Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ফজলে রাব্বী চেয়ারম্যান, নাজমুল হক মন্টু সেক্রেটারী
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নওগাঁ জেলা ইউনিটের সাধারন সভা ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধি নওগাঁ: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নওগাঁ জেলা ইউনিটের সাধারন সভা (ওজিএম) ও কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রেড ক্রিসেন্ট নওগাঁ ইউনিটের চেয়ারম্যান এ্যাড: এ,কে,এওম ফজলে রাব্বী। শুক্রবার সকালে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে নওগাঁ সদর আসনের সাবেক এমপি ও ইউনিটের আজীবন সদস্য আব্দুল মালেক, আজীবন সদস্য ও জেলা পরিষদের সচিব আ,ত,ম আবদুল্লাহিল বাকী, আজীবন সদস্য ও জেলা বার এ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি এ্যাড: সরদার সালাহ উদ্দীন মিন্টু, আজীবন সদস্য ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড: ডি,এম আব্দুল বারী, আজীবন সদস্য মাষ্টার হাফিজুর রহমান, নওগাঁ ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইব্রাহিম হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নওগাঁ ইউনিটের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এ্যাড: এ,কে,এম ফজলে রাব্বী। সর্ব সম্মতিক্রমে সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহফিজার রহমান ভাইস চেয়ারম্যান, এ,কে,এম নাজমুল হক মন্টু সেক্রেটারী, কার্যকরী সদস্যরা হলেন: আলহাজ্ব ডা: মো. হাবিবুর রহমান, বিভাষ মজুমদার গোপাল, দেওয়ান আলী আকবর, শ্রী প্রতাপ চন্দ্র সরকার ও জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির সাবেক সভাপতি ও ইউনিটের আজীবন সদস্য আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম। সহকারী নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন, আজীবন সদস্য ও জেলা বার এ্যাসোসিয়েশানের সভাপতি এ্যাড: সরদার সালাহ উদ্দীন মিন্টু ও আজীবন সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন। নওগাঁ ইউনিটের মোট সদস্য সংখ্যা ৯২৪ জন। পরে অনুষ্ঠানের সভাপতি ১৯৭৬ সালে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাতজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদেরকে সন্মমনা ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

নওগাাঁ আত্রাইয়ে দুই হাজার পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ):  নওগাঁর আত্রাইয়ে দুই হাজার পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ খায়রুল ইসলাম  (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে আত্রাই থানা পুলিশ । শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের শুঁটকিগাছা বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত খাইরুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার জমিনপুর গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের ছেলে।
 
এ ব্যাপারে আত্রাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মোবারক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে খাইরুল ইসলাম মটরসাইকেল যোগে ইয়াবার একটি চালান নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোস্তাফিজুর ও এস আই সুতসোম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউনিয়নের শুঁটকিগাছা বাজার এলাকায় তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ ও মটরসাইকেলের সিটের নিচে থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে আত্রাই থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 

গণহত্যায় নওগাঁ
নওগাঁয় ৬৭টি গণকবর চিহ্নিত

১৯ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'গণহত্যা ১৯৭১ : নওগাঁ' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হতে যাচ্ছে
নওগাঁ প্রতিনিধি : মুক্তযুদ্ধ চলাকালে সারা দেশে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করে গণকবর দেয়। নির্মম সেই সব গণহত্যার সাক্ষী পুরো দেশ। ১৯৭১ সালে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে গণহত্যার ইতিহাস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করছে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ। সংগঠনটির কর্মীরা এ পর্যন্ত নথিবদ্ধ করেছেন জেলার ৬৭টি গণহত্যার বিবরণ।
 
নওগাঁয় ৬৭টি গণকবর চিহ্নিত
একুশে পরিষদের কর্মীদের নিজস্ব অনুসন্ধানে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত আর ভাষ্য নিয়ে 'গণহত্যা ১৯৭১ : নওগাঁ' শিরোনামে একটি গ্রন্থের সম্পাদনার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে বলে জানান, একুশে পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রউফ পাভেল।
আব্দুর রউফ পাভেল বলেন, একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। নয় মাসের যুদ্ধে পুরো বাংলাদেশ ছিল যেন বধ্যভূমি। পাকিস্তানি সেনা আর তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামসরা নিরস্ত্র বাঙালিকে যেখানে-যেভাবে পেরেছে হত্যা করেছে। কোথাও কি লেখা হয়েছে সেই শহীদদের নাম, তাঁদের আত্মত্যাগের বিবরণ নিঃসন্দেহে, কাজটা বেশ কষ্টসাধ্য। ২০১০ সালে প্রায় অসম্ভব সেই কাজটাতেই হাত দেয় একুশে পরিষদ নওগাঁর কর্মীরা। দীর্ঘ ৯ বছর কাজ চলে তথ্য সংগ্রহের। জ্ঞানে-অজ্ঞানে ঝাপসা হয়ে আসা বা ঝাপসা করে দেওয়া অধ্যায়গুলোকে একে একে একুশে পরিষদ তুলে ধরছে নতুন প্রজন্মের কাছে।
 
সংগঠনের সভাপতি ডিএম আবদুল বারী বলেন, নওগাঁয় এখন পর্যন্ত ৬৭টি বধ্যভূমি বা গণহত্যার স্থান চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু বধ্যভূমির স্থান চিহ্নিত করেই কাজ শেষ করছে না একুশে পরিষদ গণহত্যার তারিখে ওই স্থানে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আলোচনা, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে একুশে পরিষদ স্থানটিকে এলাকাবাসী এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন বাঙালির সবচেয়ে গর্বের ইতিহাস। গৌরবজ্জ্বল সেই ইতিহাসের স্বাক্ষী দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য গণকবর। মুক্তিযুদ্ধে সময় সংগঠিত গণহত্যার অনেক স্মৃতিচিহ্ন এখনও চিহ্নিত হয়নি। তরুণ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা থেকেই ২০১০ সাল থেকে একুশে পরিষদ নওগাঁর জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন গণকবরগুলো চিহ্নিত করা এবং ওই সব স্থানে গণহত্যা দিবস পালনের কাজ শুরু করে।
 
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও 'গণহত্যা ১৯৭১ : নওগাঁ'র সম্পাদক মেহমুদ মোস্তফা রাসেল বলেন, বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আমাদের কাজটি করতে হয়েছে। প্রথমত ১৯৭১-এর ঘটনার সাক্ষী ছিলেন যাঁরা তাঁদের অনেকেই আর বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছেন সময়ের প্রবাহে ও বয়সের ভারে অনেক কিছুই ভুলে গেছেন। দ্বিতীয়ত অনেকেই ইচ্ছা করে বা অজ্ঞতায় ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন। যেমন নওগাঁর পতœীতলার হালিমনগর গণহত্যার কথাই যদি ধরি ২০০১ সালের দিকে পতœীতলার স্থানীয় সংবাদিকদের লেখালেখির সূত্র ধরে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। এ সময় কিছু লোক আমাদের জানায়, এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আমরা ফিরে আসি। অবশেষে ২০১১ সালে আমরা খুঁজে পাই সেই গণহত্যার ঘটনায় আহত গুলু মুর্মুকে। তাঁর সূত্র ধরে দেখা মেলে ওখানে যাঁদেরকে দিয়ে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল সেই আমিনুল, সাইফুলকে। তাদের বর্ণনায় ১৯৭১ সালে পতœীতলার নির্মইল ইউনিয়নের হালিমনগর গ্রামে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল তাতে ২০ জন আদিবাসীসহ অন্তত ৫০ জন শহীদ হন। ২০ জন আদিবাসীর পরিচয় উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি, কারণ তাঁরা ছিল ভিন্ন স্থান থেকে ধান কাটতে আসা মানুষ এবং সাঁওতালপল্লীতে লুকিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধা। এমনি করে একুশে পরিষদ নওগাঁর কর্মীরা নথিবদ্ধ করেছেন জেলার ৬৭টি গণহত্যার বিবরণ। এসব তথ্য-উপাত্ত আর ভাষ্য নিয়ে 'গণহত্যা ১৯৭১ : নওগাঁ' শিরোনামে একটি গ্রন্থ একুশে পরিষদ প্রকাশ করতে যাচ্ছে আগামী ১৯ এপ্রিল। জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
 
একুশে পরিষদের সংগঠনিক সম্পাদক বিষনু কুমার দেবনাথ বলেন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর যাত্রা শুরু করে ১৯৯৪ সালে। নওগাঁর কিছু প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্রনেতা, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বেশ কিছু মানুষ মিলে একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে গঠিত হয় একটি সংগঠন। তখন সেই সংগঠনের নাম হয় ‘একুশে উদযাপন পরিষদ’। পরে মূলত কাজের ব্যাপ্তির দিকে লক্ষ্য রেখে সবার মতামতের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে নামকরণ করা হয় 'একুশে পরিষদ নওগাঁ।'
 
একুশে পরিষদের স: সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন লিটন বলেন, এই গ্রন্থে উঠে আসছে নওগাঁ সদরের ধামকুড়ি, পার-নওগাঁ মধ্যপাড়া, পার-নওগাঁ, মোহনপুর, দোগাছি, পার- বোয়ালিয়া, খাগরকুড়ি, নওগাঁ স্টেডিয়ামপাড়া, শেখপুরা, ফতেপুর গড়েরহাট, খাস-নওগাঁ, বলিহার চকদেব পাড়া, আরজি-নওগাঁ, হাট-নওগাঁ; মহাদেবপুর উপজেলার দেবীপুর, মহিষবাথান, মহাদেবপুর, নদীর পূর্বপাড়, আখেরা ও সিদ্দিকপুর, বাজিতপুর ও চকদৌলত; বদলগাছি উপজেলার কোলাহাট, ঐতিহাসিক পাহাড়পুর, ডাঙ্গিসার, গয়েশপুর, সেনপাড়া, লাবণ্য প্রভা; মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়া, কবুলপুর, দেলুয়াবাড়ি-কিত্তলী, মনোহরপুর; পতœীতলার হালিমনগর, মধইল গণহত্যা, আমন্ত, গগনপুর, দুর্গাপুর (জঙ্গলপাড়া), নজিপুরচর, মোবারকপুর; আত্রাই উপজেলার তারাটিয়া, মহাদীঘি, জালুপোঁতা-কচুয়া, পাইকড়া, সিংসাড়া, মিরাপুর, বেড়াহাসন, শিমুলিয়া, বান্দাইখাড়া, বাউল্লাহ, তারানগর, গোয়ালবাড়ি, বৈঠাখালী; রাণীনগর উপজেলার বড়বড়িয়া, আতাইকুলা, হরিপুর (রানী ভবানী জঙ্গল); ধামইরহাট উপজেলার কুলফতপুর, পাগল দেওয়ান, ফার্সিপাড়া; নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা, কারালিপাড়া (সোনারপাড়া); সাপাহার উপজেলার সাপাহার, কুচিন্দা, আশড়ন্দ, কল্যাণপুর, আইহাই, রসুলপুর সীমান্ত, পাহাড়িপুকুর; পোরশা উপজেলার শিশার গণহত্যার ঘটনাবলি।
 
একুশে পরিষদ এই প্রয়াস সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নওগাঁ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার হারুল-অল-রশিদ বলেন, একুশে পরিষদ যে কাজ করছে নিঃসন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু গণকবরগুলো শুধু চিহ্নিত করলেই হবে না। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও অনেক গণকবরই সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এগুলো সংরক্ষণ করা প্রশাসনের দায়িত্ব।

 বেনাপোলে ভারতীয় রুপীও ইউএস ডলারসহ আটক-২
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরে বেনাপোল সীমান্তে পাচারের সময়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা ১৭লাখ ১৪ হাজার ৫০০ ভারতীয় রুপি এবং ২৩ ইউএস ডলারসহ ইকবাল হোসেন (৩৯) ও জাকির হোসেন (৩৮) নামে দু’ মুদ্রা পাচারকারীকে আটক করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বেনাপোল আমড়াখালী বিজিবি চেকপোষ্টে রয়েল পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৮৭৯০) ঢাকাগামী একটি এসি বাসের-আই-১,২ নাম্বার সিটির যাত্রীর দেহে তল্লাশী এ বিপুল পরিমানের রুপীও ডলার জব্দ করা হয়। আটক ইকবাল হোসেন ফরিদপুর জেলার আলফাডাংগা, বজরা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলেও জাকির হোসেন ঢাকা যাত্রাবাড়ি আগামসি এলাকার আজিম মিয়া ছেলে।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সেলিম রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বেনাপোল আমড়াখালী বিজিবি চেকপোষ্টে একটি দুরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীর দেহে তল্লাশী করে এ বিপুল পরিমানে রুপীও ডলার জব্দ করা হয়। পরে তাদের নামে অর্থ পাচারের মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের নিকট হস্তন্তর করা হয়েছে।

 সাদিপুর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোাল সীমান্তবর্তী গ্রাম সাদীপুর সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে বৃহস্প্রতিবার ২৮শে মার্চ সারা দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী শেষে বিকালে সাদিপুর বিদ্যালয়ের মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

বেনাপোল সাদিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সীমান্ত প্রেসক্লাবের  আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন।

বিভিন্ন দেশীয় খেলাধুলায়ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথী বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অফিসার তৌহিদুর রহমান, বিশেষ অতিথী সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের  সভাপতি সাহিদুল ইসলাম শাহিন,সেক্রেটারী আয়ব হোসেন পক্ষী।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সীমান্ত প্রেসক্লাবের সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক তামিম হোসেন সবুজ ও দৈনিক অর্নিবানের ফটো সাংবাদিক মুক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশেষ অতিথী সাদিপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহাদুজ্জামান বকুল। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিলেন  সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সেন্টু,প্রচার সম্পাদক রাসেল ইসলাম, সহঃ প্রচার সম্পাদক সেলিম রেজা তাজ, সদস্য লোকমান হোসেন রাসেল, সবুজ মাহমুদ,সাদিপুর ওয়ার্ডের সমাজ সেবিকা জেসমিন আক্তার, যুবলীগের সাদিপুর ওয়ার্ড সভাপতি শফি সরদার, সেক্রেটারী শরিফুল ইসলাম, কলারোয়া ছাত্রলীগের সভাপতি  ইমরান সরদার,আরিফ,সজন, ফরহাদ, হাবিব, রনি, রায়হান ,মিঠু সহ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

বেনাপোল বাজারে  ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযান  নগদ অর্থ জরিমানা
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোল বাজারে খাবারের অযোগ্য মেয়াদউত্তীর্ন খাবার, লাইসেন্স বিহীন, ট্রেড লাইসেন্স ও ফুড লাইসেন্স বিহীন এবং ফুটপাতে সরকারী রাস্তায় ব্যবসা করার অভিযোগে ভ্রাম্যমান  আদালত অভিযান চালিয়ে ৩৯৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় শার্শা এ্যাসি ল্যান্ড মৌসুমি জেরিন কান্তা অভিযান শুরুকরে বেলা ২ টার সময় শেষ করেন।তিনি বেনাপোল বাজারে নির্দিষ্ট জায়গায় মাংসের দোকান থাকা সত্বেও সেখানে বিক্রি না করে প্রধান সড়কের উপর ধুলাবালির ভিতর মাংশ বিক্রির অপরাধে ৩ জনকে কনফেকশনারী ও ফুটপাতের রাস্তার উপর ফল বিক্রি করার অপরাধে ৩ জনকে ও সফি ষ্টোর নামে একটি মুদি দোকানের মালিককে সহ ৩৯৯০০০ টাকা জরিমানা করে।
ভ্রাম্যমান আদলতের অভিযান  নগদ অর্থ জরিমানা

শফি ষ্টোরের ঐ মুদি দোকানে মেয়াদউত্তীর্ন মালামাল পাওয়ার অভিযোগে তাকে একাই বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে। বাকি অন্যান্যদের ২/৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।এ সময় এসিল্যান্ডের সাথে ছিলেন, বেনাপোল পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা খাতুন, বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

শার্শা উপজেলা এসিল্যান্ড মৌসুমি জেরিন কান্তা বলেন, খোলা আকাশের নীচে রাস্তার উপর ধুলাবালির ভিতর মাংশ বিক্রি,মেয়াদ উত্তীর্ন খাদদ্রব্য, মানুষ ও যানবাহন চলাচল রাস্তার উপর ফল বিক্রি করার অপরাধে তাদের ভ্রাম্যমান আদলতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। নির্দিষ্ট পরিমান কেউ জরিমানা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের তিন মাস কারাদন্ডের বিধান রয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget