Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঝালকাঠিতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা  জরিমানা

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অবৈধভাবে বালু উত্তলনের দায়ে জমি মালিককে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। জেলার নলছিটি উপজেলাধীন মালোয়ার গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জমি মালিক আলম খানের কাছ থেকে আর্থিক জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নলছিটি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে।
 
এ বিষয় ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ বিচারক  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি ডোবায় ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে ঘটনা স্থলে গিয়ে জমির মালিককে ডেকে বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থা আইন ২০১০ আনুযায়ী জমি মালিককে আর্থিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে আর কখনও এহোন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবেননা বলে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযানস্থলে ড্রেজার মালিকে পাওয়া যায়নি।

 
ঝালকাঠিতে স্বামীকে বিদ্যালয়ের সভাপতি করে দূর্নীতি করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে  অভিযোগ
রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে একই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার ক্ষমতা বলে নিজ স্বামীকে একই বিদ্যালয়ের সভাপতি করে ব্যাপক দূর্নীতি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। জেলার কাঠালিয়া উপজেলাধীন পূর্ব ছিটকী গুচ্ছগ্রাম কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা  (ভার প্রাপ্ত) নাজমা বেগম (বুলু) ও তার স্বামী বিদ্যালয়ের সভাপতি খলিলুরর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, যথা সময়ে বিদ্যালয়ে না আসা সহ বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

এ বিষয় একাধিক অভিভাবক ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১২ ঘটিকায় বিদ্যালয়ের মাঠে একত্রিত হয়ে অভিযোগ করতে আসেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভার প্রাপ্ত) নাজমা বেগম (বুলু) বিদ্যালয়ে আসা অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
এ বিষয় স্থানীয় মনিরুজ্জামান টিটু জানান, বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের অনেক শিশু শিক্ষার্থী থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য কাউকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য না রেখে নিজের স্বামী মোঃ খলিলুরর রহমান দর্ঝিকে সভাপতি বানিয়ে প্রভাব খাটিয়ে সময়মত স্কুলে না আসা, স্কুলের বার্ষিক বরাদ্ধ আত্মসাৎ করেন।  

এ বিষয় বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও গুচ্ছগ্রামের সভাপতি মোঃ আঃ সত্তার হাওলাদার জানান, এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কাঠালিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ মুহাম্মদ ফায়েজুল আলমের কাছে আমি লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করি। আমার অভিযোগের শুনানীর দিন আমি নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে আসার সময় প্রদান শিক্ষিকা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রধান শিক্ষিকার স্বামী তাদের সমর্থিত লোক দ্বারা আমার পথরোধ করে আমাকে মারধর করে। এ বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা যেনে সরেজমিনে তদন্ত করে ঐ প্রধান শিক্ষিকাকে  প্রথমবারের মত সতর্ক করেন। অনুসন্ধানে জানা যায় অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে মোসাঃ নাসরিন আফরোজ নিয়োগ পেলে তাকে গালিগালাজ করে তারিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি ৭০নং উত্তর চড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত আছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি আসার আগে ঐ বিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ঐ বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ করলে, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। 

এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (ভার প্রাপ্ত) নাজমা আক্তার (বুলু) এর কাছে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে (০১৭২৫৩৭৭৩৯৩) ফোনটি ধরে কোন কিছু না বলেই ফোনটি রেখে দেন।






নওগাঁর আত্রাইয়ে বিয়ামের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত

নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ‘বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের’ অধ্যক্ষসহ দুইজনের বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। বেতনের জন্য শিক্ষক কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। এতে কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম ও হিসাবরক্ষক রায়হান কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসাথে কলেজের উপাধ্যক্ষ সোহেল রানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে হিসাবরক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। গত ২০১৩ সালে বিয়ামে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন রেজাউল করীম।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্লে থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮৭ জন। এছাড়া রয়েছে- শিক্ষক ৩১ জন এবং কর্মচারী ১০ জন। প্লে, নার্সারি ও কেজি’র শিক্ষার্থীদের বেতন মাসে ৪৫০ টাকা, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেনীর বেতন ৫০০ টাকা ও পঞ্চম থেকে দশম শ্রেনীর বেতন ৫৫০ টাকা। সে হিসেবে প্রতি মাসে শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বেতন আদায় হয় প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। এরমধ্য থেকে প্রতিমাসে ৪১ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দিতে প্রায় ৩ লাখ ৭ হাজার টাকা। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল, বিদ্যালয় ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয় মাসে ২০ হাজার টাকা।
প্রতি বছর শেষন ও ভর্তি ফি থেকে আসে ১৫ লাখ টাকা এবং বছরে তিন বার পরীক্ষা থেকে আয় আসে ৬ লাখ টাকা। শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত থাকে।

গত ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। বেতনের জন্য শিক্ষকরা বার বার অধ্যক্ষ রেজাউল করিমকে তাগাদা দিলে ছাত্ররা ঠিকমতো বেতন দিচ্ছে না বলে তিনি আশ্বস্থ করেন। দিনের পর দিন তিনি শুধু আশ্বস্থ করলেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। গত ডিসেম্বর মাসে আবারও বেতনের জন্য শিক্ষকরা হিসাব-নিকাশের জন্য চাপ দিলে অধ্যক্ষ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপন করেন।
অবশেষে তৎকালীন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোখলেছুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করেন শিক্ষকরা। বিষয়টি নিয়ে সেইসময় ইউএনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এতে করে শিক্ষকরা অসহায় হয়ে পড়েন। অপরদিকে পাঁচমাসের বেতন না পেয়ে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করেন। শিক্ষকরা বেতন না পাওয়ায় পাঠদানের আগ্রহ অনেকটা হারিয়ে ফেলেন।
ছাত্ররা নিয়মিত বেতন দেয় কিনা তা নিয়ে শিক্ষকরা সাড়াশি অভিযান শুরু করে। এতে করে শিক্ষকরা জানতে পারেন ছাত্ররা নিয়মিত বেতন পরিশোধ করে, কিন্তু অধ্যক্ষ শিক্ষকদের বেতন বকেয়া রাখেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সন্দেহের দানা বাঁধে। পরবর্তীতে নতুন ইউএনও হিসেবে ছানাউল ইসলাম যোগদান করলে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। ইউএনও অভিযোগটি আমলে নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ অভিযোগ থাকায় গত ০২/০৭/১৯ ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি সভায় সিদ্ধান্তে তাদেরকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। সেইসাথে কলেজের উপাধ্যক্ষ সোহেল রানাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে হিসাবরক্ষককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

অভিভাবক কাকলি রায়সহ কয়েকজন বলেন, আমরা নিয়মিত সন্তানদের স্কুলের বেতন পরিশোধ করি। এখন শিক্ষকরা যদি বেতন না পাই তাহলেতো পাঠদানেও মনযোগ আসবে না। তাই প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম, যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক নাছরিন আরা, উপাধ্যক্ষ নিলুফা ইয়াসমিন সহ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা এখানে চাকরি করছি। কিন্তু গত বছর থেকে নিয়মিত বেতন দেয়া নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারীতে দুই মাসের এবং এপ্রিলে এক মাসের বেতন আমাদেরকে দেয়া হয়। কিন্তু মোটের উপর পাঁচমাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে। ছাত্রদের কাছ থেকে ঠিকই বেতন নেয়া হয়। কিন্তু আমাদেরকে বেতন দেয়া হয়না। কলেজে যে পরিমান আয় হয় তা থেকে আমাদেরকে স্বপ্ল পরিমান বেতন দেয়া হলেও কোন উৎসব বোনাস দেয়া হয়না। কিন্তু তারপর বেতন বকেয়া রাখা হয়েছে। আমাদের দাবী তদন্তপূবর্ক দোষীদের ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

হিসাবরক্ষক রায়হান কবীর এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চান না। তবে সব স্যারেরা জানেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। একটি মহল এটা নিয়ে শিক্ষকদের উষ্কিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিবেন। তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ছানাউল ইসলাম বলেন, এসিল্যান্ডকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালিন তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিয়ামের পরিচালকের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। বিষয়টি আরো ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

রাজস্ব আয় ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা
নওগাঁর আত্রাইয়ের ভবানীপুর বাজার প্রবেশের রাস্তাটি যেন মৃত্যুফাঁদ

