Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় মিষ্টি বিক্রেতাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, জেলার বদলগাছী উপজেলার কোলার পালশা গ্রামের মৃত মিসারত আলীর ছেলে মিষ্টি বিক্রেতা মোকলেছার রহমান (৫০) ও নওগাঁ শহরের চকদেব মাস্টারপাড়া মহল্লার আবু সাইদের ছেলে নাইম হোসেন সনি (৩০)।
নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম সামছুদ্দিন বলেন, মোকলেছার রহমান দীর্ঘদিন থেকে কোলা বাজারে মিষ্টির দোকান করতেন। ব্যবসার আড়ালে তিনি গোপনে মাদকের ব্যবসা করতেন। গোপন সংবাদে মঙ্গলবার দুপুরে তার দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এসময় ২৬ পিচ ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।
অপরদিকে সদর উপজেলার রানীনগর মোড় থেকে দুপুর ২টার দিকে ৫ গ্রাম হিরোইন সহ নাইম হোসেনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে স্ব-স্ব থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।

আতাউর শাহ্, নওগাঁ: নওগাঁ সদর উপজেলা কালীতলা পানির ট্যাংকির নিচে এ আয়োজন করেন, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির  মঙ্গলবার সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কালীতলা বন্ধু পঞ্চায়েত এর আয়োজনে ও ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালনায় এ চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত হয়। সার্বিক সহযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন, মো. শেখ তারেক হাসান তুষার, বন্ধু পঞ্চায়েত এর সভাপতি ও মো. ইউনুছ আলী, বন্ধু পঞ্চায়েত এর সাধারণ সম্পাদক প্রমূখ।

মোঃ রাসেল ইসলাম.বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেন্জার টার্মিনালে সামনে থেকে ৩৮ কেজি ভারতীয় চন্দন কাঠ উদ্ধার করেছে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্প সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৭নভেম্বর)দুপুর ১টার সময়  এ চন্দন কাঠ গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি।

বিজিবি জানায়,গোপন  সংবাদে জানতে পারি চোরাচালানীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমান চন্দন কাঠ এনে যশোর নেওয়া জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেন্জার টার্মিনালে সামনে অবস্থান করছে। এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আব্দুল ওয়াহাব, ল্যান্স নায়েক আব্দুর রহমান, ল্যান্স নায়েক নজরুল ইসলাম ও সিপাহী সিদ্দিকুর রহমান সেখানে অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ৩৮ কেজি চন্দন কাঠ উদ্ধার করেন।যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।

৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্নেল আরিফুল হক ৩৮ কেজি চন্দন কাঠ উদ্ধার করা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। দলীয় প্রার্থীদের চিঠি দেয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ চিঠি দেয়া শুরু হয়। আজ ২৩০ আসনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি দেয়া হয়েছে। দুয়েকটি আসনে একাধিক ব্যক্তিকেও চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর ব্যাখ্যায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দলীয় প্রার্থীদের অনানুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে। আওয়ামী লীগ ও মহাজোট থেকে কে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন, সেটি কালই জানানো হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ আসনে আগেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের জরিপ এবং তৃণমূলের মতামত নিয়ে প্রার্থী ঠিক করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলীয় মনোনয়ন বোর্ড। মনোনয়ন নির্ধারণে শেখ হাসিনার কথাই ছিল শেষ কথা। দলীয় মনোনয়ন ঠিক হয়ে গেলে মহাজোটের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে এতদিন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাজোটের শরিকদের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের আসন বণ্টন নিয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে। এর পরই আজ সকাল থেকে দলীয় প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল ও টিকিট দেয়া শুরু করে আওয়ামী লীগ। এবার বেশ কিছু আসনে নতুনদের মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বেশ কিছু আসনে মহাজোটের শরিকদের দিতে গিয়ে দলীয় প্রার্থীদের বসিয়ে দেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন করছেন দুটি আসন থেকে। সেই দুটি আসন হচ্ছে- গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬। গত নির্বাচনেও এ দুই আসনে নির্বাচন করেছিলেন তিনি।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন পেয়েছেন নোয়াখালী-৫ আসন থেকে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচন করছেন রংপুরের একটি আসন থেকে।

প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও নিজের আসনের দলীয় টিকিট আজ সকালে গ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের।

এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত নির্বাচনে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর আসন থেকে নির্বাচন করেন। এবার ওই আসন থেকে দলীয় টিকিট পেয়েছেন সাদেক খান।

জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরাও মনোনয়ন পাননি।

গাজীপুর-৩ আসনেও প্রার্থী বদল হয়েছে। এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ।

এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে এমপি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী রহমত আলী। বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

বাদ পড়েছেন টাঙ্গাইলের আলোচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। তার বদলে টাঙ্গাইল-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আতাউর রহমান খান। তিনি রানার বাবা।

বাদ পড়েছেন কক্সবাজারের সমালোচিত এমপি আবদুর রহমান বদি। ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম মনোনয়ন পেয়েছেন গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মনোনয়ন পেয়েছেন সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে।

মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২) আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন ভোলা-১ আসন থেকে। তিনি এই আসন থেকে গত নির্বাচনেও এমপি হন।

উপদেষ্টামণ্ডলীর অপর সদস্য আমির হোসেন আমু নির্বাচন করবেন ঝালকাঠি-২ আসন থেকে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক পেয়েছেন টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন নিক্সন চৌধুরী।

প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ নির্বাচন করবেন কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে।

প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১) আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ পেয়েছেন কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে।

আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি পেয়েছেন চাঁদপুর-৩ আসন থেকে।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মনোনয়ন পেয়েছেন কুমিল্লা-১১ আসন থেকে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পেয়েছেন ঢাকা-১২ আসন থেকে।

জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা পেয়েছেন নড়াইল-২ আসন থেকে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে।

এবার প্রথমবারের মতো যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান শেখর। তিনি মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান নওফেলও প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েছেন। তরুণ এ নেতা নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে।

নতুন মুখ হিসেবে কিশোরগঞ্জ-২ থেকে নির্বাচন করবেন পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ।

গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তরুণ এমপি জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি এ আসনের তিনবারের এমপি।

গাজীপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচন করবেন তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি। তিনি এ আসনের দুবারের এমপি।

আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম মনোনয়ন পেয়েছেন পিরোজপুর-৩ আসন থেকে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নের চিঠি যারা পেয়েছেন, তাদের একটি তালিকা আওয়ামী লীগ সূত্র থেকে পাওয়া গেছে। এ তালিকা তাৎক্ষণিকভাবে পুরোপুরি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তালিকায় যাদের নাম আছে, তারা হলেন-

রংপুর বিভাগ

অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), এইচএন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ডা. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩)।

ঢাকা বিভাগ

ড. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), খন্দকার আবদুল বাতেন (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-১), রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), এএম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩।

নসরুল হামিদ বিপু (ঢাকা-৩), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), একেএম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), আসাদুজ্জামান খান কামাল (ঢাকা-১২), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা (ঢাকা-১৬)।

আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫)।

লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক (নরসিংদী-১), সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (নরসিংদী-৩), অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), একেএম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪)।

একেএম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), ইঞ্জিনিয়ার মোজাফ্ফর হোসেন (জামালপুর-৫), আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), একেএম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩)।

জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩)।

রাজশাহী বিভাগ

শামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবদুল মান্নান (বগুড়া-১), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), সাধনচন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন, আবদুল মালেক (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), প্রকৌশলী এনামুল হক (রাজশাহী-৪), শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ডা. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), আবদুল মজিদ মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫)।

খুলনা বিভাগ

ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), আবদুর রউফ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১), আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), বীরেন শিকদার (মাগুরা-২), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), হাবিবুন্নাহার (বাগেরহাট-৩), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), নারায়ণচন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এসএম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪)।

বরিশাল বিভাগ

অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন (পটুয়াখালী-৩), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস (বরিশাল-২), পংকজ দেবনাথ (বরিশাল-৪), জেবুন্নেছা আফরোজ (বরিশাল-৫), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২)।


সিলেট বিভাগ

ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), এমএ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন (হবিগঞ্জ-৪), মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস (সিলেট-৩), ইমরান আহমদ (সিলেট-৪), নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), শাহাবউদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), সৈয়দা সায়রা মহসিন (মৌলভীবাজার-৩), অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), আ হ ম মুস্তফা কামাল লোটাস (কুমিল্লা-১০), মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম (চাঁদপুর-২), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), এইচএম ইব্রাহিম (নোয়াখালী-১), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), একেএম শাজাহান কামাল (লক্ষ্মীপুর-৩)।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), ড. হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ (চট্টগ্রাম-১৩), সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩), শাহীন আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার-৪), কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (খাগড়াছড়ি) ও বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (বান্দরবান)।

ফরিদপুর বিভাগ

কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪), লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩), নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২)।

সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল। তারা আগেই আভাস পেয়েছিলেন আজ চূড়ান্ত মনোনয়নের টিকিট তুলে ধরা হবে।

মনোনয়নের চিঠি নিয়ে বেরিয়ে এসে অনেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাদের কর্মী-সমর্থকদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁর অন্যতম খাদ্য ভান্ডার মহাদেবপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চলতি আমন মৌসুমে চিনি আতপ ধানের সোনালী শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। দৃষ্টিসীমা ছাপিয়ে চারদিকে বিরাজ করছে অপার দুলুনি। আর এ দোলায় লুকিয়ে আছে হাজারো কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। পোকামাকড় ও বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ছাড়াই বেড়ে ওঠা সোনালী ধানের শীষে ভরে গেছে মাঠ। দিগন্তজোড়া সোনালী ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলেছে। উপজেলার হাজারো কৃষক পরিবারের চোখে মুখে এখন স্বপ্ন পূরনের প্রত্যাশা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোন বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনা ভড়ে উঠবে সোনালী ধানের হাসিতে। এমন আশায় দিন গুনছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৪’শ হেক্টর জমিতে চিনি আতপ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬’শ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২’শ হেক্টর বেশি। সরকারের কৃষি বান্ধব কর্মসূচী, কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম, কৃষি অফিসের ব্যাপক তৎপরতা, ভেজাল মুক্ত সার-কিটনাশকের ব্যবহার, বাজারে কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ, সহনশীল দাম, সহজলভ্যতা ও সেচের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সরবরাহসহ আবাদ উপযোগী পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় চলতি মৌসুমে চিনি আতপ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। তাইতো কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। আগামী ১২-১৮ দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে। নতুন চিনি আতপ ধান উঠবে কৃষকের গোলায়। কৃষাণীরা গোলা, খলা, আঙ্গিনা পরিষ্কাওে ব্যস্ত। আর কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায়। জানা গেছে, উপজেলার ১৬ টি অটো রাইস মিলে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন আতব চাল উৎপাদন হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, যশোর, কুমিল্লা, সিলেট, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়াও বিয়ে-জন্মদিনসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে চিনি আতব চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এর সিংহভাগ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ আমেরিকাতেও রপ্তানি হচ্ছে। এতে  কৃষির বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, ক্ষেতে চাষা-বাদকৃত ধান গত বারের চেয়ে এবার ভাল হয়েছে। আর কয়েকদিন পর কাটা শুরু করা যাবে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তবে এবার চিনি আতপ ধানের বাম্পার ফলন হবে। উপজেলার তাতারপুর গ্রামের কৃষক মারুফ সরদার জানান, বীজ তলা থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ হবে ৬-৭ হাজার টাকা। এবার আশা করছি ভাল ফলন পাওয়া যাবে, বিঘা প্রতি প্রায় ১৭ মণ পর্যন্ত। এতে বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মণ বিক্রি হবে ১৩’শ থেকে ১৪’শ টাকা। হিসাব অনুযায়ী বিঘা প্রতি প্রায় লাভ হবে ১৫-১৬ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান, নতুন ধানের গন্ধে ভরে উঠবে মন। ধান বিক্রি করে ছেলে-মেয়ের নতুন জামা, জুতা, বই, খাতা, কলমসহ শীতের পিঠা উৎসবে মেতে উঠবে গ্রামের কৃষক। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক জানান, প্রকৃতি চলতি মৌসুমে চিনি আপত ধান চাষের অনুকূলে রয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষেতে রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ নেই। তাই আশা করি বিগত মৌসুমের মত এবারো বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবেন।

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ জেলাধীন বদলগাছি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি বালুভরা আর বি উচ্চ বিদ্যালয়ের সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটি একদিকে বিদ্যালয়ের খ্যতি যেমন বৃদ্ধি করেছে অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহোরনের সুযোগ প্রসারিত করেছে। ১০৪ বছর বয়সের প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভৃমিকা রেখে চলেছে। এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী চিকিৎসক, প্রকৌশলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে জাতির নিরবিচ্ছিন্ন সেবা করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি নিজ বিদ্যালয়টির উন্নয়ন, জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

তাঁদেরই একজন সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব পদে নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় কেবলমাত্র বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে তাই নয়, এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মান ও সংস্কার, ব্রীজ কার্লভার্ট নির্মান ইত্যাদি কাজও সম্পাদন করেছেন। উল্লেখযোগ্য বালুভরা গ্রামে ছোট যমুনা নদীর উপর সামান্য দুরত্বের মাঝে দুই দুইটি ব্রীজ নির্মান করেছেন। তাঁরই উদ্যোগে এই এলাকার জনগন অনেক আগেই বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছেন। একজন সরকারী কর্মকর্তাকে নিজ এলাকার উন্নয়নে এমন মনোনিবেশ সহজে লক্ষ্য করা যায় না। এই কারনে তিনি এলাকায় একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তাঁরই প্রচেষ্টায় এবং সক্রিয় উদ্যোগে বালুভরা আর বি উচ্চ বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সবিতা চক্রবর্তী স্মৃতি গ্রন্থাগার। কোন মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে এমন সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার কোথাও আছে বলে প্রতীয়মান হয় নি। এই গ্রন্থাগারে মোট ৩ হাজার ৭শ ২৬টি বই রয়েছে। বইয়ের তালিকায় রয়েছে স্থানীয়, জাতীয় এবং বিশ্বখ্যতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের জীবনী, শিল্পী সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, ক্রীড়াবিদ, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্রকার, চলচ্চিত্র শিল্পী, ইতিহাসবিদদের জীবনী, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন লেখা, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক নোভেল, কাব্যগ্রন্থ, রবীন্দ্র রচনাবলী, নজরুল রচনাবলী, ধর্মীয় গ্রন্থ সামগ্রী, গবেষনামুলক লেখা, শিশুতোষ লেখাসহ সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যম এই গ্রন্থাগারটিকে করেছে অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

এই গ্রন্থাগারের সহকারী গ্রন্থাগারিক মাসুদা আক্তার জানালেন ছাত্রছাত্রীদের গ্রন্থাগারে এসে বই পড়ার আগ্রহ বেশ। সপ্তাহে ৫ দিন প্রতিদিন ১টি করে ৫টি ক্লাশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ক্লাশ রুটিনে। রুটিন মাফিক ক্লাশে এসে তারা তাদের চাহিদামত বই নিয়ে পড়াশুনা করতে পারে। এখানে বই পড়া শেষে পুনরায় বইটি ফেরত দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বই এবং শিশুতোষ বই পড়তে বেশী আগ্রহী বলে মনে হয়।

এই গ্রন্থাগারের উল্লেখযোগ্য এবং বিরল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন ব্যক্তিদের ছবি টানিয়ে রাখা। সংগৃহিত বইাগুলোর মতই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া, রাজনীতি, শিল্পী, দার্শনিক, চলচ্চিত্র শিল্পী, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার, ঔপন্যাশিক, বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রনায়কদের দুষ্প্রাপ্য সব ছবি এখানে চারিদিকের দেয়ালে সারিবদ্ধভাবে টানানো রয়েছে। এসব ছবির মধ্যে বঙ্গবন্ধু থেকে মাওসেতুঙ, রবীন্দ্রনাথ নজরুল থেকে সেক্সপিয়ার, হাছনরাজা থেকে লালন ফকির, কোনটাই বাদ পড়ে নি। দুষ্প্রাপ্য এই কালেকশন সত্যিই যে কোন মানুষকে অভিভুত করে। ছবির এই গ্যালারীতে মোট ৩ শতাধিক ছবি ঠাঁই পেয়েছে। ছবির তালিকা আরও বৃদ্ধির প্রচেষ্ট্ াঅব্যাহত রয়েছে।

এই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র প্রীতম কুমার চক্রবর্তী ও ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী যুথি আক্তার তারা দুজনেই এই লাইব্রেরীর নিয়মিত পাঠক। তারা বেশীর ভাগ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই পড়ে থাকে। তারা বলেছে এই গ্রন্থাগরে বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং জতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোত্তালেব হোসেন বলেছেন বালুভরা আর বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়েল পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব জনাব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন থেকে শুরু করে সবদিকে তাঁর গঠনমুলক ভুমিকা অতুলনীয়। একমাত্র তাঁরই নজরদারী এবং উদ্যোগে এই বিদ্যালয়টি একটি আদর্শ বিদ্যালয়ে পরিনত হয়েছে। এরকম একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমি নিজেকে গর্বিত বোধ করছি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুকমল কর্মকার বলেছেন এই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। একটি লাইব্রেরী এলাকার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনে যথেষ্ঠ সহায়ক। কেবলমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা মানুষকে জ্ঞানী করে না। জ্ঞান অর্জনে বই পড়ার কোন বিকল্প নাই। বালুভরা আর বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ন সচিব বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নসহ লাইব্রেরীটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমি তাঁকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

এ ব্যপারে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের পরিসংখ্যন ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন আমার পূর্বপুরুষ থেকেই এলাকার মানুষের কল্যানমুখী কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। আমার দাদু বালুভরা আর বি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি তারও আগে বর্তমান জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরে অনুরুপ আরেকটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে আমার কিছু করার সুযোগ বা সাধ্য রয়েছে সেখানে কিছু করতে পারা গর্বের ব্যপার। সৃষ্টিকর্তা আমাকে যে সুযোগ ও যোগ্যতা দিয়েছেন তার দায়বদ্ধতা থেকেই এলাকা এবং এলাকার মানুষের জন্য কিছু করতে পারা গৌরবের মনে করি। সেই চেতনা বোধ থেকেই আমি আমার গ্রাম, আমার এলাকা এবং আমার স্কুলের জন্য এসব উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget