এম এম হারুন আল রশীদ হীরা, মান্দা(নওগাঁ): নওগাঁর মান্দার কালিকাপুর বাজার খেয়াঘাটে আত্রাই নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি। তাদের এ যৌক্তিক প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
কালিকাপুর বাজারের পার্শ্বে মান্দা থানা অবস্থিত, মান্দা মমিন সাহানা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, মান্দা এসসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ওকলেজ, একটি পশু হাসপাতাল,একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মান্দা ডাকঘর রয়েছে। এছাড়া কালিকাপুর বাজার থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ডবল লেন পাকা সড়ক চলে গিয়েছে। পরে সেখান থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গিয়ে সড়কটি মিলিত হয়েছে। এ সড়ক পথে প্রতিদিন অসংখ্য বাস,ট্রাক,মাইকোসহ বিভিন্ন যানবাহন যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে থাকে। তাছাড়া কালিকাপুর খেয়াঘাট থেকে পারকালিকাপুর দোসতিনা বিশ্ববাঁধ মোড় থেকে কাঞ্চন বাজার হয়ে নীলকুঠি দিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে গিয়ে পৌঁছেছে একটি ভাঙ্গাএচারা সড়ক। যার বেশির সড়ক পথটি এখন খানা-খন্দকে ভরা। কাঞ্চন বাজারে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণেশপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, কাঞ্চন স্কুল এন্ড কলেজ, কাঞ্চন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,কাঞ্চন মহিলা টেকনিক্যাল কলেজ রয়েছে। তবুও এই বাজার উন্নত না ও যেগাযোগ ব্যাবস্থা খুব খারাপ। একটি অবহেলিত বাজার যেন এটি।
তাই নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের নীলকুঠি মোড় থেকে দোসতিনা আত্রাই নদীর বিশ্ব বাধ পর্যন্ত রাস্তা পাকা করন, সেই সাথে কালিকাপুর আত্রাই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করে কালিকাপুর হয়ে নিয়ামতপুর ও কালিকাপুর হয়ে ফেরীঘাট এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করলে অবহেলিত এ জনপথ একদিন উন্নয়নের চিত্র পাল্টে ফেলে নতুনভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। কালিকাপুর আত্রাই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান করলে যারা নিয়ামতপুর থেকে নওগাঁ যায় তাদের ফেরীঘাট না গিয়ে কালিকাপুর হয়ে সহজে যেতে পারবে ও নওগাঁ থেকে সহজে কাঞ্চন হয়ে নিয়ামতপুর, আড্ডা, ধানসুঁড়া, ছাতড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে পারবে। সেই সাথে ফেরীঘাট এর একটা বাইপাস সড়ক হবে। এতে পাঁঠাকাটা হয়ে মহাদেবপুর, নজিপুর, পোরশা যাবার পথ সুগম হবে। আর এই ব্রীজটি করলে নওগাঁর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত ও সহজতর হবে। পাল্টে যাবে উন্নয়নের চিত্র। তাই অবিলম্বে নীলকুঠি থেকে কাঞ্চন বাজার হয়ে কালিকাপুর পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরন ও আত্রাই নদীর উপর ব্রীজ নিমার্নের জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর আশু সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসি। তাদের এ দাবি কি কবে পূরন হবে প্রশ্ন এলাকাবাসির।