Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁর মান্দায় বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন॥ চরম ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি অসহায় পরিবারের বসবাস!

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইন, যেনো দেখার কেউ নেই! চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েকটি অসহায় পরিবার। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা। ভূক্তভোগীরা  নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশার মধ্যে দিনানিপাত করছে। ভূক্তভোগীদের পক্ষে অভিযোগকারী উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউ'পির দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ গ্রামের (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) মৃত তরিকুল্লা মন্ডলের ছেলে আকবর আলী মন্ডল।

উল্লেখ্য, মান্দা  উপজেলার একাধিক  গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পল্লী  বিদ্যুতের তার গাছের ওপর ঝুলে পড়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রভাবশালীদদের ইন্ধনে  বসত বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী,অভিযোগসূত্রে এবং স্থানীয় ভূক্তভোগীদের মাধ্যমে জানা যায়, তারের সংস্পর্শে এসব গাছের ডালে প্রায়ই আগুন ধরে যায়। অনেক বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে, বাঁশের খুঁটি ও গাছের ডালে তার বেঁধে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাটির রাস্তার পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কংক্রিটের খুঁটি বসিয়ে মূল বিদ্যুৎ-সংযোগ উপজেলার দক্ষিন নুরুল্যাবাদ (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট)  পশ্চিমপাড়া থেকে একই গ্রামের পূর্ব পাড়ায় (করাতি পাড়া) ঢুকেছে।
 প্রয়োজনের তুলনায় খুঁটি কম বসানোয় বিদ্যুৎ-সংযোগের তার বিভিন্ন স্থানে গাছের উপর এবং বসত বাড়ির উপর ঝুলে পড়েছে। তারে কোনো আচ্ছাদন নেই। তারের আশপাশের অনেক গাছের ডাল পুড়ে গেছে। অনেক স্থানে তার বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঁচু করে রাখা রয়েছে। রাস্তা থেকে ১০০-২০০ গজ দূরের বাড়িগুলোতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তার বাঁশের খুঁটি ও গাছে ডালের সঙ্গে বেঁধে।

গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ  গ্রামে প্রায় ২ বছর পূর্বে  বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দূর্ঘটনা  এড়াতে কিছুদিন পরপর অন্তত তারের আশপাশে থাকা গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার কথা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন সময়ে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও অনেক জায়গায় আজ পর্যন্ত ডালপালা ছাঁটা হয়নি। ফলে প্রায়ই তারের সংস্পর্শে গিয়ে গাছের ডালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে ও আগুন ধরে যায়। এ ছাড়া ঘরের চালের খুব কাছ দিয়ে ও গাছের ডালে তার ঝুলিয়ে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করতে হচ্ছে।

দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ (গোয়ালমান্দা সুইচ গেট) গ্রামের কুয়েত প্রবাসী গুলবর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম  বলেন, কোনো নিয়ম না করেই আমাদের বসত বাড়ির উপর দিয়ে পল্লী  বিদ্যুতের মেইন লাইনের সংযোগ দিয়েছে পল্লী  বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তারের কাছে থাকা গাছের ডাল এবং বাঁশ দীর্ঘদিন কাটা হয়নি। ফলে একটু বাতাস হলেই ডালে আগুন ধরে যায়। তারগুলো খুব নিচে ঝুলে থাকায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে।

দক্ষিণ নুরুল্যাবাদ গ্রামের মৃত তরিকুল্লা মন্ডলের ছেলে গুলবর রহমান বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে  আমাদের বাড়ির টিনের উপর দিয়ে যে লাইনটি টানা হয়েছে, সে  বিদ্যুতের তারের কাছে থাকা বাঁশঝাড়ের বাঁশে বিকট শব্দ করে আগুন ধরে যায় এবং আমাদের বাড়ির টিনসহ পুরা বাড়ি আর্থিং হয়ে যায়। আমাদের বসতবাড়ি ভিটার জায়গা জমি কম, কোনমতে কষ্ট করে পরিবার পরিজন নিয়ে   বসবাস করতে হয়। আমরা খুব বিপদে আছি। খুব টেনশনে বাড়িতে অবস্থান করতে হয়। কখন যে কি হয়,বলা মুশকিল। এতোটুকু জায়গার উপর বাড়িঘর। তারমধ্যে আবার পল্লী বিদ্যুৎ এর মেইন লাইন। এটা কি মেনে নেওয়ার মতো? কিন্তু উপায় নেই। আমরা দূর্বল,অসহায় মানুষ আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা জোর পূর্বক কাজটি করেছে। আর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস তাদের কথায় শায় দিয়ে আমাদের কোন বাধা নিষেধ না শুনে এমনটি করেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমাদের দাবি সরেজমিন তদন্তপূর্বক জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যতিক লাইনটি স্থানান্তর করা হোক।

এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। প্রতিবারই অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়াতো দূরের কথা, আজ পর্যন্ত কেউ পরিদর্শনেও আসেনা । আর বিশেষ করে জরুরি মুহুর্তে পল্লী বিদ্যৎ অফিসে ফোন করেও কোন রেসপন্স পাওয়া যায় না। তাদের বদ অভ্যাস হচ্ছে যে, তারা সহজে কোন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকের ফোন রিসিভ করতে চাননা।


সৌদি বাদশাহর দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরেই নিহত হয়েছেন এই দেহরক্ষী। শনিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মক্কা পুলিশের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।

ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বাদশাহর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মেজর জেনারেল আবদুল আজিজ বিন বাদাহ আল ফাঘাম। সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামদুহ আল আলি নামের এক বন্ধুর সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আবদুল আজিজ। সে সময় আল আলি বাড়ির ভেতরে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসেন। তিনি বেড়িয়ে এসেই আবদুল আজিজকে গুলি করেন। সে সময় আরও দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়।

আল আলি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পরে আবদুল আজিজের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আল আলিও নিহত হয়েছেন। এই ঘটনা তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।a

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাবে ইলিশের প্রথম চালান

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: দুর্গাপূজা উপলক্ষে  ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রথম চালানে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি হবে। প্রতিকেজি ইলিশ ৬ ডলার মূল্যে রফতানি করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি টাকা প্রতিকেজির দাম পড়বে ৫০০ টাকা করে। ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করা হবে ইলিশের এ চালান।
 বিষয়টি জানিয়েছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স এমি এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি  মহিদুল হক জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূজা উপলক্ষে ভারতে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য রবিবার দুপুরে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে রফতানি হবে।
ইলিশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার গাজীপুরের একুয়াটিক রিসোর্ট লিমিটেড। আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ হচ্ছে ভারতের কলকাতার নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো সুপার আজিজুল রহমান নিশ্চিত করে জানান,সিএন্ডএফ এজেন্টর কাগজ পত্র আসলে তাদের কাজ দুরত্ব করে দেওয়া হবে। 
প্রসঙ্গত,  ভারতের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক বাড়াতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। যদিও ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত ভারতে ইলিশ রফতানি করা হতো। তবে দেশে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পরে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয় সরকার। সাত বছর পর পূজা উপলক্ষে ফের ইলিশ রফতানি করা হলো।

 
ক্যাসিনো মামলার আসামিদের জন্য বেনাপোলে সতর্কতা
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: সম্প্রতি আলোচিত ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে যারা আসামি হয়েছেন তারা যাতে কোনোভাবেই দেশ ত্যাগ করতে না পারেন তার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তেও সতর্ক রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সতর্কতার বিষয়টি বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বিজিবি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত পথে বিভিন্ন কৌশলে ভারতে যাওয়ার সুযোগ থাকে বেশি। তাই এ সীমান্ত পথে তাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। এ জন্য কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে এ সীমান্তে সতর্কতা ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকা ঘুরে পুলিশ ও বিজিবি’র এ নজরদারি ও সতর্কতা চোখে পড়ে। ইমিগ্রেশনে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নাম, ঠিকানা যাচাই ও পাসপোর্টের সঙ্গে তাদের ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া একাধিক বা জাল পাসপোর্ট যাতে ব্যবহার করতে না পারেন কেউ তার জন্য হাতের ছাপও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।

সীমান্তে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়েছেন। কোনো ভাবেই যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারেন সে জন্য তারা সতর্কতা আগের থেকে বৃদ্ধি করেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান পাঠান জানান, ঢাকা পুলিশের এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) থেকে তাদের কাছে একটি নির্দেশনা এসেছে। যুবলীগের ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট ও ৯ নেপালের নাগরিক যাতে কোনোভাবেই দেশ ত্যাগ করতে না পারেন তার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন আরও নামের তালিকা আসছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা ও ২১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় ঘোষিত অপরাধীরা যাতে কোনো ভাবে সীমান্ত পথে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য তাদের সৈনিকরা সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঝালকাঠিতে দলীয় অভ্যন্তরীন গণতন্ত্র চর্চা বিষয় জেলা বিএনপি'র প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা বিষয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের সহযোগীতায় আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপি'র আয়োজিত গণতন্ত্র চর্চা বিষয়ক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর। 

নলছিটি উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি এনায়েত করিম মিশুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক অ্যডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন ও নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজী, জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো সফিকুল ইসলাম জুয়েল ও অ্যাডভোকেট সাকিনা আলম লিজা প্রমুখ।

উক্ত কর্মশালায় নলছিটি উপজেলা বিএনপি তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেয়। কর্মশালা পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী দ্বীপু হাফিজুর রহমান।

দীপ্ত জীবন উপাখ্যানের একটি বৃহৎ আলেখ্য নজরুল ইসলাম তোফা

''ভোর হলো দোর খোল খুকু মনি উঠোরে'' এভাবেই যেন ডেকে তাঁর বাবা খুব ভোরে কোলে নিয়ে আদর, সোহাগ করতেন। সে ডাকে নাকি 'নজরুল ইসলাম তোফা' সাড়া দিয়ে বাবার সাথে আধো আধো অস্পষ্ট কথায় যেন মগ্ন হয়ে থাকতেন। ছেলের ছোট্ট চোখে স্বপ্নও দেখতো তাঁর 'বাবা', তাকে ধরে রাখার তখন কোনো ক্যামেরা পান নি, ছোট্টবেলার সেই প্রতিটি মুহূর্ত ও প্রতিটি দিন, অতীতের বহু স্বপ্ন গুলো স্মৃতিরপটে তাকে ধরে রাখা বা না রাখাই যেন একেকটা ছবি বা চিত্র, মহামূল্যবান কাব্যতেই যেন রূপ নিত। তাঁর বুকের ভেতরের শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্রটাও যেন সারাপৃথিবীর সর্বোচ্চ বড় গুদাম, তাই তো সেখানে সুরকে বেঁধে রাখা কোনো এক পণ্যের বস্তার মতোই যে। আরো তো আছে ছেলে বেলার সেই সু-মধুর সময় নিয়ে কথা। তাঁর বাবার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর অনেক ভক্ত ছিলেন, তাই তাঁর নামও হয়ে গেল নজরুল ইসলাম তোফা। কাজী নজরুলের-তোফা না কি তিনিই। সেই জাতীয় কবি-নজরুলের রেখে যাওয়া এমন তোফা কিংবা উপহারই যেন তিনি। তাঁর বাবার এ ধারণা নিয়েই সন্তানের ভবিষ্যৎ ও মঙ্গল কামনা করতেন। তাঁর চোখে মুখে শৈশব থেকেই দেখতে পেলেন যেন শিল্প সংস্কৃতির ছোঁয়া। তিনি দিনেদিনে বড় হচ্ছেন, বুঝতে বা জানতেও পারছেন বহুকিছু। তাঁর শুরু হয়ে যায় গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে ভাবুক মনে একাকিত্বে হাঁটাহাঁটি। অনেক সকালেই সূর্য-উদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে যেন পথে-ঘাটে পড়ে থাকা ''ময়লা কাগজ'' পড়া শুরু করেন। পড়ে থাকা সেই ময়লা যুক্ত কাগজের ছড়া বা কবিতা পছন্দ হলেই যেন তা কাটিংকরে ঘরে এনে আবৃত্তির পাশাপাশি সেগুলোর ভাব ধারায় অনেক কবিতা ও ছড়া খেলা লেখি করতেন এবং নিজের সে লেখাগুলোতে মনের মাধুরী দিয়ে নানা ধরনের ইলাসট্রেশন, ক্যালিগ্রাফি করা আরম্ভ করতেন। তাছাড়াও বইয়ের মলাটে প্রচ্ছদ অংঙ্কন সহ ছড়া কিংবা কবিতা লিখে নিজস্ব প্রতিভার আলোয় মনের অজান্তে ছুটে চলতেন। এইগুলো দেখে তাঁর বাবা আনন্দ পেতেন এবং তাঁর নিজের গ্রাম 'পাঁজর ভাঙ্গা' বাজার থেকে ক্রয় করে দিতেন কাজী নজরুল ইসলামের ছড়া ও কবিতার বই। সেই সময় বাবা মনে করেছিল, তরুণ জীবনে এমন শিল্প জ্ঞানহীন ছেলের প্রতিভার বিকাশ অমন্দ নয়, এক দিন তাকে শিল্পের মাস্টার তৈরি করবো। আজ তা সত্য হয়েই গেছে, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা বিভাগ থেকেই এমএফএ করেছেন। এখন তিনি কর্মরত আছেন কর্মরত রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয় অর্থাৎ চারুকলার এক জন মাস্টার বা চিত্রশিল্পী।
 
'শুনেছো- ঠিকই শুনেছো। তাঁর কেনো সুনাম থাকবে না, কেন বলো? কতকাল ধরে কৃতিত্বের সঙ্গে এ কাজ করে আসছি’ শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নাটক সংগ্রহ' গ্রন্থের ‘স্বর্গে কিছুক্ষণ’ নাটকের সংলাপ এটি। এমন এ সংলাপ তাঁর অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝেমধ্যেই এমন গ্রন্থটি বের করে তিনি পড়েন। কথা গুলো তিনি এক নাগাড়েই যেন বললেন। গ্রন্থ-প্রেমী, নাট্যকার এবং নাট্যাভিনেতা- নজরুল ইসলাম তোফা বলা যায় যে, তিনি সরল মনের মানুষ। তাঁর অভিনয়ে অবাধ বিচরণ ছিল গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে বহমান আত্রাই নদী'র তীর। নওগাঁ জেলার ১৩ নং কশব ইউনিয়নেই স্থায়ী ঠিকানা। তাঁর পিতার হলেন, মোঃ কমর উদ্দীন শাহানা। তাঁর দ্বিতীয় সন্তান- নজরুল ইসলাম তোফা। তিনি পড়া শোনা করেন, গ্রামের স্কুলেই ৫ম শ্রেণী আর চকউলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এস এস সি'র পরপরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে ভর্তি হন। তারপরে প্রচণ্ড স্বপ্নবাজ এমন গ্রন্থ-প্রেমী সাদা মনের মানুষটি নাট্যাঙ্গনের প্রতি মনোযোগী হয়েছেন। এ ভাবে দিনেদিনে নানা ধরনের নাটক নির্মাণ করার সহিত নানান নাটকের চরিত্রে অভিনয়ে মগ্ন থেকেছেন তিনি।
 
নজরুল ইসলাম তোফার জন্ম ০৫ জুলাই ১৯৭৫ সালে। তিনি এখন থাকেন রাজশাহীর বর্নালীর মোড়েই, হেতেম খাঁতেই অবস্থিত- "গ্রীন গার্ডেন টেকনিক্যাল এন্ড বি.এম কলেজের পার্শ্বে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা বিভাগ থেকে পড়া শোনা শেষ করে রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশিই অভিনয় করেন। গ্রন্থপ্রেমী নাট্যসমগ্র সংগ্রহে নেশা পূর্ণভাবে শুরু করেন। নান্দনিক দৃষ্টিতে ঘরে অসংখ্য পুস্তকের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। বই গুলো শুধু সংস্কৃতিমনা মানুষদের ভালো লাগবে মনে করি। শুধু বই ক্রয় করে সেলফে রাখেননি, কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিদিনই যেন একটি হলেও নাট্য পান্ডু লিপি পড়েন। জানা গেল, তাঁর মনের ক্ষুধা অনেক বড়। সেই ক্ষুধা মেটানোর জন্য তিনি যখনই সুযোগ পান তখনই বই পড়েন। শৈশবে নজরুল ইসলাম তোফা স্কুল ও পূঁজা-পার্বণেও যাত্রা করেছেন। তাঁর নিজ গ্রামে গ্রামে ঘুরে অভিনয় ও কৌতুক করে মানুষ হাঁসাতেন। সে যাত্রা কিংবা কৌতুক পরিবেশনের পাণ্ডু লিপি যেন তিনি কপি করতেন নিজ হাতে লিখে। আর তাঁর সঙ্গে যারা কৌতুক বা অভিনয় করতেন তাঁদের 'প্রম্পট ও অভিনয়' শিখিয়ে দিতেন। এইভাবেই তাঁকে বই পড়ার নেশাটি পেয়ে বসে। পরে ভিডিও নাটকে অভিনয় শুরু তাঁর। এইভাবেই বৃহৎ পরিসরে প্রতিশ্রুতিশীল ও প্রতিভাবান এই নাট্যাভিনেতা আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেন। এলাকাজুড়ে সমালোচিত হতেও শুরু করেন, কারণটি হলো এই তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ির পাশে আত্রাই নদীর পাড় এবং সেখানেই স্কুলমাঠ আর সে মাঠে বিরাট কড়ই গাছ। গাছের গোড়ায় বসেই ঘন্টা পর ঘন্টা উচ্চস্বরে ও হেলে দুলে অভিনয় চর্চা আর মাঝে মাঝে বিরতি নিয়েই 'ক্রিয়েটিভ চিত্রকর্ম' চর্চা করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বলা যায় যে, সবই ছিল তাঁর পাগলের মতো। তারই ফলশ্রুতিতে প্রায়  চার হাজার মতোই নাট্য সমগ্র গ্রন্থ তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। যে কারণেই কোনো প্রহসন নয়, অনুপ্রেরণার গল্পই বলা চলে।
 
কোনো দুর্লভ এবং ব্যতিক্রমধর্মী নাট্য সমগ্র পুস্তকসমূহ  সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে, সবার আগেই তিনি মনে করে রাজশাহীর বুক পয়েন্টের মালিক চন্দন দার কথা। তিনি কলকাতা ও ঢাকা গিয়ে তাঁকে মনের খোরাক মেটানোর জন্য নাট্য সমগ্র এনে দিতেন। নিজস্ব বুদ্ধিদ্বীপ্ত চেতনায় বই পাগল নাট্যপ্রেমী মানুষ বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে নাটক করছেন এবং আগামীতেও দক্ষতার সহিত করে যাবেন। তাঁর নাট্য গুরু শিমুল সরকারের অবদান তিনি কখনোই অস্বীকার করতে পারেন না। কারণ- তাঁর গুরু 'অনুপ্রেরণা বা সুযোগ' না দিলে জীবনের অনেক অর্জন অপূর্ণ থেকেই যেত। গ্রন্থ-প্রেমী 'নজরুল ইসলাম তোফা' নিজের শৈল্পিক চিন্তায় বইয়ের মলাট করে রাখেন তুলি কলম দিয়ে পূর্নাঙ্গভাবেই প্রচ্ছদ অংকন করে। শুধু তাই নয়, সেই গ্রন্থ গুলোকে ক্রমিক নম্বরের আওতায় এনেই তা ডায়রিতে ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী লিপিবন্ধ করেছেন।আর তিনি এমন রুচিশীল ব্যক্তি হবেনা কেন? তিনি তো চিত্রশিল্পী, চারুকলা কলেজের শিক্ষক। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে গ্রন্থ খুঁজে পেতে চমৎকার লেখাটি মনোযোগ আকর্ষণ করবে। নাট্যগ্রন্থ প্রেমী নজরুল ইসলাম তোফা দেশি-বিদেশের লেখকদের লেখা নাটকের সমগ্র সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উৎপল দত্ত, বাদল সরকার, বুদ্ধদেব দাশ গুপ্ত, বুদ্ধদেব বসু,শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ মিত্র, অলোক রায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, শুম্ভ মিত্র, নভেন্দু সেন, চন্দন সেন, লোকনাথ ভট্টাচার্য, ধনঞ্জয় বৈরাগী, ব্রাত্যরাইসু, সেলিম আল দীন, আব্দুল্লাহ আল- মামুন, মান্নান হীরা, মামুনুর রশীদ,হুমায়ূন আহমেদ,মমতাজউদ্দীন আহমদ, রামেন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, আলী যাকের,আহম্মেদ ছফা, আবুল হোসেন, সিকান্দার আবু জাফর, প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক সহ দেশি-বিদেশি খ্যাতিমান সব লেখকদের বাংলা ভাষায় লেখা নাটকের অনেক রুচিশীল নাটকসমগ্র। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া শোনা চলাকালীন থেকেই বহু ধরণের বই সংগ্রহের নেশায় মগ্ন ছিলেন। তাঁর সংগ্রহ শালাতে আজও রয়েছে ১ম শ্রেণী থেকেই আরম্ভ করে শিক্ষা জীবনের কেনা যত গুলি বই- সবগুলোই।
 
তবে তাঁর নাটকের সমগ্র সংগ্রহের নেশা তৈরি হয়েছিল- ১৯৯২ সালের দিকেই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা বিভাগে ভর্তি হবার পরে। নাটকের গ্রন্থ সংগ্রহের বিষয়ে বলতে গিয়েই তিনি বলেছেন ২০১০ সালের দিকে আমি ধারাবাহিক 'চোরকাব্য' নাটকে কাজ করেছিলাম। তখন শ্যুটিং এর জন্যে ঢাকায় ছিলাম। সেইজন্য ‘টিভি নাটক সমগ্র’ গ্রন্থটি সংগ্রহ করার জন্যেই গিয়ে ছিলাম ঢাকার নীলক্ষেতে। আর সেখানে গিয়ে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। আমার পরনের শার্টটি ছিঁড়ে যায় দ্রুত চলমান রিকশায় বেঁধে। সেই ছিঁড়া টিশার্ট পরেই মার্কেটের ভিতরে ঘুরতে থাকি। নতুন শার্ট কেনার জন্যে না, পছন্দের সেই গ্রন্থটি কেনার জন্যে। মনটা খারাপ হলেও টি-শার্ট কেনার জন্য কোনও আগ্রহ ছিল না। কারণ হলো শার্টের চেয়ে গ্রন্থটি বেশি প্রয়োজন ছিল তখন। আবেগ জড়িত কন্ঠেই তিনি আরো বলেন, আর একটা বিষয় হলো সেসময় চাইলেই হয়তো টি-শার্ট কিনে নিতেই পারতাম, তবে শার্ট কিনলে গ্রন্থটি কেনার টাকা হতো না। 'ঢাকা থেকে বাড়ি' ফিরতে বই কেনা টাকা ব্যতিত পকেটে ছিলো মাত্র ৫ শত টাকা। যাক অনেক কথাই তাঁর স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠে, তাঁর বাবা হঠাৎ একদিন বলেই বসেছেন, এতো পুস্তক সংগ্রহ করছো কি হবে- এতো? উত্তরে তিনি বলেন, বই আমার অপূর্ণতাকে কাটিয়ে উঠার সহায়ক হচ্ছে, তা ছাড়া তুমি তো একদিন থাকবে না। তখন আমার ছেলেকে বলবো, আমার বাবা আমাকে এমন এ লাইব্রেরি করে দিয়েছে। তুমিও তোমার সন্তানদেরকে বলবে। আসলেই নজরুল ইসলাম তোফার বাবা সেইসময় কান্না জড়িত কন্ঠে তাঁর দিকে চেয়ে বলেন, তোমার চিন্তা-চেতনার জায়গা আমি বুঝি রে বাপ। তারপরে তাঁর বাবা বই সংগ্রহ নিয়ে কোন কথা বলেননি। এটি ছিলো তোফার পুস্তক সংগ্রহের বড় শক্তি।

গ্রন্থ সংগ্রহ করতে করতে বর্তমানে তার সংগ্রহে শুধুমাত্র নাটকের সমগ্র গ্রন্থ প্রায় ৪ হাজারের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের গ্রন্থও প্রয়োজনের তাগিদে কিনে থাকেন। তাঁর সংগৃহীত বইয়ের মধ্যে যেন আছে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান লেখককের শুধু বাংলা ভাষায় লেখা নাট্য সমগ্র বা অনুবাদ করা নাট্যগ্রন্থ। সেই গ্রন্থগুলো দিয়েই নিজের বাড়িতে তৈরি করেছেন একটা সংগ্রহশালা। কেন তিনি এতো গুলো নাট্য সমগ্র সংগ্রহ করেছেন কিংবা এখনো তা সংগ্রহ করেই যাচ্ছেন এবং সেই গুলোকে সযত্নে সংরক্ষণ করেন জানতে চাইলেও নজরুল ইসলাম তোফা বলেছেন,- ‘'ছোট বেলা থেকেই নাটকে অভিনয় করি আর 'নাটকের বই' পড়ার দরকার পড়ে, সে চেতনা থেকেই নাটকের বই কিনি এবং পড়তে ভালোবাসি। স্কুলে পড়া কালে মঞ্চ নাটকের মধ্য দিয়েই শুরু হয় নাটক বা অভিনয় করা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পরেই নাট্যগুরু পরিচালক শিমুল সরকারের সঙ্গে থিয়েটারে যুক্ত হই। এই ভাবে নাটক করতে করতে এক সময় টিভি নাটকে কাজের সুযোগ আসে। সুতরাং- সেখানে গিয়ে কাজ করার সময়, নিজের ভিতরেই কিছু অপূর্ণতা আছে তা মনের মধ্যেই যেন জাগ্রত হওয়া শুরু করলো। অপূর্ণতাকে কাটিয়ে উঠতে, আর নাটক কিংবা অভিনয় সম্পর্কে আরো বেশি জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যেই যেন বিভিন্ন খ্যাতিমান নাট্যকার ও লেখকদের লেখা নাট্যগ্রন্থ সংগ্রহ করে পড়তে শুরু করি। এভাবেই আমার সংগ্রহে জমা হতে থাকে একের পর এক নাট্যগ্রন্থ।

পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষের জীবন ভাবনা থাকে আর থাকে স্বপ্ন। কিছু মানুষ আছে যাদের মধ্যে স্বপ্নের জগৎ অনেক বড়। নজরুল ইসলাম তোফাও যেন সে ভবিষ্যত স্বপ্ন পরিকল্পনায় স্বপ্ন বাজদের দলেই। তিনি পথ নাটক, মঞ্চ নাটক এবং টেলিভিশনে শতাধিক নাটকে অভিনয় করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তারমধ্যেই যেন টিভিতে তাঁর  প্রচারিত নাটক- প্রায় তিরিশটার মতো। বর্তমানে একটি টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। নাট্যকার ও পরিচালক শিমুল সরকারের সেই টেলিফিল্মের নাম- "গুপ্তধন এবং একজন বৃদ্ধ''। অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। আগামীতেই একটি স্ক্রিপ্ট পরিচালক শিমুল সরকার পছন্দ করেছেন। সুতরাং- নাট্যগ্রন্থ সংগ্রহ তাঁর দিনে দিনেই কাজে দিচ্ছে। এই নাট্যগ্রন্হ নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু করার পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চাইলেও তিনি বলেন, ‘এসব কাগজের গ্রন্থ তো বেশি দিন অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করা সম্ভব না। সেই জন্যে এসব দেশ বিদেশের 'মূল্যবান গ্রন্থ গুলো' অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করার জন্য ই-বুকে রুপান্তরিত করে একটি 'ই-লাইব্রেরি বা অনলাইন আর্কাইভ' তৈরির পরিকল্পনা আছে। যাতে সযত্নে নিজের সংগ্রহে রাখার পাশাপাশি গ্রন্থগুলো দ্বারা অন্যদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তাও করতে পারেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget