Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

দান-সাদকা অনেক বড় ইবাদত। দান-সাদকার ক্ষেত্রে কুরআন এবং হাদিসে অনেক খাত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু দান-সাদকা পাওয়ার প্রথম হকদার কে? দান-সাদকা শুরু করতে হবে কাকে দিয়ে? কুরআন এবং হাদিসেও এর বিবরণ রয়েছে। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি বর্ণনা করেন-

> > হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘উত্তম সাদকা হলো তা, যা দান করার পর মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে (মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা থাকে না)।

নিচের হাত থেকে উপরের হাত উত্তম। (তিনি আরো বলেন) যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে আছে তাদের আগে দাও।
(কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে আমাকে খাবার দাও। আমাকে তুমি কার কাছে ছেড়ে যাচ্ছ?

লোকেরা জিজ্ঞাসা করল হে আবু হুরায়রা! এ হাদিস আপনি কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছেন?
তিনি উত্তরে বললেন, এটি (হাদিসটি) আবু হুরায়রার থলে থেকে (পাওয়া) নয়, (বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে)।’ (বুখারি)

> > অন্য একটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, উত্তম দান তা, যা দিয়ে মানুষ অভাবমুক্ত থাকে। আর যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে তাদের থেকে (দান করা) শুরু কর। (বুখারি)

সুতরাং দান করতে হবে পরিবার থেকে। প্রথমেই বাবা-মাকে দান করতে হবে। অতঃপর স্ত্রী-পুত্রকে। দাস-দাসি ও আত্মীয়-স্বজনকে। এভাবে পাড়া-প্রতিবেশি এভাবে পর্যায়ক্রমে দূরত্বে দান করতে হবে। এভাবে দান করার কথাই বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর কুরআন এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে। যা পালন করা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য একান্ত কর্তব্য।

হাদিসের শিক্ষা

> >  দায়িত্বশীল ব্যক্তির উচিত প্রথমে পরিবার-পরিজনের চাহিদা মেটানো। যাতে তারা সর্বদা অভাবমুক্ত থাকে। যা কর্তা ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব।

> > মৃত্যুর সময় ওয়ারিশদেরকে স্বচ্চল অবস্থায় রেখে যাওয়া। যাতে করে অভিভাবকের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ (ছেলে-সন্তান, স্ত্রী ও বাবা-মা) কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়।

> >  প্রতিটি দানই সাদকার সাওয়াব লাভ করবে।

> > সর্বোত্তম দানের পরিমান হলো সেটি, যে দান পেলে স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের শিক্ষা নিজেদের বাস্তব জীবনে আমল করার তাওফিক দান করুন। বেশি বেশি দান-সাদকা করার তাওফিক দান করুন। নিজেদের বাবা-মা, সন্তান, স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ব্যয়ের মাধ্যমে দান শুরু করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

চলতি বছর বিশ্বের যেকোনও দেশের চেয়ে বেশি আকাশচুম্বী ভবন বানিয়েছে চীন। শুধু তাই নয়, অতীতের সব রেকর্ড পেছনে ফেলেছে তারা।২০১৮ সালে চীন যত আকাশচুম্বী ভবন তৈরি করেছে, এই পরিমাণ ভবন এক বছর সময়ের মধ্যে ইতিহাসে আর কখনও নির্মিত হয়নি।
সম্প্রতি কাউন্সিল অব টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট-এর এক পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।সংস্থাটি জানায়, চীনের বিভিন্ন শহরে এবার ৮৮টি আকাশচুম্বী ভবন তৈরি হয়েছে, যেগুলোর গড় উচ্চতা ২০০ মিটার বা ৬৫৬ ফুট। এর মাধ্যমে এক বছরে আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণের রেকর্ড গড়েছে চীন।
এক বছরে আকাশচুম্বী ভবন তৈরির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সব মিলিয়ে এ ধরনের ১৩টি ভবন নির্মাণ করেছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে প্রায় ৭ গুণ বেশি আকাশচুম্বী ভবন তৈরি করেছে চীন।কাউন্সিল অব টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট-এর হিসাব বলছে, গত দশ বছরে বিশ্বে আকাশচুম্বী ভবন তৈরির হার বাড়লেও চলতি বছর এ ধরনের ভবন তৈরি কিছুটা কমেছে। ২০১৮ সালে আকাশচুম্বী ভবন তৈরি হয়েছে ১৪৩টি। আর গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ১৪৭।

আমার দুর্ভাগ্য যে মূল আসরে যাওয়ার আগে ভালো গ্রুমিং করতে পারিনি। আপনারা জানেন, আমি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম। এ জন্য অনেকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তাই নিজেকে তৈরি করার যতোটা সময় প্রয়োজন ছিলো সেটা পাইনি।’

চীনে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ শেষে ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। দেশে ফিরে শনিবার তিনি এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ঐশী বলেন, ‘মূল আসরে গিয়ে মনে হয়েছে এইসব প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে আরো বেশি প্রস্তুত করে নিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ ওখানে সুন্দরী মানে শুধু দেখতে সুন্দরী না। নারীর মন ও মানসিকতার সৌন্দর্যটাকেই তারা বেশি প্রাধান্য দেয়। একজন প্রতিযোগীর ন্যাচারাল বিউটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেটা আমার মধ্যে ছিল। আর এটি আয়োজক ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী মানসী চিল্লার বারবার বলতেন।’

তিনি আরো বেলন, ‘পুরো আয়োজনটি আমার জন্য ছিলো জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এবারের ছোট ছোট ভুলগুলো শুধরে নিয়ে চলতে পারলে দ্রুতই আমরা বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জিতে নিতে পারবো।’

এই মিস বাংলাদেশ আরো বলেন, ‘আমার সোশ্যাল ওয়ার্কসহ নানা বিষয় ঘাটতি ছিল। সেগুলো নিয়ে স্বপন স্যার ও নাসরিন ম্যামের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা আসবেন তারা যেন এই বিষয়গুলো রপ্ত করেন সেটা অন্তর শোবিজ মাথায় রেখেছে।’
বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় যেসব ভুল ছিলো ঐশীর

জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করায় ভুল ভ্রান্তি ছিলো। তবে আমরা যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সেটা ঐশী প্রমাণ করেছেন ফাইনালে জায়গা করে।

তিনি আরো বলেন, ‘দেখুন, ঐশীই কিন্তু বিশ্ব আসরে মাতিয়ে এসেছে। সে হয়তো মুকুটটাই পায়নি, কিন্তু আয়োজকদের প্রশংসা পেয়েছে। আমাদের সবার উচিত ছিল ঐশীকে শুরু থেকেই সাপোর্ট দেওয়া। কিন্তু আমরা তা করিনি। ধর্মীয় চিন্তা-ধারণাসহ নানা কারণে আয়োজনটি সমালোচিত হয়।’

৩০ সেপ্টেম্বর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে চ্যাম্পিয়ন হন ঐশী। সেদিন সেরা ১০ সুন্দরীর মধ্য থেকে তাকে সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এরপর তিনি বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান।

চীনের সানইয়াহ শহরে হয় প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। সেখানে সেরা ১০ থেকে সেরা ১২ নির্বাচন করা হলে বাদ পড়েন ঐশী। তবে মিস ওয়ার্ল্ডের সেরা ২০-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তিনি এখন বিশ্বের সেরা ২০ সুন্দরীর মধ্যে একজন।

ওয়ানডে সিরিজ জিতে যাওয়ার শনিবার পুরোদস্তুর বিশ্রাম ও ফুরফুরে মেজাজেই ছিলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। রোববার শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুশীলন। কিন্তু অনুশীলনের প্রথম দিনেই বাংলাদেশ শিবিরে দুর্যোগের ঘনঘটা।

রোববার সকালে নেটে ব্যাটিং করার সময় পায়ের আঙ্গুলের চোটে মাঠ ছেড়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নেটে পাশাপাশি ব্যাটিং করছিলেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।

বেলা এগারোটায় শুরু হওয়া অনুশীলনে শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন সাকিব। কিন্তু হুট করেই একটি ডেলিভারী এসে আঘাত হানে সাকিবের পায়ের নিচের দিকে। সাথে সাথে ড্রেসিংরুমে চলে যান তিনি।

সাকিবের ইনজুরির ধরন কতটা গুরুতর? সেটা কি কালকের ম্যাচ খেলার জন্য কোনো হুমকি? সাকিব কি আগামীকালের ম্যাচ খেলতে পারবেন? তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকেও জানানো হয়নি কিছুই।

তবে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী খানিক পরে নিশ্চিত করেছেন সাকিবের সামনের পায়ের দ্বিতীয় আঙ্গুলে বল লেগেছে, এখন ড্রেসিংরুমে বরফ দেয়া হচ্ছে। দেবাশীষ বলেন, ‘বেশ ভালোই ব্যথা পেয়েছে, বরফ দেয়া হচ্ছে। সাকিব বলেছে খুব সিরিয়াস মনে হচ্ছে না, তারপরও আমরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। পরবর্তী অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সবাই তখন অপেক্ষায় ছিলেন দুপুরে বাংলাদেশ দলের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের। কেননা সেখানে সাকিব এলে তার মুখ থেকেই শোনা যেতে পারতো বিস্তারিত। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।

এতে করে বেড়ে যায় শঙ্কা। তবে কি গুরুতর ইনজুরি পেয়ে বসেছে সাকিবকে? সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানিয়েছেন মূলত ড্রেসিংরুমে বরফ দেয়া হচ্ছে বলেই সাকিব আসেননি সংবাদ সম্মেলনে। তার পরিবর্তে এসেছেন রোডস।

অনুমিতভাবেই সংবাদ সম্মেলনে ওঠে সাকিবের প্রসঙ্গ। প্রধান কোচ সেই ডেলিভারিটি ছিলো মূলত দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীনের করা একটি ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কার। যা খেলতে গিয়ে আঙুলে লাগে সাকিবের। এ কারণেই তিনি নেট ছেড়ে চলে যান।

তবে রোডস আশ্বস্ত করেছেন আগামীকালকের ম্যাচে সাকিবই নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ দলকে। এসময় সাঈফউদ্দীনের সেই ইয়র্কারের প্রশংসা করে স্মিত হেসে রোডস বলেন, ‘এটা ভালো ডেলিভারী ছিলো। তবে এখন সাকিব ভালো আছে। বরফ দিচ্ছে পায়ে। আমার মনে হয় না আগামীকাল তার না খেলার কোনো কারণ আছে।’

স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে তবে তা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, মুক্তির জন্য আমরা লড়াই করেছি। এখনও আমাদের সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে। আরও সংগ্রাম করে যেতে হবে। গণতন্ত্র আমাদের দেশে অনুপস্থিত। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যকে আরও সংহত করেছি। যে ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, যেকোনো দিক থেকে হোক সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লোক জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আজকে বিজয়ের দিনে এখানে এসে তাদেরকে স্মরণ করা উচিত। সেই স্বাধীনতাকে আমরা যেন সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারি, বিজয়ের মাসে এটাই আমাদের শপথ হওয়া উচিত।
যারা রুগ্ন রাজনীতি করে, কালো টাকা ব্যবহার করে, লাঠিয়াল ব্যবহার করে, যারা জনগণকে মর্যাদা দেয় না, তাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও মূল্যবোধসহ সবকিছু রক্ষা করব। ইনশাল্লাহ ঐক্যবদ্ধ জনগণের বিজয় অনিবার্য।

সাভার প্রতিনিধি: আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালির বিজয়ের দিন। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ দিনে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সবুজ পতাকা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটে দীর্ঘদিনের শোষণ বঞ্চনার।

ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে  জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিগণ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিইসি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যগণ,পর্যায়ক্রমে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল সোয়া ৯টায় এসে তার নেতৃত্বে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা-১৯ আসনের ধানের শীষের এমপি পদপ্রার্থী ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু ও ঢাকা-২০ আসনের এমপি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিনসহ নেতা-কর্মী নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচন প্রহশনে পরিনত হচ্ছে। বিএনপি ও  জোটের নেতা কর্মীদের হামলা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আ, স, ম আব্দুর রবসহ  শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এসময় ড.কামাল বলেন,মানুষের মুক্তির জন্য আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। এসময় তিনি আগামী নির্বাচনে লাঠিয়াল বাহিনীকে পরিত্যাগের আহবান জানান ।

সিইসি কেএম নুরুল হুদা শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের বলেন, সব দলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে ।

ঢাকা-১৯ নির্বাচনী আসনের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী ডাঃ এনামুর রহমান এর নেতৃত্বে সাভার ও আশুলিয়া আওয়ামীলীগ, যুবলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিকদল, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

যেসকল সংগঠন ফুল দিয়েছে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন- সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা জেলা পুলিশ, উপাচার্য-জাবি,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব ফয়জুন্নেসা হল, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, বাংলাদেশ কৃষকলীগ, জাহানারা ইমাম হল-জাবি, গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী,বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা-সাভার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে শিক্ষকরা, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন কর্মচারী কল্যাণ সমিতি আশুলিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, জাবি শিক্ষক সমিতি, জাবি মহিলা ক্লাব, শেখ হাসিনা হল জাবি, জাবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষনা কেন্দ্র, আফম কামাল উদ্দিন হল জাবি, মাওলানা ভাসানি হল-জাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, শহীদ রফিক-জব্বার হল জাবি, কর্মচারী সমিতি জাবি, উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, এলামনাই এসোসিয়েশন জাবি, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল জাবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ সালাম-বরকত হল জাবি, পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পূণর্বাসন কেন্দ্র-সাভার, জাবি প্রেস ক্লাব, জাবি সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক-সফিপুর, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, মেয়র সাভার পৌরসভা, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ঢাবি শিক্ষক সমিতি, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারং এন্ড টেকনোলজি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল-ঢাবি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সায়েন্স, গণ বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মোর্তজা আলীর নেতৃত্বে শিক্ষকবৃন্দ, কর্মসংস্থান ব্যাংক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম,সড়ক ও জনপথ প্রকৌশলী সমিতি,বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন,জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ঢাবি, উপাচার্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ঢাবি, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধলীগ, পেশাজীবি লীগ ঢাবি, কেন্দ্রিয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভার,বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাভার উপজেলা, সিটি মেডিকেল কলেজ গাজীপুর, ভারপ্রাপ্ত মেয়র ঢাকা  উত্তর সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি,মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন সম্পদ ইনিস্টিটিউট কৃষি মন্ত্রণালয়, জাবি ছাত্রফ্রন্ট, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট ঢাকা, বাংলাদেশ আইন সমিতি, জাসদ,বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন, ঢাকা রিপোর্টারর্স ইউনিটি, বিএমএ, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় নেত্রকোনা, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার ভবন কল্যান সমিতি ঢাবি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ কর্মচারী, সাভার প্রেস ক্লাব, আশুলিয়া প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, স্যার এএফ রহমান হল ঢাবি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, এডাব, ধামসোনা উইনিয়ন আওয়ামী লীগ, আশুয়িলা থানা যুবলীগ, আশুয়িলা থানা সেচ্ছাসেবকলীগ, সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগ, সাভার থানা যুবলীগ, আশুলিয়া থানা জাতীয় পার্টি, বিএনপি সাভার উপজেলা,সেচ্ছাসেবকদল আশুলিয়া, বিএনপি ধামরাই উপজেলা, সাভার এনজিও সমš^য় পরিষদ, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রদল কেন্দ্রিয় সংসদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক সংঘ, অগ্রনী ব্যাংক, প্রত্মতত্ত¡ অধিদপ্তর, প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনারস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, বঙ্গবন্ধু আইনজীবি পরিষদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন,হাজী ওয়াজউদ্দিন হাই স্কুল, আশুলিয়া থানা জাকের পার্টি, শিমুলিয়া নবীন সংঘ, নন্দন টেলিভিশন,বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি), একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং কর্পোরেশন, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন, মহিলা লীগ ঢাকা জেলা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, জনতা ব্যাংক, কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউট,বিএসএস ফিসারিজ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকসহ সর্বস্তরের জনগন শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।

মহান বিজয় দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আশুলিয়ার আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান ডিগ্রী কলেজ এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার ও মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget