Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে কাজে যোগ দেন তারা।

দূতাবাস সূত্রে গেছে, মালেশিয়ার সেপাং-এর হ্যান্ড গ্লোভস কোম্পানিতে তিন মাস ধরে প্রবাসী শ্রমিকদের কোনো বেতন-ভাতা না দেয়ায় ২৮ জানুয়ারি কোম্পানিতে কর্মরত কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বিষয়টি বাংলাদেশ হাইকমিশনের নজরে আসলে কমিশনের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কোম্পানির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওইদিনই জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল প্রবাসী শ্রমিককে ওইদিনই ১ মাসের বেতন প্রদান করা হয় এবং বাকি দুই মাসের বেতন ও ওভারটাইম দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা হবে মর্মে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ লিখিত হলফনামা দিয়েছে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে।

এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কোম্পানিকে উন্নত ও উদার হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এসময় মালয়েশিয়ান পুলিশ, লেবার ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও নেপাল অ্যাম্বাসির কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের উদ্দেশে দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় কর্মরত অন্যান্য দেশের নাগরিকের তুলনায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। প্রবাসে শ্রমিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব যেমন হাইকমিশনের, তেমনি আপনাদের ওপরও কিছু না কিছু দায়িত্ব রয়েছে।’

তিনি কোম্পানিতে কর্মরত সকল বাংলাদেশি শ্রমিককে নিশ্চিন্তে কাজে যোগ দিতে আহ্বান জানান।

মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল): পরিবারের স্বচ্ছলতাসহ সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে নিজ মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে কাটাতে হয় প্রবাসজীবন। হয়তো একেই বলে এক ধরনের দেয়ালবিহীন কারাগার। প্রবাসে সবাই ব্যস্ত যে যার কাজে। সবার একই চিন্তা কীভাবে বেশি উপার্জন করা যায়। মা-বাবা, ভাইবোন, স্ত্রী-সন্তানদের মান অভিমান পূরণ করতে গিয়ে তারা ভুলে যান নিজের শখ।

‘দীর্ঘ প্রবাস জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লিখছি। হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন পরবাসে আমার মতো দুখী আর কেউ নেই। ভাবাই স্বাভাবিক, সত্যিই আমি দুখী পরবাসী। বলতে পারেন কষ্টবিলাসী। দেশে সবাই থাকার পরও প্রবাসে আমি একা বড়ই একাকিত্ব। হায়রে! জীবন।’

প্রবাসে কেউ কারো নয়, নিজেই নিজের আপন। প্রবাসীদের সব থেকে বড় সমস্যা হলো একাকিত্ব, আর এ কারণেই অনেক সময় অনেক ছোট সমস্যাগুলোও অনেক বেশি অস্থির ও যন্ত্রণা দেয়। আর প্রবাসীদের তার আপনজন বা প্রিয়জন কষ্ট দিলে সেটা সহ্য করার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলে। অনেকে একাকিত্বের কারণে আত্মহত্যাও করে। প্রবাসীরা তাদের আপনজন কত ভালবাসে সেটা শুধু সে নিজেই জানে।

প্রবাসীরা দুঃখ বিলাসী হবার কোনো অবকাশ নেই কারণ আমরা তো একটু সুখের আশায় পাড়ি দিয়েছি অজানার দেশে। আমাদের দুটি চোখ এক চিলতে সুখ দেখার জন্য অপলকে চেয়ে আছে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর। দুঃখ নিয়ে বিলাসীতা করার সুযোগ আমাদের নেই।

দুঃখ নিবারণ করার ইচ্ছা নিয়ে মা মাটি ছেড়ে অজানা অচেনা এক দেশের মাটিতে আশার ঘর বেঁধেছি, আমরা দুঃখ বিলাসী নই, আমরা সুখের কাঙাল। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুখ খুঁজে বেড়াই। ঘুরে বেড়াই পরদেশের এপার-ওপার। কতকিছুই না করি সবকিছু তো লিখে বোঝানো সম্ভব নয়, অনুভবে আমাদের কষ্ট বোঝা যাবে।

দুঃখ বিলাসী ওরাই হয় যাদের জীবনে সুখের ছোঁয়া লাগে, যাদের জীবনে সুখ শান্তির নেই কোনো অন্ত নেই কোনো অভাব। ‘আমি তাদের কেউ নই, আমি এতটুকু সুখ সন্ধানী একজন খেটে খাওয়া মানুষ আমার জীবনে সুখের ছোঁয়া লাগেনি। প্রবাসী নিঃসঙ্গ জীবনে সুখ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। সুখ খুঁজতে গিয়ে অবশিষ্ট সুখটুকু আমি হারিয়ে ফেলেছি।’

হাজারে একজনের ভাগ্যে যদি সুখ থাকে ৯৯৯ জন বুকভরা হাহাকার নিয়ে এই প্রবাসে ধুকে ধুকে মরছে, আমি ৯৯৯ জনের একজন তাই আমি আমার কথা বলবো ৯৯৯ জনের কথা বলবো। দু’একজনের সুখের কাহিনি নাইবা শুনলেন। আমাদের কথা শুনুন এবং জেনে রাখুন যারা প্রতিদিন জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার লড়াই করে, যারা সুখের তরে সুখ হারায় ওদের কথা জেনে রাখা খুবই জরুরি কারণ ওদের ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল হলো দেশবাসী আপনজনের মুখের নির্মল হাসি।

সত্যি কথা বলতে কি, প্রবাসীর কষ্ট প্রবাসী ছাড়া আর কেউ বোঝে না। অনুমান করে সব কষ্ট বোঝা যায় না। অনুমান করে যদি প্রবাসীদের কষ্ট বোঝা যেত তাহলে এই লেখার প্রয়োজন হত না। আমি এসব কেন লিখছি? কেন প্রবাসীদের প্রতি আমার এই দুর্বলতা? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো আমি তাদের একজন।

প্রবাসীরা ভালো থাকুক। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সেই আমাদের অর্থনীতির চাকা হয় বেগবান। আমরা সমৃদ্ধির পথে এগোচ্ছি। সম্মান করা উচিত সব প্রবাসী ভাইদের। আর কোনো প্রবাসী ভাই যেন দুঃশ্চিন্তা করে বিদেশের মাটিতে প্রাণ না হারায় সেই কামনা। ভালো থাকুক প্রবাসীরা।

প্রবাস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের অনেক দেশের অভিবাসী বাস করেন। দেশটির সরকারি তথ্যমতে ২০১৬ সালেই অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২০ লাখেও বেশি। যারা নানা সময়ে ভাগ্যের অন্বেষণে সেখানে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে গত এক সপ্তাহেই তিন বাংলাদেশি খুনের শিকার হন।

গত ২৩ জানুয়ারি (বুধবার) রাতে দেশটির নর্থ-ওয়েস্ট প্রভিন্সের রাস্টেনবার্গে নিজ দোকানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মহিন উদ্দিন মহিন (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। নিহত মহিন উদ্দিনের দেশের বাড়ি ফেনী দাগনভূঞার চন্দ্রদ্বীপ গ্রামে। তিন বছর আগে জীবিকার তাগিদে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান তিনি।

নিহতের ভাই হুমায়ুন কবির জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে মহিনকে হুমকি দিয়ে আসছিল। বুধবার রাতে কয়েকজন সন্ত্রাসী দোকানে হামলা করে লুটপাট করে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করে। সকালে দোকান বন্ধ দেখে পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী ও লোকজন খোঁজাখুজি করতে গিয়ে দোকানের ভেতরে ফ্রিজের মধ্যে মহিনের মরদেহ দেখতে পায়।

এছাড়া গত রোববার (২৭ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও এক বাংলাদেশি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। দেশটির জোহানেসবার্গে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির নাম সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

জোহানেসবার্গ শহরের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সিরাজুল ইসলাম মোল্লা মাদারীপুর জেলার সন্ন্যাসীর চর গ্রামের হাজী নুর উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, ওই এলাকায় সিরাজুল ইসলামের নিজের প্রতিষ্ঠানে ডাকাতরা চাঁদা চাইতে গেলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। এরপর ডাকাতরা তার প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। তাকে গুলি করে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে তার সহকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সর্বশেষ গত রোববার (২৭ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার জুলু নাটাল প্রভিন্সের পিটা মেরিজবার্গ শহরে মোহাম্মদ শাহপরান নামে আরও এক বাংলাদেশি খুনের শিকার হন। দেশটির স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টা ও বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহপরান ফেনী শহরের মহিপাল মধ্যম চাডিপুর ভূঁইয়াবাড়ির পেয়ার আহাম্মদ ভূঁইয়ার ছেলে। নিহতের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া জানান, প্রায় ১৩ বছর আগে তার ভাই আফ্রিকায় পাড়ি জমান।

রোরবার (২৭ জানুয়ারি) সুপার মার্কেটে দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে স্থানীয় একজনের সঙ্গে পণ্যের দাম নিয়ে তার ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হলে সন্ত্রাসীরা শাহপরানের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প পাঁচটি আর সংশোধিত প্রকল্প চারটি।

প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১৩ হাজার ৬২০ কোটি, প্রকল্প ঋণ প্রায় ২ হাজার ৫২৭ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নতুন সরকারের দ্বিতীয় একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত) (প্রস্তাবিত)’ প্রকল্পে ২ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৬১৪ কোটি ৯৯ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। আজকের একনেক সভায় এর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংসথানসহ)’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৬৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পটি। আজকের একনেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন (সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরোটা সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্প ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। আজকের সভায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ষষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে ১০২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুনে। এর সময় বাড়িয়ে করা হলো ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

এর মধ্যে নতুন প্রকল্প পাঁচটি। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘কক্সবাজারে লিংক রোড-লাবনী মোড় সড়ক (এম-১১০) চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পে ২৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরোটাই সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্প ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘ডিজিটাল কানেকটিভিটি শক্তিশালীকরণে সুইচিং ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য ১৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে এই প্রকল্প ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট ১০ শতাংশ সিম্পল সাইকেল (এইচএসডি ভিত্তিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পে ১ হাজার কোটি ৯৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩০২ কোটি ৪৭ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২১৫ কোটি ৪৭ লাখ এবং ৪৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এটি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘রংপুর বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং পুনর্বাসন’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১ হাজার ৮৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং ৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘রাজশাহী বিভাগ বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সম্প্রসারণ এবং পুনর্বাসন’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ৯১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১ হাজার ৫৬ কোটি ৪৩ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

দেশের বাজারে মাসের ব্যবধানে আবারও বাড়ছে স্বর্ণের দাম। প্রতি ভরি স্বর্ণে সর্বোচ্চ এক হাজার ১৬৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে স্বর্ণের নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি প্রতি ভরি স্বর্ণে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫১৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছিল বাজুস।

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারেও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়াল।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বাজারেও সোনা রুপার দাম ওঠা-নামা করে। এ জন্য মঙ্গলবার থেকে বাড়তি দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ দাম বলবত থাকবে।’

নতুন দাম অনুযায়ী, ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতিভরিতে বেড়েছে ১ হাজার ৬৬৬ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ও রুপার দাম।

বাজুস জানায়, নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ১৫৫ টাকা। ২১ ক্যারেট ৪৭ হাজার ৮২২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ হাজার ৮০৭ টাকা। আর প্রতি ভরি সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ অপরিবর্তীত রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকা। প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট রুপা (ক্যাডমিয়াম) দাম এক হাজার ৫০ টাকা।

সারাদেশের স্বর্ণের দোকানগুলোতে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ৪৮ হাজার ৯৮৮ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৪৬ হাজার ৬৫৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট ৪১ হাজার ৬৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ভরি সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২৭ হাজার ৫৮৫ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট রুপা (ক্যাডমিয়াম) এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে চলতি সপ্তাহেই মামলা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পর্ষদ সভায় চলতি (২০১৮-১৯) অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতির ধরন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে গভর্নর ফজলে করিব। পর্ষদ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে মামলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রোববার রাত্রে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। মামলার বিভিন্ন বিষয় পর্ষদে অবহিত করা হয়। এ সময় পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে সায় দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, মামলার রূপরেখা চূড়ান্ত। আমাদের একটি টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। গিয়েই মামলা করবে। নানা দিক চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যেতে হয়েছে। টাকা উদ্ধারে সব সময় সামনে। তাই কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করা হয়নি। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেবরুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে মোট ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। শ্রীলঙ্কা থেকে ইতিমধ্যে চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত এসেছে। আর ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে এক কোটি ৫০ ডলার দেশটির কোর্টের আদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার অনাদায়ী রয়েছে, যা আরসিবিসির কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনায় তিন বছরের মধ্যে মামলা না করলে তার গুরুত্ব কমে যায়। ফলে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget