শান্তিতে নোবেল জয়ী জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ৮০ বছর বয়সে সুইজারল্যান্ডে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতিসংঘের সপ্তম এই মহাসচিব।
মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবকল্যান ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কফি আনানের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
এছাড়া মিয়ানমারের নিপীড়িত জনগোষ্ঠি রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের কথা উল্লেখ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের প্রধান হিসেবে মানবিক কাজের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত ঘানান বংশোদ্ভূত কফি আনান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
কফি আনানই প্রথম কোনো আফ্রিকান; যিনি বিশ্বের শীর্ষ এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত।
১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল সাবেক ব্রিটিশ কলোনি ঘানায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। কফি আনান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
১৯৬২ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জেনেভা অফিসে কাজ শুরুর মাধ্যমে জাতিসংঘে প্রবেশ করেন কফি আনান। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এই সংস্থাতেই বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে জাতিসংঘ। আনান কমিশন দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। যা বাস্তবায়িত হলে রোহিঙ্গা বর্তমান পরিণতি ভোগ করতে হতো না।
২০০১ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান বাংলাদেশে সফর করেন।