Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) :  নওগাঁর আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের টোকেন মেশিন দীর্ঘ প্রায় ৬মাস যাবৎ বিকল রয়েছে। ফলে  চরম ঝুঁকি নিয়ে হাতকাগজের মাধ্যমে ক্লিয়ারপ্রাপ্ত লাইনে ট্রেন চলাচল করছে।এভাবে মাসের পর মাস হাতকাগজের মাধ্যমে ট্রেন চলাচলের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পাওে বলে মনেকরছেন রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানাযায়, ব্রিটিশ আমল থেকে ব্রিটশ সময়ে নির্মিত টোকেন মেশিনের মাধ্যমে আহসানগঞ্জ ও মাধনগর স্টেশনের লাইন ক্লিয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো। এখনও পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্টেশনে এই টোকেন মেশিনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ার দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী নির্বিঘেœ ট্রেন চলাচল করে থাকে।

প্রায় ৬মাস পূর্বে নাটোরের মাধনগর স্টেশনের পশ্চিম পাশে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে মাটির নিচ দিয়ে যাওয়া টোকেন মেশিনের তারটি কেটে যায়। ফলে বিকল হয়ে যায় আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ ও মাধনগর স্টেশনের টোকেন মেশিনের কার্যক্রম। ৬মাস পূর্বে  তার কেটে এই সার্ভিস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও অদ্যাবধি মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনের জন্য লাইন ক্লিয়ার দিতে হাত কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের একজন কর্মচারী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাতকাগজের মাধ্যমে ট্রেন চালানো যায়। কিন্ত মাসের পর মাস ধরে এভাবে ট্রেন চালানো কোন ভাবেই নিরাপদ নয়। হাতকাগজের মাধ্যমে ট্রেন চালানোর ফলে কিছুদিন পূর্বে আত্রাই পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের উত্তর পাশে অল্পের জন্য দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে  রেহাই পায়।

আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মো: ছাইফুল ইসলাম জানান, টোকেন মেশিনটি বিকল হওয়ার সাথে সাথেই উর্ধ্বতন মহলকে অবগত করানো হয়েছে। টোকেন  মেশিন লাইন ক্লিয়ারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে স্থানে মাটির নিচে তার কেটেছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই এটি সচল হচ্ছে না। আশাকরছি অল্প দিনের মধ্যেই  কর্তৃপক্ষ এটি মেরামত করে সচল করবেন।

এদিকে হাজার হাজার ট্রেন যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত টোকেন মেশিন সচল করা প্রয়োজন বলে মনেকরছেন উপজেলার সচেতন মহল।

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে এমন অসংখ্য নারী রয়েছে যারা নিজেদের মনোবল, ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে হয়ে উঠেছে স্বাবলম্বী। আর এই সব নারীদের তৃণমূল পর্যায় থেকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জীবনযুুদ্ধে জয়ী নারীদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রতিটি বিভাগে একাধিক আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে দক্ষতার সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার সুলতান মাহমুদ এবং কমিটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যাছাই-বাছাই করে ৫ জন জয়িতাকে নির্বাচন করে।
উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ০৯ ডিসেম্বর-২০১৮ ইং তারিখে “'আন্তর্জতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” সফল জয়িতাদেরকে সম্মাননা প্রদান করেছেন।
এর মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী প্রতিবন্ধকতা ও সফলতা ক্যাটাগরিতে উপজেলার ওড়নপুর গ্রামের আসমা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী প্রতিবন্ধকতা ও সফলতা ক্যাটাগরিতে সদরের  করলডাঙ্গা গ্রামের অনিতা রায়, “সফল জননী নারী” প্রতিবন্ধকতা ও সফলতা ক্যাটাগরিতে সদরের (সাপাপাড়া)’র আলো রানী সাহা, “নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী”
প্রতিবন্ধকতা ও সফলতা ক্যাটাগরিতে উপজেলার শিয়ালমারী গ্রামের জবেদা খাতুন, “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” প্রতিবন্ধকতা ও সফলতা ক্যাটাগরিতে ফাহিমা বেগম শ্রেষ্ঠ সফল জননী নারী হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেছেন।
এই ক্যাটাগরিতে আরও একাধিক নারী ছিলেন, তবে কেন উপজেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এই ৫ নারী। তাদের শূণ্য থেকে বর্তমানে জীবনে আসতে কি করতে হয়েছে দেখা যাক সংক্ষেপে কি করেছেন সফল জননী নারীরা:
আসমা বেগম “অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী” প্রতিবন্ধকতা ও সফলতাঃ
অর্থনৈতিক সামাজিক প্রতিবন্ধাকতা থাকা সত্ত্বেও জীবন সংগ্রাম করে তিনি আর্থিকভাবে সফল হয়েছেন। ২০১৪ খ্রিঃ সনে ব্র্যাক থেকে ১০,০০০টাকা ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগী পালনের কাজ শুরু করেন এবং সফলতা পান। হাঁস-মুরগী পালনের সফলতা আসায় টেইলারিং এর কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার এই আতœ-কর্মসংস্থান মুলক কাজে ২,০০,০০০/- টাকার পুঁজি রয়েছে। অন্যরাও এতে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রবল মানসিক ইচ্ছাশক্তিতে বলিয়ান হয়ে আর্থিকভাকে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ।
অনিতা রায় “শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী” প্রতিবন্ধকতা ও সফলতাঃ
অনিতা রায় ছোট বেলা থেকেই নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বড় হয়েছে। তারা দুইবোন। পিতা ছিলেন দিনমুজুর এবং ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার অকাল মৃত্যুতে অনিতা রায় আজও প্রতিকূলতা থেকে বের হতে পারেনি। ছোট বোনের লেখা-পড়া ও সংসারের খরচ চলে তার বেতন থেকে। অনিতা রায় ছোট্টবেলা থেকেইে দেখেছে, তার বাবা মজুরির টাকা তার মা’র হাতে দিত। মা তা দিয়ে চালিয়ে নিত তাদের লেখা-পড়া ও সংসারের অন্যান্য খরচ। অনিতা রায় ২০০৫ সালের একটা ঘটনার কথা ভুলতে পারেননা। তখন  ৮ম শ্রেণিতে। তিনি জানতেন মাস শেষ হলে তার বাবার চিন্তা আরো বেরে যায়, কিভাবে দুটো মেয়ের প্রায়ভেটের বেতন দিবেন। একদিন তার বাবা গায়ে জ্বর নিয়ে কাজে গেলেন। অনিতা রায় প্রায়দিনই বাবার সকালের খাবার দিয়ে স্কুলে যেতেন। সেদিনও খাবার নিয়ে গেলেন। বাবার কপালে হাত দিয়ে দেখেন গায়ে জ্বর আছেই। কাজ করতে নিষেধ করলেন। তার বাবা শুনলেননা এবং বললেন, ”কটা দিন পরেইতো মাস শেষ হবে। তোর প্রায়ভেটেরে বেতন দিতে হবেরে মা। মাঠে কাজ করলে এরকম গা গরম থাকেই। তুই কোন চিন্তা করিসনে। আমি ঠিক আছি, আমার কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। কাজ শেষে গোসল করলে গায়ের এই গরম আর থাকবেনা। তুই স্কুলে যা।”
বাবার এমন কষ্ট অনিতারায়কে খুব ভাবাতো। প্রতিবেশীরাও তার বাবাকে বলতো মেয়েকে বিয়ে দিতে। তাদের কথা শুনতেননা। কিন্তু সকলের পরামর্শের নিকট একদিন তার বাবা হার মানলেন। বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়ে অনিতা রায়কে বিয়ে দিবেন। অনিতা রায় তখন অষ্টম শ্রেণিতে। অনিতা তাতে রাজী হলেন না এবং বাবা-মাকে বললেন, তোমরা আমাকে নিয়ে কোন চিন্তা করনা। আমার মনোবল আছে। আমি দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে পারবো, যা তোমরাই শিখিয়েছ। অন্যের কথায় কান দিওনা।
আলো রানী সাহা “সফল জননী নারী” প্রতিবন্ধকতা ও সফলতাঃ
আলো রানী সাহা দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এইচ,এস,সি পাশ করার পর তার বিয়ে হয়। স্বামী বেকার। তিনি জানান, বিয়ের পর তাদের অভাবের সংসারে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। আলো রানী সাহা তখন থেকেই ভাবতে থাকেন তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বাবা ও স্বামীর দারিদ্রতা তার স্বপ্নকে থামাতে পারেনি। এ লক্ষ্যে তার স্বামীর মনযোগ তৈরী করেন আতœকর্মসংস্থানের প্রতি। চালু করেন সামান্য পুঁজির এক পানের দোকান। প্রতি দিনের পান বিক্রি থেকে যে লাভ হতো তা দিয়ে চালিয়ে নিত তাদের দৈনন্দিন খরচ। আলো রানী সাহা ছিল আতœনির্ভরশীল। সন্তানের পড়া লেখার খচচের জন্য স্বামীর প্রতি নির্ভরশীল ছিলেন না। তিনি টিউশানী করতেন ।  যে টাকা পেতেন তা দিয়ে তিনি একমাত্র ছেলে অনিকের লেখা-পড়ার খরচ চলত।  তিনি নিজেও তার ছেলেকে পড়াতেন। কিন্তু আলো রানী সাহার সংসারে আর্থিক সংকট লেগেই থাকতো। তাদের সংসার চলত কঠিন নিয়মের এক ছকে। তিনি বলেন, বর্তমানেও তাদের সংসারে অভাব অনটন লেগেইে আছে। অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও আতœবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে আলো রানী সাহা সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে তার সন্তানের লেখা পড়া চালিয়ে গেছেন এবং  সন্তানকে স্বপ্ন দেখাতেন। অনিক এখন মা-বাবার স্বপ্ন পূরণের মহা সড়কে। বর্তমানে তার একমাত্র ছেলে অনিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।
মোসাঃ জবেদা খাতুন “নির্যাতনের বিভিষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যেমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী”
প্রতিবন্ধকতা ও সফলতাঃ
আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। বিয়ের পর থেকে স্বামী  তাকে যৌতুকের জন্য শারিরীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করত। তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর চরম দারিদ্রতা মোকাবেলা করেছে। সমাজের কিছু লোকের অনেক কটুকথা ও সমালোচনার শিকার হন।
মোসাঃ ফাহিমা বেগম “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” প্রতিবন্ধকতা ও সফলতাঃ
ছোটবেলা থেকেই বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজ করতেন।  ১৯৮৫ সালে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর  সমাজসেবা মূলক কাজে স্বাামীর উৎসাহ পান। দুঃখের বিষয় তার স্বামী ১৯৯৭ সালে স্ট্রোক করেন এবং ১২ বছর চিকিৎসাধীন থেকে ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বিবাহের পর হতে সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নে যৌতুক প্রথা নিরোধ, আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়ন, সমাজের অসহায় ও অবহেলিত মানুষের পাশে দাড়ানোসহ সমাজ সংস্কার মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়াতে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ তার কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
২০০৩ সালে সাপাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংরক্ষিত মহিলা আসনে তিনি প্রথম জয়লাভ করেন এবং ২০০৮ সালে ইউপি নির্বাচনেও একই পদে ২য় বার জয়লাভ করেন। ফাহিমা ২০০৩ সালে ইউপি মেম্বার পদে ভোটের মনোনয়ন জমা  দেয়ার পর পারিবারিক ও পারিপার্শিক বাধার সম্মুখ্খীন হোন। প্রথম নির্বাচনে তার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুরীকে পাড়া প্রতিবেশীর নানান কটু কথা শুনতে হয়েছে। তার শ্বাশুরী বলে ছিলেন, “ ঘরে অসুস্থ স্বামী, সংসারে অভাব অনটন লেগেই আছে। বউমা ভোট করবে কি দিয়ে। সংসারটা শেষ হয়ে যাবে। আর এলাকার বউ মানুষ এগ্রাম ওগ্রাম ছুটে বেরাবে, কত রকম লোকের সাথে কথা বলবে তার নেই শেষ।” এক পর্যায় তার শ্বশুর-শ্বাশুরী ভোট করতে অসম্মতি জানান। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বেরও সুষ্টি হয়। কিন্তু তার স্বামী ঐ সময় তাকে দূর্বল ও আশ্রয়হীন করেননি  পাশেই ছিলেন এবং উৎসাহ প্রদান করেন। ২০০৩ হতে ২০১৫ পর্যন্ত একটানা ১২ বছর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনে সদস্য ছিলন। স্বামীহারা এই নারীর রয়েছে প্রবল আতœবিশ্বাস ও জনসাথধারণের অশেষ ভালবাসা। তিনি দেখে দিয়েছেন কোন বাধাই তাকে থামাতে পারেননি। জনসাধারণের অশেষ ভালবাসায় ফাহিমার আগ্রহ ও প্রত্যাশা আরও বেরে যায়। ২০১৭ সালে নওগাঁ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংরক্ষিত (সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) আসনে জয়লাভ করেন।  বর্তমানে তিনি নওগাঁ জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য। সর্বপরি নিজের অবস্থানে থেকে ফাহিমা বেগম সমাজের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জড়িত আছেন।

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ: অতি জনপ্রিয় লোক সংস্কৃতি মাদারের গান আজ বিলুপ্তির পথে। আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগেও এর বেশ প্রচলন দেখা গেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ উপজেলার অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যা থেকে বাড়ির উঠানের খোলা আকাশের নিচে রাত ভর জমজমাট ভাবে উদযাপিত হতো এই মাদারের গানের আসর। গ্রামের ছোট, বড় সকল বয়সী নারী-পুরুষ হাজারো উৎসুক জনতারা সকলে মিলে শপ, পাটি ও খরকুটো পেতে এই মাদারের গান উপভোগ করতো।
 মাদারের গান উপলক্ষে অত্র এলাকায় বিরাজ করতো উৎসব মুখর পরিবেশ। আর এই মাদারের গানকে কেন্দ্র করে বসতো হরেক রকমের খাবারের দোকান। আজ তা শুধু গল্পের মত শোনা যায়। কিন্তু হঠাৎ করে নওগাঁর মান্দা উপজেলার কয়াপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে রাজুর বাড়িতে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী চলে এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদারের গানের আসর। 

আর এই ঐতিহ্যবাহী গান শোনার জন্য ছোট,বড় সকল বয়সী হাজারো উৎসুক জনতা ভীরজমায়। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা এই আসরে গান পরিবেশন করতে আসে।

এব্যাপারে উৎসুক জনতা ভুট্টু,মিন্টু, নুসরাত জাহান নাইজিত সহ আরো অনেকে জানায়, এই জনপ্রিয় গানের আসরের কথা অনেক শুনেছি হঠাৎ এতোদিন পরে গ্রাম বাংলার এই আসরে উপস্থিত হতে পেরে ভিশন ভালো লাগছে। এই ধরনের উৎসব গ্রামে আরো হলে এলাকার মানুষের জীবনে নতুন করে আনন্দ ও গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের ধারনা যোগাবে। যার মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক থেকে বিরত থাকবে।

এব্যাপারে মেহেদী হাসান রাজু জানান, মাদারের গান আমি আগে অনেক শুনেছি, অনেক দিন থেকেই এই গানের আসরের আমার বাড়িতে দেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারনে এই উৎসব টা আমি করতে পারছিলাম না। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে নিজ স্ত্রী কমলার জন্য মান্নত করার কারণে রাজশাহীর বাগমারা থেকে মাদার গানের শিল্পী শাহীনের দল ভাড়া করে ছোট পরিসরে হলেও এই গানের আয়োজন করতে পেরে এবং এতো লোকজনের উপস্থিতি হওয়ায় আমার ভিশন ভালো লাগছে।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পুটখালী সীমান্ত থেকে ৫৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ টি মোটর সাইকেল আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিষাডাঙ্গা গ্রামস্থ আজিজুল এর বসত বাড়ীর ভিতরে অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেলের সীট কভার এর ভিতর অভিনব কায়দায় ৫৫ বোতল ফেন্সিডিল আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।

২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার সাংবাদিক রাসেল ইসলামকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজিজুল এর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ১ টি মোটর সাইকেলের ভিতরে অভিনব কায়দায় রাখা ৫৫ বোতল ফেন্সিডিল আটক করে।

রিপোর্ট : ইমাম হোসেন বিমান: ঝালকাঠিতে সরকারি আবাসন প্রকল্পে অগ্নিকান্ডে ১০টি ঘর পুড়ে গেছে। ৩ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে এ অন্গিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে  সদর উপজেলাধীন কীর্ত্তীপাশা ইউনিয়নের পাজিপুথিপাড়া আবাসন প্রকল্পের ১টি ব্রাকের ১০টি ঘর পুরে যায়। এ বিষয় আবাসন সভাপতি জলিল জানান, আবাসনে আগুন লাগার কথা শুনতে পেয়ে দৌড়ে আবাসনে যাই। এবং আগুন দেখতে পেয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিছুক্ষন পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ বিষয় স্থানীয় ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, আমি সকালে আমার দোকান খুলে কাজ করছি হঠাৎ  দেখি আবাসনের মধ্য থেকে ধোয়া উড়ছে এবং সবাই আগুন আগুন বলে চিকার করছে। আমি আমার ফোন থেকে জরুরী সেবার জন্য ৯৯৯ নস্বরে ফোন দেই। ফোনে আগুন লাগার ঘটনা বলার কিছুক্ষন পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ বিষয় ঘটনা স্থানে গিয়ে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হলে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক সেলিম মিয়া জানান, প্রায় একঘন্টা চেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুন লাগার কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমরা আগুন নিভাতে এসে দেখতে পাই আবাসন বসবাসকারী একজনের রান্নাঘরের চুলায় ভাত বসানো আছে। তাই প্রাথমিক ভাবে আমরা আগুন লাগার কারন হিসেবে চুলার পাশে থাকা লাকড়ির মাধ্যমেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারনা করছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে সূত্রপাতের ঘটনা উদঘাটন সম্ভব হবে।

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁর অন্যতম খাদ্য ভান্ডার মহাদেবপুর উপজেলার সর্বত্র বোরো মৌসুমে আদর্শ বীজতলায় ধানের চারা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের সার্বিক কৃষি উন্নয়ন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বাস্তবমুখী নানা পদক্ষেপ নিলেও নানা সময় বীজ ও চারা সংকটের কারণে কৃষকরা নানা সমস্যায় পড়েন। এ সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষি ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে আদর্শ (কমিউনিটি) বীজতলা।
আদর্শ বীজতলায় উৎপাদিত ধানের চারা যেকোন বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে পারে। সুস্থ চারা উৎপাদন ও কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকি কম। বীজতলা থেকে চারা তোলার সময় শিকড়ে মাটি ধরে না, ফলে চারাগুলো কোন আঘাত পায় না। জমিতে রোপণের পর শতভাগ চারা জীবিত থাকে এবং অল্প সময়ে বেড়ে উঠে। চারা সবল থাকায় ধানের ফলনও বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতিতে তুলনামুলকভাবে বীজের পরিমাণ কম লাগে। ফলে খরচও কম হয়।
জানা গেছে আদর্শ (কমিউনিটি) পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের নিয়মাবলি, প্রথমে শুকনো জমি ভালভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার একবারে প্রয়োগ করতে হবে। জমি প্রস্তুত হলে ২ হাত প্রস্থ এবং ইচ্ছেমতো দৈর্ঘ্য নিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করে সেগুলো পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে বীজগুলো তুলে ভেঙে নিয়ে বীজতলায় সমভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। বীজ ছিটানোর পরে আলতো করে মাটি নেড়ে ঢেকে দিতে হবে। ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপণের উপযুক্ত হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৪’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে ১৪’শ হেক্টর জমিতে বীজতলার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ১৫’শ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে।

উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, স্থানীয় পদ্ধতির চেয়ে আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করলে বীজ, শ্রম, সার, জায়গা ও সেচ খরচ অনেকাংশে কম লাগে এবং চারাও ভালো পাওয়া যায়। উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের কৃষক হারুন জানান, সনাতন পদ্ধতিতে যে জায়গায় ৫০ কেজি বীজ প্রয়োজন হতো সেখানে আদর্শ পদ্ধতিতে ৩৫ কেজি বীজ লাগে। ফলে বীজতলা তৈরিতে খরচ কম হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক জানান, কৃষকদের কমিউনিটি (আদর্শ) বীজতলার বিষয়ে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget