Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

মাসুদুর রহমান রতন, নওগাঁ: গত ৩মে নওগাঁর সাপাহারে মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষন ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০১৭-২০১৮ এর আওতায় নওগাঁ জেলা ক্রীড়া অফিস এ প্রশিক্ষন ক্যাম্পটি পরিচালনা করে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ বিতরণ উপলক্ষে সাপাহারের তিলনা বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিলনা বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষনার্থিীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন সাপাহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নওগাঁ জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর মাহামুদুজ্জামান। ৩০ জন প্রশিক্ণার্থির অংশ গ্রহনে এ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের প্রশিক্ষক ছিলেন আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক বৃন্দ ছাড়াও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই, নওগাঁ: যখন পড়বেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে, আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে, চুকিয়ে দেব বেচা কেনা, মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা, বন্ধু হবে আনাগোনা এই ঘাটে, তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে , তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের এসব মুখ নিঃসৃত বাণীগুলো যেমন দম্ভহীন, তেমই অহংকারমুক্ত। যা মানুষ-মানুষের মাঝে শ্রদ্ধা আর ভালবাসার বন্ধনকে মজবুত করে। হিংসা-নিন্দাকে দূরে সরিয়ে দেয়। সেই অহংকারমুক্ত বিশ্বের জনমানুষের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী আগামী ২৫ বৈশাখকে সামনে রেখে সকল জরা-জীর্ণকে পিছনে ফেলে নতুন বছরের আগমনের সঙ্গে বিশ্বকবির জন্মকে নতুন চিত্তে ভাবার জন্য ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করা হচ্ছে কবির আত্রাইয়ের পতিসরের এই কাচারি বাড়িকে।রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য আত্রাইয়ের পতিসর এখন নতুন সাজে সজ্জিত

সাজানো হচ্ছে অপরূপ বর্ণিল সাজে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও এখানে আসবেন সরকারের মন্ত্রী, এমপি, উর্ধতন কর্মকর্তাসহ দেশবরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও রবীন্দ্র ভক্তরা। নাচ, গান আর কবির রচিত কবিতা আবৃত্তি করে উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বকবির জন্মোৎসব।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিন উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও কবিগুরুর নিজস্ব জমিদারী তাঁর স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর পতিসর কাচারি বাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী নানা উৎসবের। প্রতিবছরই পতিসরে নামে রবীন্দ্রভক্তের ঢল। পরিণত হয় মানুষের মহামিলনমেলায়। সরকারীভাবে ১ দিনের কর্মসূচী নিলেও এ মিলন মেলা চলে প্রায় সপ্তাহ জুড়ে । দূর-দূরান্ত থেকে কবিভক্তরা ছুটে আসেন তাদের প্রিয় কবির পতিসর কাচারি বাড়ি প্রাঙ্গণে। একে অপরের সান্নিধ্যে এসে স্মৃতিচারণে লিপ্ত হন কবিভক্তরা। কবি গুরুর ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য কবির নিজস্ব জমিদারী নওগাঁর পতিসর যেন পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কাচারি বাড়িতেই কবিগুরুর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। পতিসরে নাগর নদের পাড়কে মনমুগ্ধকর করে তোলা হয়েছে। দীর্ঘদিনেও পতিসরের তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন না হলেও স্থানীয় এমপি মোঃ ইসরাফিল আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবার যেন হাঁটি হাঁটি পা-পা করে উন্নয়নের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে।রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য আত্রাইয়ের পতিসর এখন নতুন সাজে সজ্জিত
কবিগুরুর নিজস্ব জমিদারী এলাকা কালিগ্রাম পরগনার সদর দফতর এই পতিসর। আর এই পতিসর নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার মনিয়ারি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ মাধুর্যঘেরা কবির স্মৃতি বিজড়িত পতিসর আজও সাহিত্যের অঙ্গণে স্বাড়ম্বরে বিরাজিত। কবির যখন ভরা যৌবন এবং কাব্য সৃষ্টির প্রকৃষ্ট সময়, তখন তিনি বিরাজ করেছেন এই পতিসরে। প্রতিবছর কবির এই জন্মদিনে দূর-দূরান্ত থেকে কবি ভক্তরা ছুটে আসেন। তাদের প্রিয় কবির স্মৃতি বিজড়িত পতিসর কাচারি বাড়ি প্রাঙ্গণে যেন কবিভক্তদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। নওগাঁ জেলা সদর থেকে ৩৬ কিলোমিটার ও আত্রাই উপজেলা সদর হয়ে ৫৫ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা অপ্রসস্ত পাকা সড়ক চলে গেছে নিঝুম-নিস্তব্ধ-নিভৃত পল্লীতে, কবিগুরুর কাচারি বাড়ি জেলার আত্রাই উপজেলার মনিয়ারি ইউনিয়নের পতিসর গ্রামে। আঁকাবাঁকা অপ্রশস্ত পাকা সড়ক হোক আর নিঝুম-নিস্তব্ধ-নিভৃত পল্লীই হোক, তাতে কি আসে যায় ! তিনি যে আমাদের প্রাণের কবি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নওগাঁ এবং আত্রাই থেকে মাইক্রোবাস, বাস, সিএনজি, টেম্পু, চার্জার, ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে পতিসরে যাওয়া যায়।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছরই এখানে বসে মানুষের মিলনমেলা। সপ্তাহ খানেক জুড়ে চলে সেখানে রবীন্দ্র মেলা। এ সময় স্থানীয় ও এলাকাবাসীর বাড়িতে ভিড় জমায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা কবি ভক্ত, আত্মীয়-স্বজন, অতিথিবৃন্দ। একে অপরের সান্নিধ্যে এসে স্মৃতি চারণে লিপ্ত হয়, ফেলে আসা পুরনো দিনের কথায়। গ্রামের মানুষ মেয়ে-জামাইকে নাইওরে আনে এই উৎসবে। ঘরে ঘরে পড়ে যায় পিঠা-পায়েসসহ উন্নত মানের খাবার তৈরির ধুম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত পতিসরে এবার কবির ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ইতোমধ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চ’ড়ান্ত প্রস্তুতি সভায় এখানে সরকারীভাবে ১ দিন ব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। পতিসরে ১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে রয়েছে, সকাল ১০টায় রবীন্দ্র কাচারি বাড়ির দেবেন্দ্র মঞ্চে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সকাল সাড়ে ১০টায় ‘একুশ শতকে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের প্রাসঙ্গতা’ শীর্ষক স্মারক আলোচনা অনুষ্ঠান, বিকেল ৩টায় রয়েছে, নাটক, আবৃত্তি, নাচ-গানসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন নওগাঁসহ দেশের প্রথিতযশা শিল্পীরা।রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য আত্রাইয়ের পতিসর এখন নতুন সাজে সজ্জিত

দেশী ও বিদেশী পর্যটক ও রবীন্দ্র গবেষকদের নিরাপদে রাতযাপন ও গবেষণার স্বার্থে পতিসরে ৫ কক্ষবিশিষ্ট অত্যাধুনিক “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি নীড়” নামে দ্বি-তল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৩৭ সালে ২৭ জুলাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাজার হাজার প্রজাকে কাঁদিয়ে অশ্রæসিক্ত নয়নে পতিসর তথা বাংলাদেশ থেকে শেষ বিদায় নিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রজাদের উদ্দেশে বলেছেন, “সংসার থেকে বিদায় নেয়ার পূর্বে তোমাদেরকে দেখার ইচ্ছা ছিল, তা আজ পূর্ণ হলো। তোমরা এগিয়ে চল-জনসাধারণের জন্যে সবার আগে চাই শিক্ষা-এডুকেশন ফাস্ট, সবাইকে শিক্ষা দিয়ে বাঁচাও। ইচ্ছা ছিল মানসম্মান-সম্ভ্রম সব ছেড়ে দিয়ে তোমাদের সঙ্গে তোমাদের মতোই সহজ হয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেব। কী করে বাঁচতে হবে তোমাদের সঙ্গে মিলে সেই সাধনা করব, কিন্তু আমার আর এ বয়সে তা হবার নয়, এই নিয়ে দুঃখ করে কী করব? আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে, তোমরা নিজ পায়ে দাঁড়াতে শেখো। আমি তোমাদেরকে বড় ভালবাসি। তোমাদের দেখলে আমার আনন্দ হয়। তোমাদের কাছে আমি অনেক কিছু পেয়েছি; কিন্তু কিছুই দিতে পারিনি-আশির্বাদ করি তোমরা সুখী হও। তোমাদের সবার উন্নতি হোক-এ কামনা নিয়ে পরলোকে চলে যাব।” আবার একই দিনে কালিগ্রাম রথীন্দ্র নাথ ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেছেন, “রথীন্দ্র নাথের নাম চিহ্নিত কালিগ্রামের এই বিদ্যালয়ের আমি উন্নতি কামনা করি। এখানে ছাত্র এবং শিক্ষকদের সম্বন্ধ যেন অকৃত্রিম স্নেহের এবং ধৈর্যের দ্বারা সত্য ও মধুর হয় এই আমাদের উপদেশ। শিক্ষাদান উপলক্ষে ছাত্রদিগকে শাসন পীড়নে অপমানিত করা অক্ষম ও কাপুরুষের কর্ম- এ কথা সর্বদা মনে রাখা উচিত। এরূপ শিক্ষাদান প্রণালী শিক্ষকদের পক্ষে আত্মসম্মান হানিজনক। সাধারনত আমাদের দেশে অল্প বয়স্ক বালকগন প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষকদের নির্মম শাসনের উপলক্ষ হইয়া থাকে- একথা আমার জানা আছে। সেই কারণেই সতর্ক করিয়া দিলাম।” শেষ বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কবির ৭৬ বছর বয়সের একটি উন্মুক্ত ভাষ্কর্য স্থাপন করা হয়েছে পতিসরে। স্থাপন করা হয়েছে রবীন্দ্র সংগ্রহশালা। এই কাচারি বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে কবির ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নওগাঁর আত্রাইয়ের এই পতিসরে এসে তাঁর কাচারি বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা নাগর নদকে নিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে’। এছাড়াও তাঁর বিখ্যাত কবিতা “তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে”, “দুই বিঘা জমি”, “সন্ধ্যা”সহ অসংখ্য সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন এই পতিসরের কাচারি বাড়িতে বসে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তার পুরস্কারের অর্থ তিনি এই পরগনার প্রজাদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার জন্য ৭৫ হাজার টাকা তৎকালীন সময়ে এখানে স্থাপিত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন। এই প্রতন্ত গ্রাম এলাকার প্রজাদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার লক্ষে কবি ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে পতিসরে এসে তার পুত্র রথীন্দ্রনাথের নামে কালিগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশন স্থাপন করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের নামে ২শ’ বিঘা জমি দান করেন। তথ্য অনুসন্ধানে অন্তত এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মহান ও উদার মনের মানুষ। এই পরগনাসহ দেশের জাতি-ধমর্- বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে তিনি অন্তর দিয়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আগামী ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপিত হবে এবং অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের অনুষ্ঠানটি প্রানবন্ত হবে বলে আশা করছি।

মাহবুবুজ্জামান সেতু, নওগাঁ: নওগাঁর মান্দায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মান্দা এস সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিউ ষ্টার ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঙ্গুর সু-ষ্ঠোর, রাগিব ট্রেডার্স এবং মা ডিজিটাল স্টুডিওর সার্বিক সহযোগীতায় বালুবাজার ফুটবল একাদশ বনাম বাগডোব ফুটবল একাদশের মধ্যে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।নিউ ষ্টার ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

৪ নং মান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্বল হোসেন তোফার সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্দা মমিন শাহানা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বেদারুল ইসলাম। খেলায় ধারাভাষ্য প্রদান করেন আঙ্গুর সু-ষ্ঠোর এর প্রোপাইটর আপেল মাহমুদ লিটন এবং পারভেজ আহমেদ।

খেলায় বালুবাজার ফুটবল একাদশকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বাগডোব ফুটবল একাদশ চাম্পিয়ন হয়। শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ী দলকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং বিজিত দলকে ১৬ হাজার টাকা প্রদান করেন।


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় নির্মাণের ৩৫ বছরেও সংস্কার করা হয়নি আত্রাই নদীর ডান তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। দীর্ঘ সময়ে সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্নস্থানে খানাখন্দ ও ইঁদুরের গর্তে বাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আসন্ন বর্ষা মওসুমে এবারও বন্যার শঙ্কায় রয়েছে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের অন্তত: লক্ষাধিক মানুষ। জানা গেছে, ১৯৮৩-৮৪ অর্থ বছরে জমি অধিগ্রহণসহ আত্রাই নদীর ডান তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বাঁধটি আর সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে রাস্তাটি ভঙ্গুর অবস্থায় পরিণত হয়েছে। দুই ধারের মাটি ভেঙে অসংখ্যস্থানে ছোটবড় খানখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বার্ম কেটে জমি তৈরি করায় বাঁধটি সংকুচিত হয়ে গেছে। বর্ষা মওসুমে ইঁদুররা এই বাঁধে এসে আশ্রয় নেয়। আবাসস্থল হিসেবে তৈরি করে অসংখ্য গর্ত। বর্তমানে বাঁধটি অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। গতবছরের আগস্ট মাসে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে মান্দা ফেরিঘাট থেকে জোতবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বাঁধের কয়াপাড়া, আলহেলা ইসলামি একাডেমি, পালপাড়া, কৃষ্ণচুড়া, নমশুদ্রপাড়া, সুজনসখী, পশ্চিম নুরুল্লাবাদ, বাগাতিপাড়াসহ অন্তত: ১৫টি স্থান চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সুজনসুখী খেয়াঘাট নামকস্থানে ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ অন্য স্থানগুলো বাঁশের খুঁটি ও বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকিয়ে রাখে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৪ সালে বাঁধটি নির্মাণের পর আর সংস্কার করা হয়নি। ১৯৯৯ সালে বাঁধটিতে পাকাকরণের কাজ করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পরে এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগে হস্তান্তর করে বিএমডিএ। কিন্তু বাঁধের দুইধারে আর মাটির কাজ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সড়ক ও জনপদ বিভাগ। বর্তমানে বাঁধের দুইধারের মাটি কেটে গিয়ে সরু রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা হাফিজ উদ্দিন মোল্লা, আলহাজ্ব মনসুর রহমান, আলহাজ্ব লুৎফর রহমান নবীসহ আরও অনেকে জানান, নদীর গভীরতা আগের মত আর নেই। তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকবার এটি শুকিয়ে যায়। গভীরতা না থাকায় অতিরিক্ত বর্ষণ ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পানিতে দুইকুল উপচিয়ে নদীর পানি সহজেই বাঁধে এসে আঘাত হানে। নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে এলাকার লোকজন রাত জেগে বাঁধ পাহারা দেওয়ার কাজ করেন। প্রত্যেক বর্ষা মওসুমেই তাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। পশ্চিম নুরুল্লাবাদ গ্রামের আব্দুল মতিন, আসলাম হোসেন ও নজির উদ্দিন প্রামানিক, নাড়াডাঙ্গা গ্রামের তৃপ্তিশ কুমার মন্ডল, দ্বারিয়াপুর গ্রামের আমেদ আলী ও আজাদ আলীসহ আরও অনেকে জানান, গতবছরের আগস্ট মাসে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে আত্রাই নদীর পানি হু-হু করে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে আঘাত হানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। অতিরিক্ত চাপে বাঁধের বিভিন্নস্থানের গর্ত দিয়ে পানি বাঁধের ওপর পারে বের হতে থাকে। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় কয়েকটিস্থান আটকানো সম্ভব হলেও ভেঙে যায় সুজনসখী খেয়াঘাট এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তারা অভিযোগ করে বলেন, ভাঙনস্থানে বাঁধটি মেরামতে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। মাটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে বালু। হঠাৎ বৃষ্টিতে মেরামতস্থানে বাঁধের বালু ধসে গিয়ে বেশকিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দেবে গেছে নদীর ধারের অংশ। বর্ষা মওসুমের আগেই মেরামতস্থানে সিসি বøক স্থাপনসহ পুরো বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তারা। বাঁধ মেরামত কাজের মান নিয়ে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান, কুসুম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওফেল আলী মন্ডল ও নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল। তারা জানান, বাঁধটি যেভাবে মেরামত করার দরকার ছিল সেটি করা হয়নি। চরম অবহেলা ও গাফলতির মধ্য দিয়ে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া পুরো বাঁধটি সংস্কারের দাবি করেন তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙনস্থানটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি অবহিত করে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পত্র দেওয়া হয়েছে। বন্যার আগেই বাঁধের মেরামতস্থানে এসবিবি রাস্তা নির্মাণসহ সিসি বøক স্থাপন করা হবে। নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, সুজনসখী খেয়াঘাটের ভাঙনস্থানে সিসি বøক স্থাপনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে, বর্ষা মওসুমের আগেই সেখানে সিসি বøক স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাজমুল হক নাহদি, আত্রাই (নওগাঁ): বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসরে নাগর নদের পাড়ে একটি শান বাঁধানো ঘাট তৈরি করে কবির স্মৃতি বর্ধনে নতুন একটি মাত্রার সৃষ্টি করা হয়েছে। পতিসরের স্মৃতি বর্ধনে এ ঘাট কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে বলে এলাকাবাসীর অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান নিজস্ব পরিকল্পনায় ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় এলজিএসপির অর্থায়নে এ ঘাট নির্মাণ করে কবির স্মৃতি বহালের প্রয়াস গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, আত্রাইয়ের ঐতিহ্যবাহী গুড় নদীর বক্ষ চিড়ে উপজেলার খাসখামার, দর্শনগ্রাম, পতিসর, হাটসড়িয়া হয়ে বয়ে গেছে কবির স্মৃতি বাহক নাগর নদ। কবি সেই ১৮৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি সর্ব প্রথম তার বোটযোগে নাগর নদ দিয়ে পতিসরে এসে এ ঘাটে নেমেছিলেন। সে সময় শত শত জনতা তাকে এ ঘাটে বরণ করে নিয়েছিলেন। এর পর থেকে কবি যতবারই পতিসরে এসেছেন, এ নাগর নদ হয়েই তিনি এসেছেন। আর এ নাগর নদের যে ঘাটে কবি অবতরণ করে তার কাছারিবাড়ি যেতেন, সেটি কাছারিবাড়ির সন্নিকটে হলেও যুগ যুগ থেকে তা ব্যবহার না করে ঘাটটি ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে গিয়েছিল। কবির সেই স্মৃতিকে লালন করার লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

স¤প্রতি কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত পতিসরের অনেক উন্নয়ন হলেও এখানে একটি ঘাট নির্মাণের উদ্যোগ কেউ কখনো গ্রহণ করেননি । যে ঘাটে কবির বোট ভিড়ত। যেখান থেকে কবি পায়ে হেঁটে কাছারিবাড়ি পর্যন্ত যেতেন। চলতি বছরের এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ দ্বারা এখানে একটি ‘নাগরঘাট’ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোখলেছুর রহমান। তার এ উদ্যোগকে সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আল্লামা শেরে বিপ্লব।

এ ব্যাপারে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি সংগ্রহক ও গবেষক এম মতিউর রহমান মামুনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ নাগরঘাট তৈরির মধ্য দিয়ে কবির আরও একটি স্মৃতি বর্ধন হলো। এ ঘাট নির্মাণ হওয়ায় এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আল্লামা শেরে বিপ্লব বলেন, আমাদের পতিসরে কবির আগমন ছিল এলাকাবাসীর জন্য আশীর্বাদ। তার স্মৃতি রক্ষায় আমরা আরও তৎপর হব। এলজি এসপির অর্থায়নে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি অর্থবছরে ঘাটটি নির্মাণ করা হলো। পতিসরে নাগর নদে ঘাট তৈরি করে কবির স্মৃতি বর্ধনের প্রয়াস।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, বিশ্বকবির পদস্পর্শে ধন্য এ পতিসরে কিছু করতে পেরে নিজেকে আমি গর্বিত মনেকরছি। কালের বিবর্তে কবির অনেক স্মৃতিই হারিয়ে গেছে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করছি সেগুলো পুনঃস্থাপনের জন্য।

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ: যথাযোগ্য মর্যাদায় নওগাঁ আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গত মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কার্ভাড ভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং- রাজ- ২৬৫০/০৯) এর আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিজ কার্যালয় শহরের টিএন্ডটি গেটে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক এমপি। আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস উপলক্ষে মৃত শ্রমিক ও কন্যাদায়গ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, সদর থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলড়ী ও কার্ভাড ভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তালেব, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের মৃত শ্রমিক ৫জনকে ৩০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও কন্যাদায়গ্রস্থ ২১ পরিবারকে ১২ হাজার টাকা করে আর্থিক্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget