Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুকুর পার ভেঙ্গে হুমকির মুখে স্কুল : ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দান

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৯০জন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা ধরনের সমস্যার মধ্যেও সফলতার সাথে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। আশা পাশের গ্রাম থেকে এখানে পড়াশুনা করতে আসেন কমলমতি শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কিছু দিন পূর্বে বিদ্যালয়ের পাশের পুকুর পারের তালগাছ ভেঙ্গে পরে যাওয়ার কারনে বিদ্যালয়েরর অংশে ভাঙ্গন ধরে যায়। যার কারনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা।
চককালিদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মরজিনা বেগম বলেন, পুকুর পারের তালের গাছ পরে বিদ্যালয়ের এক অংশ ভাঙ্গন ধরার কারনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। এ কারনে অনেক অবিভাবক শিশুদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। পুকুর মালিকদের অনেক বার অনুরোধ করেছি যদি একটু সংস্কারের উদ্যোগ নিতো তাহলে আমরা সাধ্যমত এগিয়ে আসতাম তারা কোন সহযোগিতা করেনি । বিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড না থাকার কারনে সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই জেলা অফিস বরাবর লিখিত দরখাস্ত করেছি এখন দেখা কি হয়।
বিদ্যালয়টির সমস্যার কথা স্বীকার করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। বর্তমানে সংস্কারের জন্য কোন প্রকল্প নেই তবে প্রকল্প বরাদ্দ পেলে প্রযোজনীয় উদ্যোগ অবশ্যই নেয়া হবে।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের পাশের পুকুরের মালিক শহিদুল দপ্তরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের দাবি অচিরেই এসব সমস্যা সমাধান না করা হলে অভিভাবকরা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিবেন ভেঙ্গে পরবে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা।

বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাথে ম্যানচেস্টার সিটি মেয়রের সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের ম্যানচেস্টার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সিটি মেয়র জে মোরান। রোববার নির্বাচনী প্রচারণার্থে কয়েকশ প্রবাসীদের সাথে মিলিত হয়ে মেয়র জে মোরান নভেম্বরে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বাংলাদেশিদের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কানেকটিকাট ডেমোক্রেটিক পার্টির এশিয়ান আমেরিকান এবং প্যাসিফিক আইল্যান্ডের (এএপিআই) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান অপুর তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মেয়র জে মোরান বলেন, গত এক দশকে ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশিদের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ শহরে বসবাসকারী প্রবাসীরা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। আগামী নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের (বোর্ড অব ডাইরেক্টর) প্রার্থী হিসেবে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই, আর এ জন্য প্রবাসী বাংলাদেশি আমেরিকান ভোটারদের কাছ থেকে ভোট প্রত্যাশী করছি।
প্রায় ৩০ বছর ধরে কলেজের অ্যাথলেটিক প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছেন জে মোরান। তিনি বর্তমানে সাউদার্ন সিটি স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যাথলেটিক ডিরেক্টর। এর আগে ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটি এবং আলবার্তার ম্যাগনাস কলেজ এডি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তিনি সেন্ট জোসেফ কলেজের সহকারী অ্যাথলেটিক পরিচালক এবং ক্রস কান্ট্রি কোচও ছিলেন। এছাড়া ইউকন-এ ইন্টার্রামালাল এবং বিনোদনমূলক সমন্বয়কারীও ছিলেন।
আজীবন ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা জে মোরান প্যাটি গ্রোন্ডা মোরানের সাথে ৩০ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্রিস্টেন, এলিজাবেথ, জেমি এবং জুলিয়া মোরানের গর্বিত বাবা-মা তারা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- কংগ্রেসম্যান জন লারসন, স্টেট সিনেটর সৌদ আনোয়ার, অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং, ডিএনসি নেতা ন্যান্সি ডিনার্ডো ও সেন্ট্রাল কানেকটিকাট চেম্বার অ্যান্ড কমাসের বোর্ড অব ডাইরেক্টর মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান অপু।
এছাড়াও কানেকটিকাটের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃবৃন্দসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন।

অনলাইনে অভিযোগ, দুই দিনে সমাধান করল বিএসইসি

বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চালু বিশেষ ধরনের আনলাইন মডিউলে অভিযোগ পেয়ে দুই দিনেই সমস্যার সমাধান করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
যে কোনো বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ জানাতে ‘কাস্টমার কমপ্লেইন্ট অ্যাড্রেস মডিউল’ (সিসিএএম) নামে তৈরি করা বিশেষ ধরনের এ সফটওয়্যার গত ৩০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করে বিএসইসি। অনলাইনের এ পদ্ধতিতে অভিযোগ দাখিল করতে বিনিয়োগকারীর ১৬ সংখ্যার বিও, নাম, ঠিকানা, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। অভিযোগ দাখিলের পরপরই অনলাইনে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাবেন অভিযোগকারী।
অভিযেগের জন্য অনলাইন মডিউল চালুর ছয় দিনের মাথায় এটি খুবই কার্যকরি প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী।
রোববার বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীর অভিযোগ নিষ্পত্তির মডিউল ফলদায়ক ও কার্যকর। মডিউলটি চালুর দুই দিনের মধ্যেই একটি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। যেটি সাধারণ প্রক্রিয়ায় করতে হয়ত ১ মাস লাগতো। কারণ এতে অনেক প্রসিডিউর অনুসরণ করতে হতো।
বিএসইসির নিজস্ব উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার স্বপন কুমার বালা, খন্দকার কামালউজ্জামান প্রমুখ।
খায়রুল হোসেন বলেন, বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ চালুর আগে থেকেই আমরা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করি। তবে সেটা আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে। এরপরে আইওএসকো একই বছর থেকে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ চালুর পর বিএসইসিও তা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে ও স্টেকহোল্ডারদের মাঝেও জবাবদিহিতা তৈরি হচ্ছে। কারণ কমপ্লায়েন্স পরিপালন না করলে শাস্তির আওতায় পড়ার বিষয়টি তারা বুঝতে পারছে। কাজেই সুশাসন বৃদ্ধি করতে বিনিয়োগ শিক্ষা ভূমিকা রাখছে। যাতে আমরা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আর ১০ বছরে পরে একটি শেয়ারবাজারের জন্য যে ধরনের বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীর দরকার, তা দেখতে পাব।
তিনি বলেন, আমেরিকার শিল্পায়নে শেয়ারবাজারের ভূমিকা ৫৫ শতাংশ। যেখানে আমাদের শেয়ারবাজারের অবদান ১৫ শতাংশ বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। কারণ দেশে শেয়ারবাজারে কোম্পানিগুলোর বর্তমান আকারের সঙ্গে জিডিপির তুলনা করে ওই অবদান গণনা করা হয়। কিন্তু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো শুরুতে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেনি। সেগুলো ব্যবসা চালুর পরে শেয়ারবাজারে এসেছে। আগে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের নিজস্ব অর্থায়ন ও ব্যাংক ঋণ দিয়ে কার্যক্রম চালিয়েছে।
এবারের বিনিয়োগকারী সপ্তাহ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল জানিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমি নিজে চারটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেও পুরো সপ্তাহের সব অনুষ্ঠানেই দৃষ্টি ছিল। আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। অনেক প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ দেখেছি। ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যেও আগ্রহ ছিল। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, বিএমবিএ, বিআইসিএম থেকে শুরু করে অনেকেই বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। বিষয়টি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী অবহিত আছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীও এ সম্পর্কে ধারণা রাখেন।


ভুল চিকিৎসায় নব বধূর মৃত্যু

রেজাউল করিম রেজা, নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নববধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে হাসপাতালের মালিককে আটক করা হয়েছে।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজ।

এর আগে ভোর ৪টার দিকে ভুল চিকিৎসায় উপজেলার বড়াইগ্রামের রামেশ্বরপুর গ্রামের সবুজ হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের মৃত্যু হয়। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। সুমাইয়া একই উপজেলার নগর ইউনিয়নের রাহাবুল ইসলামের মেয়ে।

আটককৃত হাসপাতাল মালিক আরশেদ আলী (৬৫) একই উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া গ্রামের মৃত অসিম উদ্দিনের ছেলে।

মৃত সুমাইয়ার মা মোমেনা খাতুন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় সুমাইয়ার পেটে ব্যথা উঠলে বনপাড়া হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে সুমাইয়ার অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করেন হাসপাতালের চিকিৎসক সামিরা তাবাচ্ছুম সাথী। এতে অবস্থা আরও খারাপ হলে রাত ৩টার দিকে সুমাইয়াকে ইনজেকশন দেন একই চিকিৎসক। ভোর ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সুমাইয়া।

এদিকে, সকালে মৃতের স্বজনরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনা তদন্তে আসেন বড়াইগ্রাম সার্কেল এএসপি হারুন-অর-রশিদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ। তদন্তে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয় এবং মালিককে আটক করা হয়। এ ঘটনার পর ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্স পালিয়ে যান। পরে নববধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার পারভেজ বলেন, হেলথকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের কাগজপত্র ঠিক নেই। আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নেই। পরীক্ষার যন্ত্রপাতি যথার্থ না থাকায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতাল মালিককে আটক করা হয়েছে।


ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী চরম ব্যর্থ
ভারত সফরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন দাবি করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। এই চুক্তির মাধ্যমে সরকার যে বড় রকমের অপরাধ করেছে সেটা ক্যাসিনো অভিযানের মাধ্যমে চেপে রাখা যাবে না।

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সমসাময়িক ইস্যুতে দলটির পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশেষ করে ২০১৪ সালে কোনো ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে যেকোনো দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় কখনো দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। একটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হতে হবে। কোন পক্ষ কতটা লাভবান হবে সেটাই কিছুটা তারতম্য মেনে নেয়া যায়, কিন্তু এবার যেসব চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে এতে বাংলাদেশের ন্যূনতম স্বার্থ রক্ষিত হয়নি। সর্বপ্রথম আমরা দাবি করব এই চুক্তিগুলোর খুঁটিনাটি জনগণের জন্য প্রকাশ করা হোক। আমরা বিশ্বাস করি তাতে আমাদের সামনে আরও অনেক ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, সরকার এর মধ্যেই এই সফরে সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে বরাবরের মতো। কিন্তু খুঁজলে দেখা যাবে হাতেগোনা যেসব বিষয়ে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে সেগুলো খুব তুচ্ছ।

মান্না বলেন, বছরের পর বছর তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে। উপকূলের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দুই দেশ। এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উপকূলে ২০টি রাডার স্টেশন স্থাপন করবে ভারত। আমাদের দেশের শক্তিশালী এবং সার্ভাইলেন্সসহ সকল দিক থেকে সক্ষম নৌ-বাহিনী থাকার পরও কেন ভারত সহায়তার রাডার স্টেশন স্থাপন করতে হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। আর স্থাপন করা হলে সেখানে মনিটরিংয়ে বাংলাদেশের কর্তৃত্ব কতক্ষণ থাকবে এবং এর দ্বারা আমরা কতখানি উপকৃত হব তা পরিষ্কার করার প্রয়োজন। ভারতে তরল গ্যাস রফতানি করা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে অস্পষ্টতা আছে। এই গ্যাস আমদানিকৃত এলপিজি বা এলএনজি নাকি আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকৃত করে রফতানি করা হবে সেটা স্পষ্ট না। বলাবাহুল্য ভয়ঙ্কর গ্যাস সংকটে থাকা বাংলাদেশ যদি তার প্রাকৃতিক গ্যাস কি তরল করে ভারতে রফতানি করে তাহলে সেটা ভয়ঙ্কর খারাপ খবর আমাদের জন্য।
মান্না বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সবসময় উঁচু গলায় দাবি করা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক স্মরণকালের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থান করছে। সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা খুবই ভালো কথা। কিন্তু সেই সম্পর্ক শুধুমাত্র দেয়ার আমাদের পাওয়ার নয় তাই সেটা আমাদের দেশের জন্য বিপর্যয়কর। দেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দলটি এখন পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে যেসব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে তার প্রায় সবগুলোই শেষ পর্যন্ত একপাক্ষিকই থেকেছে।

তিনি বলেন, নিজের অবস্থান থেকে ভারত সঠিক কাজটাই করেছে, সে দরকষাকষির মাধ্যমে তার পক্ষে সর্বোচ্চ অর্জনটা করে নিচ্ছে। নিজ দেশের প্রতি মমত্ববোধ এবং দায়বদ্ধতা থাকলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উচিত পাল্টা দরকষাকষি করা এবং আমাদের স্বার্থে সবকিছু না হলেও অনেক কিছু অর্জন করে নিয়ে আসা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ঠিক এভাবেই নির্ধারিত হয়। এরমধ্যে চ্যারিটির কিছু নেই। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযান নিয়ে মান্না বলেন, কিছুদিন আগেই হঠাৎ করে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই দলটি ক্ষমতায় আছে এবং বাংলাদেশকে দুর্নীতির অভয়ারণ্য বানিয়ে ফেলা হয়েছে এই সময়টাতেই। এই দেশে দুর্নীতি সবসময় ছিল কিন্তু এটা যে ব্যক্তি এবং তীব্রতার এই মুহূর্তে আছে সেটার সঙ্গে আর কোনো সময় কোনোভাবেই তুলনীয় নয়।

আগামী বুধবার থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক   
আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এই সময়ে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০১৯’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মোঃ রইছউল আলম মন্ডলসহ ঊর্ধ্বত্মন কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।তিনি বলেন, এই সময়ে মা ইলিশ ডিম পাড়ে। ৮০ শতাংশ ইলিশ ডিম পাড়ে। তারা ডিম পাড়ে মূলত মিঠাপানিতে। তাই আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন মোট ২২ দিন দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, নদীর মোহনাসহ যেসব জেলা ও নদীতে ইলিশ পাওয়া যায়, সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।এই নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রধানত আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে এবং পূর্ণিমার পর ১৮ দিন পর্যন্ত সময়ে মা ইলিশ ডিম ছাড়ে।এ সময় ইলিশ ধরার ওপর নির্ভরশীল জেলেদের খাদ্য সহযোগিতা দেয়া হবে জানিয়ে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাছ ধরায় বিধিনিষেধের ফলে ইলিশ মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। মৎস্য খাতের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ইলিশ মাছের যে আকাল ছিল, এখন আর তা নেই। তিনি বলেন, ইলিশের প্রজননকালে অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।৩৬টি জেলার সকল নদ-নদীতে দিনে ও রাতে অভিযান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, নৌ-পুলিশ এবং মৎস্য অধিদফতর সম্মিলিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান পরিচালনা করবে।প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর ইতোমধ্যে মা-ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৫ জেলার ১৪৭ উপজেলায় মোট চার লাখ আট হাজার ৩২৯টি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে মোট আট হাজার ১৬৭ মেট্রিকটন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget