গাইবান্ধায় গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা
গাইবান্ধা: গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সোমবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। এতে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ডিডিএলজির মোছা. রোখছানা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মো. শফিকুল ইসলাম, ইউএনডিপির অর্পনা ঘোষ ও মহসিনুল আবেদীন, প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারি সাঈদ আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন আবু জাফর সাবু, গোবিন্দলাল দাস, দীপক কুমার পাল, আবেদুর রহমান স্বপন, সিদ্দিক আলম দয়াল, সরকার শহিদুজ্জামান, আফরোজা লুনা, শামিম উল হক শাহীন, হারুন অর রশিদ বাদল, এসএম বিপ¬ব প্রমুখ।
উলে¬খ্য, জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলায় ১১টি, গোবিন্দগঞ্জের ১৭টি, সুন্দরগঞ্জের ১৫টি এবং পলাশবাড়ির ৯টিসহ জেলার ৫২টি ইউনিয়নে প্রকল্পের আওতায় গ্রাম আদালত পরিচালিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও প্রকল্প বহির্ভূত ১০টি ইউনিয়নেও সরকারি তত্ত্বাবধানে যথারীতি গ্রাম আদালতে বিচার ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
প্রসঙ্গত উলে¬খ্য যে, পরামর্শ সভায় প্রদত্ত এক তথ্যে উলে¬খ করা হয়, প্রকল্প চালু করার পর থেকেই চলতি ২০১৮ সালের ফেব্র“য়ারি মাস পর্যন্ত সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে ২৭ হাজার ৩শ ৬৬টি মামলা গ্রাম আদালতে বিচারের জন্য দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ আদালত থেকে প্রেরণ করা হয়েছে ২ হাজার ২শ ১০টি মামলা। জুন পর্যন্ত ২০১৭ পর্যন্ত গ্রাম আদালতগুলোতে নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ২ হাজার ৬শ ৮৮টি। এতে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণও আদায় করা হয়েছে।