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর হাটে প্রবেশের রাস্তাটি সংস্কার অভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটির পার্শে পুকুর থাকায় রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ বাজার থেকে রাজস্ব আয় ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা ও করছে এলাকার সচেতন মহল।

জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এখানে সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার দুই দিন হাট বসে। এছাড়াও প্রতিদিন সকাল বিকেল হাট বসে। এখানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাপড় ব্যবসায়ী, আলু ব্যবসায়ী, রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী, কাঁচা মাল ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা আসেন এ বাজারে। আত্রাই-নওগাঁ পাকা সড়কের সাথে হাট হলেও দক্ষিণ দিক থেকে হাটে প্রবেশ রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে মালবাহী পিক আপ ভ্যান, কর্ভাড ভ্যান, সিএনজি, রিক্সা, অটোরিক্সাসহ ছোট বড় সব ধরনের যানবাহন। এতে করে ক্রেতারা জিনিস কিনে বা বিক্রেতারা সরবরাহ করতে গিয়ে ভাঙ্গা আর গর্তে ভরা রাস্তার কারণে মালামাল পরিবহন করতে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত এ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।

ঐতিহ্যবাহী এ হাট থেকে প্রতি বছর সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব আয় হলেও এ রাস্তাটি মেরামতে কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। ফলে বছরের পর বছর থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার হাজার হাজার জনসাধারণকে।

ভবানীপুর জিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। এলাকা বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী এ রাস্তাটি সংস্কার হলে এলাকাবাসীর এক নতুন দিগন্তের  উন্মোচন ঘটবে। ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ পাবে যোগাযোগের সুফল।

এ ব্যাপারে ভবানীপুর জি এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ রাস্তার উপর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু দিন পরপর ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। রাস্তাটি সংস্কার করা অতিব জরুরী।

বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর খাঁন বলেন, হাটের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনকে মালামাল নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে হাটে প্রবেশ করতে হয়। রাস্তাটি গত কয়েক বছর ধরে ভেঙ্গে চলাচল অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এতে করে রাস্তাটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বাজার কমিটির পক্ষ থেকে আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিকট রাস্তা ও বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নের বিষয়ে বলেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, রাস্তাটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশাকরছি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার হবে।

নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নওযোয়ান মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশিদ। এর আগে নওগাঁ কেডি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে মেলা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশিদ। এসময় র‌্যালীতে অংশ গ্রহন করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত মো. রফিক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, আধা সরকারী স্বায়ত্বশাসিত অফিস সমূহের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ। পরে শহরের নওযোয়ান মাঠে মেলা প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নওযোয়ান মাঠে সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষমেলায় প্রায় ৪০ টি স্টল অংশ নেয়। মেলায় ফলদ, বনজ ও ঔষধি সহ বিভিন্ন গাছের সমারোহ ঘটে।

ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে যুবলীগের দুগ্রুপে উত্তেজনা ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ

রিপোর্ট : ইমাম বিমান:: ঝালকাঠিতে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগের দু’গ্রুপের উত্তেজনা ও বাকবিতন্ডার জের ধরে যুবলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা দেড় ঘন্টাব্যাপী ঝালকাঠি খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। সড়কে ট্যায়ার জ্বালিয়ে অবরোধে দু’পাড়ে অসংখ্য যানযাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক দুটোর সময় ঝালকাঠি কলেজ মোড় চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির ও যুবলীগ নেতা সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এ নিয়ে দু’গ্রুপের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে দুই নেতাকেই থানায় নিয়ে যায়।




পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরের ওয়ার্ডের আওতাধীন কলেজ মোড় এলাকায় খবর পেয়ে যুবলীগ নেতা জাকির সমর্থকরা কলেজ মোড় এলাকায় ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জাকির সমর্থকরা রাস্তায় ট্যায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভের ফলে দু’পাশে খুলনা ও বরিশাল রুটের অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন অসংখ্য মানুষ। পরে পুলিশ যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম জাকিরকে ঘটনাস্থালে নিয়ে গেলে প্রায় দেড়ঘন্টা পর জাকির সমর্থকরা আবরোধ ছেড়ে দেয়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget