Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সাদীপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ২শত ৮৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্বার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার সময়ে সাদীপুর গলাচিপা পোষ্ট হতে এ ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।
বিজিবি জানায়, গোপন সুত্রে সংবাদ পান একটি মাদকের চালান সাদীপুর ভারতে সীমান্তে গলাচিপা পোষ্ট দিয়ে প্রবেশ করবে, এ সংবাদের ভিত্তিতে আইসিপি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার জিল্লুর রহমান এর নেতৃত্বে টহল দলের সেখানে অভিযানে ২৮৬ বোতল উদ্ধার করে।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল ওয়াহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বগুড়া-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী

** প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে বেঁচে ওঠেন ** বহু নির্যাতনেও রাজনীতি ছাড়েননি**

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের ভেনলা গ্রামে ১৯৭২ সালের ১৫ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন অজয় কুমার সরকার। পিতা মৃত: জ্যোতিষ চন্দ্র সরকার পেশায় ছিলেন একজন কৃষক। ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদেন। মেধা আর সাহসী ভ‚মিকায় ১৯৮৮ সালে তিনি চাঁপাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯১ সালে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৪ সালে যুগ্ন আহবায়ক হওয়ার পর ১৯৯৫ সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। নিষ্ঠা সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এই ছাত্রনেতা। ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে বারবার হোচট খেয়েও কখনো পিছপা হননি। ছাত্ররাজনীতিই তার জিবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো। ১৯৯৯ সালে ১৬ই নভেম্বরে গভীর রাতে (পরের দিন ছিলো এমবিএ শেষ সেমিষ্টারের শেষ পরিক্ষা) এমন সময় রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা হাতুড়ী,রড,শাবল ও রাইফেলের বাট দিয়ে তিন দফা শারিরিকভাবে নির্মম নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শুধু তিনি একা নয় ৪০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। হামলার পর পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা অজয় সরকারের কক্ষের তালা ভেঙে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। নির্মম নির্যতনের ফলে তার বাম পা ভেঙে যায় ও পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে আঘাত করার ফলে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যায় । শুধূ তাই নয় রাইফেলের বাট দিয়ে গোপনস্থানে (যৌনাঙ্গে) এমনভাবে আঘাত করা হয় ফলে পরপর ২বার অপারেশন করতে হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অনেক চিকিৎসার পর বেঁচে উঠেন। পরে ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালের তাৎকালীন ডাক্তার ফারুক রেজা আওলাদ ও ডাক্তার শহীদুল ইসলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাওয়ার পরামর্শ দিলেও বৈদেশিক চিকিৎসা নিতে না পারায় আজো ফিজিওথেরাপী চিকিৎসা নিয়ে জিবন যাপন করছেন। শুধু তাই নয় ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই দিন আগে ২৮শে সেপ্টেম্বর আওয়ামীলীগের প্রার্থী মেজর জেনারেল গোলাম মওলার পক্ষে নির্বাচনি জনসভায় জামাত-শিবির বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় সন্ত্রাসীরা তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ওই ঘটনায় তার বাবা ব্রেইন স্টোক করে মারা যায়। মামলা, হামলা,জঙ্গী ও বাংলা ভাইয়ের হুমকিতে পালিয়ে থাকায় বাবাকে সমাধীস্থ করতে পারেননি। এতো কিছুর পরও তিনি রাজনীতি থেকে একধাপও পিছপা হননি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ও স¦াধীনতা সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এবার তিনি বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ): আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে বিএনপি। সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়ন ফরম কেনার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিন সোমবর ও দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসন থেকে ৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে মনোনয়ন ফরম কেনা হলেও জমা দেয়ার সময় অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে জানায় কেন্দ্রীয় বিএনপি। এর আগে রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, নওগাঁ-৩ আসনে ছেলে ও মায়ের প্রার্থী হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নুর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি ও তার মা নাসরিন আরা সিদ্দিকী। মা-ছেলে ছাড়াও এ আসনে নব্বইয়ের আন্দোলনে সক্রিয় সাবেক ছাত্রনেতা ও নওগঁাঁ জেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আলম বুলেট, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম শফিকুল ইসলাম শফিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী আসফ কবীর চৌধুরী শত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী নেতারা জানান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির সংগ্রামের অংশ হিসেবে তারা নির্বাচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে স্বৈরাশাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন বলেও জানান তারা।
নির্বাচনে ধানের শীষের টিকিট পেতে মনোনয়ন প্রাপ্তির আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে এলাকার শীর্ষ নেতারা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। সোমবার ও মঙ্গলবার আবেদন ফরম সংগ্রহকারী নেতাদের কেউ কেউ তা জমা দিয়েছেন। দলীয় প্রার্থী হওয়ার প্রাথমিক এই কার্যক্রমের পাশাপাশি অনেকে প্রতীক নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎও করছেন। এক ধানের শীষের কান্ডারী হতে ৬ জনের যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত আসল কান্ডারী হিসেবে মনোনীত হয় কে তা দেখা ও জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তবে কে হাসবেন, কে কাঁদবেন এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন। ৬ জন প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।
ছেলের সাথে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করার বিষয়ে সাবেক ডেপুটি স্পীকার প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নুর স্ত্রী নাসরিন আরা সিদ্দিকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনোনয়ন ফরম কিনেছি জমা দিব কিনা এটা নিশ্চিত না। তবে আমি আমার ছেলের প্রস্তাবক। এ ব্যাপারে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, আমি মনোনয়ন ফরম কিনেছি। আমার একটু আইনগত জটিলতা আছে। মা আমার প্রতিদ্ব›দ্বী না, তিনি আমার প্রস্তাবক।

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: কুজাইল দক্ষিণপাড়া নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ছবির মতো একটি ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামের একজন সফল নারী সানজিদা আক্তার তৃশা। নদীর তীরে স্বামীর পরিত্যাক্ত জমিতে সবজি চাষ করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন সানজিদা। স্বামীর পাশাপাশি তিনিও এখন নিজের সংসারে বড় ধরনের ভ’মিকা রাখছেন। তার দেখে উৎসাহিত হচ্ছে আশেপাশের অন্য নারীরাও।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ২নং কাশিপুর ইউনিয়নের কুজাইল গ্রামে ছোট যমুনা নদীর তীরে গেলে চোখে পড়বে সবুজে ঘেরা সবজি খেত। খেতের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে পেয়াজ, রসুন, আলু, ধনিয়া, মরিচ ও মুলার গাছসহ নানা সবজির গাছ। প্রায় ৩বছর আগে সানজিদা পার্শ্ববর্তি এক কৃষকের সবজি চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হোন। পুরুষেরা পারলে মেয়েরা কেন পারবে না এই ইচ্ছে শক্তি থেকে সানজিদাও শুরু করেন নদীর তীরে তার স্বামীর পরিত্যাক্ত প্রায় ১৫শতাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রকারের সবজির চাষ।
সফল নারী সানজিদা বলেন, এক সময় সংসারের কাজকর্ম শেষ 
করার পর অলস বসে বসে সময় কাটাতাম। পাশের এক কৃষক নদীর তীরে তার জমিতে বছরের পুরো সময় কোন না কোন সবজি চাষ করতো। সেই কৃষক নিজের পরিবারের প্রয়োজন মিটিয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করে ভালো লাভ করতো। তখন আমার মনে একটি জেদ কাজ করলো যে পুরুষরা পারলে আমি পারবো না কেন। তখন আমার স্বামীর সহযোগিতা নিয়ে শুরু করি সবজি চাষ। সবজি চাষের প্রথম বছরে বাজারে আমার জমির মূলা সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছিলো।

তিনি আরো বলেন আমি নিজেই সবজি জমিতে সার, বীজ বপন করি, পানি সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে ফসলের রক্ষনাবেক্ষনের সব কাজ নিজেই করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি নিজের খেতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে নিজের পরিবারকে খাওয়াতে পারছি। কারণ বর্তমানে বাজারের প্রতিটি সবজিতেই দেওয়া থাকে মাত্রারিক্ত সার ও কীটনাশক যা মানুষের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমি নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করে স্থানীয় বাজারে এই সবজি বিক্রি করে বছরে প্রায় ১৫-২০হাজার টাকা আয় করছি। সেই অর্থ দিয়ে নিজের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ যোগানসহ অন্যান্য চাহিদা পূরন করতে পারছি। স্বামীর কাছ থেকে আমাকে আর হাত পেতে অর্থ নিতে হয় না। আজ আমার দেখাদেখি আশেপাশের অনেক নারীরা এই সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। আমার কাছে অন্যরা পরামর্শ নিতে এলে আমি তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করি। তবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি আমার এই সবজি চাষের পরিসরটাকে আরো বৃদ্ধি করতে চাই।

ওই গ্রামের হালিমা খাতুন বলেন আমার স্বামী দিনমজুরের কাজ করে। আমার সংসারে এক সময় অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। সানজিদা আপার পরামর্শে আমিও আমার বাড়ির উঠানে অল্প অল্প করে শিম, লাউ, পালংশাকসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করছি। এখন আমার সংসারের জন্য বাজার থেকে তেমন সবজি কিনতে হয় না। নিজের সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে আমি অতিরিক্ত সবজিগুলো বাজারে বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছি।
একই গ্রামের শবনব আক্তার বলেন, সানজিদা আপার দেখাদেখি আমিও আমার বাড়ি উঠানে ও পরিত্যাক্ত জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছি। আমি বর্তমানে অলস সময়কে এই সবজি চাষ করার কাজে ব্যয় করছি। নিজেদের উৎপাদিত বিষমুক্ত এই সবজি যেমন নিজেদের জন্য ভালো তেমনি দেশের জন্য ভালো।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: আহসান হাবিব রতন বলেন, সানজিদা আপা এই অঞ্চলের একটি দৃষ্টান্তর। আমি তাকে সার্বক্ষণিক ভাবে সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। সানজিদা আপার দেখাদেখি আশেপাশের আরো অনেক মহিলারা সাবলম্বী হওয়ার দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছেন। কেউ হাঁস-মুরগী পালন করছেন, কেউ গরু-ছাগল আবার কেউ সবজি চাষ করছেন। আমি তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি নিজে গিয়ে সানজিদা আপার সবজি খেতসহ অন্যান্য মহিলাদের সবজি খেত পরিদর্শন করেছি। আসলেই তাদের এই উদ্যোগ প্রশাংসার দাবীদার। দেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের মহিলারাও পুরুষের পাশাপাশি ব্যাপক ভ’মিকা রাখছেন। সানজিদাসহ যে কেউ আমাদের কাছে কৃষি সম্পর্কিত সহযোগিতা ও পরামর্শ চাইলে আমি ও আমার অফিস সব সময় তাদের পরামর্শ দিতে প্রস্তুত রয়েছি। আমি আশা রাখি শুধু সানজিদা নয় এক সময় উপজেলার সব মহিলারা তাদের পরিত্যাক্ত বাড়ির উঠান ও জমিতে সাধ্যমতো সবজি চাষ করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করবেন।

রিফাত হোসাইন সবুজ.নওগাঁ : নওগাঁর ধামইরহাটে এক শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির পিতা থানায় মামলা দায়ের করেছে। বিচারকের নিকট ভিকটিম শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল আসামী পলাতক রয়েছে। জানা গেছে,গত ১০ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত শিবরামপুর গ্রামের জনৈক দিনমজুরের শিশু কন্যাকে রেখে তার মা মাঠ থেকে ছাগল নেয়ার জন্য যায়। সুযোগে প্রতিবেশী মৃত নবানু মন্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) শিশুটিকে টিভি দেখার নাম করে তার নিজ শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে লম্পট আশরাফুল ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে মেঝেতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে শিশুটির চিৎকারে অন্য প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে লম্পট আশরাফুল পালিয়ে যায়। শিশুটি স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। এব্যাপারে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে গত ১১ নম্বেবর রবিবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-০৯,তারিখ ১১/১১/১৮। ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো.জাকিরুল ইসলাম বলেন,ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অদ্য (গতকাল) মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। ঘটনার মূল আসামীকে ধরার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে বিভিন্ন কর্মসুচী পালনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিকস দিবস উদযাপন করা হয়েছে। স্থানীয় রেখা চৌধুরী মেমোরিয়াল ডায়াবেটিকস সেন্টারের উদ্যোগে গত বুধবার সকাল ১০ টায় সদরের নিউ মার্কেট থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। র‌্যালী শেষে সদরের জিরোপয়েন্ট স্বাধীনতা মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, নূরুল হক মাষ্টার, আলহাজ্ব মতিউর রহমান,তিলনা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন মন্ডল,সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী প্রমুখ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget