Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে শাহীন (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃতে্যু হয়েছে। এর আগে গত ১৭ জুন রাতে সদর উপজেলার তালতলী মাদরাসা পাড়ায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত শাহীন উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারী আমিনুল ইসলাম শ্যামল (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি শেখপুরা গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (১৭ জুন) বিকেলে তালতলী মাদরাসা পাড়ায় ক্যারাম বোর্ডে গুটি সাজানোকে কেন্দ্র করে শাহীনের সঙ্গে আমিনুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে এলাকার লোকজন মিমাংসা করে দেয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আবারও ফুটবল খেলা দেখতে আসেন শাহীন। খেলা দেখার এক পর্যায়ে শাহীনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান আমিনুল ইসলাম। নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিকে আটকের জোর প্রচেষ্টা চলছে।

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে চুরি যাওয়া গরু ও ট্রাকসহ তিন কিশোর চোরকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খড়িবাড়ী বাজারে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে তাদের আটক করা হয়। এসময় চুরি যাওয়া তিনটি গরু ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড-১১-৫৭৩৭) জব্দ করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো রাজশাহীর কাটাখালি এলাকার আব্দুলের ছেলে লাল চান (১৬), মান্দার ঘোনা গ্রামের মোজাহারের ছেলে সাকিল (১৫) ও তেতুলিয়া ইউনিয়নের শালদহ গ্রামের রজিন্দ্রনাথ প্রামানিকের ছেলে সুজিত কুমার প্রামানিক (১৭)। থানা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদে নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকুল জানতে পারেন যে, পাঁড়ইল ইউনিয়নের বিদিরপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দীনের বাড়ী থেকে তিনটি গরু চুরি করে চোরেরা মান্দার চৌবাড়িয়া অভিমুখে যাচ্ছে। এমন সংবাদে তাৎক্ষনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইন চার্জ নাজমুল হকের নেতৃত্বে এসআই মুকুল, এসআই সরোয়ার হোসেনসহ থানা পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খড়িবাড়ী বাজারের তিনমোহনী মোড়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। চোরেরা মোড়ে পৌঁছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ব্যবহৃত গরুসহ ট্রাকটি নিয়ে ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করে। শেষে ব্যারিকেড ভাঙ্গতে ব্যর্থ হলে তারা ট্রাক থেকে নেমে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা দৌড়ে তাদের আটক করে। এসময় জনতার গন পিটুনিতে চোরেরা গুরুতর জখম হয়। পরে তাদের আহত অবস্থায় নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে পুলিশি পাহারায় তাদের চিকিৎসা চলছে। থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইন চার্জ (ওসিতদন্ত) নাজমুল হক জানান, আটককৃত চোরদের পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা চলছে। সুস্থ্য হলেই তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল প্রতিনিধি: দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ট্রাক টার্মিনালে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় যানজট লেগেই আছে। দীর্ঘস্থায়ী যানজটের কারণে একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অন্যদিকে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ঘন্টার পর ঘন্টা যত্র-তত্র ট্রাক রেখে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ট্রাক চালকদের।


বেনাপোল বন্দরে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬শ’ পণ্যবোঝাই ট্রাক যাতায়াত করে। এর দুই-তৃতীয়াংশ ভারতীয়। কিন্তু আমদানি পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক রাখার জন্য নামমাত্র একটি ট্রাক টার্মিনাল থাকলেও নেই পর্যাপ্ত জায়গা। সেখানে আবার ভারতীয় ট্রাকের চেয়ে বিভিন্ন পণ্য রাখা হয় বেশি। জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাই যত্রতত্র রাখা হচ্ছে মূল্যবান পণ্য বোঝাই শত শত ট্রাক। এতে বন্দরে পণ্য ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।


ব্যবসায়ীরা জানান,ট্রাক যে কারণেই আটকা পড়–ক না কেন বন্দরের নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য আনলোডে ব্যর্থ হলে ট্রাক প্রতি প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বিলম্ব ফিস গুণতে হয়।


এদিকে, দিনের পর দিন ভারতীয় ট্রাক আটকা পড়ায় ট্রাক থেকে প্রায়ই পণ্য চুরির ঘটনা ঘটছে। পথে অতি কষ্টে থাকতে হয় আটকা পড়া ট্রাকের চালকদের। মাঝেমধ্যে চাঁদাবাজির কবলেও পড়তে হয় তাদের।


বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফএজেন্ট ও রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, সরকারি প্রতিবছর বন্দর থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও উন্নয়নে তেমন নজর নেই। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ট্রাক টার্মিনালে সৃষ্ট পণ্য ও যানজটের কারণে বন্দর ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার সুফল মিলছে না।
তবে জায়গা স্বল্পতার কথা স্বীকার করে সৃষ্ট পণ্য ও যানজটের জন্য বন্দর ব্যবহারকারীদের দুষলেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম। আর কাস্টমস কমিনার মো. বেলাল হোসাইন চৌধুরী বললেন, পৌর কর্তৃপক্ষের নির্মানাধীন ট্রাক ও বাস টার্মিনালের কাজ শেষ হলে সমস্যার সমাধান হবে।

নওগাঁ: মাদকাসক্ত বাবা প্রায়ই নেশা করে এসে মাকে মারধর করে। নেশার টাকা জোগাড় নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হয়। গত সোমবার (২১ জুন) দুপুরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে এলে কলেজপড়–য়া ছেলে রাজু আহমেদ (২২) বাবাকে নেশা ছেড়ে দিতে বলে। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতের পাশে থাকা হাসুয়া দিয়ে ছেলেকে আঘাত করেন নেশাগ্রস্ত বাবা মতিউর রহমান (৫০)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।


নিহত রাজু আহমেদ রাজশাহী কলেজে মনোবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় ছেলেকে হত্যায় দায়ে মা জয়নব বেগম নিয়ামতপুর থানায় স্বামী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ এখনও অভিযুক্ত মতিউর রহমানকে ধরতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশা করে এসে প্রায় স্ত্রীকে মারধর করে। এমনকি পাড়া-প্রতিবেশির সঙ্গেও তাঁর মাঝে-মাঝেই ঝগড়া-বিবাদ হয়। এলাকার লোকজন তাঁর ওপর অতিষ্ঠ। গত সোমবার দুপুরে মতিউর রহমান নেশা করে বাড়িতে ঢুকলে বাবাকে নেশা ছেড়ে দিতে বলে ছেলে রাজু আহমেদ। নেশা ছাড়তে না চাইলে বাবা-ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাতের পাশে থাকা হাসুয়া দিয়ে ছেলের মাথায় করেন নেশাগ্রস্ত বাবা মতিউর রহমান। গুরুত্বর জখম অবস্থায় ওই দিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাজু আহমেদ। তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ছেলেকে হত্যার দায়ে রাজুর মা জয়নব বেগম স্বামীর বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় মামলা করেছেন।


জয়নব বেগম বলেন, ‘স্বামী মতিউর নেশা করে বেড়ায়। সংসারের খোঁজ নেয় না। বাবাকে নেশা ছেড়ে দেওয়ার জন্য এর আগেও আমার ছেলে নিষেধ করেছে। কিন্তু ওই লোক কারও কথা শুনে না। নেশা করে এসে আমাকে প্রায়ই মারধর করে। ছেলে এগুলো সহ্য করতে পারত না। এগুলোর প্রতিবাদ করায় বাবা-ছেলের প্রায়ই ঝগড়া হতো। অবশেষে ছেলেকে মেরেই ফেলল। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।’
গ্রামবাসীরা জানান, রাজু আহমেদ খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। রাজুর ছোট এক ভাই ও বোন রয়েছে। বাবা নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে প্রায়ই তাঁদের সংসারে টানাটানি লেগে থাকে। রাজশাহীতে টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ জোগাতেন তিনি।
নিয়ামতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামি মতিউরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই-পোরাখালী রাস্তার বৈঠাখালী হতে থলওলমার মাঝে প্রায় ৫০০ ফুট রাস্তা সংস্কারের অভাবে যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিল এলাকার হাজার হাজার জনগণ। রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ না নেয়ায় অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার করছেন এলাকাবাসী। এ রাস্তা সংস্কার করায় এলাকার ১৫ গ্রামের হাজার হাজার পথচারী সুফল পেতে যাচ্ছেন।
বৈঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন, বৈঠাখালী হতে থলওলমা হয়ে মেটো রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পথচারী চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে উপজেলার থলওলম, ভাগসুন্দর, কাঁন্দওলমা, হরিপুর, বিশা, বৈঠাখালী, উদয়পুর, ভাঙ্গাজাঙ্গাল, নাটোরের খাজুরা, চাঁনপুরসহ প্রায় ১৫ গ্রামের হাজার হাজার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। শুস্ক মৌসুমে ওই এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য এ রাস্তার বিকল্প আর কোন রাস্তাও নেই। রাস্তাটি প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ওই এলাকার লোকজন তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এ ছাড়াও স্কুলগামী শিক্ষার্থী, নারী ও শিশু পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। এ দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষের ভরসায় আর না থেকে এলকাবাসী নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারের কাজে লেগে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, এলাকাবাসীর এ দুর্দশা দেখে আর সহ্য করা যায় না। তাই তাদের সাথে আমি নিজেও আজ সংস্কার কাজে যোগদান করেছি।
থলওলমা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার বলেছি। তিনি অধ্যাবধি কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই সংস্কার কাজ করছি।
ভাঙ্গাজাঙ্গাল গ্রামের মাহবুবুল ইসলাম মিলন, হরিপুরের ওহিদুর মেম্বার, ডুবাইয়ের মোহাম্মদ আলী বলেন, এই রাস্তা অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ার পরও রাস্তাটির প্রতি কর্তৃপক্ষের নজর নেই। এটি দ্রæত পাকা হওয়া প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মোল্লা বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের পরিকল্পনা আমার ছিল। আগেই যখন এলাকাবাসী করেছে তা ভালই হয়েছে।
আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, এ রাস্তাটি কাঁন্দওলমা পর্যন্ত পাকা করণ করা হয়েছে। আরও তিন কিলোমিটার অর্থাৎ ভৈঠাখালী পর্যন্ত পাকা করণের প্রাক্কালন তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে আসলে রাস্তাটি পাকা করণ করা হবে। তখর এলাকাবাসীর আর দুর্ভোগ থাকবে না।

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাচীণ নির্দশন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যা বর্তমানে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিলেও এখানে যাওযার একমাত্র ভিআইপি সড়কটি বর্তমানে গ্রামের মেঠোপথে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এই সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।


তবু ভ্রমনের আনন্দ নিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে পর্যটকররা আর বাধ্য হয়েই চলাচল করছেন এই জনপদে বসবাসরত সাধারন মানুষরা। এই বেহালদশা রাস্তার কারণে দিন দিন এই ঐতিহ্যে পর্যটক সংখ্যা কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ আশ্বাস দিয়ে আসছে বহুদিন যাবত। তাই বর্তমানে খানাখন্দক আর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে নওগাঁর বদলগাছী-পাহাড়পুর ভিআইপি একমাত্র সড়কটি।ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে যাবার একমাত্র ভিআইপি সড়কটি এখন গ্রামের মেঠোপথ, চরম দুর্ভোগে আগত পর্যটকরা


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁ জেলা শহর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার জনগুরুত্বপ‚র্ণ সড়কটি বদলগাছীর নতুন ব্রিজ থেকে ঐতিহাসিক বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুর হয়ে উপজেলার শেষ সীমানা দৈবরাইল বটতলি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দকের সৃষ্টির হয়ে চলাচলের অনুপযোগী ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই সড়কটির দিয়ে জীবন ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত যানবাহন চলাচল করছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই এই সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনের তুলনায় সড়কটি প্রশস্ত না করায় প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী সাধারন ও আগত পর্যটকদের।


ঐতিহাসিক বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুর পরিদর্শনের জন্য দেশী-বিদেশী পর্যটক ও পিকনিকের বাস, মাইক্রোবাস, ভটভটি, ভ্যান গাড়িসহ অনেক যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের নামধারী পিকনিক স্পট দিনাজপুর জেলার স্বপ্নপুরী, রংপুর জেলার ভিন্ন জগৎ ও জয়পুরহাট জেলার বুলুপাড়া শিশু
উদ্যানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যান বাহন চলাচল করছে জীবন ঝুঁকি নিয়ে। যে কোন মুহুর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।


রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থী মোছা: নাছরিন আক্তার, সিমা আক্তার, রুহুল আমীনসহ আরো অনেকেই বলেন, শুধু দেশ নয় বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকসহ অনেকেরই এই পাহাড়াপুর ভ্রমন করার ইচ্ছে হয়। কিন্তুএ খানে আসার একমাত্র সড়কটির যে বেহাল অবস্থা শুধু এই রাস্তার কারণে অনেক পর্যটকরা এখানে আসবে না।। যারা এখানে একবার আসবে রাস্তার বেহাল দশার কারণে পরবর্তিতে তারা আর এখানে আসতে চাইবে না। তাই জরুরী ভিত্তিতে পর্যটকদের জন্য এই রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন। তা না হলে এখানকার পর্যটক সংখ্যা দিন যাবে শুধুই কমবে বাড়বে না।


পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিশোর বলেন, বদলগাছী-পাহাড়পুর ১৪ কিলোমিটার সড়কের যে অবস্থা হয়ে পড়েছে যানবাহন চলাচল করা তো দ‚রের কথা ছোট যানবাহন ভ্যান, চার্জার এমনকি পায়ে হাঁটাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাছাড়া গত মাসে পাহাড়পুর ইউপির দেবরাইল নামক স্থানে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক উল্টে গিয়ে ট্রাক ড্রাইভারসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। এছাড়া শুরুকালী নামক স্থানে খানাখন্দকের কারণে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে একজনের মৃত্যুসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়। প্রতিনিয়তই এরকম ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছেই।


স্থানীয়রা বলেন, এর আগেও অনেক ট্রাক উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। জরুরীভাবে সড়কটির সংস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এছাড়া সড়কটির দু’ধারে মার্কেটগুলো উঁচু হওয়ায় সড়ক নিচু যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পানি বেঁধে থাকায় ক্ষতি আরো বেশী হয়। যে স্থান থেকে সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করছে সেই স্থানটিতে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি এখনো যে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে তা আমরা ভাবতেও পারি না।


পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের কাস্টোডিয়ান মো: ছাদেকুজ্জামান বলেন, পাহাড়পুরে আসার এই রাস্তাটির জন্য আমি সড়ক ও জনপদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলেছি। অনেক সময় দ‚র-দুরান্ত থেকে আসা মাইক্রোবাস রাস্তার বড় বড় গর্তে আটকা পড়ে পড়তে হয় জটিলতার মধ্যে। ইতিপ‚র্বে এই রাস্তার বেহাল দশা উল্লে¬খ করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ কিছু আধলা ইট দিয়ে বড় বড় গর্তগুলো দায়সারানো মেরামত করলেও কিছুদিন পর তা উঠে গিয়ে সাবেক রূপ ধারণ করেছে। জরুরী ভাবে এই রাস্তাটি সংস্কার করা কিংবা নতুন আধুনিক মান সম্মত ভাবে নির্মান না করলে ভবিষ্যতে পর্যটক সংখ্যা কমবে বলে তিনি আশংকা করছেন।


নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুল হক বলেন, গত মে মাসে সড়কটির কাজের প্রকল্প একনেকে পাশ হয়েছে। এখন টেন্ডার হলেই বড় ঠিকাদার এসে কাজ শুরু করবে। বদলগাছী-পাহাড়পুর রাস্তার দু’পাশে ৪ ফিট করে বাড়িয়ে দৃশ্যমান রাস্তা তৈরি হবে বলে তিনি জানান।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget