বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধন মুক্তিযোদ্ধের সময় যেমন ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে --খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁর নিয়ামতপুরে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী ছাত্রীনিবাস উদ্বোধনকালে
মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ: বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর বন্ধন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় যেমন ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় ভারত আমাদের ঘর-বাড়ী, সহায় সম্বল হারা প্রায় এক কোটি বাঙ্গালীকে আশ্রয় দিয়ে, তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, আমরা তা আজও মনে প্রাণে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি আমাদের শুধু আশ্রয় দেননি, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধে সৈন্য, অস্ত্রদিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। সে সময় বাংলাদেশ-ভারত যে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, আজও তা অটুট রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শাংশৈল আদিবাসী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ছাত্রীনিবাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজত জনসভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়া মারীয়া পেরেরার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গলী দাস, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন পিপিএম, ভারতীয় হাই কমিশনের ফাষ্ট সেক্রেটারী (পলিটিক্যান) নবনিতা চক্রবর্তী, সহকারী ভারতীয় হাই কমিশনার (রাজশাহী) সঞ্জিব কুমার ভাটি, খাদ্যমন্ত্রী একান্ত সচিব উপ-সচিব সহিদুজ্জামান, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, এলজিইডি নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী নাইম উদ্দিন মিয়া, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান অতিথি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা বরেন্দ্র এলাকা। এখানকার মানুষের বড় সমস্যা বিশুদ্ধ খাবার পানি। ভারত সরকার সেই বিশুদ্ধ খাবার পানির সমস্যা দূর করার জন্য ৪শটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। আমি আশা করবো ভারতে যেই সরকার গঠন করুক বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের কোন অবনতি হবে না। বরং দিন দিন তা উন্নতীর দিকে যাবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা সাপাহার উপজেলায় একটি স্থলবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত সরকার তাতে সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য ভারতের ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতায় নিয়ামতপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজে ৪তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট দোতলা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ছাত্রীনিবাস এবং শাংশৈল আদিবাসী স্কুল এন্ড কলেজে দোতলা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ছাত্রীনিবাস নির্মান করা হয়।