Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

মহাদেবপুরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে হত্যা চেষ্টা মামলা থেকে রেহাই পেতে ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মো. আলী হোসেন (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে ও সঠিক তদন্তের দাবিতে উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে ওই যুবকের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলী হোসেনের বাবা। হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় গত বছরের ২৪ মার্চ উপজেলা সদরের স্কুলপাড়া গ্রামের মেহেদী হাসান সোনার ছেলে আলী হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপজেলার ভালাইন গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এনামুল হক, উপজেলা সদরের দুলালপাড়া মহল্লার ওয়াহেদ আলীর ছেলে ওয়াদুদ হোসেন দিপু ও তার ভাই রবিউল ইসলাম রিপু পূর্ব শক্রতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আলী হোসেনকে মাথা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এসময় গুরুত্বর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার গলায় ২২টি সেলাই ও মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ২ এপ্রিল আলী হোসেনের পিতা বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় ৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে আলী হোসেনের পিতা মেহেদী হাসান সোনা অভিযোগ করে বলেন, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এনামুল হক (৪৮), ওয়াদুদ হোসেন দিপু (২২) ও তার ভাই রবিউল ইসলাম রিপু (১৯) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করায় বিবাদী পক্ষ আপোষ-মিমাংসার চেষ্টা চালায়। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা একাধিকবার হুমকিও দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১ জুন আমি বাদী হয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করি। পরবর্তীতে মামলা তুলে না নেয়ায় ও সাধারন ডায়েরী করায় ওয়াদুদ হোসেন দিপু ও রবিউল ইসলাম রিপুর মা দেলোয়ারা বেগম আসামীদের বাঁচাতে এবং আমাদেরকে ঘায়েল করতেই গত বছরের ১৭ জুলায় আদালতে একটি মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। হত্যা চেষ্টা মামলা থেকে ছেলেদের রক্ষা করতেই দেলোয়ারা বেগম আমার ছেলেকে ধর্ষণ মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে মহাদেবপুর থানা পুলিশ কোন সত্যতা না পওয়ায় ওই ধর্ষণ মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। এতে দেলোয়ারা বেগম নারাজী দিলে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন।”এ মামলা সুষ্ঠু সদন্ত ও হত্যা চেষ্টা মামলার সঠিক বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন আলী হোসেনের পরিবার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলী হোসেনের মা শাহানাজ পারভীন, ভাই শাহিনুর ইসলাম। ধর্ষণ মামলার বাদীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কিছু বলতে রাজী হননি। এ বিষয়ে হত্যা চেষ্টা ও ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন বলেন, ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট ও বিশ^স্ত সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে ওই ধর্ষণ মামলার বিষয়ে গোপনে এবং প্রকাশ্যে তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাদীনির দুই পুত্রসহ আত্মীয় মো. এনামুল হক আলী হোসেনকে ধারালো ছোরা দ্বারা মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করলে বিবাদী আলী হোসেনর পিতা বাদী হয়ে অত্র মামলার বাদীনির দুই পুত্র ও আত্মীয় মো. এনামুল হকসহ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জনকে আসামী করে গত বছরের ২ এপ্রিল মহাদেবপুর থানায় মামলা (০৪) দায়ের করেন। উক্ত হত্যা চেষ্টা মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় দেলোয়ারা বেগম তার দু’ছেলে ও আত্মীয়কে বাঁচাতে এবং মামলার ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার নিমিত্তে আলী হোসেনর বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।#

বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় দুই নারী গ্রেপ্তার

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোল দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় শুক্রবার (১২ জুলাই)বিকাল ৫ টায় রিমা বেগম (২৫)ও শিপালী খাতুন (৪৫)নামে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ২১ বিজিবি দৌলতপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি। আটক রিমা বেগম বাগেরহাট জেলার মোড়লগজ থানার তেতুল বাজার এলাকার ফুরকান আলীর স্ত্রী ও শিপালী বেগম একই থানার সাতঘরিয়া গ্রামের কামাল হোসেনের স্ত্রী।২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের দৌলতপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মুজিবুল হক জানান.গোপন সংবাদে জানতে পারি দুই নারী পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল সীমান্তে দৌলতপুর মাঠে অভিযান চালিয়ে দুই নারীকে আটক করেন।
আটকদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে ১১ সি ধারায় মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বেনাপোলে শত শত পাসপোর্টযাত্রী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধিঃ
যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টে ইমিগ্রেশনের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা ও পাসপোর্টযাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় শত শত পাসপোর্টযাত্রী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।  ইমিগ্রেশনে স্বচ্ছতা ও বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করায় যার কাজ সে করবে এধরনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বেনাপোল চেকপোষ্টে এলাকায় দেখা যায় পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। কেউ ব্যাংকে লাইন দিয়ে ভ্রমন ট্র্যাক্স নিচ্ছে । কেউ ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করার জন্য আছে লাইনে দাঁড়িয়ে। এর ভিতর আষাড়ে বৃষ্টি। ছোট ছেলে মেয়ে ও রোগিদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে তাদের সাথে থাকা অভিভাবকরা। স্মরন কালের সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পাসপের্টযাত্রীদের বেনাপোল চেকপোষ্টে।  এসব যাত্রীদের নিকট থেকে বিশ্রাম ও রৌদ বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য চেকপোষ্টে আছে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। সেখানে প্রবেশ করতে নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে ৪৫ টাকা। অথচ রিসিট দেওয়া হচ্ছে ৪১.৭৫ টাকা।  সেখানে বৃষ্টি নামলেও প্রবেশ করতে দেয়নি পোর্টের নিয়োজিত আনছার, আমর্ড পুলিশ,ও পিমা নামে একটি নিরাপত্তা গ্রুপের নিরাপত্তা প্রহরী। স্থানীয়রা জানান, এর আগে মাঝে মধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ সারী হয়েছে কয়েক বার। কিন্তু সম্প্রতি একটানা এধরনের লাইন হওয়ায় বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীরা। তারা বলেন, ঢাকা সহ দেশের দুর দুরান্ত থেকে পরিবহনে আসা যাত্রীরা সব থেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়ছে। কারন সারারাত জেগে থেকে সকালে বেনাপোল এসে ভ্রমন ট্র্যাক্স ও ইমিগ্রেশন কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে বর্তমানে প্রায় কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত করতে হচ্ছে। খুলনা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী নিলীমা শীল ( পাসপের্ট নং বিএফ ০৬১৬৭১৫) অভিযোগ করে বলেন বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের ট্যাক্স ৪৫ টাকা দিলেও তারা ভিতরে বৃষ্টি নামলে প্রবেশ করতে দেয়নি। এধরনের অভিযোগ আরো একাধিক যাত্রীর। আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে অর্থ দিয়ে কিছু যাত্রী ভিতরে প্রবেশ করেছে এরকম প্রশ্নে ইমিগ্রেশন সুত্র জানায়, আমরাও বিষয়টি  শুনেছি আজ প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে কোন আনছার সদস্য যাত্রীদের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে আগে প্রবেশ করাতে না পারে।ইমিগ্রেশন পুলিশ সার্বোক্ষনিক যাত্রীদের টার্মিনালের সামনে কাউকে টাকা দিয়ে যাতে ভিতরে প্রবেশ না করে তার জন্য সতর্ক করছে।ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ বলেন, সঠিক ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইমিগ্রেশনে কাজ চলছে। কোন প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। যার বই সে হাতে নিয়ে কাজ করছে ইমিগ্রেশনে। পাসপোর্ট যাত্রীদের কোন হয়রানি নেই। দ্রুত সকল যাত্রীদের কাজ করার কাজ চলছে বিরোতীহীন ভাবে। এখানে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে যা ঢাকা থেকে কি হচ্ছে সব কিছু দেখতে পারবে। অপর একটি সুত্র দাবি করে বলেন, ইমিগ্রেশনের জনবলও সংকট। এখানে ২৪ জন এসআই থাকার কথা সেখানে আছে ১৮ জন, এবং ৯ জন এ এসআই এর জায়গায় আছে মাত্র ৩ জন। এছাড়া সম্প্রতি পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্য পুর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে শার্শার কামার শিল্পের কারিগররা

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি:
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আযহা। আর মাত্র কিছুদিন পরেই কুরবানি ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদ-উল আযহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের শার্শা উপজেলার কামার শিল্পের কারিগররা। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। তবে দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা বেশি এবং ঈদের এখনও বেশ কিছুদিন বাকি থাকায় জমে উঠেনি দা, কাচি, হাসুয়া, কোপা, ছুরি চাপাতির বেচাকেনা। ফলে এই মুহুর্ত্বে অলস সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি আরও বেশ কিছুদিন। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে কামার পল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে। দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সার্গেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার পল্লীগুলো। প্রস্তুত করছেন জবাই সামগ্রী। ঈদে শত শত গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চূড়ান্ত প্রস্তুত পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, পস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুতি রাখতে হয়। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানান, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়। লোহার তৈরি ছোট ছুরি ৬০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জবাই ছুরি মিলছে ৫০০-৬০০ টাকায়। বিভিন্ন সাইজের চাপাতি ৬০০-৮০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। ঈদের গরুর বাজার এখনো ভালোভাবে শুরু না হওয়াকেই কারণ হিসেবে উলে¬খ করেন। আগে মানুষ গরু কিনবে পরে ছুরি-চাপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনবে। তবে কবে থেকে পুরোদমে বেচা কেনা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়। তবে এবছর অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা করেন তারা। ঈদের বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। আরও পরে শুরু হবে। তবে আমরা এখন বানিয়ে রাখতেছি পরে শুধু বিক্রি করব। সারা বছর কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদের এ সময়টা বারবারই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। কামাররা জানায়, এ পেশায় অধিক শ্রম, জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে তারা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন। বিভিন্ন সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সকলেই এখন ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে। কামাররা এই ঈদ মওসুম ছাড়া কাস্তে, হাঁসুয়া, পাসুন, বাঁশিলা, কুড়ালও তৈরি করে থাকেন। কয়েকজন ক্রেতা জানান, কুরবানির ঈদের আরও বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। লোহার পাশাপাশি স্টিলের ছুরি চাকুও বিক্রি হয় অনেকাংশে।


বেনাপোল কাস্টমস এর এনজিও কর্মী সাদ্দামসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল কাস্টমস এর এনজিও কর্মী সাদ্দাম হোসেন ও তার সাথে থাকা মনির মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।নিহত হলেন,বেনাপোল কাস্টমস এর এনজিও কর্মী ও বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের নেতা  সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও মনির মিয়া(৩২)।

শুক্রবার(১২/০৭/১৯)তারিখ সকালে গোপালগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল যোগে নড়াইল লোহাগড়া যাওয়ার পথে কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা এলাকায় গোপালগঞ্জগামী একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাসের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে দুই আরোহী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলে করে গোপালগঞ্জ থেকে নড়াইলের লোহাগড়া যাচ্ছিলেন সাদ্দাম হোসেন ও মনির মিয়া। পথিমধ্যে কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা এলাকায় গোপালগঞ্জগামী একটি দ্রুতগতির মাইক্রোবাসের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

নওগাঁয় সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে শিশুদের মাঝে ছাতা ও স্কুল ব্যাগ বিতরণ

মো. সবুজ হোসেন: নওগাঁ সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে সরকারি শিশু পরিবার নিবাসের শিশুদের মাঝে ছাতা ও স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁর সরকারি শিশু পরিবার নিবাসের ভারপ্রাপ্ত উপতত্ত্বাবধায়ক মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৮২জন শিশুদের হাতে ছাতা ও স্কুল ব্যাগ তুলে দেন নওগাঁ সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ। স্কুল ব্যাগ ও ছাতা পেয়ে খুশি হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিশু পরিবারের এক ঝাঁক শিশু। 
এসময় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ বলেন, শিশুদের নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। সকল শিশুকে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে সামনে এগিয়ে নিতে যে যার পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। ওদেরকে আদর ভালবাসা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীদিনের বাংলাদেশের কর্ণধার তাই ওদের মধ্যে যে প্রতিভা আছে তা বিকাশে সহায়তা করতে হবে। আর এটা সম্ভব সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সমাজসেবা কার্যালয় সাধ্যমত শিশুদের প্রতি সহযোগিতার এ ধারা আগামীতেও অব্যহত রাখবে। এসময় সরকারি শিশু পরিবার ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের বিভন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মোফাজ্জল হোসেন,

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget