃষকরা সহজে এ ধান ঘরে তুলতে পারছে। আগাম ধান কাটার ফলে ওই জমিতে রবি শস্য চাষের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ফলে একই জমিতে বছরে তিন ফসল চাষ করা সম্ভব হচ্ছে।
 উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালে ২০ হেক্টর এবং এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকগণ বিনা-১৭ জাতের ধান চাষ করেছে। এ ধান অনেকটা জিরাশাইলের মত সরু। ভাত খেতে খুব সুশ্বাদু। উচ্চ ফলনশীল ও খরা সহিঞ্চু এ জাতের ধান বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য বিশেষ উপযোগি। বিশেষ করে এ ধান চাষ করতে ২০-৩০ ভাগ সার এবং ৩০ ভাগ পানি খরচ কম হয়। এছাড়া ধান গাছ খাটো হয় এবং খুব শক্ত হওয়ার কারণে ঝড়ে ধানগাছ হেলে পড়ে না। অন্যান্য ধানের তুলনায় এজাতের ধান গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। সবচেয়ে বড় গুন এ জাতের ধান আগাম পাকতে থাকে। মাত্র ১২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা যায়। আশ্বিন মাসের শেষে ধান পাকতে থাকে। এ সময় পর্যাপ্ত কৃষি শ্রমিক পাওয়া যায়। ফলে কৃষক অল্প খরচে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে। ধান গাছের খড় গো খাদ্য হিসেবে মাঠ থেকে বিক্রি হয়। ধান কাটার পর কৃষক ওই জমিতে হালচাষ করে রবি শস্য বিশেষ করে আলু,সরিষা ও গম চাষের জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। এক কথায় একই জমিতে বছরে তিন ফসল পেতে কৃষকগণ বর্তমানে বিনা-১৭ ধান চাষে ঝুঁকে পড়ছে। পশ্চিম শালুককুঁড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন,তিনিও ২ একর জমিতে বিনা-১৭ জাতের ধান চাষ করেছেন। এ ধানের রোগ বালাই কম। তাছাড়া সার ও পানি খরচ অনেক কম। কম সময়ে ধান ঘরে তোলা যায়। একর প্রতি ৬৫-৭০ মণ হারে ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ করেন। ধান কাটার পর তিনি ওই জমিতে সরিষা চাষ করবেন।

 
ধান চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে ধামইরহাটের কৃষক
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.সেলিম রেজা বলেন, বিনা-১৭ জাতের ধান একর প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ মণ হারে ফলন হয়। এ এলাকার কৃষকগণ অধিকাংশ জমিতে ভারতের স্বর্ণা-৫, রঞ্জিত এবং মামুন স্বর্ণা ধান চাষ করে। এসব ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। বিনা-১৭ জাতের ধানের রোগ বালাই নেই বললেই চলে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাছাড়া মাত্র ১শত ১২ দিন থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা সম্ভব। সার ও সেচে প্রায় ৩০ ভাগ কম খরচ হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উঠোন বৈঠক, হাট-বাজার সভা এবং গ্রুপ ভিত্তিক কৃষক সমাবেশ, গ্রাম কৃষক বন্ধু প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা, লিফলেট বিতরণ, কৃষি প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে কৃষকদের এ ধান চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। ফলে এলাকার কৃষকগণ এ ধানে চাষে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে।

নিয়ামতপুরে আদিবাসীদের মিলন মেলা

প্রতিনিধি নওগাঁ:
নওগাঁর নিয়ামতপুরের শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে দূর্গা পূজা উপলক্ষে সমতল আদিবাসীদের এক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দূর্গা মন্দির শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে উত্তরবঙ্গের সর্ব বৃহৎ সমতল আদিবাসীদের এই মিলন মেলায় ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপির উদ্যোগে এ নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা এ নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি ও নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নিজে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রধান অতিথি নিজেই প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশিদ, নওগাঁ পুলিশ সুপার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসিদুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরা, নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হুমায়ন কবির।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাজিনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও হাজিনগর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন বিজয়পুরী, চন্দননগর ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি, ভাবিচা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওবাইদুল হক, হাজিগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সেলিম রেজা ডালিম, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, পতœীতলাসহ, রাজশাহী, দিনাজপুর, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট জেলা থেকে সমতল আদিবাসীদের প্রায় ২৪টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। প্রতিযোগিতায় পুরুষ দলে নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউপির জাবরিপাড়ার জেটু হাসদার দল ও পোরশা উপজেলার দয়াহারের স্বপন টুডুর দল যৌথভাবে প্রথম, এবং মহিলা দল থেকে নওগাঁর পোরশা উপজেলার দয়াহারের শ্রীমতি টুডুর দল ও জামতলী, হাকিমপুর, দিনাজপুররের বিলাস সাংস্কৃতিক দল যৌথভাবে প্রথম হয়েছে। মোট ১২টি টেলিভিশন পুরস্কার দেওয়া হয়।

 সব স্মার্টফোনকে হার মানাবে নতুন স্মার্টফোন

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে স্মার্টফোনের জুড়ি নেই। ক্রেতা ধরতে নতুন নতুন ডিজাইনের স্মার্টফোন বাজারজাত করছে প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা কোম্পানিগুলো। তবে নিয়মিত নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ হলেও স্মার্টফোন ডিজাইনে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। কিছু বিশেষত্ব বাদে প্রায় সব কোম্পানির ফোনই প্রায় একই ধাঁচের।

এবার সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের স্মার্টফোন নিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা কোম্পানি এসেনসিয়াল প্রোডাক্টস। বছর দুই আগে এসেনসিয়ালের একমাত্র ফোন লঞ্চ হয়েছিল। আজকের প্রায় সব স্মার্টফোন ডিজাইনে যে পাতলা বেজেল দেখা যায় সেই ডিজাইনের অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিল কোম্পানির প্রথম স্মার্টফোন ‘এসেনসিয়াল ফোন’।

স্মার্টফোন ডিজাইনে বিপ্লব আনতে চলেছে এই কোম্পানি। সম্প্রতি টুইটারে এসেনসিয়ালের দ্বিতীয় স্মার্টফোনের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে একাধিক রঙে এই ফোন দেখা গেছে। নতুন এসেনসিয়াল ফোনে তুলনামূলক লম্বা ও সরু ডিজাইন দেখা গেছে। ফোনের পেছনে একটি ক্যামেরা আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর রয়েছে।

টুইটারে এই ভিডিও প্রকাশ করেছেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি রুবিন। ভিডিও পোস্ট করার সময় লিখেছেন, ‘GEM Colorshift Material।’

অনেকেই মনে করছেন, ‘এসেনসিয়াল জেম’ নামে এই ফোন বাজারে আসতে পারে। লঞ্চের আগে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক পেটেন্ট ফাইল করেছে কোম্পানিটি।

ফুটবল মাঠে সাকিবের জাদু

অনুশীলনে গা গরমের ফুটবল খেলা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিয়মিত চিত্র। এছাড়া বৃষ্টির কারণে মাঠে খেলা গড়ানোর সম্ভাবনা না থাকলেও ফুটবল নিয়ে নেমে পড়েন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীমরা।

এই যেমন গত ২৪ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায় বৃষ্টির কারণে। তখন অলস সময় কাটানোর জন্য রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, আফিফ হোসেন ও নাজমুল শান্তরা এক দলে এবং মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলাম, সাব্বির রহমানরা আরেক দলে ভাগ হয়ে শুরু করেন ফুটবল খেলা।

সেদিন অধিনায়ক হিসেবে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবে বিধায় খেলেননি সাকিব। তবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সেরা ফুটবলার কে?- এমন প্রশ্নের জবাবে দল সংশ্লিষ্ট যে কেউই একবাক্যে বলে দেবেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নাম।

ক্রিকেট মাঠে যেমন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, তেমনি কম যান না ফুটবল মাঠেও। ছোটবেলায় তার বাবাও চেয়েছিলেন ছেলেকে ফুটবলার বানাতে। সাকিব নিজেও বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ক্রিকেটার না হলে হয়তো ফুটবলারই হতেন।

এ কথাগুলো যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিললো আরও একবার। বর্তমানে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছেন সাকিব। সেখানেই সতীর্থদের সঙ্গে মেতেছেন ফুটবল খেলায়। শুধু খেলেই যে ক্ষান্ত হয়েছেন তা নয়, দেখিয়েছেন নিজের পায়ের জাদুও।
এদিকে সিপিএলে এখন বেশ কঠিন অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাকিবের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে হেরে যাওয়ায় এখন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি তাদের সামনে বাঁচা মরার লড়াই। যেখানে আগামীকাল ভোরে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে লড়বে সাকিবের বার্বাডোজ।

আবরার হত্যায় ছাত্রদলের মশাল মিছিল

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার নেতার্মীরা।
বুধবার রাত ৮টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে সংগঠনটির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, আবরারকে যেভাবে হত্যা করা হলো, তাতেই বোঝা যায় বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সরকারের চুক্তিবিরোধী স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে জীবন দিতে হয়েছে আবরারকে। কিন্তু আমরা পিছপা হব না। আমাদের এক ভাই যাবে হাজার ভাই সামনে আসবে। এদেশ আমার, এদেশ আমাদের। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা সর্বদা সচেষ্ট থাকব।

ভারত দেখছে শেখ হাসিনার দিল্লি সফর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পতি ভারত সফরে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। বহুল আলোচিত এ সফর শেষে ভারতের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমেও বিতর্কিত ‘এনআরসি’ বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর প্রশ্নে ভারতকে আরও স্বচ্ছতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এনআরসি নিয়ে ভারত একদিকে সরকার যদি দুই রকম কথা বলে এবং অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় -বিষয় দুটো একসঙ্গে সম্ভব নয় বলেও একাধিক সম্পাদকীয়তে সতর্ক করা হয়েছে।

পাশাপাশি, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মানচিত্রে চীনের উপস্থিতি আছে এবং থাকবে, এটা মেনে নিয়েই ভারতের এগোনো উচিত বলেও পরামর্শ দিয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা।

বস্তুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে বিদায় নেয়ার পর প্রায় তিনদিন কেটে গেছে, কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে সেই সফরের কাটাছেঁড়া ও ময়নাতদন্ত এখনও অব্যাহত।


‘দ্য হিন্দু’ লিখেছে, বাংলাদেশ সরকার যদিও এখন পর্যন্ত ভারতের মুখের কথায় ভরসা রাখছে -কিন্তু তারা এনআরসি নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন সেগুলো উপেক্ষা করা দিল্লির জন্য মোটেও ঠিক হবে না।

‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’ও প্রায় একই সুরে বলছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সেরা বন্ধু’ যদি এনআরসি প্রশ্নে উদ্বিগ্ন বোধ করে তাহলে দিল্লির উচিত হবে অঙ্কুরেই সেটা বিনাশ করা। এ পত্রিকাটি অবশ্য একই সঙ্গে তিস্তা চুক্তির প্রশ্নেও ভারতকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

দিল্লিতে বাংলাদেশ গবেষক শ্রীরাধা দত্ত বলছিলেন, ভারতীয় মিডিয়াতে এ ধরনের পর্যবেক্ষণ বেশ ইতিবাচক একটা পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। তার কথায়, ‘এবার দেখে ভালো লাগছে যে, অনেক বেশি খোলা মন নিয়ে ও একটা ন্যায্যতার দৃষ্টিতে ভারতীয় মিডিয়া দু’দেশের সম্পর্ককে বিশ্লেষণ করছে।’

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এনআরসি ইস্যু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি স্ট্রেইন বা উত্তেজনার কারণ -এ অভিযান বন্ধ করে ভারতের উচিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার ‘গ্রোথ ইঞ্জিন’ বাংলাদেশ থেকে অর্থনীতির পাঠ নেয়া।

বাংলাদেশ উপকূলে ভারতের রেডার সিস্টেম বসানোর পটভূমিতে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কমোডোর উদয় ভাস্কর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাতে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। নিবন্ধটির শিরোনাম হলো- ‘ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে দিল্লিকে এটা মেনে নিতে হবে যে, বাংলাদেশে চীনেরও একটা উপস্থিতি আছে।’

ভারতীয় নৌসেনার সাবেক কর্মকর্তা ভাস্কর বলেছেন, ‘চীন থেকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সরঞ্জাম পেয়ে থাকে যেসব দেশ, সেই তালিকার ওপর দিকেই আছে বাংলাদেশ। সেখানে আরও আছে পাকিস্তান বা মিয়ানমারও। এখন আমি যেটা বলতে চেয়েছি, চীন থেকে সাবমেরিন পাওয়ার পর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য নিঃসন্দেহে অনেক বেড়েছে, আর সেটা ভারতকেও নিশ্চয় উদ্বিগ্ন করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে চীনের এ উপস্থিতি একটা বাস্তবতা, এটাতে বিরক্ত বোধ না করেই ভারতকে তা ডিল করার উপায় খুঁজতে হবে। হয় আমরা, নয়তো চীনের মধ্যে থেকে বেছে নাও, বাংলাদেশকে সেদিকে ঠেলে দেওয়া ঠিক হবে না।’

ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত দেব মুখার্জিও ওই পত্রিকাতেই তার মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় রাখতে চাইলে দিল্লিকে যে ‘আরও অনেক বেশি কিছু করতে হবে’, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget