Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


সিয়াম সাধনার পর বাঁকা চাঁদ দেখেই ঈদুল ফিতর
নজরুল ইসলাম তোফা:: সারা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় এবং জাতীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই দিনটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমায় অনন্য। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার শেষেই শাওয়ালের 'বাঁকা চাঁদ' নিয়ে আসে পরম আনন্দ ও খুশির ঈদ। "আউদ" মূলশব্দ থেকেই আরবী শব্দটি ''ঈদ'' অর্থাৎ এ ঈদের প্রমিত বাংলা শব্দ হচ্ছে আনন্দ, খুশি বা আনন্দোৎসব। যা ফিরে ফিরে এসেই অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির ঘরে ঘরে ঈদ। এইটি ইসলাম ধর্মের রীতি হিসেবে গণ্য। ফিতর শব্দের অর্থ হচ্ছে রোজা ভাঙা বা খাওয়া। আসলেই ঈদুল ফিতরে ১ মাস রোজা থেকে আত্ম সুদ্ধি হয়।সেই আত্ম সুদ্ধির কাঠামোকেই ভেঙ্গে ফেলার চরম আনন্দ উৎসবকে "ঈদুল ফিতর" বলা যেতে পারে।সুতরাং "ঈদুল ফিতর" সারা বিশ্বের মমিন মুসলমান ধর্মাবলম্বীর দুটি ঈদের মধ্যে একটি ঈদ। ঈদ খুশির অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে ঈদের দিনে ঈদগাহে দুই রাকায়াত ওয়াজিব নামাজ পড়া। এমন এঈদের নামাজের ফজিলত সম্পর্কেই মহানবী বলেন, ঈদুল ফিতরের এই দিনে 'ফেরেশ্তারা' রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়েই চিৎকার করে বলে থাকেন:-- হে মুসলিম! নেককাজের ক্ষমতাদাতা এবং সাওয়াবের আধিক্য দাতা, আল্লাহ’র কাছে অতি শিগগির চলো। কারণ, তোমাদেরকে রাতে ইবাদতের হুকুম করা হয়েছিল, তোমরাই তো তা পালন করেছ, দিনে রোজা রাখার নির্দেশ করা হয়েছিল, অবশ্যই তোমরা তা যথাযথই করেছ। গরিব দুঃখিকে "আহার দান" করেছ, আজ তারই পুরস্কার গ্রহণ কর। তারপর মমিন মুসলমান যখন এমন ঈদের নামাজ পড়ে তখন এক ফেরেশ্তা উচ্চ স্বরে ঘোষণা করেন, তোমাদেরকে তোমাদেরই সৃষ্টিকর্তা দয়ালু প্রভু ভালোবাসার সহিত ক্ষমা করে দিয়েছেন। এখন তোমরাই পুণ্যময় দেহ ও মন নিয়ে তোমাদের ঘরে ফিরে যাও। সুতরাং এমন এদিনটির এতো গুরুত্ব বা ফজিলত আছে, সে হেতু মহান সৃষ্টি কর্তার উপহারের দিন হিসেবেই গণ্য করেন। সুতরাং ঈদুল ফিতরের এমন এ তথ্য গুলোর সন্ধান পাওয়া যায় তাবরানী শরীফের হাদিসে।
সিয়াম সাধনার পর বাঁকা চাঁদ দেখেই ঈদুল ফিতর

আসলেই মুসলিম উম্মার এই "ঈদ" প্রতি বছর চান্দ্র বর্ষ পঞ্জি অনুযায়ী রমজান মাসের নির্দিষ্ট তারিখেই নির্দিষ্ট রীতিতে এক অনন্য আনন্দ-বৈভব বিলাতেই যেন ফিরে আসে। এক মাস কঠোর সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নানা নিয়ম কানুন পালনের পরেই ফুর ফুরে মেজাজে উদ্যাপিত হয় ঈদুল ফিতর কিংবা রোজার ঈদ। গোটা রমজান মাস রোজা রেখে আল্লাহ ভীরু মানুষ তাঁর ভেতরের সব বদভ্যাস ও খেয়াল খুশিকে দমন করে এক রকমের বিজয় অর্জন করে। সকল দিক বিশ্লেষণেই ঈদুল ফিতরকে বিজয় উৎসব বলা যেতে পারে। আসলেই বলা যায় যে, ঈদুল ফিতরের প্রত্যেকটি অনুশাসনে ইবাদতের উপস্থিতি লক্ষণীয়। তাছাড়া এদিনে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে সত্যনিষ্ঠ জীবন এবং বলা যায় মানবতার বিজয়বার্তা। তবে প্রচলিত নিয়মে দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমেই দিনটিকে স্মরণীয় করার নাম ঈদ উৎসব।ঈদ আসলেই সাম্যের বাণী নিয়ে আসে। এদিন ধনী, গরীব, ছোট ও বড় সকলেই যেন কোনো ভেদাভেদ রাখে না। আল্লাহর দেওয়া এমন খুশিতে মেতে ওঠে সবাই। তাই এ দিন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী এবং গরীব-দুখীদেরকে স্মরণ করেই তাদের সাহিত মিলেমিশেই খুশি বন্টন করা উচিৎ। আবার বলতেই হয়, ঈদ কেবল একটি খুশির বা আনন্দ উদ্যাপনের দিন নয়। ঈদ একটি ইবাদতের নাম। এমন এ দিনটি আমলের জন্যই এক বিরাট নেয়ামত বৈকি। সুতরাং এইদিনে বিশেষ কিছু ইবাদত কিংবা আমল রয়েছে, যাতে অনেক 'পুণ্য লাভ' হয়। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, যে ব্যক্তি ৫ টি রাত জেগে ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। সেই রাত গুলো হলো-'জিলহজের রাত', 'আরাফার রাত', 'ঈদুল আজহার রাত', 'মধ্য শাবানের রাত' বা 'ঈদুল ফিতরের রাত'।সুতরাং ঈদুল ফিতরের রাতেই ঈবাদত করা অনেক পুণ্যময় ও খুবই তাৎপর্য পূর্ণ কাজ।

ঈদের স্বরূপ এবং তাৎপর্য বোঝার জন্য আল্লাহ তা আলা বলেছেন যে, রমযান মাসেই কুরআন নাযিল হয়, যা মানুষের জন্য হিদায়াত, সৎপথপ্রাপ্তির স্পষ্ট নিদর্শন এবং হক্ব-বাতিলের মধ্যেই তা পার্থক্যকারী। কাজেই তোমাদের যে কেউ এই মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই এর রোযা রাখে। কেউ পীড়িত হলে কিংবা সফরে থাকলে, তাকে অন্য সময়েই এ রোযা সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সহজসাধ্যতা চান, আসলেই কারও প্রতি কঠোরতা আরোপ করতে চান না এবং এই জন্যই যে, তোমরা সংখ্যা পূরণ করবে ও যাতে তোমরা আল্লাহর মহিমা বর্ণনা কর। তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত করেছেন। আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।’-সূরা বাকারা : ১৮৫ অতএব, রোজাদারের যে পরিচ্ছন্নতা বা পবিত্রতার সৌকর্যের দ্বারা আত্ম শুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, উদারতা, বদান্যতা, মহানুভবতা ও মানবতার অজস্র গুণাবলি দ্বারা উদ্ভাসিত হন, এর গতি ধারার প্রবাহ অক্ষুণ্ন রাখার শপথ গ্রহণেই "ঈদুল ফিতর" সমাগত হয় মমিন মুসলমানদের ঘরে ঘরে। তাই এ দিন যেন আনন্দধারা প্রবাহিত হয়। ঈদের দিনেই ধনী-গরিব কিংবা মালিক-শ্রমিকনির্বিশেষে সকল মুসলমানগণ এক কাতারেই মিলেমিশে ঈদের কোলাকুলি অথবা সাম্যের জয়ধ্বনি করে। তাদের মহামিলনেই পার্থিব সুখ-শান্তি, স্বস্তি কিংবা পারলৌকিক মুক্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আরবী শাওয়াল মাসের এক তারিখেই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ফলে এর আগের মাস তথা রমজান মাসের বিদায়ে নিশ্চিত হলেই ঈদুল ফিতরের দিনটি নিশ্চিত হয়ে যায়। আবার আরবী মাস যেহেতু চান্দ্র মাস, তাই চাঁদ দেখার ওপরেই ঈদের আগমনী বার্তা নির্ভর করে। তাই তো ''নতুন চাঁদ" দেখা মাত্র রেডিও টেলিভিশন এবং পাড়া-মহল্লার মসজিদের মাইকেই ঘোষিত হয় খুশির বার্তা—‘ঈদ মোবারক’। সেই সঙ্গে চারদিকে শোনা যায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত জনপ্রিয় রোজার ঈদের গান--
ও মন, রমজানের ঐ রোজার শেষে
এলো খুশীর ঈদ/
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে,
শোন আসমানী তাগিদ।

লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

আত্রাইয়ে এতিম শিশুরা পেল ঈদের নতুন পোষাক

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): নওগাঁর আত্রাইয়ে সামাজিক সংগঠন “আস্থা” এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এতিম কন্যা শিশুদের ঈদের নতুন পোষাক উপহার তুলে দেয় এসোসিয়েশনের সভাপতি নাঈম হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ। ঈদ উপলক্ষে নতুন পোষাক হাতে পেয়ে এসব শিশুদের চোখে দেখা দেয় আনন্দাশ্রু ।
 
রবিবার সকালে উপজেলার বান্দাইখাড়া মধ্যপাড়া হযরত আয়েশা (রাঃ) মহিলা নুরানী হাফেজিয়া  মাদ্ররাসা ও লিল্লাহ বোডিং এর ১৪জন এতিম কন্যা শিশুর মাঝে নতুন পোষাক দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ ফিরোজ হোসেন, মাসুদ রানা, সোহেল রানা, কামরুল, মাসুম প্রমুখ।

মাদ্রাসার সুপার ফিরোজ হোসেন বলেন আস্থার মত অন্যরাও যদি এগিয়ে আসেন এই এতিম শিশুদের সহায়তা করেন, আর একটু ভাল থাকতে পারে, হতে পারত অধিকতর সুখি।

আস্থা এসোসিয়েশন এর সভাপতি নাঈম হোসেন বলেন, গরিব অসহায় ও এতিম শিশুদের হাতে একটি নতুন পোষাক তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস এতিম শিশুদের মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। আগামীতে “আস্থা” এসোসিয়েশন এতিম ও পথ শিশুদের নিয়ে ব্যাপক পরিসরে কাজ করবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।

নওগাঁর বদলগাছীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধায় বদলগাছী কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
 
বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি  ফজলে হুদা বাবুল এর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মাষ্টার হাফিজার রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দিন, এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম রফিক, আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর মেয়র নজমুল হক সনি,জাহিদুল ইসলাম ধলু, মামুনুর রহমান রিপন,খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী, রবিউল আলম বুলেট, নওগাঁর সবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাকিতুল্লাহ সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম- সম্পাদক রেজাউন নবী সান্ডু, জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবদল নেতা জহরুল ইসলাম প্রমূখ।
 
আলোচনা সভা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আতœার শান্তি কামনায় ও দেশের গনতন্ত্র ফিরে পেতে দোয়া পরিচালনা করা হয়।

অসহায়, দুস্থ ও পথশিশুদের পাশে নওগাঁর স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন “আমরা কয়জন”
ব্যতিক্রমী উদ্দ্যোগ
আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: “এগিয়ে আসুন আমাদের সঙ্গে, আপনাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতা অনেকের মুখে হাসি ফুটাবে” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ১বছর আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে পথচলা শুরু করে নওগাঁর কয়েকজন স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “আমরা কয়জন”।
 
শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার  কয়েকজন স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী আদর, নাফিস, মোমিন, রামিম, তাসিন, সিয়াম, সামির, অনুপ্ত। এরা সবাই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এরা শহরের বিভিন্ন স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ১বছর আগে একদিন সবাই চিন্তা করলো কিভাবে সমাজের অসহায়, দুস্থ ও পথশিশুদের পাশে দাড়ানো যায়। সারা বছর না হোক মুসলমানদের দুটি বড় ধর্মীয় উৎসব দুই ঈদে অনন্ত তারা এই সব মানুষদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় তা নিয়ে ভাবতে বসে সবাই। তখন সবাই সিদ্ধান্ত নিলো যে তারা পরিবারের কাছ থেকে যে অর্থ হাত খরচ করার জন্য পায় তা থেকে বাঁচিয়ে এবং নিজের পরিবার ও এলাকার কিছু হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহায়তা নিলে তারা এই সব মানুষের জন্য কিছু করতে পারবে। তখন তারা নিজের পরিবারের  ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় “আমরা কয়জন” নামে একটি সংগঠন দাঁড় করায়। তখন থেকেই পথ চলা স্কুল পড়–য়া কজন শিক্ষার্থীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ আমরা কয়জন”। তাদের এই কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের সদস্য সংখ্যা।
সংগঠনের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর নিজেদের হাত খরচ বাঁচিয়ে ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় দুই ঈদে এলাকার কয়েকশত অসহায়, দুস্থ এবং পথশিশুদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী হিসেবে পোষাক বিতরন কর্মসূচির আয়োজন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সকালে শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া (কলোনী) সরকারি প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গনে প্রায় ৩শত ৫০জন অসহায়, দুস্থ ও পথশিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোষাক বিতরন করা হয়। ও অন্যান্য সদস্যদের আয়োজনে এবং মো: আবু ওয়াহিদ হোসেন (আলাল) ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সহযোগিতায় এই বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কায়েস উদ্দিন, মুহুরী মুজিবর রহমান, রুহুল আমীন, রাজু, হুমায়ন, সোহাগ প্রমুখ।
 
সংগঠনের অন্যতম সদস্য আদর জানায় আমরা বন্ধুরা অবসর সময়ে বসে বসে ভাবতাম যে সমাজের অসহায়, দুস্থ্য ও পথ শিশুদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায়। তখন আমরা কজন বন্ধু এই সংগঠনের চিন্তা করি। কারণ একক ভাবে কখনো বড় কিছু করা সম্ভব নয়। তাই আমরা এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করি। এখন আমরা শিক্ষার্থী। তাই আমাদের অর্থের পরিধিও সীমিত। কিন্তু একদিন আমরা লাখ লাখ অসহায়, দুস্থ্য ও পথ শিশুদের পাশে শুধুমাত্র ঈদে নয় সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। তাই কোন ব্যক্তি কিংবা কোন সংগঠনের সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের এই কার্যক্রমকে আরো বড় পরিসরে বিস্তার ছড়িয়ে দিতে চাই। এই বছর আমরা ৫০হাজার টাকার নতুন পোষাক এলাকার অসহায়, দুস্থ্য ও পথ শিশুদের মাঝে বিতরন করেছি আগামীতে এর চেয়ে অনেক বেশি পোষাকসহ অন্যান্য উপকরন বিতরন করতে চাই। আগামীর জন্য আমাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা চাই।
 
সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মো: আবু ওয়াহিদ হোসেন (আলাল) বলেন আমার ছেলে আদরসহ তার কয়েকজন বন্ধুরা একদিন আমার কাছে এই বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসে। আমি তখন তাদেরকে ধন্যবাদ দিই যে এই রকম ভালো কাজ করার ধারনা তাদের মাথায় এসেছে। আমি তাদের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। এছাড়াও প্রতিবছর তাদের এই কার্যক্রমের সঙ্গে আমিও জড়িত থাকার চেষ্টা করে আসছি। আমি তাদেরকে আমার সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসছি। আমি চাই তাদের এই সংগঠনটি একদিন সারা দেশে তাদের কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দিক।

“আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯ এ” নওগাঁর সেলিম মুগ্ধ করে আসলেন ভারতের হাজারো দর্শককে

মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ: নওগাঁর তরুন নৃত্য শিল্পী শহিদুল ইসলাম সেলিম বাংলাদেশে ছাড়িয়ে এবার আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯ এ নৃত্য পরিবেশন করে হাজারো দর্শককে মনোরঞ্জন করে পুরস্কার নিয়ে আসলেন ।
 
নওগাঁর শহরের কালীতলা মহল্লার আব্দুস সাত্তার এর ছেলে শহিদুল ইসলাম সেলিম “নওগাঁর নৃত্যাঞ্জলি একাডেমি“র পরিচালক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন নিয়মিত নৃত্য শিল্পী।
 
ইতি মধ্যেই এ তরুন  নৃত্য শিল্পী বাংলাদেশ টেলিভিশন এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছেন।
“আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯ এ” নওগাঁর সেলিম মুগ্ধ করে আসলেন ভারতের হাজারো দর্শককে

কিন্তু এবার বাংলাদেশ ছাড়িয়ে “আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯“ ভারতের কলকাতা শহরের “আই সিসি আর সত্যজিৎ রায় হল রুমে“ অনুষ্ঠিত নৃত্য অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকাসহ “বাংলাদেশের ফোক নৃত্য“ পরিবেশন করেন। ৩০মে অনুষ্ঠিত শহিদুল ইসলাম সেলিম এর “বাংলাদেশের ফোক নৃত্য“ পরিবেশন করা দেখে হাজারো দর্শক মুগ্ধ হন। ভারতের কলকাতায় “আই সিসি আর সত্যজিৎ রায় হল রুমে“ অনুষ্ঠিত “আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯“ পরিচালনা করেন, ভারতের কলকাতার “কর্থক নৃত্য শিল্পী গোষ্টী“র সুনামধন্য শিল্পী সোমা ঘোষ।

নৃত্য (নাচ) শিক্ষার গুরুজন লিখন রায়, নাদিয়া আহম্মেদ, ইভান, সাহরিয়ার সোহাগ ও আশিকুজ্জামান রিপন এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নৃত্য শিল্পী শহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত হয়েছি। কারন, ভারতের কলকাতা শহরের হাজারো লোকজন আমার নৃত্য দেখে উল্লাস প্রকাশ করেছেন, আর আমি নিজেও আমাদের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত “আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯“এ নৃত্য পরিবেশন করতে পেরে খুবই আনন্দ পেয়েছি। 

উল্লেখ্য, কলকাতায় “আই সিসি আর সত্যজিৎ রায় হল রুমে“ অনুষ্ঠিত “আন্তর্জাতিক ফ্যাষ্টিভেল নৃত্য উৎসব-২০১৯“ অনুষ্ঠানে ভারতের চেন্নাই, বেঙ্গালোর, হায়দারাবাদ ও মুম্বাই সহ মোট ১৫ টি স্থান থেকে শিল্পীরা অংশ গ্রহন করেন। 

শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে নওগাঁয় ঈদ বাজার

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে নওগাঁয় ঈদ বাজার। শহরের দেওয়ান বাজার, শুভ প্লাজা, গীতাঞ্জলী শপিং কমপ্লেক্স, ঠিকানা, বুটিক, ঠাকুর ম্যানসন, পোরশা মার্কেট, ক্রিসেন্ট মার্কেট, বিসমিল্লাহ টাওয়ার, শিলামণি গার্মেন্টস, জোসনার ফুল দোকান গুলোসহ প্রায় দেড়শ তৈরী পোষাত ও শাড়ীর দোকান গুলোতে বিপুল পরিমান তৈরী পোষাকের সমাহার। এসব দোকান ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। তারা তাদের পছন্দের পোশাক দেখছেন ও কিনছেন। শুধু বড় বড় দোকান গুলোতেই নয়। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটায় জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানেও।
এবার ঈদে তরুনীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ঘারারা, গাউর, লংফ্লট, লংস্কাট, শর্ট স্কাট, টপস, ফ্লোরটাচ, ডিভাইডার, জিপসী, ইত্যাদি থ্রিপিচ পাওয়া যাচ্ছে। এবারের ঈদ বাজারে পোশাকের নতুনত্ব এসেছে। ক্রেতারও পছন্দমতো কেনাকাটার করছেন। দামও সাধ্যের মধ্যে। দ্রব্যমুল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে হওয়ায় কেনাকাটা করতেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন ক্রেতারা।
শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে নওগাঁয় ঈদ বাজার

তরুনদের ক্ষেত্রে ঈদে পছন্দের তালিকায় পাঞ্জাবী ও প্যান্ট। এ বছর তরুনদের পাঞ্জাবী’র চাহিদায় রয়েছে শর্ট পাঞ্জাবী, সেরওয়ানী পাঞ্জাবী, সেমি লং পাঞ্জাবী, লং পাঞ্জাবী এবং ভারতীয় পাঞ্জাবির দোকানে বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়। আগামী চাঁদরাত পর্যন্ত এ ভীড় থাকবে। তবে ব্যাপক বেচাকেনার আশায় বুক বেঁধে বিপুল পরিমান পশরা সাজিয়ে রাখলে ও প্রথম দিকে বেচাকেনা ছিল না।
 
তবে দোকানীরা বলছেন, ধানের ধাম কম হওযায় প্রথম দিকে বেচাকেনা খারাপ ছিল। ধানের দাম কম হওযায় বাহির থেকে লোকজন আসতে পারতিছেনা ফলে শহরের লোকজনদেরকে নিয়ে বেচাকেনা চলছে। তবে শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে ও ভালো বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন দোকানীরা।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget