Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

মাহমুদুন নবী বেলাল, নওগাঁ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক এমপি বলেছেন, শিশুদের কল্যাণে নানামুখী কাজ করছে সরকার। বছরের প্রথমদিনেই বিনা পয়সার বই তুলে দেওয়া হচ্ছে তাদের হাতে। দেওয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। বিনোদনের জন্য আলাদাভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে শিশু পার্ক। সরকারের বিভিন্ন বিশেষ দিবসে শিশুরা যেন সার্বিক বিনোদন পায় সে বিষয়েও কাজ করছে সরকার।
গত বুধবার বিকেলে মান্দা উপজেলা পরিষদ চত্বরে দুইদিন ব্যাপি শিশু মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের এসব কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমার প্রচেষ্টা থাকবে মান্দা উপজেলাকে শিশুবান্ধব হিসাবে গড়ে তোলা। শিশুদের লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা বিকাশে খেলাধূলা ও বিনোদনের সমান সুযোগ দিতে হবে। কারণ আজকের শিশুরাই আগামি দিনের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, জেলা তথ্য অফিসার আতিকুর রহমান শাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোল্লা এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার জসিম উদ্দিন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক, উপজেলা প্রকৌশলী মোরশেদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি আব্দুল আলিম, প্রেসক্লাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, প্রভাষক নিরঞ্জন বাগচি নিরু, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
শেষে কবিতা আবৃতি, চিত্রাঙ্কণ, রচনা ও গান প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে আছুরা বিবি (৪০) নামের এক মানসিক রোগী গত এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিলেও তার কোন সন্ধান তারা পায়নি।

এ ব্যাপারে আত্রাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিখোঁজ আছুরা বিবি উপজেলার ইসলামগাঁথী গ্রামের মো: আকবর আলীর স্ত্রী। তার শ্যামবর্ণ গায়ের রং, মুখমন্ডল গোলাকার, উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফুট।

নিখোঁজ আছুরা বিবির ছেলে আশিক আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার মা গত ৩১ মে হারিয়ে যাওয়ার পর আমি গত ৬ জুন আত্রাই থানায় জিডি করেছি। যার নং-২০২। তিনি আরো জানান আমার মা দীর্ঘ দিন যাবৎ মানসিক রোগে ভুগছিলো। আমি মায়ের একটি বিষয় লক্ষ করেছে তিনি বেশির ভাগ সময় হাত মাথার উপড়ে উঠিয়ে রাখে আর একটু পর পর হাতটি ঝাকুনি দেয়। গর্ভধারিনী মা কে প্রায় এক মাস ধরে তাদের কাছে না পেয়ে ছেলে-মিয়ে ও আতœীয় স্বজন নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে পাগল প্রায়। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি মহিলাটির খোঁজ বা সন্ধ্যান পেয়ে থাকেন তাহলে স্থানীয় থানায় অথবা ০১৭১০-৪৯১৩৪৮ নাম্বারে খোঁজ দেওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছে তার অভিভাবকরা।

এ ব্যাপারে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোবারক হোসেন জানান, নিখোঁজ আছুরা বিবির সন্ধানের জন্য দেশের বিভিন্ন থানায় ছবিসহ পরিচয় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ’র পত্নীতলায় বিজিবি’র রংপুর রিজিয়ন পর্যায়ে আন্ত:ব্যাটালিয়ন উশু প্রতিযোগিতা ১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পত্নীতলা উপজেলা সদরে অবস্থিত ১৪ বিজিবি’র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই উশু প্রতিযোগিতায় বিজিবি রংপুর রিজিয়নের আওতাধীন ১৩টি ব্যাটালিয়নের উশু প্রতিযোগিরা অংশগ্রহন করেন।
গত বুধবার বিকেলে ১৪ বিজিবি’র গ্রাইন্ডে প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ৮টি স্বর্ন, ৪টি রৌপ্য ও ১টি তা¤্র পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নওগাঁ’র পত্নীতলায় অবস্থিত ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন। ১টি স্বর্ন, ২টি রৌপ্য ও ১টি তা¤্র পদক পেয়ে রানার আপ হয়েছে কুড়িগ্রামে অবস্থিত ২২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিযন।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন রংপুর রিজিওেেনর রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান বিএসসি, এনডিসি, পিএসসি।
১৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্নেল মো. খিজির খান-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে রাজশাহীর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ার সাদাত আবু মো. ফুয়াদ পিএসসি, দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আনিসুর রহমান, ২২ বিজিবি’র অধিনায়ক ও রংপুর সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার লে: কর্নেল চৌধুরী সাইফ উদ্দিন কাওছার, ৫০ বিজিবি’র অধিনায়ক ও ঠাকুরগাঁও সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডার লে: কর্নেল মোহাম্মদ হোসেন, নওগাঁস্থ ১৬ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্নেল খাদেমুল বাশারসহ সকল ব্যাটালিয়নের অধিনায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ২৫ জুন থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

নওগাঁ প্রতিনিধি: বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকিয়ে রাখার প্রতিবাদে নওগাঁ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় শহরের বাটার মোড় থেকে জেলা বিএনপির উদ্যেগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলুর নের্তৃত্বে বের হয়ে কেডির মোড় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সভাপতি নজমুল হক সনি’র সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, যুগ্ন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বেলাল ও নাসির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন ও শফিউল আযম ভিপি রানা, নির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম বুলেট, জেলা যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক জেড.এইচ.খান মানিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শামীম আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক শফিউল আযম টুটুল প্রমূখ।
বক্তারা দলের সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আওয়ামীলীগ সরকারের পতন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানানো হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলের রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই শুল্কভবনে ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে বলে বেনাপোল শুল্কভবনের পরিসংখ্যান শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন। সে হিসাবে গত অর্থবছরের বেনাপোলে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি পরিমাণ ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।
মাহাবুব বলেন, গেল অর্থবছরে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরণের ১৮ লাখ ২ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কম হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে বেনাপোলে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি।
আগের অর্থবছরে বেনাপোলে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ বেশি ছিল ।
গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার পেছনে বন্দরের অবকাঠামগত উন্নয়ন সমস্যা, পণ্যের নিরাপত্তা শঙ্কা এবং অযৌক্তিক হারে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ফলে পাচার বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে দেখছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। তবে রাজস্ব কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য কম আমদানি হওয়ার পাশাপাশি শুল্কমুক্ত পণ্যের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আদায় কমেছে।
এই বন্দরের আমদানিকারক আবু নিদাল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, অযথা হয়রানি, পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে ধরা, ইচ্ছামতো পণ্যের এইচএস কোড পরিবর্তন করে বেশি শুল্ক আদায় করা, ঘুষ ও বন্দরে নিরাপত্তা সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বন্দরে পণ্যাগারের অভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্তহচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন হলে বর্তমানে যে রাজস্ব আসছে, তার দ্বিগুণ আসবে। আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আবার শুল্ক বাড়বে বলে মনে করেন এই সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান মনে করেন।
তিনি বলেন, গত দুই দশকে বেনাপোল বন্দরে আটটি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি টাকার লোকশানের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় ক্ষতিপূরণ না পেয়ে অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। কেউ আবার এ পথে ব্যবসা বন্ধ করে অন্য বন্দরে গেছেন।
এসব বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে জায়গা অধিগ্রহণ ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
“বন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন ধরনের সতর্কতামূলক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম শুরু হলে এ বন্দর দিয়ে আমদানি সঙ্গে রাজস্বও বাড়বে।”

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক সীমান্ত চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে পায়ু পথে স্বর্ণ। পাচারকারী স্বর্ণমানবরা এখন এ সীমান্ত পথটি তারা নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে। তবে পাচারকারীরা ইতোপূর্বে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে জুতার ভিতর, ব্যাগের ভিতর, পরনের প্যান্টের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে স্বর্ণ পাচার করতো কিন্তু কাষ্টমস্ তল্লাশী কেন্দ্রের সদস্যরা এ সব কৌশল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ায় এখন তারা লুকানো কৌশল পরিবর্তন করে স্বর্নেও বার পাচার করছে পায়ু পথে।
পায়ু পথ ব্যবহার ঐ পাচারকারী স্বর্ণ মানবের বেশ কষ্ট দায়ক হলেও এ পথটি তারা নিরাপদ মনে করছেন। একান্ত গোপনসুত্রে সংবাদ পাওয়া ছাড়া এ সব স্বর্ণ মানবদের আটক করা বেশ দুরুহ। ব্যাগেজ বা অন্যন্যা জায়গা যত সহজে তল্লাশী করে একজন পাসপোর্ট যাত্রীকে নিশ্চিত হওয়া যায় সে স্বর্ন পাচারকারী নয় কিন্তু একজন সন্দেহজনক স্বর্ণ মানবকে আটক করলে অতসহজে বোঝা যায় না সে স্বর্ণমানব কিনা। তাকে আটকের পর বেশ ঝুক্কি ঝামেলাও পোহাতে হয় কাষ্টমস্ কর্তৃপক্ষের। আটকের পর তাকে প্রথমে স্বীকার করনোর চেষ্টা করা হয়। তার পরেও যখন ঐ স্বর্ন মানব সব কিছু অস্বীকার করে তখন তাকে হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে নিয়ে এক্সের করানোর পর কাষ্টমস্ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় তার পেটের ভিতর অথবা পায়ু পথে স্বর্নের বার লুকানো আছে।
তখন তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে খাওয়ানো হয় কলা, পাউরুটিসহ তরল খাবার। চেষ্টা করানো হয় পায়ু পথ দিয়ে এ সব স্বর্ন উদ্ধারের। তবে ২ থেকে ৬ ঘন্টা, ক্ষেত্র বিশেষ ৮ ঘন্টার মধ্যে পায়ু পথের স্বর্ণের বার উদ্ধার করা সম্ভব হয় এ সব স্বর্ণ মানবের শরীর থেকে। একজন স্বর্ণমানবের পায়ু পথ থেকে সর্বোচ্চ ১৭টি পর্যন্ত স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বেনাপোল কাষ্টমস্ এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল কর্তৃপক্ষ। তবে বেনাপোল চেকপেষ্টে কর্মরত বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তারা জানান এখানে কর্মরত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেলে এ পথে স্বর্ণ পাচার অনেকটা কমে যেত।
বেনাপোল কাষ্টম হাউসের জয়েন্ট কমিশনার এহসান খান জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট এলাকা থেকে স্বর্নসহ ২৭জন স্বর্ন চোরাচালানীকে আটক করেছে কাষ্টমস্ ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে রয়েছে ৬জন স্বর্ন মানব। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ১৯ কেজি ৩০৪ গ্রাম স্বর্ন। যার বাজার মুল্যে ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় ও চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে ১৯টি। বেনাপেল চেকপোষ্ট থেকে সর্বশেষ ৭ই জুন-২০১৮ আটক স্বর্ন মানব শরিয়তপুর জেলার আব্দুল মান্নান ব্যাপারীর ছেলে লাভলু ব্যাপারী জানান এ সব স্বর্ন তার নয় সে বাহক মাত্র । ঢাকা থেকে প্রতি পিচ স্বর্নের বার কলকাতার নিদিষ্ট স্থানে পৌছে দিলে সে পাবেন পিচ প্রতি২ হাজার টাকা মাত্র। তবে এ স্বর্নের প্রকৃত মালিক কে তাও তার জানা নেই। তার এক বন্ধু তাকে এ সব স্বর্নের বার কলকাতায় পৌছে দিতে বলেছে। তবে এ পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকা থেকে যারা স্বর্ন সহ আটক হয়েছে তারা কেউ স্বর্নের মালিক নয় বাহক মাত্র। তবে প্রকৃত মালিক কে ? এমন জিঞাসা বিশিষ্ঠ জনদের।
স্বর্ণ পাচারকারী ধৃত আসামীরা আটক হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষের তেমন কোন অনুসন্ধ্যান অভিযানও দেখা যায় না প্রকৃত স্বর্ণের মালিকদের আটকের ব্যাপারে। বেনাপোলের একজন সাধারন ব্যবসায়ী জানান, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় গরুর টাকা (ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী মাহজনদের) সে দেশের মাহজনদের যোগান দিতে এ স্বর্ণ পাচার। গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধমে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী মাহাজনদের বাংলাদেশে টাকা ছাড়াই পাঠনো গরু বিক্রির কোটি কোটি টাকা তারা পেয়ে থাকেন বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এ সব স্বর্ণের মাধ্যমে। চোরা পথে ভারতে টাকা পাঠাতে নিরাপদ নয় এবং বহনেও অসুবিধার কারণে এ দেশ থেকে গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভারতে স্বর্ণ পাঠিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে ভারত থেকে বাংলাদেশে চোরা পথে গরু আসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত স্বর্ন পাচার অব্যহত থাকবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget