Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

  
নদীর পানি কমায় নতুন করে ভাঙ্গতে শুরু করেছে নান্দাইবাড়ি ঝুঁকিপূর্ন বেরিবাঁধ ॥ আতঙ্কে রাণীনগর-আত্রাইবাসী

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ছোট যমুনা নদী। ২০১৭ সালে এই নদীর বেরিভাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিলো জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কয়েকশত গ্রাম। বর্তমানে ছোট যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। তাই এই বাঁধটি দুই উপজেলার মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।

চরম আতঙ্কে রয়েছে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাবাসী। কারণ বাঁধটিতে দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ী, কৃষ্ণপুর ও আত্রাই উপজেলার ফুলবাড়ি, শাহাগোলা এলাকার প্রায় ৮কিমি নদীর বেরিবাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি বন্যায় এই বাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছিলো কয়েকটি গ্রাম। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যান্য দপ্তরের সহযোগিতায় স্থানীয়রা ভেঙ্গে যাওয়া অংশটি মেরামত করায় বেঁচে যায় কয়েকশত গ্রাম, ফসলের মাঠ ও পুকুর-জলাশয়।

সূত্রে জানা গেছে, নদীর পানি আটকানোর জন্য আশির দশকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ী, কৃষ্ণপুর ও আত্রাই উপজেলার ফুলবাড়ি এলাকায় স্থানীয় সরকারের সহায়তায় স্থানীয়রা তৈরি করেন বেরিবাঁধ। এরপর থেকে সরকারের কোন দপ্তর এই বেরিবাঁধের কোন সংস্কার করেননি। স্থানীয়রা বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে কোনমতে রক্ষা করে আসছে এই বাঁধটি। কিন্তু বর্তমানে এই বাঁধের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। নদীতে পানি কমে যাওয়ায় ভাঙ্গতে শুরু করেছে মাটির বড় বড় চাপ। ভাঙ্গনের ফলে বাঁধের উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়ার মতো কোন রাস্তা নেই। যে কোন সময় এই বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার কয়েকশত গ্রাম আর শত শত বিঘা জমির ফসল। তবুও কোন দপ্তরের নজর নেই বাঁধের দিকে।

নান্দাইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন, গফুর মিয়াসহ অনেকেই বলেন বর্ষা মৌসুমের সময় আমাদের নির্ঘুম রাত কাটে এই বেরিবাঁধটির জন্য। কারণ প্রায় ৩০বছর পার হলেও কোন দপ্তরই এই বাঁধটির বিন্দুমাত্র সংস্কার কাজ করেনি। বাঁধটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্ক। বর্তমানে বাঁধটি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। তাই সকলের উপকারের স্বার্থে দ্রুত বাঁধ সংস্কার করা প্রয়োজন।

 
নদীর পানি কমায় নতুন করে ভাঙ্গতে শুরু করেছে নান্দাইবাড়ি ঝুঁকিপূর্ন বেরিবাঁধ ॥ আতঙ্কে রাণীনগর-আত্রাইবাসী

উপজেলার ৩নং গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বাঁধটিতে যা সংস্কার করা খুবই জরুরী। এই বাঁধ নাকি কোন দপ্তরেরই নয়। তাহলে সংস্কার করবে কে? আমাদের পরিষদের তেমন কোন বরাদ্দ আর আসে না যে সেখান থেকে কিছু দিয়ে কিছুটা সংস্কার করবো। দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় বাঁধটি এখন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবে এবার বাঁধটি পরিদর্শন করে তা সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন সরকারের উর্দ্ধতন কর্র্তা ব্যক্তিরা তবে এই আশ্বাসের অতিদ্রুত বাস্তবায়ন চায় এরাকাবাসীরা।

রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন পানি কমার পর বাঁধটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ন। বাঁধের উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়ার মতো রাস্তাটুকুও নেই। আর এই বাঁধটি সংস্কার করার জন্য অনেক টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন যা আমার পরিষদের একার পক্ষে সরবরাহ করা অসম্ভব। তবে সব দপ্তর মিলে যদি পদক্ষেপ নেওয়া যায় তাহলে এই কাজটি করা সম্ভব। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো বাঁধটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার বলেন এই ঝুঁকিপূর্ণ অংশটুকু নদীর বাঁধ নয় রাস্তা ছিলো কিন্তু কালের আর্বতনে নদী ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে এখন তা বাঁধে পরিণত হয়েছে। তাই আমি এই ঝুঁকিপূর্ন ভাঙ্গন অংশটুকু মেরামতের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন পাঠিয়েছি। আবেদনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই এই ভাঙ্গন কবলিত অংশটুকুর মেরামতের কাজ শুরু করবো।


নওগাঁ জেলায় একযোগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালিত

নওগাঁ প্রতিনিধি : ডেঙ্গু প্রতিরোধে নওগাঁ পুরো জেলায় একযোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং মশকনিধন অভিযান পারিচালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের আহবানে জেলার ১১টি উপজেলা এবং সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা সদরে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশিদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি এ্যাড: সরদার সালাহ উদ্দীন মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. শাহনেওয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাজমুল হক সনি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল হক, পৌরসভার কাউন্সিলর রশিদুল আলম সাজু, জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ইকবাল জামিল চৌধুরী লাকী, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবির উদ্দীন, সীমান্ত পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম সাকলায়েনসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী বেসারকারী কর্মকর্তা, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ গ্রহন করেন। পরে জেলা প্রশাসন চত্বরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে ও ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনে স্প্রে ব্যবহারের উদ্ধোধন ও জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরন করেন। পরে শহরের ১০টি স্থান থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের, মশক নিধন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে লিফলেট বিতরন করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যনারসহ এই কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন  করে।  
জেলা প্রশাসন ছাড়াও জেলার প্রতিটি অফিস চত্বর, প্রতিটি উপজেলা পরিষদ চত্বর, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এসব অফিস প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং মশক নিধন অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় এলাকার বিভিন্ন রাস্তঘাট, ড্রেন নর্দমা এবং জঙ্গল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনের ঔষধ স্প্রে করা হয়।
এদিকে নওগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে পৌর মেয়র আলহাজ্ব নাজমুল হক সনির নেতৃত্বে পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করেন ও ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনে স্প্রে ব্যবহার করে ঔষধ দেন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরন করেন।

নওগাঁয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১১উপজেলাসহ ৯৯ ইউনিয়নে একযোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে নওগাঁ জেলার সকল ইউনিয়নে একযোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।  বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে এ অভিযানের উদ্ধোধন করেন, জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. শাহনেওয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. কামরুজ্জামান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল হক, জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি এ্যাড. সরদার সালাহ উদ্দীন মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে  জেলা প্রশাসন চত্বরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে ও ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধনে স্প্রে ব্যবহারের উদ্ধোধন ও জনসচেতনতা মুলক লিফলেট বিতরন করেন। এসময় পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো অংশ গ্রহন করেন।

জুলাই’১৯ মাসে চাঁদপুর গ্রাম আদালতে ৪৪৭ মামলা দায়ের এবং ৪৪৬ নিস্পত্তি

বিশেষ প্রতিনিধি: জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ, গণমাধ্যমের প্রচার-প্রচারণা এবং গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের নানাবিধ কার্যক্রমের ফলস্বরূপ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পাধীন চাঁদপুরের ৪৪ টি গ্রাম আদালতে এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক মামলা দায়ের ও নিস্পত্তি হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিস্পত্তিকৃত মামলার রায়ও সর্বোচ্চ সংখ্যক বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে চাঁদপুরে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলেও মামলা গ্রহণ শুরু হয় জুলাই’১৭ মাস হতে। এই হিসেবে মোট ২৫ মাসের মামলা পরিসংখ্যান আমাদের হাতে রয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ৪,৭৪৬ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ তথ্য মতে প্রতি মাসে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে ৪.৩ টি মামলা দায়ের হয়।

২০১৯ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মোট ৪৪৭ টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং নিস্পত্তি হয়েছে ৪৪৬ টি মামলা। এ হিসেবে প্রতি ইউনিয়নে গড়ে মামলা দায়ের হয় ১০.১৬ টি যা এ যাবৎ কালের মাসিক গড় মামলার প্রায় আড়াই গুণ বেশী। জুলাই মাসের দায়েরকৃত মামলার বিপরীতে যে সংখ্যক মামলা নিস্পত্তি হয়েছে তাতে মামলা নিস্পত্তির শতকরা হার দাঁড়ায় প্রায় ৯৯.৭৮ ভাগ।

গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) অনুযায়ী এ মামলাগুলো নিস্পত্তি করার জন্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) গ্রাম আদালতে বিচারিক-প্যানেল গঠন করা হয়। জুলাই মাসে এই বিচারিক প্যানেলে সদস্য হিসেবে মোট ২৩৯ জন অংশগ্রহণ করেন যাদের মধ্যে ৩৪ জন নারীও ছিলেন। দিন দিন গ্রাম আদালতের বিচারিক-প্যানেলে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এর ফলে এখানকার বিচারিক পরিবেশ নারী-বান্ধব হয়ে উঠছে। গ্রাম আদালতে নারী বিচার-প্রার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০১৭ সালের জুলাই হতে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত মোট ১,৯০,২৩,০৪২ (এক কোটি নব্বই লক্ষ তেইশ হাজার বিয়াল্লিশ) টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় হয়েছে যা আদালতের বিধান অনুযায়ী মামলার ক্ষতিগ্রস্থদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ হিসেবে প্রকল্পাধীন চাঁদপুরের ৪৪টি ইউনিয়নে প্রতি মাসে গড়ে আদায় হয়েছে ৭,৬০,৯২১ (সাত লক্ষ ষাট হাজার নয় শত একুশ) টাকা মাত্র। অথচ এই জুলাই’১৯ মাসেই আদায় হয়েছে মোট ২০,৯৮,১৫০ (বিশ লক্ষ আটানব্বই হাজার এক শত পঞ্চাশ) টাকা যা এ যাবৎ কালের মাসিক গড় আদায়ের প্রায় আড়াই গুণ বেশী।

প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি -এর সহায়তায় ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ “বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প” চাঁদপুর সহ দেশের মোট ২৭ জেলায় বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মূল ভিত্তি হল: গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬।।

পিরোজপুর স্বরুপকাঠিতে নদী গর্ভে বিলীনের পথে কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন

রিপোর্ট : ইমাম বিমান: পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলাধীন কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে।

স্বরুপকাঠি উপজেলার ঘেষে বয়ে যাওয়া সন্ধ্যা নদীর তীরর্বতী শান্তিহার এলাকায় কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি থাকায় নদী ভাঙ্গনের কবলে নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার পথে বিদ্যালয় ভবন। সন্ধা নদীর করালগ্রাসে ইতোমধ্যে একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হলেও বাকী অংশ যেন যাওয়ার অপেক্ষায় পরে আছে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়টির ৬২ শতাংশ জমির মধ্য থেকে ৫৯ শতাংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীর পাড়ে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিলে আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে তা বিদ্যালয়ের দিকে আসতে থাকলে গত ৩ আগষ্ট শনিবার বিদ্যালয় ভবন সহ একটি কক্ষের নিচ থেকে মাটি ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ভবনটির বিভিন্ন ফাটল দেখা দিলে শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে বিদ্যালয় ভবনের বাকী দুইটি কক্ষে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। 

৫ জুলাই সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ভবনের মধ্যে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর ৯ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
যে কোনো সময় বিদ্যালয়ের পুরো ভবনটি নদীতে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন এলাকার লোকজন।বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে চারজন শিক্ষক সহ মাত্র ২৪ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। 

এ বিষয় শান্তিহার কুনিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক মো.মাসুম জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপরে ১৯৯৮ সালে সরকার একটি পাকা একতলা ভবন নির্মান করে দেন। তিনি বলেন এক সময় বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী লেখা পড়া করলেও নদী ভাঙ্গনের কারনে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সন্তানদের বেশীর ভাগ অন্যত্র নিয়ে লেখাপড়া করাচ্ছেন। সে কারনে বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী আছে মাত্র ২৪ জন। বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার প্রায় ৮২ভাগ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় শিক্ষর্থীর সংকটও রয়েছে। 

এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দিলদার নাহারের কাছে ভাঙন কবলিত বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের বিষয় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টির ভবনের একাংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কথা শুনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে পার্শ্বের বিদ্যালয়ে যুক্ত হতে বলা হয়েছে। যেহেতু জমি সংগ্রহ করাসহ ভবন স্থানান্তর করতে একটু সময়ের প্রয়োজন।

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি ভাঙ্গন কবলিত বিদ্যালয়টি সম্পর্কে আজ শুনেছি  এবং আমি বিকেলেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন, গত ২০ এপ্রিল পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) মো. জাহিদ ফারুক স্বরূপকাঠির সন্ধ্যা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ভাঙ্গন কবলিত রক্ষা করতে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পিরোজপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ম্যাপ করে নিয়ে যান। 

নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয় কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে পিরোজপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদ আহম্মেদের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় পরবর্তিতে একই দফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ডিজাইন করে প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে প্রাক্কলন তৈরি করে টেন্ডার করা হবে।

রাণীনগরে ইউপি বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মী সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপি এই সভার আয়োজন করে। সোমবার বিকেলে বড়গাছা ইউনিয়নের চৌমহনী বাজারে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: রোকনুজ্জামান খাঁন (রুকু)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুজ্জামান (ভিপি) জাপান, মোসারব হোসেন, সদস্য এচাহক আলী, নজরুল ইসলাম, মোকলেছুর রহমান বাবু, প্রভাষক একেএম জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ইউনিয়ন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget