Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেসব সাংবাদিক মিথ্যে কথা লেখেন না, তাদের উদ্বেগের কিছু নেই। বুধবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের অভিজ্ঞতা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। যেসব সাংবাদিক মিথ্যে কথা লেখেন না, তাদের উদ্বেগের কিছু নেই। যারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা লেখে, আমাদের ঘায়েল করার জন্য যারা বসে আছে তাদেরই এ বিষয়ে চিন্তা হবে।


তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে লেখা হয়, মানহানি করা হয় তাদের বিষয়টি ভাবা হয় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এমন মিথ্যে সংবাদ যার বিরুদ্ধে করা হয় তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখার পক্ষে মত দেন প্রধানমন্ত্রী।


শেখ হাসিনা বলেন, যার বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা লেখে তারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায়। তার কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু যার ক্ষতি হলো তার কী হবে। আমাদের উদ্বেগ কে দেখবে?


এর আগে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) প্রত্যেক দেশে বিরাট সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেখানে সামাজিক, পারিবারিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, পর্ণ এসব ছড়াচ্ছে। আমরা সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছি।


নিউইয়র্কে ছয় দিনের সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল নামক স্থানে বাস ও প্রাইভেট কারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় দ্রæত গতীর যশোর-জ-১১-০১০৮ নাম্বারের বাস ও ঢাকা মেট্রো-গ- ১২-৬২৭৮ নাম্বারের প্রাইভেট কারের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা দ্রæত গামী লোকাল বাসের সাথে যশোর থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। আহত পাঁচজনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই পাইভেট কারের যাত্রী। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার ধান্যতারা গ্রামের আতিয়ার মোল্লার ছেলে শওকত আলী (৫০)প্রাইভেট কার ড্রাইভার চারাবটতলা গ্রামের আইজুল ইসলামের ছেলে কবিরুল ( ৪০) শার্শার রাড়ীপুকুর গ্রামের আবু সরদারের ছেলে কাজল আলী (৩০) একই গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে আঃ হাই (৪৫), বাগআঁচড়া গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে কবিরুল (৪৫)।


দূর্ঘটনার সাথে সাথে বাসের ড্রাইভার পালিয়ে যায়। এর মধ্যে ড্রাইভার কবির, আব্দুল হাই এবং শওকত আলীর অবস্থা আশংকাজনক।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: পাচারকারীদর মিথ্যা প্রলাভন পড় ভারত পাচার হওয়ার ৩বছর পর ‘স্বদশ প্রত্যাবর্তনর’ মাধ্যম বাংলাদশী ৪ যুবতীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদশ বিজিবি’র কাছ হস্তান্তর করছে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা।
বুধবার (০৩ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় বিএসএফ সদস্যরা বেনাপোল চেকপোস্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেন।


ফেরত আসারা হলো-অনতরা(২১) নাসিমা খাতুন (২০) লিমা খাতুন (১৮)ও জেসমিন আরা (১৭)। এরা নড়াইল, ময়মনসিংহ, যশোর সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা ।


বিজিবির আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আব্দুল ওয়াহাব জানান, ৩ বছর আগে এসব নারীদের ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে একটি দালাল চক্র সীমান্ত পথে ভারত নিয়ে যায়। পরে দালালরা তাদের ভালা কাজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ফেলে পালিয় যায়। এ সময় সেদেশের পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে কলকাতার ‘সংলাপ’ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদর ছাড়িয় নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে । পরবর্তীতে এনজিও সংস্থা এসব নারীদের নাম,ঠিকানা জোগাড় করে যাচাই-বাচাই করে । পর দু,দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় যোগাযোগ করে ‘স্বদশ প্রত্যাবর্তনর’ মাধ্যম বাংলাদশ ফরত পাঠায়।


বেনাপোল পার্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম‘স্বদশ প্রত্যাবর্তনর’ মাধ্যম ৪ বাংলাদেশী নারীকে ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ,কাগজপত্র কাজ সম্পন করে সাতক্ষীরা একটি মানবাধিকার সংস্থা নিকট বুঝিয় দেওয়া হয়েছে ।

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: বৈধ যান সিএনজিচালিত অটোরিকশা। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় চলছে অবৈধভাবে। এতে করে নওগাঁর সিএনজি মালিক ও চালকদের প্রতিনিয়ত হয়রানি স্বীকার হতে হচ্ছে। সেই সাথে গুনতে হচ্ছে টাকাও। দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) থেকে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় এ ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে তাদের। সেই সাথে সরকার প্রতি বছর হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। ভোগান্তী নিরসেন দ্রæত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন মালিক ও চালকরা।
নওগাঁ বিআরটিএ ও ট্রাফিক অফিসসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালে সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন হয়। তখন রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি’র সংখ্যা ছিল ৩০১ টি। অন্য জেলার রেজিস্ট্রেশনকৃত সিএনজি আছে ৭০টি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন বন্ধ আছে। বর্তমানে সদর উপজেলায় অনিবন্ধীত সিএনজির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১১টি ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে আছে প্রায় ১ হাজারটি। সব মিলে জেলায় প্রায় ২ হাজারের মত সিএনজি চলছে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ ভাবে। আর সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।
শহরের রাস্তা-ঘাট আছে আগের মতোই বাড়ছে জনসংখ্যা। সেই সাথে বাড়ছে যানবাহনও। গত চার বছরে সিএনজির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে চারগুন। বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন বন্ধ থাকায় এ বৈধ যানকে অবৈধভাবে চালাতে বাধ্য হচ্ছেন চালক ও মালিকরা। অবৈধভাবে চালাতে গিয়ে প্রতিদিন বা মাসিক হিসেবে গুনতে হচ্ছে চাঁদা। আর এসব সিএনজি থেকে মাসিক চাঁদা উত্তোলনের জন্য সিএনজি মালিক ও শ্রমিকের পক্ষ থেকে কয়েকজনকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছে। মাস শেষে মোটা অঙ্কের চাঁদা উত্তোলন করা হয়। আর এ চাঁদার একটি অংশ চলে যায় রাজনৈতিক মহলের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে, সিএনজি’র শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে বলেও জানা গেছে। আবার পুরনো সিএনজিগুলোর এখন বডি ফিটনেসের অবস্থাও খারাপ। অনেক সিএনজির রোড পারমিটও নাই।
সিএনজি’র মালিক ইয়াছিন আলী বলেন, গত দুই বছর আগে দুইটি সিএনজি কিনেছি। বহু চেষ্টা করেছি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। কিন্তু নওগাঁ বিআরটিএ অফিস কোন রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছেনা। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় প্রতিনিয়ত রাস্তায় হয়রানির স্বীকার হতে হয়। এছাড়া প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ৩০-৫০ টাকা চাঁদা গুনতে হয়। সিএনজি রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বৈধ যানকে অবৈধ ভাবে চালাতে হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন থাকলে পুলিশের হাত থেকে মামলা হওয়া ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতাম। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নওগাঁ জেলা সিএনজি চালিক অটোরিক্সা ও টেম্পু মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, রেজিস্ট্রেশন থাক বা না থাক নওগাঁ থেকে বগুড়ায় গেলে রাস্তায় কয়েকটি পয়েন্টে প্রতিটি সিএনজিকে প্রায় ৮০ টাকা চাঁদা গুনতে হয়। এছাড়াও শহরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দশ-বিশ টাকা তো লাগেই। তবে পুলিশ প্রশাসনকে কোন চাঁদা দিতে হয়না। আমরা মাসিক যে টাকা আদায় করি সেটা পুলিশ ডিউটির জন্য প্রতিদিন যে তিনটি গাড়ি দেওয়া হয় তাতে তেল ও ড্রাইভার বাবদ খরচ করা হয়। এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
নওগাঁ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, আমরা শুধু আরটিসির সদস্য। আমাদের একার কোন ক্ষমতা নাই। ডিসি স্যার ও বিআরটিএ মিলে যে সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা সেটার সাথে একমত।
নওগাঁ পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) গোলাম সারোয়ার বলেন, ছোট এ শহরে প্রয়োজনের তুলনায় যানবাহন বেশি হয়ে গেছে। শহরের যানজট মুক্ত করতে নিয়ন্ত্রনহীন গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মামলা হয়। এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে ২০ শতাংশ এবং বিআরটিএ সহ অন্যরা কাজ করেন ৮০ শতাংশ। তিনি আরো বলেন, আমাদের নাম করে প্রতিটি সিএনজি থেকে টাকা উত্তোলন করা হয় বলে জানি। কিন্তু আমাদের কাছে কোন টাকা আসেনা। যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।
নওগাঁ বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) এটিএম ময়নুল হাসান বলেন, সিএনজি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আমাদের কোন করনীয় নাই। আরটিসি (রোডস ট্রান্সপোর্টস কমিটি) এটি নিয়ন্ত্রন করেন। এ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যার। এছাড়া মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক ও বেসরকারি সদস্য আছেন। এ কমিটি পরিবহনের সব যানবাহন নিয়ন্ত্রন করে কোন সড়কে কোন গাড়ি চলবে। তবে আমরা সিএনজি রেজিস্ট্রেশনের পক্ষে। সিএনজি রেজিস্ট্রেশন চালু হলে সরকার রাজস্ব পাবেন।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও আরটিসি কমিটির সভাপতি মো: মিজানুর রহমান বলেন, রেজিস্ট্রেশন চালু আছে। যদি কেউ রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমস্যায় পড়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আইনগতভাবে সহায়তা প্রদান করব। এছাড়া অবৈধভাবে যারা যানবাহন চালান তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার সর্বস্তরের ক্বওমী উলামায়ে কিরামদের উদ্যোগে মাদ্রাসা ও মসজিদের উলামা ও ইমামদের নিয়ে এক বিশাল সমাবেশ ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর বাজার প্রাঙ্গনে জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ডা: মো: সুলতান আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও আত্রাই মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুজাহিদ খাঁনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক মো: ইসরাফিল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাণীনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মফিজ উদ্দিন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুছ আলী দুলাল, আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান এবাদ, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী মো: গোলাম মোস্তফা বাদল প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে প্রায় এক হাজার উলামা, ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের মাঝে জায়নামাজ বিতরন করা হয়।

নওগাঁ প্রতিনিধি: অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরাতে লেবাননে গৃহকর্মী হিসেবে গিয়েছিলেন শাহিনা বেগম (৪০)। গত ৯ বছর থেকে তিনি সেখানেই থাকতেন। এরমধ্যে তিনবার দেশে এসেছিলেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে লেবাননে গিয়েছেন। সেখানে নিজেও কাজ করতেন এবং একটি বাসার একঘর ভাড়া নিয়ে আরো ১০/১২ জন বিভিন্ন দেশের নারী কর্মীদের রাখতেন বলে জানা গেছে। কিন্তু অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরার আগেই তিনি খুন হন দূর্বত্তদের হাতে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শাহিনা পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর পরদিন পর সুটকেসের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে লেবাননের প্রবাসিরা। ঘটনার পর থেকে শাহিনার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাবা-মা ও স্বজনরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন অনেকটা পাগল প্রায় অবস্থা। লেবাননে গৃহকর্মী নওগাঁর মেয়েকে হত্যার প্রদিবাদে ও লাশ দেশে আনার দাবীতে সুজনের মানববন্ধন
শাহিনা বেগম নওগাঁ শহরের সুলতানপুর মহল্লার আমজাদ হোসেনের মেয়ে। শাহিনা এক সন্তানের জনক। ছেলের নাম রাজু আহমেদ। গত ২০০২ সালে স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি (তালাক) হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। এরপর বিদেশে গৃহকর্মী হিসেবে চলে যান।
শাহিনা বেগম লেবাননে খুন হওয়ার প্রতিবাদে তার হত্যার বিচার ও লাশ দেশে আনার দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক নওগাঁ জেলা শাখা। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর আদালত চত্তরে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত শাহিনা বেগমের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন সহ প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
সুজন সুশাসনের জন্য নাগরিক নওগাঁ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বেলাল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পারুল আক্তার, দপ্তর সম্পাদক হাসান আলী, নির্বাহী সদস্য ইঞ্জি: রেজোয়ান হোসেন গালিব, সুলতানপুর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শাহীন মন্ডল প্রমুখ। মানববন্ধনে শাহিনা বেগমকে নিমর্মভাবে হত্যার বিচার ও তার লাশ দ্রæত দেশে নিয়ে আসার দাবী করেন স্বজনরা।


নিহত শাহিনা বেগমের ছেলে রাজু আহমেদ বলেন, মা গৃহকর্মী হিসাবে লেবাননে ছিলেন। সেখানে একটি বাসার এক ঘর ভাড়া নিয়ে ১০/১২ জনকে নারী কর্মীদের রাখতেন। তারা বিভিন্ন বাসায় ক্লিনারের কাজ করত। কয়েকদিন আগে তাদের সাথে একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল বলে মা জানায়। কিন্তু মাকে মেরে ফেলা তা বুঝতে পারেনি। বাসায় যে মহিলারা ছিল তারাই পরিকল্পনা করে আমার মাকে হত্যা করেছে। মা’র হত্যাকারীদের বিচার ও লাশ দ্রæত দেশে নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান তিনি।


নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ ২০১৪ সালে গৃহকর্মী হিসাবে লেবাননে যায়। আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের সাথে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর পরদিন সুটকেসের ভিতর থেকে মেয়ের লাশ উদ্ধার সে দেশের লোকেরা।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget