Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁয় সপ্তাহ ব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টায় শহরের মুক্তির মোড় প্রধান সড়কে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ ২০১৮-এর উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
এসময় পুলিশ সুৃপার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারজানা হক, সদর সার্কেল লিমন রয়, সদর থানার ওসি আব্দুল হাই, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খানসহ পুলিশ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা, জেলা পরিবহন মালিক গ্রæপ, জেলা ট্রাক পরিবহন মালিক গ্রæপ, পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্কাউট, গার্লস গাইড এবং রোভার্স সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পর শহরের কয়েকটি পয়েন্টে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, গণপরিবহন, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের এবং চালকদের কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শেষ সীমানার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত খাস পারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শুধু শ্রেণি কক্ষের সংকটই নয়, কমলমতি শিক্ষার্থীদের বসার জন্য নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ বেঞ্চ, কক্ষে নেই বৈদ্যুতিক ফ্যান এরকম নানা সমস্যায় জর্জড়িত এই বিদ্যালয়টি। তবুও থেমে নেই কার্যক্রম। প্রত্যন্ত এই এলাকার অবহেলিত শিশুদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়টি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে। কক্ষের সংকটের কারণে বারান্দায় পাঠদান করানো হয় বিদ্যালয়ে আসা কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের।


সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পারইল ইউনিয়নের পারইল গ্রামে অবস্থিত খাস পারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই প্রত্যন্ত এলাকার শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে ১৯৮০ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষিত মানুষরা নিজেদের অর্থে ৩৩শতাংশ জমি কিনে স্থাপন করেন এই বিদ্যালয়টি। গত ২০১২ সালে এই বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রার্ড থেকে সরকারি করা হলেও বিদ্যালয়টিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। নেই আধুনিক মান সম্মত ভবন। চরম শ্রেনি সংকটের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিশুদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন। দীর্ঘদিন আগে নির্মাণ করা একতলা একটি ভবনে রয়েছে শুধুমাত্র ৩টি পাঠদান কক্ষ অথচ প্রতিদিন এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫৬জন শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ করে। আর ভবনের সিঁড়ি কক্ষ অফিস কক্ষ হিসাবে ব্যবহার করছেন শিক্ষকরা। তাই বাধ্য হয়েই দুই শিফটে পাঠদান করান শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে ছিলো না বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সম্প্রতি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ পাওয়ার পর অভিভাবক, শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা নিজেদের অর্থ দিয়ে কয়েকটি ফ্যান কিনলেও এখনো রয়েছে ফ্যানের সংকট। প্রতিটি কক্ষে ৪টি করে ফ্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১টি কিংবা ২টি। তাই প্রচন্ড গরমে গাদাগাদি করে শিশুদের পাঠগ্রহণ করতে হয়। অপরদিকে প্রতিবছর বিদ্যালয়ের পিএসসি ফলাফল শত ভাগ। বিগত সময়ে এই বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পেয়েছে অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা।


অভিভাবক রিনা খানম, সমিতা রানী পালসহ আরো অনেকেই বলেন, আমাদের এই বিদ্যালয়টি উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে একেবারেই বঞ্চিত। আমাদের সন্তানরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষাগ্রহণ করছে। বিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণি কক্ষ নেই। অনেক জায়গা রয়েছে। তাই সরকার যদি একটি আধুনিক মান সম্মত নতুন ভবন নির্মাণ করে দিতো তাহলে বারান্দায় মাদুরে বসে আমাদের সন্তানদের আর শিক্ষা গ্রহণ করতে হতো না।


বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: আনছার আলী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের নেই নিজস্ব কোন তহবিল। তাই আমরা এলাকাবাসীরা মিলে যতটুকু করতে পারি। তবে বড় সমস্যা হচ্ছে শ্রেণি কক্ষ সংকট। একটি নতুন ভবন হলে কক্ষ সংকট থেকে আমরা মুক্তি পেতাম। পর্যাপ্ত পরিমান আধুনিক মান সম্মত বেঞ্চ থাকলে শিক্ষার্থীরা বেঞ্চে বসে আনন্দের সঙ্গে পাঠগ্রহণ করতে পারতো। আমরা একাধিকবার এই সমস্যাগুলো উপর মহলকে জানিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: শেফালী বেগম বলেন আমরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে পাঠদান করায়। এলাকার অনেক মানুষ বিদ্যালয়ের এহেন অবস্থা দেখে তাদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করায় না। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই খেটে-খাওয়া গোত্রের। বিদ্যালয়ে শ্রেনি কক্ষ সংকটসহ রয়েছে বেঞ্চের সংকট, জরুরী কাগজপত্র রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আসবাবপত্র, নেই অফিস কক্ষ। এছাড়াও দীর্ঘদিন পর বিদ্যুৎ এলেও শ্রণি কক্ষে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যান। তবুও শিক্ষার্থীরা শত সংকট কাঁধে নিয়ে প্রতি বছর ভালো ফলাফল করছে।


উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আতোয়ার রহমান বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ের সকল সমস্যা চিহ্নিত করে আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা রাখি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এই সকল সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

প্রতিনিধি নওগাঁ: নওগাঁয় বাংলাদেশ ম্যাস রেসলিং এসোসিয়েশন এর কমিটি গঠন আনুষ্ঠানিক আত্ব প্রকাশ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার দুপুর ২ টায় আয়োজন কমিউনিটি সেন্টারে পরিচিতি সভার মধ্য দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।
জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ প্রবাহ সংসদের সাধারন সম্পাদক মো: সামসুল ইসলাম (টপি), বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা শাখার ইয়াংকিং এর প্রধান উপদেষ্টা মতিউর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো: কামাল আহম্মেদ, বাংলাদেশ ম্যাস রেসলিং এসোসিয়েশন নওগাঁ জেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম (টিপু), লতিফুল আলম (তোতা), সাধারন সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম আকাশ প্রমূখ।
উক্ত অনুষ্ঠানে কার্যকরী কমিটিতে জাকির হোসেনকে সভাপতি ও ফয়জুল ইসলাম আকাশ সাধারন সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

হাসেম আলী, জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা।

শনিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত শহরের চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের তিনি ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

নিরাপদ সড়কের দাবি ও রাজধানীতে গাড়ি চাপায় স্কুল শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিার্থীরা সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।

এ সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানায় এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। শান্তিপূর্ন মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যায়।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধি: মৎস উৎপাদনে জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় গণসংবর্ধনায় সম্বর্ধিত হলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৮৫,যশোর ১ শার্শা আসনের এমপি আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন।
অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বিশাল এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ। দুর-দুরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে স্থানীয় বেনাপোল বলফিল্ড চত্তরঘিরে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।


বৃহস্পতিবার বিকাল ৩.০০ টায় অনুষ্ঠান শুরুর আগে থেকেই শার্শা উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা অনুষ্ঠান স্থলে ভীড় জমাতে শুরু করে। বলফিল্ড চত্তরঘিরে কানায় কানায় পরীপুর্ণ হয়ে ওঠে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে। সুধু আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরাই নয় শেখ আফিল উদ্দিনকে এক নজর দেখবার জন্য উৎসুক সকল শ্রেনী পেশার মানুষের ঢল নামে সেখানে। এক দিকে সংবর্ধনা অন্য দিকে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যার শোক দিবসটির কথা মাথায় রেখে পুরো অনুষ্ঠানটি আনন্দ এবং শোকের মধ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে। সংবর্ধনার পাশাপাশি শোক নিয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত বিশাল এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চীফ হুইফ আ,স,ম ফিরোজ এম,পি। বিশেষ অতিথি হিসেবেক উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ৮৬,যশোর-২(ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের এম,পি এ্যাড,মনিরুল ইসলাম। বেনাপোল বলফিল্ডে উনমুক্ত বিশাল জনসভার এই মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান,বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের সহধর্মীনি,উপজেলা আওয়ালীগ সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গণ,ছাত্রলীগ,যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ,বাস্তহারালীগ,মহিলালীগ সহ অন্যান্য নেত্রী বর্গ।


পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর পরে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অতিথিদেরকে সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল সহ ৫০টিরও বেশি সরকারী বেসরকারী সঙ্গগঠনের পক্ষথেকে ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয় শেখ আফিল উদ্দিনকে।


ক্রেষ্ট প্রদান পর্ব শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি তার স্বাগতিক বক্তব্যে তুলে ধরেন।স্বাগতিক বক্তব্যের উপর একে একে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেত্রী বৃন্দ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গণ। বিশেষ অতিথিগনের উপর সব শেষে প্রধান অতিথি আ,স,ম ফিরোজ বলেন শেখ আফিল উদ্দিনকে আগামীদিনে জননেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও একবার শার্শা মানুষের নৌকায় ভোট চান। উপস্থিত হাজার হাজার শার্শা উপজেলা মানুষের কাছে এর জন্য দোয়া চেয়ে আগামী ২০১৮ এর নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি দাবী জানান।

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ পৌরসভায় ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট প্রদানের লক্ষ্যে পৌরবাসীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত দুই মাস থেকে এ কাজটি করছেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেসরকারী সংস্থা ‘সামাজিক অগ্রগতি ও পূর্ণবাসন কর্মসূচী (সার্প)’। এ সংস্থার ১২ জন মাঠকর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের নামে পৌরবাসীর নিকট থেকে অর্থ আদায় করছে অভিযোগ উঠেছে। তবে পৌর মেয়র বলছেন, ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট না, পৌরবাসীদের তথ্য সংগ্রহ এবং কর আদায় করা হচ্ছে।নওগাঁয় ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট প্রদানে পৌরবাসীর নিকট থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ
নওগাঁ পৌরসভা এ্যাসেসমেন্ট শাখা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড। এখানে বাড়ি এবং দোকানের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪ টি। এর মধ্যে বাড়ি ২৫ হাজার চারটি এবং দোকানের সংখ্যা ১ হাজার ২৭টি।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ০৯/০১/২০১৮ ইং তারিখের এক স্মারক থেকে জানা যায়- স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এ কোন বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে অর্থাৎ ‘ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিটি গ্রামে কর (ট্যাক্স) সংগ্রহ ও আদায়ের লক্ষ্যে বাড়ী বাড়ী ডিজিটাল হোল্ডিং এ্যাসেসমেন্ট ও নাম্বার প্লেট প্রদানের কোন সুযোগ নেই।’ তবে পৌরসভা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে কর আদায় করতে পারবে কিনা, তার সুস্পষ্ট ব্যাখা স্মারকে নেই।
জানা গেছে, গত দুই মাস থেকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেসরকারি সংস্থা সার্প এর ১২ জন মাঠকর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। পৌরসভার সিল মোহরকৃত রশিদের মাধ্যমে পাকা বাড়ীর ক্ষেত্রে ১শ’ টাকা এবং টিন কিংবা বেড়ার বাড়ীর ক্ষেত্রে ৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। রশিদে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লিখা থাকলেও জোর পূর্বক বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া এখন এ রশিদ কাটা না হলে পরবর্তিতে আরো বেশি টাকা দিয়ে রশিদ নিতে হবে বলেও ভয় দেখানো হয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। পৌরসভার মধ্যে কোন বাড়ি করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। সেখান থেকে বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার, ওয়ার্ড ও পাড়া/মহল্লার নাম থাকে এবং সেটি টিনের প্লেটে লিখ থাকে। তবে এটি তেমন কোন কাজে আসে না। বর্তমানে ডিজিটাল হোল্ডিং নাম্বার প্লেটের নামে সম্পূর্ণরূপে নাগরিকদের সাথে প্রতারণা ও বাড়তি কিছু টাকা আদায়ের কৌশল বলেও পৌরবাসীর অভিযোগ।
সার্প এর মাঠ মাঠকর্মী রাজিব, মজিদুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম ও দিলীপ কুমার বলেন, ‘ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট প্রদানের লক্ষে হোল্ডিং নম্বর, বাড়ীর মালিকের নাম, পিতার নাম, পাড়া এবং ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর বিনিময়ে নওগাঁ পৌরসভার সিল মোহরকৃত রশিদের মাধ্যমে পাকা বাড়ী হলে ১শ’ টাকা ও টিন কিংবা বেড়ার বাড়ীর ক্ষেত্রে ৭০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এখন ১শ’ টাকার বিনিময়ে হোল্ডিং/দোকান নম্বর প্লেট সংগ্রহ না করলে পরবর্তীতে ৫শ’ টাকা বা তারও অধিক টাকার বিনিময়ে সংগ্রহ করতে হবে। ডিজিটাল হোল্ডিং নম্বর প্লেট প্রদানে লক্ষে গ্রাহক পর্যায় হতে আহরিত টাকার ৭০ শতাংশ পৌর কর্তৃপক্ষ (মেয়র, কাউন্সিলর ও অন্যান্যরা) এবং বাকী ৩০ শতাংশ বেসরকারি সংস্থা (সার্প) পাবে।
৬নং ওয়ার্ডের চকপ্রসাদ মহল্লার বাসীন্দা ইয়াসিন আহম্মেদ বলেন, গত ১০দিন আগে পৌরসভা থেকে লোক এসে তার আধাপাকা বাড়ির জন্য ৭০ টাকা নিয়ে গেছে। প্রথমে সন্দেহ হয়েছিল তবে ছাপানো রশিদ দেয়ায় টাকা দিয়েছি। হোল্ডিং নাম্বারে আগেও কখনো সুবিধা পেতাম না। ডিজিটাল নাম্বার প্লেট হলেও হয়তো কোন সুবিধা পাব না বলে মনে করেন তিনি।
৭নং ওয়ার্ডের চক-আবদাল মহল্লার বাসীন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, গত ১২দিন আগে পৌরসভার লোক এসে আমার স্ত্রীর কাছ থেকে আধাপাকা বাড়ীর জন্য ১০০ টাকা নিয়ে গেছে। তবে ছাপানো ৭০ টাকার রশিদ দিয়ে গেছে। এখন টাকা না দিলে পরবর্তীতে ১ হাজার ২শ’ টাকা দিতে হবে বলে ভয় দেখানো হয়। এজন্য স্ত্রী ভয় পেয়ে টাকা দিয়েছে।
১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম রাশিদুল আলম সাজু বলেন, হোল্ডিং/দোকান নম্বর প্লেট প্রদানের লক্ষে এনজিও থেকে যারা টাকা উত্তোলন করছেন প্রথম প্রথম রশিদে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লিখা থাকলেও বেশি টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর তাদেরকে রশিদের যে টাকা লিখা আছে সে পরিমাণ টাকা নিতে বলা হয়। এরপর থেকে ঠিক হয়ে গেছে।
সার্প এর নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান (রিপন) বলেন, আমরা ছয় মাসের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। ডিজিটাল হোল্ডিং এর নাম্বার প্লেট দেয়ার নামে গত দুই মাস থেকে রশিদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এ কাজটি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছয়টি ওয়ার্ডের কাজ শেষ হয়েছে। আরো কয়েকমাস সময় লাগবে। চায়না গ্যালভানাইজিং সিটে ডিজিটাল হোল্ডিং টি তৈরী হবে এবং কিছুদিনের মধ্যে এটি বিতরণ করা হবে। এতে প্রায় ৫০/৬০ টাকা খরচ হবে। তবে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগটি ভিত্তিহীন। যেখানে রশিদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।
নওগাঁ পৌরসভা মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, পৌরসভায় কর্মচারীরা পৌরবাসীর দোরগোড়ায় গিয়ে সম্পূর্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনা। এতে অনেক কর (ট্যাক্স) আদায় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। কিন্তু এনজিও’র লোকজন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কাজটা সম্পূর্ন করতে পারেন। আশা করছি এতে কর আদায়ে আর সমস্যা থাকবেনা এবং বেশি পরিমাণ কর আদায় হবে। আমাদের মাসিক মিটিংয়ে সর্ব সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোপূর্বে ৪/৫ টি এনজিও আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। তাদের মধ্যে সার্প এর হার (রেট) কিছুটা কম থাকায় তাদেরকে এ কাজটা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার থেকে পৌরসভার কর আদায়ে কোন বিধি নির্ষেধ নেই। এ নিয়ে আমরা পৌর পরিষদের একটি রেজুলেশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বরাবর পাঠিয়েছি। সেখান থেকে যদি নিষেধ করা হয়, তাহলে কর আদায় বন্ধ করা হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget