Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 নওগাঁর স্থানীয় সমস্যা সমাধানে ডেমোক্রেসিইন্টারনাশনালের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- স্থানীয় সমস্যা সমধানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ডেমোক্রেসি ইন্টারনাশনাল বাংলাদেশের উদ্যোগে নওগাঁয় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের আয়োজন হোটেল মিলনায়তনে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, নওগাঁর স্থানীয় সমস্যা সমাধানে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণ করলে তার সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সমবেত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সেই সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডেমোক্রেসি ইন্টারনাশনালের রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবস্থাপক আফসানা বেবী। ডেমোক্রেসি ইন্টারনাশনালের রাজনৈতিক ফেলো নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান মামুন ও জেলা বিএনপির আহ্বয়ক কমিটির সদস্য স.ম. আল কাফী তুহিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এস.এম জহুরুল ইসলাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ বেগম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাগজুমার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান শিউল প্রমুখ।

জান্নাতে মুমিনদের জন্য জুমআর দিন যেমন হবে

রহমত বরকত মাগফিরাতে ভরপুর হচ্ছে জুমআর দিন। মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক বড় মর্যাদার দিন। অনেক বুজুর্গানে দ্বীনের জুমআর দিনকে নফল হজের চেয়ে মর্যাদার দিন হিসেবে মনে করতেন।

জুমআর দিন মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার কারণ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সূর্য উঠে এমন দিনগুলোর মধ্যে জুমআর দিনটিই হলো সর্বোত্তম দিন। কারণ-
- হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ইয়াহুদি তাঁকে বলল, ‘হে আমিরুল মুমিনিন ! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে, যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহুদি জাতির উপর অবতীর্ণ হতো, তবে অবশ্যই আমরা সেই দিনকে ঈদ হিসাবে পালন করতাম, তিনি বললেন, ‘কোন আয়াত’? সে বলল, ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।’ (সূরা মায়েদা : আয়াত ৩) হজরত ওমর বললেন, ‘এটি যে দিনে এবং যে স্থানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর অবতীর্ণ হয়েছিল তা আমরা জানি। তিনি সেদিন আরাফায় দাঁড়িয়েছিলেন আর সেটা ছিল জুমুআ’র দিন।’ (বুখারি)

- এই দিনেই আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল; এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল (আবু দাউদ) এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল (মুসলিম) এই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল, এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল এবং এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল (আবু দাউদ)

জুমআর দিনের করণীয় সম্পর্কে কুরআনের ঘোষণা
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সূরা জুমআ : আয়াত ৯)

জুমআর দিনের ফজিলত
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমআর দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন। তিনি আরও বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাকের কাছে জুমআর দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের মত শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদা সম্পন্ন।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
- হে মুসলমানগণ! জুমআর দিনকে আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের জন্য (সাপ্তাহিক) ঈদের দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন (جَعَلَهُ اللهُ عِيْدًا)। তোমরা এদিন মেসওয়াক কর, গোসল কর ও সুগন্ধি লাগাও।’ (মুয়াত্তা, ইবনু মাজাহ, মিশকাত)

- জুমআর রাতে বা দিনে যে ব্যক্তি ঈমান নিয়ে মারা যায়; আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেন।’ (তিরমিজি)

জান্নাতে জুমআর দিন
- জান্নাতে প্রতি জুমআর দিনে জান্নাতিদের হাট বসবে। জান্নাতি লোকেরা সেখানে একত্রিত হবেন। সেখানে এমন মনমুগ্ধকর বাসাত বইবে, যে বাতাসে জান্নাতিদের সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে যাবে এবং তাদের স্ত্রীরা তা দেখে অভিভূত হয়ে পড়বে। পাশাপাশি তাদের স্ত্রীদেরও অনুরূপ সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।’ (মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালে জুমআর দিনের মর্যাদা ও ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। জুমআর দিনের করণীয় যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 নওগাঁয় শারদীয় দূর্গোউৎসব উপলক্ষে পূজা উৎযাপন কমিটির সাথে জেলা পুলিশের আইনশৃংখলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁয় শারদীয় দূর্গোউৎসব ২০১৯ উপলক্ষে পূজা উৎযাপন কমিটির সাথে জেলা পুলিশের আইন শৃংখলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পুলিশ সুপর কার্যালয় মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি বাবু নির্মল কৃঞ্চ সাহা, সাধারন সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপালসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তরা জানান এবার জেলার ৭৯৯টি মন্ডবে পূজা উৎযাপন হবে। তাই  সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে এবারেও শারদীয় দুর্গাৎসব পালন করতে পারেন কোন আইন শৃংখলা বা নিরাপত্তা সমস্য না তাই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশসুপার।
এসময় পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ১১টি উপজেলার অফিসার ইনচার্জ ও পূজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

   তথ্য অধিকার সম্পর্কে জানে না দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ

তথ্য অধিকার আইন সর্ম্পকে দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ জানে না। ২৫ শতাংশ মানুষ এ সর্ম্পকে জানলেও তাদের মধ্যে ২০ শতাংশের এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস- ২০১৯ উপলক্ষে ‘তথ্য অধিকার আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ : আইনের প্রথম দশকের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সভায় এ প্রতিবেদন তুলে ধরে টিআইবি। গবেষণাটি ১০০ মানুষের ওপর নমুনায়ন পদ্ধতিতে করা হয়।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে তথ্য অধিকার পাওয়ার জন্য ৯৯ হাজার ২৩৮টি আবেদন জমা হয়েছে। গড়ে প্রতিবছর ১১ হাজারের বেশি আবেদন এসেছে, যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় খুবই সামান্য। গ্লোবাল রাইট টু ইনফরমেশন রেটিংয়ে ১২৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২৬ তম অবস্থানে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও বাংলাদেশে এর বেশকিছু সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এ আইনের ৪ ধারায় আবেদন সাপেক্ষে তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয়া হলেও ৭ নম্বর ধারায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি- এসব যুক্তিতে বৃহৎ ব্যতিক্রম তালিকা সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে এর পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা না থাকায় অপব্যবহারের সুযোগ থাকে। পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া, মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উপস্থাপনীয় সারসংক্ষেপসহ আনুষঙ্গিক দলিলাদি এবং বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত তথ্যসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তথ্য না দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ আইনকে তথ্য অধিকার আইনের ওপর স্থান দেয়া হয়েছে। এ কারণে জনমানুষ অবাধে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে ৩২ ধারা অনুযায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ বা প্রদান করা বাধ্যবাধকতা সত্ত্বেও, জনগণের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তথ্যের ক্ষেত্রে গোপনীয়তার সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হচ্ছে না। তদন্ত হলেও তার ফলাফল গোপন রাখা হচ্ছে। দুর্নীতির তথ্যের ক্ষেত্রেও একই চিত্র বিদ্যমান।

উন্মুক্ত আলোচনায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তথ্য অধিকার আইনে বেসরকারি খাতে তথ্য পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি এ আইনের একটি বড় দুর্বলতা। তার চেয়ে বড় দুর্বলতা রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা। কারণ দেশের কোনো মেগা দুর্নীতি রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়া ছাড়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা তথ্য কমিশন। মানুষের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এই কমিশন নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।

অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। কারণ যাদের কাছে অভিযোগ দাখিল করবেন তারা নিজেরাই দুর্নীতিবাজ। এ জন্য জনমানুষ এ বিষয়ে তেমন আগ্রহ দেখায় না। তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে ৭৫ শতাংশ মানুষের কোনো ধারণা নেই। ২৫ শতাংশ এ আইনটির কথা শুনলেও এর মধ্যে ২০ শতাংশ মানুষের এ আইনটি কী তা জানেন না। মূলত ৫ শতাংশ মানুষের তথ্য অধিকার আইন ধারণা রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিপদে পড়লেও পুলিশের কাছে যেতে চায় না। তারা মনে করেন পুলিশের কাছে গেলে ঝামেলা আরও বাড়বে। এ কারণে তারা আইনের আশ্রয় নিতে চায় না।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের সুযোগ নেই। নাগরিক সমাজের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা স্বার্থের কারণে সঠিক কথা না বলে মুখ বন্ধ করে রাখছি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে তথ্য অধিকার আইনটি করা হয়েছে। এটি শক্তিশালী আইন হলেও প্রয়োগ হচ্ছে না। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য পেতে অনেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, শতভাগ সরকারি কর্মকর্তারা তথ্য দিতে চান না। অধিকাংশ কমিশনগুলোতে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ায় সেখান থেকে তথ্য পাওয়াটা জটিল হয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা না করলে এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তথ্য অধিকার আইনটি বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় কৌশলপত্র থাকা উচিৎ। যেখানে স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা থাকবে।

এবারের দিবসটি উদযাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী তথ্য অধিকারআইন বাস্তবায়নে সাফল্য অর্জনকারী দেশগুলোর অভিজ্ঞাত এবং তথ্য অধিকার বিষয়ে টিআইবির স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ব্যবসা, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রয়োজনীয় সংশোধন, তথ্য ফরম পূরণের আবশ্যকতা হিসেবে তথ্য কর্মকর্তার নাম উল্লেখকরণ অপরাসণ, সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় তথ্য অধিকার আইনে অনুরোধকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের বিবরণ প্রদানের বাধ্যবাধকতা বাদ দিয়ে অনুরোধকারী ব্যক্তি প্রদত্ত নির্দিষ্ট যেকোনো ঠিকানায় তথ্য প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি, আইনে তথ্য প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিধান, আইনের পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩২ ধারাসহ বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী অন্যান্য ধারা বাতিল, তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা ডেস্ক তৈরি ও অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা।

আজকের জোকস : সুন্দরী বিমানবালার দাম কত?

সুন্দরী বিমানবালার দাম কত?
উড়োজাহাজে এক সুন্দরী বিমানবালাকে এক যাত্রী বললেন-
যাত্রী: আপনার নাম কী?
বিমানবালা: ইভা বেঞ্জ।
যাত্রী: চমৎকার নাম! মার্সিডিজ বেঞ্জের সাথে কোনভাবে সম্পর্ক আছে?
বিমানবালা: একই দাম!


কুৎসিত মেয়ের বিয়ে হয় না কেন?
প্রশ্নকর্তা: পাত্রী দুজন, ১ম জন পরমা সুন্দরী, যৌবনবতী কিন্তু পুরো চরিত্রহীন। আর পরের জন মহা সতী-সাধ্বী, চরিত্রবতী কিন্তু চেহারা কুৎসিত। এখন আপনি কাকে বিয়ে করবেন?
প্রার্থী: সারাজীবন একা একা পান্তা ভাত খাওয়ার চেয়ে সবাই মিলে মিষ্টি খাওয়াই তো ভালো।


স্কুলে গিয়ে যা করলেন পরিদর্শক
স্কুল পরিদর্শক এক শিক্ষিকাকে বললেন-
পরিদর্শক: আচ্ছা, আপনি ছেলেদের অবজারভেশন সম্পর্কে তালিম দেন তো?
শিক্ষিকা: জ্বি, হ্যাঁ।
পরিদর্শক: দেখি ছেলেদের একটু পরীক্ষা করে। তোমরা চোখ বন্ধ করত।

তারপর পরিদর্শক মুখে একটু শব্দ করে বললেন-
পরিদর্শক: আচ্ছা বলো তো, আমি কী করলাম?
শিক্ষার্থী: আপনি দিদিমনিকে চুমু দিয়েছেন।

সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ভোলার আখ চাষিরা


কোন প্রকার রোগ ও পোকার আক্রমণ না থাকায় এ বছর ভোলা জেলায় আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর আখের ফলন অনেক বেশি। ক্ষেতের ফলন দেখে মুখে হাসি ফুটেছে আখ চাষিদের। বেশি ফলন হওয়ায় চাষিরা আখ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

সদর উপজেলার ভেলুমিয়া এলাকার আখ চাষি আব্দুল জলিল জানান, তিনি এ বছর ২ একর জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ নেই। অনেক টাকা লাভ হবে এ বছর।

দৌলতখান উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের কলকোপা গ্রামের নিজাম সিকদার জানান, তিনি এ বছর ১ একর জমিতে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আখ চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার আখ বাজারে বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ১ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবেন।

এদিকে আখের ব্যাপক ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। চাষিদের অভিযোগ, মধ্যসত্ত্বভোগী ও সিন্ডিকেটের কারণে পাইকারি বাজারে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাই অনেক কম দামে আখ বিক্রি করছেন তারা।


সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ভোলার আখ চাষিরা
ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মো. ফিরোজ মিয়া জানান, তারা বাজারে আখের সঠিক দাম পান না। ভোলা সদরে ৩-৪ জন পাইকার থাকলেও আড়ৎ মাত্র একটি। আড়ৎ থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয়; সে দামে চাষিদের বিক্রি করতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে অনেক কম দামে আখ বিক্রি করতে হয়।

চাষিরা পাইকারি বাজারে ন্যায্য মূল্য না পেলেও খুচরা বাজারে চড়া দামে আখ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ভোলা শহরের নতুন বাজারে আখ কিনতে আসা মো. আরিফ হোসেন জানান, খুচরা বাজারে আখের চড়া দাম। প্রতিটি আখ ৬০-৮০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ পাশের আড়তে আখের দাম অনেক কম।

এলাকার খুচরা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আড়ৎ থেকে প্রতি শ’ আখ ৪-৫ হাজার টাকা দামে কিনতে হয়। অথচ আড়ৎদাররা চাষিদের কাছ থেকে ৫০০-১ হাজার টাকা দামে কেনে। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তারা বেশি দামে বিক্রি করে। তাই লাভের জন্য খুচরা আখ বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

শহরের নতুন বাজার এলাকার আড়ৎদার মো. ইয়ামিন মিয়া জানান, এ বছর জেলায় আখের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে প্রচুর আখ উঠেছে। চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় বাজার দাম একটু কম। কারণ ক্রেতার সংখ্যা কম। বাজারে কোন সিন্ডিকেট নেই। দাম কম পাওয়ায় কৃষকরা সিন্ডিকেটের কথা বলে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় ৮২৪ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকিতে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কৃষকরা আখের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। আমরা কৃষকদের নিজ উদ্যোগে আখ বিক্রির পরামর্শ দিয়েছি।’

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget