হাসেম আলী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিবাহের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে পাঁচ দিন ধরে অনশন শুরু করেছে প্রেমিকা।
বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের দেওলী রথবাজার গ্রামের ঝরু বর্মণ রায় জানান, তার মেয়ে দেওলী রথবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শোভা রাণী (১৮) বিবাহের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের বৈরাতী সেনপাড়া গ্রামের মৃত বিমল কুমার সেনের ছেলে কলেজ ছাত্র (অর্নাস রাষ্ট্র বিজ্ঞান) কল্যাণ সেন (২২) এর বাড়ীতে অবস্থান নেয়।
অবস্থার বেগতি দেখে পরিবারের লোকেরা প্রেমিক কল্যাণ সেন কে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। শোভা রাণী বিবাহের দাবিতে পাঁচ দিন ধরে অনশন করছে।
স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানান, ২ বছর ধরে কল্যাণ সেন বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে শোভা রাণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। কল্যাণ সেন দুই বছরে শোভা রাণীর সাথে দেখা করে, ফেসবুকে ও মোবাইলে যোগাযোগ করে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমিক কল্যাণ সেন গত ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী শুখানপুখরী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া ব্রীজে প্রেমিকা শোভা রাণীর সাথে দেখা করে। প্রেমিকার সাথে থাকা একটি বাইসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরত আসার কথা বলে তাৎক্ষণিক নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে প্রেমিকা শোভা রাণী চিৎকার করতে থাকলে আশপাশের লোকেরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয়রা আরো জানান, ২৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেল থেকে প্রেমিকা শোভা রাণী প্রেমিক কল্যাণের বাড়িতে অনশন শুরু করলে প্রেমিকের বড়ভাই গৌতম শোভা রাণীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে প্রেমিকা শোভা রাণী জোড়পূর্বক প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করতে থাকে।
মুঠোফোনে পাঁচপীর ইউনিয়নের চেয়াম্যান হুমায়ন কবির প্রধান বলেন, ঘটনাটি সত্য। এ ব্যাপারে উভয় পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ করে মিমাংসার চেষ্টা করছে। আপাতত আপনারা (সাংবাদিকরা) মেয়ের সাক্ষাতকার নিবেন না। প্রয়োজন হলে আমি আপনাদের ফোন দিবো।
প্রেমিক কল্যাণের বড়ভাই গৌতম সেন মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর পরই আমার ভাই নিখোঁজ হয়ে যায়। বর্তমানে আমার সাথে তার কোন ধরণের যোগাযোগ নেই।আপাতত আপনারা (সাংবাদিকরা) মেয়ের সাক্ষাতকার নিবেন না।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেয়েটি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে।