নওগাঁয় আন্তঃজেলা বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার: ৫টি মিটারসহ চুরির সরঞ্জাম উদ্ধার
আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁয় আন্ত:জেলা বৈদ্যুতিক মিটার চুরি চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন স্থানে চুরি যাওয়া ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার, তার কাটার বিশেষভাবে তৈরী ৬টি কাঁচি ও কয়েকটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এক প্রেস ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এই তথ্য দিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি জানিয়েছেন একটি চক্র বৈদ্যুতিক মিটার চক্র সক্রিয় থেকে জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। এরই এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁর নির্দেশে পতœীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পতœীতলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ পরিমল চক্রবর্তী এবং সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার সাপাহার উপজেলা সদর এলাকা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলাধীন বড় আখিঁড়া গ্রামের মৃত ছহির উদ্দিনের পুত্র মো. জাহান আলী ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করে। তার নিকট বৈদ্যুতিক মিটার চুরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে রাতেই তার সহযোগি পতœীতলা উপজেলার চকভবানী গ্রামের মো. মমতাজ উদ্দিনের পুত্র মো. হেদায়েতউল্লাহ এবং গোপীনগর গ্রামের মো. আব্দুস সালামের পুত্র মো. রুবেল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কথামত বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা ৫টি বৈদ্যুতিক মিটার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন এই চক্র কৃষকের সেচ পাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে সেখানে কাগজে লিখে বিশেষভাবে একটি মোবাইল নম্বর রেখে আসতো। কৃষকরা ঐ নম্বরে মোবাইল করলে তাদের নিকট ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দাবী করতো। টাকা দিলে কোথায় মিটারটি রাখা আছে তা বলে দিত এবং কৃষকরা সেখান থেকে উক্ত বৈদ্যুতিক মিটারটি সংগ্রহ করতেন।
পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রকে ধরতে সক্রিয় থেকে নানা পরিকল্পনা করতো। এই পরিকল্পনার জালে ফেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন এই চক্র কৃষকের সেচ পাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে সেখানে কাগজে লিখে বিশেষভাবে একটি মোবাইল নম্বর রেখে আসতো। কৃষকরা ঐ নম্বরে মোবাইল করলে তাদের নিকট ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দাবী করতো। টাকা দিলে কোথায় মিটারটি রাখা আছে তা বলে দিত এবং কৃষকরা সেখান থেকে উক্ত বৈদ্যুতিক মিটারটি সংগ্রহ করতেন।
পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রকে ধরতে সক্রিয় থেকে নানা পরিকল্পনা করতো। এই পরিকল্পনার জালে ফেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।