নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর- কালিগঞ্জ সড়ক সংষ্কার কাজে গতি নেই : জনদুর্ভোগ চরমে
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের গোল চত্বর হতে সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়কটি বর্তমানে কাদা পানিতে একাকার হয়ে হাজার হাজার হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। রাণীনগর উপজেলার দু:খ ও জনদূর্ভোগে পরিণত হয়েছে পূর্বাঞ্চলের এই প্রধান রাণীনগর-কালিগঞ্জ সড়ক।
সূত্রে জানা গেছে সড়কের আধুুনিকায়ন তথা সংষ্কার, প্রশস্ত করন, নতুন কালভার্ট ও সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা দু’টি প্যাকেজে দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও ঢিমেতালে যে গতিহীন ভাবে কাজ চলছে তাতে শেষ হতে কত সময় লাগবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে? ইতিমধ্যে সড়ক সংষ্কার ও প্রশস্ত করণ কাজের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কে কাজ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইরাফিল আলম এমপি এক প্রতিক্রিয়ায় রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালিগঞ্জ সড়কের জনদূর্ভোগের বিষয়ে চরম ক্ষোভ, অসন্তোষ ও দ:খ প্রকাশ করে বলেন, সরকার প্রতি বছর সড়ক, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারণে জনগন যথাসময়ে তার সুফল পাচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগের কথা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এই সড়কের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইরাফিল আলম এমপি এক প্রতিক্রিয়ায় রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালিগঞ্জ সড়কের জনদূর্ভোগের বিষয়ে চরম ক্ষোভ, অসন্তোষ ও দ:খ প্রকাশ করে বলেন, সরকার প্রতি বছর সড়ক, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারণে জনগন যথাসময়ে তার সুফল পাচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগের কথা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এই সড়কের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
নওগাঁ সড়ক ও জনপদ (সওজ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা হেড কোয়ার্টারের গোলচত্বর থেকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার সংযোগ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিমি সড়কের উভয় পাশে প্রশস্ত করণ, সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের জন্য জন্য ৪৮কোটি ৮২লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে দরপত্রের মাধ্যমে স্পেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লি: ও ওয়াইড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামক জয়েন্ট ভেনঞ্চার কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের সময়সীমা ১বছর ৪মাস ১৫ দিন দেওয়া থাকলেও অর্ধেক সময় পার হওয়ার পরেও চোখে পরার মতো দৃশ্যমান তেমন কোন কাজ কিছুই হয়নি। সড়কটি অতি জনগুরুত্বপূর্ন ও উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রধান সড়ক হওয়ার পরেও ঢিমেতালে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর সংস্কার কাজ শুরু করলেও কাজের গতি না থাকায় এখন আস্তে আস্তে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই সড়কটি। উপজেলার পূর্ব-উত্তরাঞ্চল ও পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশত গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই প্রধান সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দীঘৃদিন কোন সংস্কার না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাকা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দে যা দেখে মনে হবে মাছ চাষের জন্য ছোট ছোট পুকুর। কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করাসহ যানবাহন চলাচলেও সমস্যার শেষ নেই। এই প্রধান সড়কটি ব্যবহার করেই নানা প্রয়োজনে উপজেলার সমগ্র পূর্বাঞ্চলের মানুষদের প্রতিনিয়তই উপজেলা সদরে আসতে হয় এবং উপজেলার উপর দিয়ে জেলা সদর নওগাঁয় প্রবেশ করে। এই বর্ষাকালে পুরো কাদাপানিতে একাকার হয়ে সড়কটি যেন ধান চাষের উপযুক্ত জমিতে পরিনত হয়েছে যা না দেখলে বুঝার উপায় নেই। একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেকেই। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে পথচারীদের অভিযোগ। দ্রুতগতিতে সড়কের কাজ সমাপ্ত করা না হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর সংস্কার কাজ শুরু করলেও কাজের গতি না থাকায় এখন আস্তে আস্তে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই সড়কটি। উপজেলার পূর্ব-উত্তরাঞ্চল ও পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশত গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই প্রধান সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দীঘৃদিন কোন সংস্কার না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাকা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দে যা দেখে মনে হবে মাছ চাষের জন্য ছোট ছোট পুকুর। কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করাসহ যানবাহন চলাচলেও সমস্যার শেষ নেই। এই প্রধান সড়কটি ব্যবহার করেই নানা প্রয়োজনে উপজেলার সমগ্র পূর্বাঞ্চলের মানুষদের প্রতিনিয়তই উপজেলা সদরে আসতে হয় এবং উপজেলার উপর দিয়ে জেলা সদর নওগাঁয় প্রবেশ করে। এই বর্ষাকালে পুরো কাদাপানিতে একাকার হয়ে সড়কটি যেন ধান চাষের উপযুক্ত জমিতে পরিনত হয়েছে যা না দেখলে বুঝার উপায় নেই। একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেকেই। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে পথচারীদের অভিযোগ। দ্রুতগতিতে সড়কের কাজ সমাপ্ত করা না হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেন, করজগ্রামের জাহাঙ্গির আলমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন পরিবহন চালকরা যানবাহনের ভাড়া ইতিমধ্যে বেড়ে দিয়েছে। যুক্তি হিসেবে চালকরা বলছেন, সড়কের যে বহাল দশা এই অবস্থায় তাদের গাড়ীর যন্ত্রাংশ টিকছে না। টায়ার-টিউব ঘনঘন ফুটো হয়ে যাচ্ছে। একটুতেই গ্লাসসহ ছোট যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং প্রায় দ্বিগুন সময় লাগায় আগের মতো অতিরিক্ত ভাড়া ধরা যায় না। বর্ষাকালে তো এই দুর্ভোগ আরো চরমে উঠে যায়। যে সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী ও ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে সে সড়কটির কাজে কোন গতি এটি ভাবা যায় না। তাহলে আমরা কোন দেশে বসবাস করছি।
সিএনজি চালক মোর্শেদ হোসেন, ইজিবাইক চালক আনোয়ার, ভ্যানচালক আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বলেন, সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীরা এখন আর সব ধরণের গাড়িতে উঠতে চায় না। প্রতিদিনের আয় ক্রমেই কমে যাচ্ছে। রাস্তা ভালো থাকতে আগে যেখানে প্রতিদিন ১হাজার থেকে ১২শ টাকা আয় হতো এখন সেখানে অর্ধেক করাই অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে। আমরা আর পারছি না। যারা এই সড়কের উপর নির্ভর করে জীবীকাহ নির্বাহ করে তাদের পরিবারেও অশান্তি দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে আগের মতো আর রোজগার না হওয়ায় সংসারে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। সংসারের দৈনন্দিন খরচ, ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ, ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি টানতে হিমসিমের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যতই দিন দিন যাচ্ছে ততই সড়কে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন এ সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছেই। অটোরিক্সা, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার কারণে বর্তমানে ব্যস্ততম এ সড়কে যান চলাচল কমে যাচ্ছে। এক সময় এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবহন চলাচল করলেও সড়কের বেহাল দশায় এখন এই পথে আর কেউ চলাচল করতে চায় না।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, গত দুই থেকে আড়াই মাস কাজ বন্ধ থাকায় দরপত্র বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি পত্র দেয় হয়েছে। তবে ওই পত্র দেয়ার পর থেকে কাজের গতি বেড়েছে। যথাসময়েই কাজ শেষ বলে আশা করছি।