আত্রাইয়ে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান বৃষ্টি নামলেই ছুটি
ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন : আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের লালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্মানের সতের বছরের মাথায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের লালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি। বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের ছাদ, বিম, ওয়ালগুলোর ফাটল, প্লাস্টার খসে পড়ায় স্কুলের শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে স্কুল মাঠে ক্লাস নিচ্ছেন। ফলে খোলা আকাশের নিচে চলছে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম। এতে দীর্ঘদিন মীত, বর্ষা আর গ্রীষ্মকালে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। এছাড়া বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আর আসে না।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেন্টু জানান, ১৭ বছর আগে সরকারিভাবে একজন ঠিকাদার স্কুলের ভবনটি নির্মাণ করেছিল। তার অভিযোগ বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের ছাদ, প্লাষ্টার, বিম, ওয়ালগুলোতে ফাটল ধরায় ও বালুর সাথে সিমেন্টের পরিমাণ কম দেয়ায় ছাদের প্লাষ্টার খসে পড়ায় শিক্ষাার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান (ক্লাস) করাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মাদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সে হারে শ্রেণী কক্ষ বাড়েনি, বাইরে ক্লাস করায় অভিভাবকরা তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করেন। তিনি আরো বলেন, দিনে দিনে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। তিনি দ্রæত স্কুল ঘরটি মেরামতের দাবি জানান।
আত্রাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রোখছানা আনিছা বিদ্যালয়টির নাজুক অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, আসলে বিল্ডিংটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভালোভাবে কাজ করার কারণে বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন অংশে ফাটল ও ধস শুরু হয়েছে। আমরা বিদ্যালয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু হবে।
এদিকে এলাকার সচেতন মহলের দাবি বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা।