Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় সরকারি মেডিকেল কলেজ চালুর উদ্যোগের ঘোষণার পর আনন্দে উচ্ছ¡সিত নওগাঁবাসী। গত রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এক সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁসহ নতুন করে আরও চারটি মেডিকেল কলেজ চালুর উদ্যোগের কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, নওগাঁ, নেত্রকোনা, মাগুরা ও নীলফামারীতে নতুন চারটি মেডিকেল কলেজ হবে। আসন্ন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে নতুন অনুমোদিত চার মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
নওগাঁবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অবশেষে পূরণ হতে যাওয়ায় নওগাঁর সকল স্তরের মানুষ সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান বলেন, নওগাঁয় মেডিকেল কলেজ চালুর ঘোষণা অনেক আনন্দের। এখানে একটি মেডিকেল করার দাবি নওগাঁবাসীর দীর্ঘদিনের। অবশেষে তা সত্যি হতে যাচ্ছে।
চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা সরকারি এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে তাঁরা মেডিকেল চালুর আগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ও অনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক রওশন আরা খানম বলেন, নওগাঁ একটি বড় জেলা। এখানে প্রায় ৩০ লাখ লোকের বসবাস। এখানে মেডিকেল কলেজ চালুর ঘোষণায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। নতুন মেডিকেল কলেজ হলে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সুযোগের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবার মান বাড়বে। মেডিকেল কলেজ হলে নতুন নতুন বিভাগ হবে প্রায় সব ধরনের রোগের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত মাসে (জুলাই) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আমি নওগাঁয় একটি মেডিকেল কলেজ ও পাহাড়পুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলাম। মেডিকেল কলেজ করার দাবি পূরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের সাংসদ আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদার এ ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ জেলায় চলতি রোপা আমন মওসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় শতকরা ১০৯ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এদিকে আউশ ধান কর্ত্তনের পর আরও ধান রোপন অব্যাহত রয়েছে। আমন আবাদের পরমিান এ বছর ধার্যকৃত লক্ষমাত্রার থেকে শতকরা ১২০ থেকে ১২ ভাগ অর্জিত হবে বলে কৃষি বিভাগের ধারনা।
কৃষি বিভঅগ এ বছর জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩শ ৩৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ ৬৭ হেক্টর ্এবং স্থানীয় জাতের ২২ হাজার ৭শ হেক্টর।
সেখানে ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত জেলার ১১টি উপজেলায় আমন ধানের চারা রোপন করা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল জাতের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৭ হাজার ৫শ ২০ হেক্টর। এ পর্যন্ত আবাদের পরিমান শতকরা ১০৯ ভাগ।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেছেন যেসব জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে সেসব জমিতে আউশ কেটে চিনি আতপের মত সুগন্ধি ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে। আবাদের পরিমান পরিমান শতকরা ১২০ থেকে ১২২ শতাংশে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেন নওগাঁ জেলায় সাধারনত আমন মওসুমে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়ে থাকে। কিন্ত গত বছর বন্যায় প্রায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে গত বছর আবাদের পরিমান নেমে আসে ১ লাখ ৬১ হাজার হেক্টরে। স্বাভাবকে কারনে গত ভছরের আবাদ পরের বছর লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে নির্ধারন করা হয়ে থাকে। সেই কারনে চলতি মওসুমে লক্ষামাত্রা কম নির্ধারন করা হয়।
চলতি বছর উপজেলা ভিত্তিক আমন আবাদের নির্ধারিত লক্ষমাত্র্ াহচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৯ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৪ হাজার ২শ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৫ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১১ হাজার ৬শ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮শ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ২৬ হাজার ৪শ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৯ হাজার ৫০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ১৪ হাজার ৯শ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ১৪ হাজার ৯শ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৬ হাজার ৩শ ৮৩ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫শ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর।
প্রতি হেক্টেরে গড়ে ২ দশমিক ৬ মেট্রিক টন হিসেবে চলতি বছর চালের আকারে উৎপাদিত হওয়ার কথা ৪ লাখ ১৯ হাজার ২৯৪ দশমিক২০ মেট্রিকটন। যেহেতু আবাদ লক্ষমাত্রার থেকে ২০ থেকে ২২ ভাগ বেশী হচ্ছে সেহেতু চাল উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সেহেতু চলতি বছর জেলায় প্রায় ৫ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ): এক সময় সদর ঘাটের পানের কথা শোনা গেলেও এখন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ব্রজপুর বাজারের আজিম মামার মনকাড়া বাহারী স্বাদের পান নজর কেড়েছে আত্রাই উপজেলাবাসীর।
যদি সুন্দর একটা মুখ পাইতাম মহেসখালীর পানের খিলি তারে বানাই খাওয়াইতাম কিংবা পালের লাও পালের লাও পান খেয়ে যাও, ঘরে আছে ছোট বোনটি তারে নিয়ে যাও। পান নিয়ে এমন আরও অনেক গান, কবিতা ,প্রবাদ আছে যা আমাদের সাহিত্য ভান্ডার কে করেছে সমৃদ্ধ।
সরেজমিনে আজিম পা ষ্টলের মালিক আজিম হোসেনের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, প্রতি খিলি পানের দাম ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। শাহজাদী ১০ বেনারশ ১৫ আর বোম্বে মাসালা খিলি বিক্রি হয় ৩০ টাকায়। পানে কী মসলা ব্যবহার করেন এমন প্রশ্ন করতেই মুচকি হাসেন আজিম মামা। তার পর বলতে থাকেন দম না নিয়েই কয়েক ডজন স্বাদ বৃদ্ধিকারী মসলার নাম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোরব্বা, খেজুর, খোরমা, তানশিন, তেরেঙ্গা, চমন বাহার, এলাচ, নারিকেল, কিসমিস, সেমাই, ঝুড়া ইত্যাদি। তিনি বলেন, এসব মসলার সবক’টি দেশে পাওয়া যায় না। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আর এই বাহারী মসলার স্বাদের কারনেই তার দোকানের বিশেষত্ব।
আজিম মামার পান ষ্টলে পান খেতে আসা ব্রজপুর গ্রামের মেহেদী হাসান রুবেলের সাথে কথা বললে তিনি মৃদু হেসে জানালেন, আমি তো আজিম মামার দোকানের পান ছাড়া অন্য কারো দোকানের পান খাইনা। আমি প্রয় ৬-৭ বছর ধরে এই দোকানের পান খেয়ে আসতেছি। তার বানানো পান আমার মুখে অন্য রকম একটা স্বাদ এনে দেয়।

পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলা থেকে ব্যক্তিগত কাজে ব্রজপুর বাজারে এসেছেন মজিবর রহমান কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আজিম মামার দোকানে এসেছেন পান কিনতে শাহাজাদী একটি পান মুখে দিয়েছেন এবং দুই খিলি পান কাগজে মুড়ে নিয়েছেন বাসায় নিয়ে যাবেন বলে। তিনি বলেন আমি যখনই ব্রজপুরে আসি আজিমের দোকানের বাহারী মসলা দিয়ে পান না খেলে আমার অপূর্নতা থেকে যায়। আর দুই খিলি পান নিয়ে যাচ্ছি বাসায় গিয়ে খাবো।
পান বিক্রেতা আজিম মামার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি প্রায় ২০ বছর যাবৎ পান বিক্রি করে আসছি প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ১৮ বিরা পান বিক্রি হয়। তিনি আরও জানান , অনেক মানুষ আসে আমার দোকানে পান খেতে মাঝে মাঝে এত ভিড় হয় যে একা হিমসিম খেয়ে যাই। পান বিক্রি করেই পরিবারের সদস্যদের খরচ যোগান। লেখা পড়া করে সন্তানেরা চাকুরি করবে তবেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।
প্রচলিত নানা গল্পগাথায় রাজ-রাজাদের পানবিলাসের বর্ণনা মেলে। সেসব পান সাজানো হতো দুর্লভ সব মসলা দিয়ে। মেশানো হতো বহুমূল্য সুগন্ধি। আত্রাই উপজেলার ব্রজপুর বাজারের আজিম হোসেনের শাহী পান, বেনারশি পান, বউ জামাই পান, মোম্বাই পানসহ নানা ধরনের হরেক রকমের পান সকলের মন জয় করেছে এবং করবে এমনটি প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

রির্পোট : ইমাম বিমান: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে “দেশে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করতে সরকারের প্রতি  আহবান জানিয়েছেন ঝালকাঠি-২ আসনে  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মনোনায়ন প্রত্যাসী এ্যাড. রফিক হাওলাদার।


পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিজ এলাকা ঝালকাঠি জেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের গনসংযোগের সময় সাংবাদিকরে সাথে তিনি এ কথা বলেন।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এ্যাড. রফিক হাওলাদার ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিজ এলাকায় এসে নিজ দলের পক্ষে প্রচার প্রচারনা সহ বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে জনগনদের ভোট দেয়ার আহবান জানান।


মনোনায়ন প্রত্যাসী এ্যাড. রফিক হাওলাদার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আরো বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনঠাশা করার প্রয়াস চালাচ্ছে। তাই অবিলম্বে আমাদের দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে নি:শর্তে মুক্তি দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ পূর্বক,  অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করতে সরকারকে আহবান জানান।

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ জেলায় ক্রমেই আউশ ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ছে। সরকারীভাবে আউশ চাষ করতে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রনোদনা দেয়ার কারনেই আউশ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে বলেছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।


এক সময় অতিরিক্ত ধান উৎপাদনের এই নওগাঁ জেলায় আউশের আবাদ ছিল খুবই জনপ্রিয়। সকালের খাবার তালিকায় বাডিতে বাড়িতে আউশ চালের পান্থাভাত ছিল খুবই লোভনীয়। বলা যায় তা ছিল আমাদের সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মাঝখানে এই আউশ ধানের চাষ প্রায় বন্ধ হয়েই পড়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রনোদনা দেয়ার ফলে আউশের আবাদ করতে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর নওগাঁ’র উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জানিয়েছেন বর্তমান সরকার কৃষকদের আউশ চাষে উৎসাহিত করতে প্রান্তি চাষীদের বিনামুল্যে সার হিসেবে ইউরিয়া, পটাশডিএপি ও এমওপি, বীজ এবং জমির পরিচর্যা বাবদ নগদ অর্থ প্রনোদনা প্রদান করছে। এই কারনে জেলায় আউশ চাষের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।


কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫-১৬ বছরে জেলায় আউশের আবাদ হয়েছিল ৫৭ হাজার ২শ ৮০ হেক্টর জমিতে। এই বছর চালের আকারে আউশের উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯২ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ বছরে জেলায় আউশের আবাদ হয়েছিল ৫৮ হাজার ২শ ৪৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর আউশের চাল উৎপাদিত হয়েছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩শ ৮৮ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ বছরে জেলায় আউশের আবাদ হয়েছিল ৬১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাল আকারে উৎপাদিত হয়েছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ১শ ৩০ মেট্রিক টন। চলতি ২০১৮-১৯ বছরে জেলায় আউশের আবাদ হয়েছে ৬৩ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে চালের আকারে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫শ ৪৮ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সূত্র মতে চলতি বছর জেলায় মোট ৬৩ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে আউশ হয়েছে। এর মধ্যে উন্নতফলনশীল উফশী জাতের ৬২ হাজার ৯শ ৫১ হেক্টর জমিতে এবং হাউব্রীড জাতের আউশ চাষ হয়েছে ৮শ ১৯ হেক্টর জমিতে।


উপজেলা ভিত্তিক আউশ চাষের পরিমান হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৫শ ৫৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৫ হাজার ২শ ৬০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ২৯৪ হেক্টর। রানীনগর উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৩শ ১০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৩ হাজার ২শ ৯০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ২০ হেক্টর জমিতে। আত্রাই উপজেলায় মোট ২ হাজার ৪শ ৫ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩শ ৯০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ১৫ হেক্টর জমিতে। বদলগাছি উপজেলায় মোট আউশ চাষ হয়েছে ৯শ ৪৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৯শ ৩৫ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ১০ হেক্টর। মহাদেবপুর উপজেলায় মোট আউশ চাষের জমির পরিমান ১০ হাজার ৪শ ৫৭ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী জাতের ১০ হাজার ৪শ ৩২ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ২৫ হেক্টর জমিতে। পতœীতলা উপজেলায় মোট আউশ চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৬হাজার ৯শ ১৫ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ৩৫ হেক্টর। ধামইরহাট উপজেলায় মোট আউশ চাষের পরিমান ২ হাজার ৯শ ৮০ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী জাতের ২ হাজার ৮শ ২০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ১৬০ হেক্টর। সাপাহার উপজেলায় মোট আউশ চাষের পরিমান ৩ হাজার ৫শ ৪০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৩ হাজার ৫শ ৩০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ১০ হেক্টর। পোরশা উপজেলায় মোট আউশের আবাদের পরিমান ১ হাজার ১শ ৯০ হেক্টর। পুরোটাই উফশী জাতের। মান্দা উপজেলায় মোট আউশ চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ২শ ৭৯ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাতের ১৭ হাজার ৪৯ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ২৩০ হেক্টর। নিয়ামতপুর উপজেলায় মোট আউশের আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১শ ৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উফশী জাতের ৯ হাজার ১শ ৪০ হেক্টর ও হাইব্রীড জাতের ২০ হেক্টর।
কৃষকরা এ বছর তাঁদের জমিতে সব চেয়ে বেশী আবাদ করেছেন ব্রিধান-৪৮, ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-৫৫, পারিজা, জিরাশাইল এবং নেরিকা জাতের। এ বছর চালের আকারে সম্ভাব্য উৎপাদনের পরিমাণ আশা করা হচ্ছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫শ ৪৮ মেট্রিক টন।

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দুই বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে। নিহতরা হলেন-উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের দিঘাপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক (৫০) ও কবিনগর গ্রামের মৃত ইন প্রামানিকের ছেলে দুদু প্রামানিক (৫৫)।


রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। এর আগে শনিবার বিভিন্ন সময়ে আত্মহত্যার এসব ঘটনা ঘটে।


আত্রাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শনিবার বিকেলে ৫টার দিকে বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।


অপরদিকে দুদু প্রামানিক দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়িতে ট্যাবলেট খান। বাড়ির লোকজন ঘটনা বুঝতে পেরে প্রথমে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।


রোববার মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি মোবারক।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget