Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁর রাণীনগর-আবাদপুকুর- কালিগঞ্জ সড়ক সংষ্কার কাজে গতি নেই : জনদুর্ভোগ চরমে

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের গোল চত্বর হতে সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়কটি বর্তমানে কাদা পানিতে একাকার হয়ে হাজার হাজার হাজার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। রাণীনগর উপজেলার দু:খ ও জনদূর্ভোগে পরিণত হয়েছে পূর্বাঞ্চলের এই প্রধান রাণীনগর-কালিগঞ্জ সড়ক।
 
সূত্রে জানা গেছে সড়কের আধুুনিকায়ন তথা সংষ্কার, প্রশস্ত করন, নতুন কালভার্ট ও সেতু নির্মাণের জন্য আলাদা দু’টি প্যাকেজে দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও ঢিমেতালে যে গতিহীন ভাবে কাজ চলছে তাতে শেষ হতে কত সময় লাগবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে? ইতিমধ্যে সড়ক সংষ্কার ও প্রশস্ত করণ কাজের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন করে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কে কাজ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইরাফিল আলম এমপি এক প্রতিক্রিয়ায় রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালিগঞ্জ সড়কের জনদূর্ভোগের বিষয়ে চরম ক্ষোভ, অসন্তোষ ও দ:খ প্রকাশ করে বলেন, সরকার প্রতি বছর সড়ক, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও কিছু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারণে জনগন যথাসময়ে তার সুফল পাচ্ছে না। হাজার হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগের কথা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এই সড়কের কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
 
নওগাঁ সড়ক ও জনপদ (সওজ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা হেড কোয়ার্টারের গোলচত্বর থেকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার সংযোগ পর্যন্ত  প্রায় ২৩ কিমি সড়কের উভয় পাশে প্রশস্ত করণ, সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণের জন্য জন্য ৪৮কোটি ৮২লক্ষ টাকা ব্যয় ধরে দরপত্রের মাধ্যমে স্পেক্টা ইন্টারন্যাশনাল লি: ও ওয়াইড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামক জয়েন্ট ভেনঞ্চার কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের সময়সীমা ১বছর ৪মাস ১৫ দিন দেওয়া থাকলেও অর্ধেক সময় পার হওয়ার পরেও চোখে পরার মতো দৃশ্যমান তেমন কোন কাজ কিছুই হয়নি। সড়কটি অতি জনগুরুত্বপূর্ন ও উপজেলার পূর্বাঞ্চলের প্রধান সড়ক হওয়ার পরেও ঢিমেতালে কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর সংস্কার কাজ শুরু করলেও কাজের গতি না থাকায় এখন আস্তে আস্তে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই সড়কটি। উপজেলার পূর্ব-উত্তরাঞ্চল ও পূর্ব-দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশত গ্রামের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এই  প্রধান সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দীঘৃদিন কোন সংস্কার না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানে পাকা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দে যা দেখে মনে হবে মাছ চাষের জন্য ছোট ছোট পুকুর। কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন করাসহ যানবাহন চলাচলেও সমস্যার শেষ নেই। এই প্রধান সড়কটি ব্যবহার করেই নানা প্রয়োজনে উপজেলার সমগ্র পূর্বাঞ্চলের মানুষদের প্রতিনিয়তই উপজেলা সদরে আসতে হয় এবং উপজেলার উপর দিয়ে জেলা সদর নওগাঁয় প্রবেশ করে। এই বর্ষাকালে পুরো কাদাপানিতে একাকার হয়ে সড়কটি যেন ধান চাষের উপযুক্ত জমিতে পরিনত হয়েছে যা না দেখলে  বুঝার উপায় নেই। একটু অসাবধান হলেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে অনেকেই। শুষ্ক মৌসুমে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে পথচারীদের অভিযোগ। দ্রুতগতিতে সড়কের কাজ সমাপ্ত করা না হলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক চাকা থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
 
উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেন, করজগ্রামের জাহাঙ্গির আলমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন পরিবহন চালকরা যানবাহনের ভাড়া ইতিমধ্যে বেড়ে দিয়েছে। যুক্তি হিসেবে চালকরা বলছেন, সড়কের যে বহাল দশা এই অবস্থায় তাদের গাড়ীর যন্ত্রাংশ টিকছে না। টায়ার-টিউব ঘনঘন ফুটো হয়ে যাচ্ছে। একটুতেই গ্লাসসহ ছোট যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে যাচ্ছে এবং প্রায় দ্বিগুন সময় লাগায় আগের মতো অতিরিক্ত ভাড়া ধরা যায় না। বর্ষাকালে তো এই দুর্ভোগ আরো চরমে উঠে যায়। যে সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী ও ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে সে সড়কটির কাজে কোন গতি এটি ভাবা যায় না। তাহলে আমরা কোন দেশে বসবাস করছি।  
 
সিএনজি চালক মোর্শেদ হোসেন, ইজিবাইক চালক আনোয়ার, ভ্যানচালক আব্দুল জলিলসহ অনেকেই বলেন, সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীরা এখন আর সব ধরণের গাড়িতে উঠতে চায় না। প্রতিদিনের আয় ক্রমেই কমে যাচ্ছে। রাস্তা ভালো থাকতে আগে যেখানে প্রতিদিন  ১হাজার থেকে ১২শ টাকা আয় হতো এখন সেখানে অর্ধেক করাই অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে। আমরা আর পারছি না। যারা এই সড়কের উপর নির্ভর করে জীবীকাহ নির্বাহ করে তাদের পরিবারেও অশান্তি দেখা দিয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে আগের মতো আর রোজগার না হওয়ায় সংসারে টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। সংসারের দৈনন্দিন খরচ, ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচ, ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি টানতে হিমসিমের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। যতই দিন দিন যাচ্ছে ততই সড়কে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিদিন এ সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছেই। অটোরিক্সা, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার কারণে বর্তমানে ব্যস্ততম এ সড়কে যান চলাচল কমে যাচ্ছে। এক সময় এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবহন চলাচল করলেও সড়কের বেহাল দশায় এখন এই পথে আর কেউ চলাচল করতে চায় না।
 
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, গত দুই থেকে আড়াই মাস কাজ বন্ধ থাকায় দরপত্র বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি পত্র দেয় হয়েছে। তবে ওই পত্র দেয়ার পর থেকে কাজের গতি বেড়েছে। যথাসময়েই কাজ শেষ বলে আশা করছি।

নওগাঁর সাপাহারে কৃষকরা ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে আমে

আতাউর শাহ্, নওগাঁ :  নওগাঁর সাপাহার উপজেলা এখন আমের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন এখানে প্রায় ৫ কোটি টাকার আম কেনা-বেচা হচ্ছে।

আজ থেকে অন্তত: ১০বছর আগে এই উপজেলায় বেশ কয়েক জন কৃষক তাদের ধানের উঁচু জমিতে ধান চাষাবাদের পরিবর্তে হাইব্রীড জাতীয় আমরুপলী আমের চাষ করে। ছোট ছোট এ সব গাছ রোপনের এক বছর পর হতেই গাছে আম ধরতে শুরু করে এবং আমের গুনগত মান অন্যান্য আমের তুলনায় বেশ ভাল হওয়ায় বাজারে বেশ চড়া দামেও বিক্রি হয় সাপাহারের আম।

সে থেকে একের পর এক কৃষক দিন দিন তাদের ধান চাষের জমির সংখ্য কমিয়ে আম চাষে মনোনিবেশ করতে থাকে। বর্তমানে সাপাহার উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৪শ হেক্টর জমিতে এই আমের চাষ করা হয়েছে। গত বছর আমের বাজার বেশ মন্দা গেলেও এবছর আমের বাজার বেশ চড়া। বর্তমানে প্রতিমন রুপালী (আমরুপলী) আম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ’টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এবছর এই উপজেলার কৃষকগন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল  কিছুটা হলেও সে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে আমে। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমের একমাস অতিবাহিত হলেও কাঙ্খীত কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকগন আমন আবাদ বাদ দিয়ে প্রতিযোগীতা মুলক ভাবে তাদের আমন চাষাবাদের জমিতে আম গাছ রোপন করেছে।

সাপাহার উপজেলার কৃষকগন যে হারে আমের বাগান তৈরী করে চলেছে তাতে করে আগামী দু’এক বছরে হয়ত এই উপজেলায় ধান চাষের জমি খুজে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। বর্তমানে সাপাহার উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী পোরশা, পত্নীতলা ধামইরহাট উপজেলার আমগুলিও কেনা-বেচা হচ্ছে সাপাহারে।

গত কয়েক বছর হতে সাপাহারে আমের বানিজ্য কেন্দ্র গড়ে উঠলেও এবছর তার পরিধি প্রায় দ্বিগুন হারে বেড়ে গেছে, দেশের চাপাই নবাবগঞ্জ, রাজধানী ঢাকা, ফরিদপুরের মাদারী পুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিং, বরিশাল,  ফেনি, নোয়াখালি, কুমিল্লাহ সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে শত শত আম ব্যাবসায়ী এসেছে নওগাঁ জেলার সাপাহারে। সাপাহার উপজেলার হাসপাতালের মোড় হতে গোডাউন পাড়া পর্যন্ত  প্রায় ২কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই শতাধীক আমের আড়ত গড়ে উঠেছে।

আড়তগুলি মেইন রাস্তার উভয় পার্শ্বে হওয়ায় প্রতিদিন সকাল ৯ টা হতে বেলা ৩টা পর্যন্ত রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকায় স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও জরুরী কাজে নিয়োজিত ্এ্যামবুলেন্স, বিভিন্ন অফিসের গাড়ী ও পথচারীরা পড়ছে বিপাকে। এই দুই কিলোমিটার রাস্তা পার হতে তাদের সময় লাগছে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা।সাপাহারে এবারে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩শ’কোটি টাকার আমের বানিজ্য হবে বলে আম ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা সহ স্থানীয় অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।

বর্তমানে সাপাহারে আমের বানিজ্য ব্যাপক আকার ধারণ করলে ভবিষ্যতে এই আম বানিজ্য কেন্দ্রটি আন্তর্জাতিক বাজারে রুপলাভ করার জন্য সর্বস্তরের ব্যাবসায়ীগণ ও বাগান মালিকগন সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার অভিযানে কোরিয়ার ৩২ কাটুন সিগারেটসহ আটক-২

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল (যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বিশেষ অভিযানে কোরিয়ার (ইজি স্পেশাল গোল্ড) নামে ৩২ কাটুন সিগারেটসহ স্বামী স্ত্রী আটক৷

বুধবার(১০/০৭/১৯)তারিখ বিকালে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন গাজীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভাড়া বাড়ি থেকে মোঃ জামাল হোসেন (৩৫)ও তার স্ত্রী মোছাঃ রুমা বেগম(২৭)কে ৩২ কাটুন সিগারেটসহ আটক করতে সক্ষম হয় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সদস্যরা ৷ আটক জামাল হোসেন গদখালি গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে৷

বেনাপোল পোর্ট থানার (এসআই) এইচ,এম লতিফ জানান, বেনাপোল পোর্ট থানাধীন গাজিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কোরিয়ার (ইজি স্পেশাল গোল্ড) নামে ৩২ কার্টুন সিগারেটসহ দুইজনকে আটক করি।আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে  বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

বিএসএফের গুলিতে বেনাপোলের গরু ব্যবসায়ী জখম

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার সময় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে ইসরাফিল (৩০) নামে এক গরু ব্যবসায়ী গুরুতর জখম হয়ে নাভারন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।বৃহস্পতিবার(১১জুলাই) ভোরে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাইল সীমান্তে সে গুলি বিদ্ধ হয়।আহত ইসরাফিল ইসলাম বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ছোট আঁচড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।আহতের পরিবার জানায়, গুলিতে আহত ইসরাফিলসহ কয়েকজন যুবক সীমান্ত পথে ভারত থেকে গরু নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। এসময় পুটখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের আংরাইল ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ইসরাফিল গুলি বিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকে। পরে সীমান্ত থেকে বিজিবি সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেছে।২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পুটখালী ক্যাম্পের স্ুেবদার মশিউর রহমান জানান, আহত গরু ব্যবসায়ীকে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা চিকিৎসা করাচ্ছেন। আহতের মা জাহানারা বেগম জানান, তার ছেলে ট্রাক চালায়। কদিন ধরে কাজ ভাল না থাকায় ভারতে গরু আনতে গিয়েছিল। ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে। জানতে পেরেছি বিজিবি তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছে। ২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, ইসরাফিল নামে এক যুবক ভারতে গরু আনতে যেয়ে বিএসএফ’র গুলিতে আহত হয়েছে। উদ্ধারের পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার নিজামুল ইসলাম বলেন, বিজিবি সদস্যরা ইসরাফিল নামে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

নওগাঁয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

প্রতিনিধি নওগাঁ: “জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর, প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনের মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান। বৃহষ্পতিবার সকালে শহরের সরকারী গনগ্রন্থাগার থেকে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়। পরে সিভিল সার্জন অফিস মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁর পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ড. কস্তুরী আমিনা কুইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সাবেক এমপি আব্দুল মালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, নওগাঁর পরিবার পরিকল্পনার সহকারী উপ-পরিচালক ডা. কামরুল আহসান টিপু সহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তরা জনসংখ্যা দিবসের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। পরে প্রধান অতিথি জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের পরিবার কল্যান সহকারী নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের রোকসানা খাতুন, শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যার পরিদর্শিকা মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যনন কেন্দ্রের নাহিদা সুলতানা, শ্রেষ্ট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে মান্দা উপজেলার তেঁতুলিযা ইউনিয়ন, শ্রেষ্ট উপজেলা মান্দা, শ্রেষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র উকিলপাড়া নওগাঁ, শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শফিকুর রহমান, শ্রেষ্ঠ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের মোজাম্মেল হক, শ্রেষ্ঠ বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (ক্লিনিক ভিত্তিক) বদলগাছী উপজেলার সূর্য়ের হাসি ক্লিনিক, শ্রেষ্ঠ বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (সিবিডি ভিত্তিক) ধামইরহাট উপজেলার সূর্য়ের হাসি নেটওয়ার্ক কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।


নওগাঁর পত্নীতলায় বিজিবি কর্তৃক গাঁজা উদ্ধার

মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ: নওগাঁর পত্নীতলায় ০১ কেজি ৩০০ গ্রাম ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-১৪ এর সদস্যরা। জানা গেছে, ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন পত্নীতলা (বিজিবি)র অধীনস্থ পাগলাদেওয়ান বিওপি'র টহল কমান্ডার হাবিলদার আলকাস এর নের্তৃত্বে একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত আনুঃ ১১.৩০ টায় সীমান্ত পিলার ২৭৩/২-এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রুপনারায়ন নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় ০১ কেজি ৩০০ গ্রাম ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। নওগাঁর পতœীতলা ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, উদ্ধার কৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ৪ হাজার ৫৫০ টাকা ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget