Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

রিফাত হোসাইন সবুজ, নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষধর গোখরা সাপের দংশনে মাজেদা খাতুন (৬৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ মাজেদা খাতুন মদনডাঙ্গা গ্রামের মো: ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।


গৃহবধূর পরিবার ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো: বেদারুল ইসলাম জানায়, সোমবার সকালে পরিবারের লোকজনের খাবার তৈরির জন্য মাজেদা খাতুন রান্না ঘরে গেলে সেখানেই তাকে বিষধর গোখরা দংশন করে। টের পেয়ে স্বজনরা প্রথমে তাকে দ্রত আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এবং পথ মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
আত্রাই থানারা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোবারক হোসেন গৃহবধূ মাজেদা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আব্বাস আলী, নওগাঁ: নওগাঁয় আমের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন আম চাষিরা। গত বছর লাভের মুখ দেখলেও এ বছর লোকসান গুনতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তবে প্রশাসন থেকে আম নামানোর সময় বেঁধে দেয়ায় এক সঙ্গে সকল আম বাজারে আসে। এতে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

চাষিদের দাবি আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন করা এবং বিদেশে রফতানি করা হলে ন্যায্য দাম পাওয়া সম্ভব। অন্যথায় আগামীতে আম চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার ১১টি উপজেলায় ১৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি জেলার পোরশা উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর এবং সাপাহার উপজেলায় ৪ হাজার জমিতে আম বাগান রয়েছে।

জানা গেছে, জেলার ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র অঞ্চল সাপাহার, পোরশা, পতœীতলা ও নিয়ামতপুর উপজেলা। ধানের আবাদ কম হওয়ায় প্রতি বছর এক হাজার হেক্টর জমিতে বাড়ছে আম বাগান। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত মৌসুমের মতো আমে ফরমালিনের ব্যবহার ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন থেকে কঠোর নজাদারি রাখা হচ্ছে। এ বছর তীব্র তাপদাহ ও গরম আবহাওয়ার কারণে সময়ের আগে গাছেই আম পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে আম চাষিদের ১ জুনের আগে গাছ থেকে আম পাড়া ও বাজারজাতকরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।


ফলে প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সময়ের আগেই গাছে আম পাকতে শুরু করে। আর ১ জুনের পর সব চাষিরা এক সঙ্গে গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারজাত করতে গিয়ে প্রচুর আমদানি হয়। এ বছর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমে কেমিকেল দিয়ে ফল পাকানো রোধে ‘উপজেলা পর্যবেক্ষণ কমিটি’ গঠন করা হয়। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় বাজারে আম বেশি হওয়ায় আমের দাম কমে গেছে। এখন আম চাষি ও বিক্রেতাদের লাভের পরিবর্তে লোকসান দেখতে হচ্ছে।

সাপাহার উপজেলায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে আম বিক্রি করতে আসা চাষিদের দীর্ঘ জটলা। সকালে গাছ থেকে আম নামিয়ে ভটভটি ও ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয়েছে সাপাহারে আমের হাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ হাটে আমের সরবরাহ বাড়লেও মিলছে না ক্রেতা। পাইকার না আসায় আমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।

সাপাহার বাজারে প্রতি মণ আম্রপালি ১ হাজার ৮শ টাকা, হিমসাগর ১ হাজার ৮শ টাকা, ল্যাংড়া ১ হাজার ২শ টাকা, নাক ফজলি ১ হাজার ২শ টাকা, গোপাল ভোগ ১ হাজার টাকা, কুমড়া জালি ১ হাজার টাকা ও পেপসি বা গুটি আম ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতি মণ আমে ৮শ-৯শ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

সাপাহারের পদলপাড়া গ্রামের আমচাষি আব্দুল মান্নান বলেন, ১৫ বিঘা জমিতে আম্রপালি ও ফজলি জাতের ৯টি আম বাগান আছে। প্রতি বিঘায় শ্রমিক, সার, ওষুধ ও আনুষাঙ্গিক খরচসহ প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১৫ বিঘা জমির আম বাগানে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে আমের যে দাম তাতে খরচই উঠবে না। লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হবে। দাম কম হওয়ায় গাছেই পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আম সংরক্ষণের জন্য যদি হিমাগার/কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন করা হয় এবং বিদেশে রফতানি করা হয় তাহলে চাষিরা ন্যায্য দাম পাবেন। অন্যথায় আগামীতে আম চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন চাষিরা।

সাপাহার উপজেলা মৌসুমি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, তিনি চাষিদের কাছ থেকে আম কিনে ঢাকায় পাইকারি বিক্রি করেন। তার মতো প্রায় ৩শ ব্যবসায়ী আছে। এ বছর গরমে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সব ধরনের আম সময়ের আগেই পেকে গেছে। একই সময় বিভিন্ন মোকামে আম বাজারে আসে। প্রয়োজনের তুলনায় আমের উৎপাদনও বেশি হয়েছে। আম বেশি এবং ক্রেতা কম হওয়ায় আমের দাম কমে গেছে। সংরক্ষণের অভাবে আম পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত বছর ১ হাজার ৫শ মণ বিক্রি করেছি। এ বছর সেই পরিমাণ হয়তো হবে না।

সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন বলেন, এ বছর উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৭ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হয়েছে। সেই হিসেবে প্রায় ৬৮ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বাজারজাতের সমস্যার কারণে দাম আমের দাম ত্রলনামূলকভাবে কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা। রমজান মাসে ভোক্তাদের চাহিদা কম থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা না আসায় এ সমস্যা হয়েছিল। তবে ঈদের পর থেকে দাম বাড়ছে। আশা করছি কৃষকরা তাদের ন্যায্য মূল পাবেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলার আম চাষিরা যেন ন্যায্য মূল পায় এজন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সাপাহারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের নিয়ে সেখানে একটি হিমাগার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে জায়গা দেয়া থেকে শুরু করে সকল সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও সেখানে স্থলবন্দর করার জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। স্থলবন্দর করা হলে সেই এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি: ‘ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের ৩৯৯ কি.মি. ঝুঁকিপূর্ণ’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ৩৯৯ কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর ওই এলাকাজুড়ে বিজিবির নজরদারি নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে থার্মাল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, রাডার, সেন্সরযুক্ত বিভিন্ন যন্ত্র ও সমন্বিত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক। বর্ডার সার্ভেইল্যান্সের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রæততম সময়ের মধ্যে দুর্গম সীমান্তে 'রেসপন্স টিম' পৌঁছানোর লক্ষ্যে যেকোন ধরনের স্থল সীমান্তে চলাচল উপযোগী 'অল টেরেইন ভেহিকেল' এবং দুর্গম নৌ-সীমান্তে জন্য হাইস্পিড বোট সরবরাহ করা হবে।


সোমবার সকাল ৯টায় দিকে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।


তিনি জানান, ‘বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম’ এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কভুক্ত সীমান্তে সংশ্লিষ্ট ‘কমান্ড’ পর্যায় থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিট ছাড়াও কেদ্রæীয়ভাবে সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের মাধ্যমে সীমান্তের নজরদারির লক্ষ্যে বিজিবি সদর দফতর, পিলখানায় সর্বাধুনিক ‘কমান্ড সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় মাদক, অস্ত্র, সবধরনের চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ সহায়ক হবে।


বিজিবি মহাপরিচালক জানান, বর্তমানে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তের ১০ কিলোমিটার এলাকায় এই সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী বছর নাগাদ কক্সবাজারের অধিকাংশ সীমান্ত এলাকা, নওগাঁর হাপানিয়া সীমান্ত, দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে 'বর্ডার সার্ভেইল্যান্স অ্যান্ড রেসপন্স সিস্টেম' স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হবে।


এছাড়া সীমান্তের চেকপোস্টগুলোতে নিরাপত্তা ও নজরদারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেনাপোল ও হিলি চেকপোস্ট বিজিবির সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সীমান্তের সকল চেকপোস্ট একইভাবে সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় 'সার্ভেইল্যান্স এন্ড রেসপন্স সিস্টেম' স্থাপন সম্পন্ন হলে সীমান্ত অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান তিনি।


এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালিদ আল মামুন, খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তৌহিদুল ইসলাম, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক, খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল তারিকুল ইসলাম, আরআইবির কমান্ডিং অফিসার লে.কর্নেল খবির উদ্দিনসহ বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তরিকুল ইসলাম জেন্টু,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সান্তাহার পৌর এলাকার উপর পোঁওতা স্কুল মাঠ এলাকায় পুলিশের হেড কোয়াটারের ইন্টিলিজেন্স শাখা ও বগুড়া ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুই জেএমবি’কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত জেএমবি’রা হলো, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছোটচক গ্রামের মৃত: আব্দুস ছালামের ছেলে রুবেল হোসেন (২৮) ও একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পার চৌকা গ্রমের আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল বারি (২১)। এঘটনায় গতকাল রবিবার সকালে আদমদীঘি থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
বগুড়া জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানায়, জেএমবি কাডারের একটি দল সান্তাহারের যেকোন স্থানে গোপন বৈঠকে মিলিত হবে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে গত শনিবার দিবগত রাত ১১ টায় উপর পোঁওতা স্কুল মাঠের এক প্রান্ত থেকে (সেভিন পয়েন্ট সিক্সটি ফাইফ) দুটি পিস্তল,১২ রাউন্ড তাজা গুলি ও চরটি ম্যাকজিনসহ তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং অপর জেএমবি’রা পালিয়ে যায়।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোল সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২১ পিস ইয়াবা ও ১৯ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে যশোর র‌্যাব-৬ সদস্যরা। রোববার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় ও দিঘীরপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের জামাল শেখের ছেলে শামীম শেখ (২০) ও দিঘীরপাড় গ্রামের আবু বক্করের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৩৭)।


র‌্যাব-৬ যশোরের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মো. খোদাদাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক দ্রব্য বেচাকেনার সময় তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে মো: সাহেদ আহমে¥দ (৬) নামে এক মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আবাদপুকুরের হাসানকুড়– আসরাফুল ইসলামিয়া মাদ্রসার পাশে বাঁশঝাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রটি চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পেক্ষিতে নরোপশু আব্দুল মান্নানকে শনিবার সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


সাহেদ আহমে¥দ উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের আবাদপুকুর উত্তরপাড়া গ্রামের মো: জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জাকিরের ছেলে ও আবাদপুকুর মুতছাতøহুল নুরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।


ছাত্রের বাবা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে জাকির জানান, এদিন বিকেল অনুমান ৬ টার দিকে তার ছেলে সাহেদ আহমে¥দকে আবাদপুকুরের হাসানকুড়– আসরাফুল ইসলামিয়া মাদ্রসায় তার সহপাঠিদের সাথে খেলা-ধুলা করার জন্য তার ছেলেকে রেখে তিনি চলে আসেন। প্রতিদিনের মত তার ছেলে বাড়িতে না ফেরার কারনে তিনি তার ছেলেকে আনতে সেখানে যান। পরে সেখানে গেিয় দেখতে পায় পাশে বাঁশঝাড়ে তার ছেলে অসুস্থ অবস্থায় পরে আছে। তার ছেলের কাছে তিনি জানতে পারে যে তার ছেলেকে একই গ্রামের মো: আহাদ আলীর ছেলে নরোপশু মো: আব্দুল মান্নান ফুললে ফাসলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করেছেন। ছেলেকে তিনি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি দেয়।


পরে নরোপশু আব্দুল মান্নানকে তার নিজ বাড়িতে তারা ধরলে তিনি ঘটনাটি শিকার করে কৈশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তার পর থেকে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান পলাতক ছিলেন। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাণীনগর থানা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পেক্ষিতে নরোপশু আব্দুল মান্নানকে গোপন সংবাদের ভিত্ততে শনিবার সকালে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত নরোপশু আব্দুল মান্নানের দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তির দাবি করে ছাত্রের বাবা ও এলাকাবাসি।


এব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এঘটনায় ছেলের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পেক্ষিতে আসামী আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget