Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

তন্ময় ভৌমিক, নওগাঁ: ঠাঠা বরেন্দ্র ভূমিতে পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর, বদলগাছী, ধামইরহাট, নওগাঁ সদরসহ নওগাঁয় মাল্টা চাষে ঝুঁকছে পরেছেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত দুই বছরে প্রায় একশ’ বিঘা জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে। এ দিকে মাল্টা চাষি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। মাল্টা চাষে লাভ হলে আগামিতে ঠাঠা বরেন্দ্র ভূমিতে মাল্টা চাষের বিপ্লব হবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বদলগাছী হর্টিকালচার সূত্রে জানিয়ে, অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম চাহিদা সম্পন্ন মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটানো ও বিদেশ থেকে আমদানির চাপ কমাতে হর্টিকালচারে ২০১৫ সাল থেকে বারি-১ জাতের মাল্টার গাছ তৈরী শুরু হয়। ইত্যে তিন হাজার বিক্রি করা হয়েছে। হর্টিকালচারে সহযোগিতায় জেলায় গত তিন বছরে একশ’টি মাল্টার প্রদর্শণীয় প্লট তৈরী করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পানির স্তর নীচে হওয়ায় বর্ষ মৌসুমে ধানের আবাদ ছাড়া তেমন কোন ফসল চাষ হয় না ঠাঠা বরেন্দ্র ভূমি পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, বদলগাছী উপজেলায়। বছরের অধিকাংশ সময় পতিত থাকা জমিতে কৃষকরা গড়ে তোলেন আম বাগান। আমে অনেক সময় লোকসান হওয়ায় আমের পরিবর্তে অন্যান্যে ফসল চাষের চিন্তা শুরু করেন কৃষকরা। এমতাবস্তায় টেলিভিশনে মাল্টা চাষের প্রতিবেদন দেখে দেড় বছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা।
পোরশা উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের ওবাইদুল্লাহ শাহ জানান, আম বাগানের পাশাপাশি বারি-১ জাতের ৬শ’টি মাল্টা গাছ লাগান। ৬শ’টি গাছের মধ্যে ২শ’টি গাছে মাল্টা ধরেছে। ২শ’টি গাছে প্রায় ৩০ থেকে ৭০টি করে মাল্টা ধরেছে। মাল্টা বিক্রি করে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন মাল্টা চাষি।
পোরশা উপজেলার ছাউল গ্রামের আবু বক্কর মন্ডল জানান, দুই বছর আগে মাল্টা চাষে করতে প্রথমে মাটি খনন করে বিভিন্ন সার মিশ্রণ করে এক মাস রেখে দেয়ার পর ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আম বাগানের মধ্যে ৭শ’ টি চারা আমের বাগানে এনে লাগান। এর মধ্যে ভিয়েতনাম দেশের ৫শ’ এবং বাঁকি ২শ’টি বারি-১ জাতের মাল্টা ফলের গাছ লাগান। প্রায় ৪শ’টি মাল্টা গাছে মাল্টা ধরেছে। বারি-১ জাতের চেয়ে ভিয়েতনাম দেশের মাল্টার ফল তুলনামূলক বড় এবং মিষ্টি। গত কয়েক মাস আগে মাল্টা গাছের পাতা পচে কুঁকড়ে মরে যাচ্ছিল। কৃষি বিভাগকে জানালে তারা পাতা নিয়ে যায়। এরপর তারা কোন প্রতিকার দেয়নি বা কোন সহযোগিতা করেনি। এতে হতাশা দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় ভাবে পরিচর্যা করে উপকার পেয়েছেন। মাল্টা চাষে লাভজনক হলে আম বাগান কেটে ফেলবেন এমনটাই জানালেন এই মাল্টা চাষি।
ছাউল গ্রামের আশরাফ আলী মন্ডল জানান, এলাকার অনেকেই মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হলেও মাল্টা চাষিদের মাল্টা গাছে রোগবালাই দেখা দেয়া। কৃষি বিভাগ থেকে তেমন সহযোগিতা না পাওয়া স্থানীয়ভাবেই নিম গাছের রস দিয়ে রোগবালাই দমন করা হয়েছে। মাল্টা চাষে দেখে অনেকেই পরামর্শ নেয়ার পাশাপাশি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
সাপাহার উপজেলা সদরের সোহেল রানা। তার বাগান পতœীতলা উপজেলার রূপগ্রামে তার বাগানে বদলগাছী হর্টিকালচার থেকে দুই বছর আগে ২০টি মাল্টা পান। এরপর সিলেট থেকে আরো ৬০টি মাল্টা এনে লাগান। গাছগুলোর মধ্যে ৪২টি গাছে ৩০ থেকে ৪৫টা পর্যন্ত মাল্টা ধরেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময় তাকে পরামর্শ দেয়া গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে।
পতœীতলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ কুমার জানান, সোহেল রানাকে সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে। সোহেল রানার মতো অনেক যুবক মাল্টা চাষে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন। গত দেড় বছরের মধ্যে উপজেলায় প্রায় ২৫টি মাল্টার প্রদর্শনীয় প্লট গড়ে তোলা হয়েছে।
পোরশা উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, বরেন্দ্রভ‚মির এসব জমিতে বর্ষাকালে শুধু মাত্র আমন ধান চাষ করা হতো। আমন ধানের চেয়ে আম চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকে পরেছেন। আম চাষের চেয়ে মাল্টা চাষে ঝুঁকি কম এবং কম সেচ লাগে এ জন্যেই কৃষকদের মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, কৃষি বিভাগ থেকে দেড় বছর আগে উপজেলায় কৃষদের মাঝে মাল্টার ২০টি প্রদশনীয় প্লট তৈরী করা হয়। ওই প্রদর্শনীয় প্লট দেখে এলাকার অনেক কৃষক মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। গত দেড় বছরে উপজেলায় ৫০ বিঘা জমিতে মাল্টার বাগান গড়ে উঠেছে। আগামীতে মাল্টা চাষে কৃষকদের আরো উদ্বুদ্ধ করা হবে।
মাল্টা চাষিরা কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ না পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজ আলম বলেন, কৃষি বিভাগে জনবল সংকট থাকায় হয়তো অনেক সময় শতভাগ সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। তবে চাহিদা মোতাবেক জনবল থাকলে শতভাগ সেবা দেয়া সম্ভবের আশার কথা শুনালেন।
বদলগাছী হর্টিকালচারে সিনিয়র উদ্যানতত্ত¡ বিদ আ.ন.ম. আনারুল হাসান জানান, মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটানো ও বিদেশ থেকে আমদানির চাপ কমাতে মাল্টা-১ জাতের তিন হাজার গাছ বিক্রি করা হয়েছে। জেলায় গত তিন বছরে একশ’টি মাল্টার প্রদর্শণীয় প্লট তৈরী করা হয়েছে। প্রতি প্লটে মাল্টার গাছ লাগানো হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫টি। প্রায় ৯৫টিই গাছই বেঁচে রয়েছে। জেলার মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা মাল্টা-১ জাতের ফল মিষ্টি। টক হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি আরো জানান, জেলায় মাল্টা চাষের বিপ্লব ঘটানো পরিকল্পনা রয়েছে। একারণেই হর্টিকালচার কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি মাল্টা বিক্রি হয় বিশ টাকা থেকে পঁচিশ টাকায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানান, পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর, মহাদেবপুর, বদলগাছী, ধামইরহাট ঠাঠা বরেন্দ্র ভ‚মি হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলাগুলোর মধ্যে পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুরের অধিকাংশ জমিতে আমন ধান ছাড়া অন্য কোন ফসল উৎপাদন হয় না। এ কারণে আম বাগান গড়ে তুলছেন। কম পানি চাহিদা সম্পন্ন মাল্টা চাষে বর্তমানে জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে বিশেষ করে পোরশা, সাপাহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। ইত্যে মধ্যে জেলায় একশ’ বিঘারও উপর জমিতে মাল্টা চাষ করা হয়েছে।
নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম জানান, তার গ্রামের বাড়ি চেরাগপুর গ্রাম এক বিঘার জমির উপর অন্যান্যে ফলের পাশাপাশি একশ’টি মাল্টার গাছ দেড় বছর আগে লাগান। ইত্যে মধ্যে প্রায় ৭০টি গাছে মাল্টা ধরেছে। এলাকার অনেক লোকই মাল্টার বাগান দেখেতে আসেন। সাংসদ আরো আশা ব্যক্ত করেন, আগামিতে মাল্টা চাষে নওগাঁ জেলা দেশে একটি রোল মডেল হবে। এ জন্যে মাল্টা চাষে কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান জানান, মাল্টা চাষ জেলায় অপারসম্ভাময় থাকায় কৃষি বিভাগকে মাল্টা চাষিদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত বছর দুইয়ের মধ্যে যে ভাবে মাল্টা চাষ করা শুরু হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে মাল্টা চাষে নওগাঁয় বিপ্লব ঘটানো যাবে। এতে বিদেশ থেকে মাল্টা আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা ও শর্তহীন মুক্তির দাবিতে নওগাঁয় জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির আয়োজনে সোমবার দুপূরে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল বের করে মুক্তির মোড় নওজোয়ান মাঠে এসে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে।


জেলা বিএনপির সভাপতি ও নওগাঁ পৌর মেয়র নজমুল হক সনির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চেয়ারপার পারসনের উপদেষ্টা লে. কর্ণেল আব্দুল লতিফ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বেলাল, নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন ও শফিউল আজম ভিপি রানা, জেলা বিএনপির সদস্য রবিউল ইসলাম বুলেট, নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, ভাইস চেয়ারম্যান শবনম মোস্তারি কলি, জেলা যুবদলের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম গোন্ডেন, যুগ্ন সম্পাদক জেডএইচ খান মানিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামিম আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম পবলু, সাধারন সম্পাদক শফিউল আযম টুটুল, দেওয়ান কামরুল আক্তার নাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল হোসেন, সাধারন সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা সহ জেলার ১১ উপজেলার বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর): সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার গিলাপোল গ্রামে চাঁদার দাবিতে কুখ্যাত মিলন বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাতে সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সলোমন দাসের (৪৩) বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এ সময় বাড়ির মহিলা ও বৃদ্ধদের পিটিয়ে আহত করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে।


স্থানীয় কুখ্যাত মিলন বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সলোমানের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। সলোমন চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় শনিবার রাত সাড়ে দশটায় কুখ্যাত মিলন বাহিনী তার দলবল নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও মারপিট করে। এসময় স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গ্রামের লোকজন ভয়ে তাদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে আটক করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে এই বাহিনীর সদস্যরা আমার শালি মায়া মারিয়া কর্মকারকে আগুন ধরিয়ে মারার চেষ্টা করেছে। ঐ মামলায় এখনও কোন আসামী ধরা না পড়ায় তারা ্ ধরনের হামলা ও লুটপাট করতে সাহস পায়।


এব্যাপারে শার্শা থানার (তদন্ত)ওসি তাসমীম আলম তুষার বলেন, শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রতিনিধি: নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, জোট নয় ভোটের রাজনীতি করুন; দেখবেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির মত করে সারাদেশের মানুষ সাধুবাদ জানাবে আপনাদেরকেও। তা না হলে অতিতের অনেকের মত ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। নতুন প্রজন্ম যেমন নিবেদিত নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ কোন জাতীয় বীরকেকই ভোলেনি, তেমনি ভোলেনি জাতির খলনায়ক খন্দকার মোস্তাকদের মত বেঈমানদেরকেও। আর তাই সারাদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষের ভোটের রাজনীতি, গণমানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার রাজনীতি করতে হবে। জোট নয় ভোটের রাজনীতি করুন : মোমিন মেহেদী


যশোরের ঝিকরগাছা, চৌগাছা, সাতক্ষীরা, শ্যামনগর, কালিগঞ্জ-এর রাজনতিক সফর শেষে ঢাকায় এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় তোপখানা রোডস্থ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এসময় নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান মাামুদ হাসান তাহের, মহাসচিব হাসিবুল হক পুনম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ইব্রাহিম খলিল প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী মমতাজ হোসেন (৪৮) নিহত হয়েছেন। ঘটনায় মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হযয়েছে এবং চালক বিপ্লব হোসেনকে আটক করা হযয়েছে। বিপ্লব হোসেনের বাড়ি বগুড়া জেলা শহরে।  শনিবার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের জয় বাংলার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মমতাজ মান্দা উপজেলার বড় মল্লুক গ্রামের মৃত মহীর উদ্দিনের ছেলে।


মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মাহাবুব আলম জানান, মমতাজ বাইসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ি থেকে দেলুয়াবাড়ি বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে জয় বাংলা মোড়ে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।


সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক মাইক্রোবাস জব্দ ও চালক বিপ্লব হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। এতে করে অভিভাবকরা ওই সব বিদ্যালয়ে পাঠদান চরম ভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে অভিভাবকহীন এই সব বিদ্যালয়গুলো।


প্রধান শিক্ষক না থাকার সুযোগে সহকারি শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতায় বিদ্যালয়গুলোর সঠিক পাঠদান পরিবেশ হারিয়ে গেছে বলে অনেকের অভিযোগ। দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষক বিহীন উপজেলার কিছু কিছু ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় বছরের পর বছর তাদের ধরে রাখা সুনাম হারাতে বসেছে।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা, উপজেলাতে মোট ১শতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এই সব বিদ্যালগুলোর পাঠদান কার্যক্রম। তবে বিদ্যালয়গুলো প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে পাঠদানে কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, পড়ালেখা শেখার ক্ষেত্রে শিশুদের প্রথম হাতে খড়ি হয় এই সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। সরকারি এই সব বিদ্যালয়গুলো পড়ালেখা প্রদানের সুনাম অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। যার কারণে গ্রাম পর্যায়ের অনেক অভিভাবকরা বর্তমানে তাদের সন্তানদের প্রাইভেট (কেজি) বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করে দিচ্ছে। তার উপর অধিকাংশ বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক হচ্ছে একটি বিদ্যালয়ের অভিভাবক আর এই অভিভাবক না থাকায় ওই সব স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে এবং সহকারি শিক্ষকরাও সঠিক ভাবে পাঠদান করায় না। অভিভাবক ছাড়া এই সব বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা নামকা ওয়াস্তে আসে আর যায় কারণ দেখার কেউ নেই। তাই বিদ্যালয়গুলোর পাঠদানের সুষ্ঠ পরিবেশ ভেঙ্গে পড়েছে চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।


অভিভাবকসহ অনেকেই বলেন উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে মান সম্মত শিক্ষা প্রদান ও সুস্থ্য পাঠদানের পরিবেশ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধান শিক্ষকবিহীন এই সব বিদ্যালয়গুলোতে অতিদ্রæত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করতে হবে। তা নাহলে দিন দিন উপজেলার প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠদান চরম ভাবে ব্যাহত হবে।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতোয়ার রহমান বলেন, আমি অনেক বার প্রধান শিক্ষকবিহীন এই সব বিদ্যালয়গুলোর তালিকা উপর মহলে পাঠিয়েছি। বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক খুব জরুরী। তবে বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে পাঠদানের কোন সমস্যা হবে না। কারণ ওই সব বিদ্যালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট অফিসের কঠোর নজরদারী রয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget