Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টরালেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন এই বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সরকারের ম্যান্ডেট। সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের এই ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সকলকে সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।  জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে “সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টি সম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই” শিরোনামে আয়োজিত আলোচনাসভায় নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাশিদুল হক, সিভিল সার্জন ডাঃ মোমিনুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মাহবুবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির-এর পরিচালক মোঃ আব্দুল খালেক, বিয়াম ল্যাবটেরী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শরিফুর রহমান, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েস উদ্দিন এবং জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী রাকিবুল হাসান বক্তব্য রাখেন। 
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ খাদ্যে ইতিমধ্যেই স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করেছে। এখন আমাদের আন্দোলন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করত না পারলে সুস্থ্য জাতি গঠন সম্ভব নয়। কাজেই সরকার এ লক্ষ্যে ব্যপক কাজ শুরু করেছে। দেশে ৪৬৫টি কমিটি এই কার্যক্রম তদারক করছে। জেলা পর্যায়ে এমন কি উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের তদারকি অব্যহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন দেশের প্রচুর সংখ্যক মানুষ হোটেল রেষ্টুরেন্টে তাঁদের প্রাত্যহিক আহার সম্পাদন করেন। এই কারনে হোটেল রেষ্ট্ররেন্টসমূহে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সারাদেশে  হোটেল রেষ্টুরেন্টগুলো গ্রেডিং করা হচ্ছে। এগুলোতে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন সব কিছুই শুরু করার সময় একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে। তবে শুরু করলে এক সময় এর সুফল পাওয়া যায়। এই সুফল অর্জনে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ সকলকে সহযোগিতা প্রদান করার মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এর আগে সকাল ৯টায় সদর খাদ্য গুদাম থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এই র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। র‌্যালীটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী, ব্যবসায়ী, শিক্ষ শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় মিষ্টি কুমড়ার নায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পোকায় নষ্ট করায় ফলন ভাল হয়নি। তারপরও বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষকের খরচ উঠছে না। বাজার মূল্য কম থাকায় এ চাষে কৃষক নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ উপজেলায় আগামী বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ কমে যাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

মিষ্টি কুমড়া একটি লাভ জনক ফসল। অল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় শার্শার কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক চাষ হয়ে আসছিল। উপজেলার সদর, বাগআঁচড়া ও কায়বা ইউনিয়নে এ চাষ বেশি হয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা কৃষকের জমিতে গিয়ে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে চাওয়ায় কৃষকরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।

কুমড়া চাষীরা বলছেন, চলতি বছরে এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪/৫ হাজার টাকা আর বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা। এ লোকশান কাটিয়ে উঠতে কৃষককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার যদি কুমড়া চাষীদের দিকে একটু নজর না দেয় তাহলে এ চাষ আগামীতে কম হবে। তবে সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে শার্শায় দেশের সব চেয়ে বেশি মিষ্টি কুমড়ার চাষ হবে এমন টাই আশা করা যায়।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল জানান, শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৯০ হেক্টর জমিতে এ মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ করেছে এবং ফলন খুব ভাল হয়েছে যার জন্য উৎপাদনটাও ভাল হচ্ছে। আড়াই থেকে তিন মাসের মাথায় ২৫/৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছে। যার জন্য কৃষকের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি হচ্ছে। বাজারে যেহেতু অন্যান্য শীত কালীন সবজি উঠে গেছে, তাই এই মুহুর্ত্যে বাজারে কুমড়ার দাম কিছুটা কম। ফল ছিদ্রকারী মাছি পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি সেক্সফ্রোমন ফাঁদসহ অন্যান্য ফাঁদের মাধ্যমে এ পোকা দমন করার জন্য। কৃষকও আগ্রহ প্রকাশ করছে ব্যবহারের জন্য। তবে আগামী বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

মাসুদ রানা, পত্নীতলা (নওগাঁ): নওগাঁর পত্নীতলায় ইরি-বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণিরা। শীত উপেক্ষা করে এখন দিন-রাত জমিতে সেচ দেয়া, জমিতে চাষ দেয়া, বীজতলা থেকে চারা তোলাসহ বোরো ধান চাষের নানান কাজে এখন ব্যস্ত তারা।তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ করে বাম্পার ফলনের মধ্য দিয়ে তারা আগের ক্ষতিগুলো পুষিয়ে নিতে চান। এদিকে কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেক কৃষক অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলার নাদৌড়  গ্রামের কৃষক সামসদ্দীন ঁজানান ৬ বিঘা জমিতে বোরা চাষ করছেন তিনি  কাটারী জিরা ,বাবু জিরা  ইরি ৫৮ জাতের ধান রোপন করছেন তিনি আরও জানান প্রতি বিঘা জমিতে সেচের দাম ১ হাজার ৬ শত  ধান লাগানো বাবদ মজুরী ১ হাজার সার ষি আছে সব মিলে   প্রায় ৭ হাজার টাকা খরচ হবে  ধানের দাম যদি বাড়ে তাহওে লাভ হবে না হলে আবার ক্ষতির মুখে । সামসদ্দীন সহ  অনেক চাষী জানান, গত ২ বছর যাবত ধানের মূল্য না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে ভুট্টা, আলু ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, গতবছর রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ও শৈত্য প্রবাহের কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় তাদের চড়া দামে চারা কিনতে হয়েছিল। তবে বর্তমানে চারা থেকে শুরু করে ডিজেল ও সারের সংকট না থাকায় বিভিন্ন মাঠে বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ ইতোমধ্যেই  ব্যপক ভাবে শুরু হয়েছে ।কৃষকেরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর অনেক কৃষক তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করেও চারা বিক্রয় করতে পারবেন কৃষকেরা । উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮১ হাজার ১৮৫ মে: টন ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার  জানান , আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। বীজতলা থেকে শুরু কওে ধান কাটা মারা পর্য›ত কৃষকদের পাশে থাকবে কৃষি বিভাগ  কষকেরা যেন ধান চাষে কোন সমস্যা না হয়  এ জন্য র্সাবক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ ।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে শুরু হয়েছে বোরো চাষাবাদ। এখন মাঠে মাঠে জমি প্রস্তুতি ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক সমাজ।

তবে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অপরদিকে, লোকসান ঠেকাতে আগামী বোরো ক্রয় মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবী জানান তারা।

চাষীরা জানান,শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পযন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুতি ও চারা রোপনের ব্যস্ততা।

কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলামকে বলেন, গভীর নলকুপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমি তৈরী করতে নলকুপের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে। অপরদিকে বিদ্যুতের মাঝে মাঝে ভেলকিবাজী চলছে। দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সাথে রয়েছে বিদ্যুতের লো-ভেল্টেজ। গভীর নলকুপ থেকে ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় জমি প্রস্ততি করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, ডিএপি ১বস্তা ১৩শ’ টাকা, এমওপি ১ বস্তা ৮শ’ টাকা, ইউরিয়া ১বস্তা ৮শ’ টাকা, কীটনাশক ১১শ’ টাকা, জমি চাষ ও রোপন ২ হাজার টাকা, পানি সেচ ১ হাজার ৫শ’ টাকা এবং কাটা-মাড়াই প্রায় ২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় বিঘা প্রতি ২০-২২ মন। বর্তমান বাজারে ধানের দাম ৬৫০ টাকা করে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কিছুটা লাভ থাকে।কিন্তু যারা বর্গাচাষী তাদের কিছুই থাকেনা।

এতে করে প্রতিবছর আমাদের লোকসান গুনতে হয়। সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তাহলে ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষীদের মধ্যে বোরো চাষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে শার্শা উপজেলায় এবার ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫শ’ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ৫০, ব্রি-ধান ৬৫, ব্রি- ধান ৬৭, ব্রি-ধান ৮১ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে।

কৃষকরা আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলামকে জানান, প্রতিবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। ফলে শীত এবং কুয়াশার প্রকোপ অনেক কম থাকায় বোরো ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে কম এবং চারাও সুস্থ সবল হয়েছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবছরও বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলামকে জানান, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ৪শ’ কৃষককে ১ বিঘা জমি প্রতি সার, বীজ সহায়তা প্রদান এবং ৯৩ জন কৃষক/কৃষানীকে এনএডিবির আওতায় সার, বীজ বিতরণসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে চলতি বছর বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষি কর্মকর্তা।

বিএমএসএফ: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট বলেছেন, ঐক্যবদ্ধতাই সাংবাদিকদের মূল শক্তি। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই পেশার দাবি ও মর্যাদা আদায় করতে হবে। অনৈক্য সাংবাদিক নির্যাতনের মূল কারন। অধিকার আদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নেই। আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএমএসএফ ঘোষিত ১৪ দফা দাবি আদায় করি। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় গুলশানে পিপলস নিউজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের ৪০তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ও ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল তারা টিভি নিউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেকুজ্জামান চৌধুরী নবাব।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএমএসএফ’র সহ-সভাপতি ও পিপলস নিউজের সম্পাদক নাজমা সুলতানা নীলা, বার্তা বাজার সম্পাদক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারি, অনলাইন সম্পাদক পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক এস কে নাঈম , বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ খায়রুল আলম, কেন্দ্রীয় সদস্য আকরাম হোসেন, ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর তালুকদার ও কবির নেওয়াজ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আবুল কালাম আজাদ একাধারে একজন সাংবাদিক ও দক্ষ সংগঠক। তিনি বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ‘অনলাইন সম্পাদক পরিষদ’র প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক। ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ভারতীয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘তারা টিভি নিউজ’র চীফ প্রোগ্রাম চীফ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি প্রবাসিদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেন্ট ফাউন্ডেশন আইএমএফ’র হেড অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনশীপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ সময় বিএমএসএফ, তারা টিভি, পিপলস নিউজ, বার্তা বাজার ও অনলাইন সম্পাদক পরিষদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠান শেষে আবুল কালাম আজাদের কর্মময় জীবন আরো সফল হওয়ার আশাবাদ কামনায় দোয়া ও তবারক বিতরণ করা হয়।

নওগাঁ প্রতিনিধি:  নওগাঁয় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন এর উদ্যোগে দরিদ্র পরিবারের ৪শ বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার মাঝে শীত বস্ত্র কম্বল বিতরন করা হয়েছে। তার সাথে ওঠা-বসাকরা পরিচিত জনদের আর্থিকসহ সার্বিক সহযোগীতায় বিগত বছরের শীত মৌসুমের ন্যায় চলতী শীত মৌসুমে ও জেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে খুজে খুজে বের করে সমাজের পর্কৃত দরিদ্র পরিবারের বিশেষ করে বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু ও অসুস্থ্যদের শরীরে তুলে দেন কম্বল।

এব্যাপারে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন বলেন, বিগত বছরের শীত মৌসুমের ন্যায় চলতি শীত মৌসুমের শুরু থেকেই আজ পর্যন্ত নওগাঁ সদর, পতœীতলা, মহাদেবপুর ও মান্দা উপজেলার বাছাইকৃত বেশ কয়েকটি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের অসহায় শীর্তাত বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু ও অসুস্থ্যদের শরীরে কম্বল তুলে দেয়া শুরু করা হয়েছে এবং ইতি মধ্যেই চলতী শীতে মোট ৪০১ জনের শরীরে কম্বল তুলে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র মানবিকতার টানে সাংবাদিকতার পাশাপাশি এ উদ্যোগ আমি নিলে ও আমার সাথে থেকে সেবামূলক সব কাজ গুলোতে আর্থিক সহ সার্বিক সহযোগীতা করছেন, চাকুরীজিবী নয়ন চন্দ্র পোদ্দার, চাকুরীজিবী ও ঔষুধ ব্যবসায়ী গৌতম কুমার, আমার সহকর্মী সাংবাদিক সুইট হোসেন ও শাহীন চৌধুরী সহ সাঈদ হোসেন, নজরুল ইসলাম বাবু, সাইফুল রহমান, এরশাদ আলী, এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম নূর ঢাকা, আসিফ আকবর রুদ্র ঢাকা শহর, মোসাব্বির হোসেন সাগর, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন ও আল-আমিন, পল্লী চিকিৎসক এনামুল হক ফাইন ও আসাদুজ্জামান রানা সহ  সাথে চলা একঝাক তরুন। এছাড়া ও আরো কিছু ব্যাক্তিবর্গ আছেন তারা ও আর্থিক সহযোগীতা করেন।

সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন একদিকে সংবাদ ও প্রতিবেদন লিখে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের মাধ্যমে ও অপরদিকে তার কাছের লোকজনের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগীতায় প্রতি বছর শীত ও গরম মৌসুমে খুজে খুজে বের করে সমাজের পর্কৃত দরিদ্র পরিবারের অসহায় বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশু ও অসুস্থ্যদের হাতে ও শরীরে তুলে দেন শাড়ি, লুঙ্গী ও শীত নিবারনের জন্য কম্বল।
উল্লেখ্য- সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন এর লেখা সংবাদ বা প্রতিবেদন মিডিয়ায় প্রকাশের কারনে ইতিমধ্যেই ক্যানসার আক্রান্ত শিশু জিহাদ এর পরিবার, অগ্নীদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া তরুনী অন্তসত্যা গৃহবধূ মনিরার পরিবার ও একই মায়ের গর্ভে জ¤œনেয়া ৪ পঙ্গুর পরিবার সরকারী অর্থ সহ দেশ ও বিদেশ থেকে পেয়েছেন নগদ অর্থ সহ গাভী-বাছুর ও পোশাক।

এছাড়া সম্পতি এ সাংবাদিকের উদ্যোগে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকরাজা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ য় শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী একচোঁখধারী আহসান হাবিব (১০) এর চোঁখের চিকিৎসার উদ্যোগ ও একই উপজেলার চৌমাশিয়া আদিবাসী পাড়ায় অর্থ অভাবে বিনা চিকিৎসা (অপারেশানে) ৬ মাসধরে বাড়িতে পড়ে থাকা দুই সন্তানের জনক আদিবাসী সুরেন পাহান এর চিকিৎসা (অপারেশান) এর ব্যবস্থা ও করা হয় বলে একচোঁখধারী শিক্ষার্থী আহসান হাবিব ও আদিবাসী সুরেন পাহান এর স্বজনরা জানিয়েছেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget