Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

তিন শতাধিকের বেশি সংখ্যক কম্পানি এবং সংস্থার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আদতে বিভিন্ন কট্টোর জাতীয়তাবাদ, নাৎসী, যৌন নিপীড়ক, কনস্পারেসি তাত্ত্বিক এবং উত্তর কোরিয়ার প্রপাগান্ডা নিয়ে যারা কাজ করে তাদের ইউটিউব চ্যানেলের প্রমোশন দেওয়া হচ্ছে। যাদের কাছ থেকে এসব সুবিধা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বিখ্যাত সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, খুচরা বিক্রেতা, সংবাদপত্র এবং সরকারি সংস্থার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে।

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আডিডাস, আমাজন, সিসকো, ফেসবুক, হার্সে, হিলটন, লিঙ্কডইন, মোজিলা, নেটফ্লিক্স, নর্ডস্ট্রম এবং আন্ডার আর্মার এর মতো প্রতিষ্ঠান তাদের অজান্তেই ওইসব প্রতিষ্ঠানের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করছে।

মার্কিন করব্যবস্থা থেকেও কিছু ডলার ওদের চ্যানেলে যায়। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশন, সেন্টার ফর ডিজিসেস কন্ট্রোলের মতো ৫টি এজেন্সির বিজ্ঞাপন এসব চ্যানেলে যায়। এসব কম্পানির অনেকগুলোই সিএনএন-কে জানায় যে তাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে ওদের লাভ হচ্ছে, এ বিষয়টি তারা জানতেন না।

‘ওয়াইফ উইথ এ পারপাস’ নামের এমনই এক হোয়াইট ন্যাশনালিস্টের ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন যায় আন্ডার আর্মারের। এসব বিষয় অবগত হওয়ার পর তারা ওই চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

এর আগেও এমন বড় সড় কম্পানি ও সংস্থার বিজ্ঞাপন বিতর্কিত এবং চরমপন্থী বিষয়বস্তু সম্বলিত চ্যানেলে প্রচার করেছে ইউটিউব। যদিও বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপন প্রদানে নানা সেটিংস অপশন রয়েছে। এর আগে বেশ কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে কয়েকটি কম্পানির বিজ্ঞাপন প্রদান স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার তা চালু করা হয়।

ই-মার্কেটারের এক বিশেষজ্ঞ জানান, যদি ব্র্যান্ডগুলো এভাবে বিতর্কিতদের অর্থ প্রদান বন্ধ করতে চায় তবে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞাপন প্রদান স্থগিত করা উচিত। আমরা এক্সপার্টদের সঙ্গে বসে ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রদানের বিষয়ে আরো শক্ত নীতিমালা, অধিকতর নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

আসলে ব্র্যান্ডগুলো ইউটিউবে ক্রমাগত বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে আরো বেশি সংখ্যক ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্যে। ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন এসব বিজ্ঞাপন দেখেন কোটি কোটি ঘণ্টা ধরে।

যেভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করে ইউটিউব
যেকোনো মানুষ ইউটিউবে অ্যাকাউন্ট খুলে ভিডিও আপলোড করতে পারে। তবে সেখানে ইউটিউব চ্যানেল ঠিক করবে কোন চ্যানেলে তারা বিজ্ঞাপন দেবে। যেসব ইউটিউব চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার আছে এবং গত ১২ মাসে ৪ হাজার ঘণ্টা সেখানে ভিডিও দেখা হয়েছে, সেসব চ্যানেল অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাদের ভিডিও-তে যে বিজ্ঞাপন চলে সেখান থেকে আগত অর্থের একটা অংশ আসে চ্যানেলে। এমনকি যেসব চ্যানেল মনটাইজড করা নেই তাদের চ্যানেলেও বিজ্ঞাপন আসতে পারে। এ বছরের প্রথম দিকে কোন চ্যানেলগুলো বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবে সে বিষয়ে সীমাবদ্ধতা এনেছে। আসলে অপ্রচারযোগ্য ভিডিওগুলো যেন অর্থ উপার্জন না করতে পারে, তার জন্যেই এই নিয়ম আনে ইউটিউব।

এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতারা ইউটিউবের ওপর আস্থা রাখে। কম্পানিগুলো জানায়, তাদের ব্র্যান্ড নিরাপদ থাকবে এমন চ্যানেলেই তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে তারা আস্থা রাখে ইউটিউবের ওপর। কিন্তু এমন উল্টাপাল্টা ঘটতেই থাকে।

‘আরেকবার ব্যর্থ হয়েছে ইউটিউব’
সিএনএন এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিতর্কিত কনস্পাইরেসি থিওরি প্রচারক একটি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ইউটিউব। আবার একটি নৎসী চ্যানেলে মজিলা এবং টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স এর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন চলছে ব্রায়ান রুহির নাৎসী চ্যানেলে। পরে ঘৃণামূলক সম্প্রচার বন্ধে ইউটিউব চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএনএন। তিনি নিজেকে নয়া নাৎসী হিসেবে তুলে ধরতে চান না। বরং তিনি সত্যিকার এবং আন্তরিক নাৎসী হিসেবে নিজেকে প্রচার করেন।

ফক্স ফিল্মের এক মুখপাত্র জানান, ইউটিউব আবারো বিজ্ঞাপন প্রচারে সঠিক চ্যানেল বাছাইয়ে ব্যর্থ হয়েছে।

কে কী বললো?
আমাজন জানায় যে তারা কোথায় বিজ্ঞাপন দেবে তা ঠিক করতে ফিল্টারব্যবস্থা ব্যবহার করবে। ফেসবুক এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতির দিকে কঠোর নজর দিয়েছে সিসকো। কর্পোরেট মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না এমন স্থানে আর বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চায় না তারা।

হিলটনও সতর্ক। তাদের বিজ্ঞাপন এবং অর্থ কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে আরো সচেতন হবে তারা। হারশে জানায়, তাদের ব্র্যান্ডের নাম এবং বিজ্ঞাপন কোন কোন চ্যানেলে প্রকাশ পাচ্ছে সেদিকটায় তারা সচেতন হবে। বিজ্ঞাপনের অর্থ যেন সঠিকভাবে সঠিক স্থানে যায় তা নিশ্চিত করা হবে।

পেশাদারদের সর্ববৃহৎ সোশাল মিডিয়া লিঙ্কডইন জানায়, তাদের একটি বিজ্ঞাপন ভুল স্থানে প্রচার করেছে ইউটিউব। এটা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। এখন তারা ইউটিউবের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় সাংবাদিকের মৃত্যু

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় সাংবাদিক নাজমুল হুদা’র মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিকদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রতীকি কর্মবিরতি এবং প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার মুক্তিরমোড়ে প্রধান সড়কের পাশে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচী পালন করে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরা। এ সময় তাঁরা তাঁদের ক্যামেরা, ট্রাইপড, কলম, প্যাড ইত্যাদি উপকরন রেখে তার পাশে অবস্থান গ্রহন করেন। এ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কায়েস উদ্দিন।

সাংবাদিকরা তাঁদের দাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: রওশন আরা খানম ও আবাসিক চিকিৎসক ডা: মুনির আলী আকন্দকে বদলী, নওগাঁ হাসাপাতালকে জেলার প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা উপযোগী করে তোলা এবং চিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার মানষিকতা গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় সাংবাদিকের মৃত্যু

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন জুয়েল, দৈনিক করতোয়া প্রতিনিধি নবির উদ্দিন, ইনকিলাব প্রতিনিধি এমদাদুল হক সুমন, দৈনিক ভোরের ডাক প্রতিনিধি মো: শাহজাহান আলী, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন প্রতিনিধি মো: সাদেকুল ইসলাম, এটিএন বাংলা প্রতিনিধি এ এস এম রাইহান আলম, এনটিভি প্রতিনিধি আসাদুর রহমান জয়, সময় টেলিভিশন প্রতিনিধি এম আর রকি, বাংলাভিশন প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন, যমুনা টেলিভিশন প্রতিনিধি শফিক ছোটন, চ্যানেল-২৪ প্রতিনিধি হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী রানা এবং দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি খন্দকার আব্দুর রউফ পাভেল।

কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে তাৎক্ষনিকভাবে বক্তব্য রাখেন বাসদ নওগাঁ জেলার সমন্বয়ক জয়নুল আবেদীন মুকুল এবং বিশিষ্ট নাগরিক মোস্তাক হাসান গুল্টু।

এ সভা থেকে পুনরায় উক্ত তত্বাবধায়ক ডা: রওশন আরা খানম এবং আবাসিক চিকিৎসক ডা: মুনির আলী আকন্দের অন্যত্র বদলী দাবী করে ৭ দিনের আলটিমেটাম ঘোষনা করা হয়। আগাম ৭ দিনের মধ্যে ঐ দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বদলী না করা হলে আগামীতে সামজিক আন্দোলন গড়েম তোলার কর্মসূচী ঘোষনা করেন তারা।

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা, মান্দা (নওগাঁ): নওগাঁর মান্দা উপজেলায় তিনটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমির ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন । শুধু ধান নয় এর বিষাক্ত গ্যাসে আশপাশের আম, জলপাই, কাঁঠাল ও কলা বাগানসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। লোকালয়ে গড়ে উঠা এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ এবং ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকরা ক্ষতি পূরণ দাবী করেছেন।
উপজেলায় ৩৮টি ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও রেজিষ্ট্রেশন আছে মাত্র ১০টি ইটভাটার। বাঁকী ১৮টি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। গত দুবছরে এ উপজেলায় সাতটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আর যেসব ইটভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা অপরিকল্পিতভাবে লোকালয়ে গড়ে উঠা। তাদের মধ্যে হাতে গোনা দু’একটি ছাড়া আর কেউ কৃষকদের ক্ষতি পুরণ প্রদান করেনি। প্রতি বছরই এ ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। আর এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ব্যাপক হারে এলাকায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, বোরো ধানের ফসলের উপর কৃষকদের সারা বছরের ভরণপোষণ নির্ভর করে। মাঠ ভরা সোনালী ধানের স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। আর কয়েকদিন পর বোরে ফসল ঘরে উঠার কথা ছিল। কিন্তু ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্ট হওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দূর থেকে দেখলে ধানগুলো পেকেছে মনে হলেও ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ধানের গাছ মরে শুকিয়ে ও চিটায় পরিনত হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে এ উপজেলার কৃষকরা তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করলেও ইটভাটার কারণে তার আর সম্ভব হচ্ছেনা।
সম্প্রতি উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বিজয়পুর মাঠে এমবিসি বিক্স, পরানপুর ইউনিয়নে শিশইল গ্রামে এসএমএস বিক্স ও তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মলি­কপুর ও শ্রীরামপুর মাঠে পিএম বিক্স ভাটার গ্যাস ছাড়ার ফলে এমন ঘটনা ঘটে। ফলে গত এক সপ্তাহে ইটভাটার আশপাশের প্রায় ১ হাজার বিঘা বোরো ফসলি জমির ধানসহ, আম, জলপাই, কাঁঠাল অন্যান্য ফসলাদি পুড়ে নষ্ট হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। শুধু ফসলই নয়, বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে এলাকার শিশু এবং বৃদ্ধরা।
পরানপুর ইউনিয়নে শিশইল গ্রামে লোকালয়ে এসএমএস বিক্স তৈরীর পূর্বে তা বন্ধের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ফজলুর রহমান ১৩/০৩/১৬ ইং তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া, নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই ইটভাটাটি বন্ধের জন্য এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাগণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের সহযোগীতায় এসএমএস বিক্সটি তৈরী করা হয়। আর এ ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ২০১৭ সালে ফসলি জমির ধানসহ অন্যান্য ফসলাদি নষ্ট হয়। কিন্তু তার নায্য ক্ষতিপূরণ আজও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা পাননি।
শিশইল গ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে জমিতে ধানের পাতা ও শীষ কালো আকার ধারন করেছে। গাছে ধানগুলো মরে চিটায় পরিনত হয়েছে। আমার তিন বিঘা জমির ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছ। এছাড়া বিষাক্ত গ্যাসে আশপাশের আম নিচের দিকে পচন ধরে পড়ে যাচ্ছে। কলার বাগান পুড়ে নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।
একই গ্রামের ফজির উদ্দিন মৃধা, আজম আলী, মুনছের, ময়েজসহ কয়েকজন ক্ষতি গ্রস্থ কৃষক বলেন, বোরো ধানের উপর আমাদের সারা বছরের ভরনপোষণ নির্ভর করে। গত বছরও এ ভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তার সঠিক ক্ষতি পূরণ পাওয়া যায়নি। আবার এবছরও ক্ষতি হয়েছে। আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। ইটভাটাটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া ও ক্ষতি পূরণের দাবী করেছেন তারা।
কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, ওই ইটভাটাটি আমার বাড়ি থেতে প্রায় ৪০ ফুট দূরে। ভাটাটি বন্ধের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রশাসন মোটা অংকের টাকা খেয়ে ইটভাটা তৈরীতে সহযোগীতা করেছে। ইটভাটার কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ভাটার কালো ধোয়ায় নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে হাপানিয়া রোগীদের কষ্ট বেশি হচ্ছে।
বিজয়পুর গ্রামের কৃষক ওহেদ বক্স পিয়াদা বলেন, আর কয়েকদিন পর ধানগুলো কাটা হতো। প্রায় আট বিঘা জমির ধান সম্পূর্ন পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি বিঘা আবাদ করতে প্রায় ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর বিঘা প্রতি প্রায় ২২-২৫ মন ফলন হয়। ফসল নষ্ট হয়ে এখন মাথায় হাত উঠেছে।
মান্দা ইটভাটা মালিক সমিতি সভাপতি মাহবুব আলম চৌধূরী বলেন, ইটভাটা বন্ধের পরও কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা ফ্যান চালাতে হয়। কিন্তু তা না করায় অসাবধানতাবসতঃ অনেক ইটভাটা থেকে এ গ্যাসটা বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হয়। পরে ভাটার চিমনি দিয়ে এ বিষাক্ত গ্যাস নিগর্ত হয়ে আশপাশের ফসলসহ অন্যান্য ফলের ব্যাপক ক্ষতি করে। ইটভাটা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলি জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। ইটভাটার মালিক পক্ষ থেকে কৃষকদের ক্ষতি পূরণের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। কৃষকরা যেন আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ না হয় সে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। যা ইতিমধ্যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরনীয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম আর ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে ইটভাটার মালিকদের গ্যাস ছাড়ার উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ১মাস হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। এ উপজেলায় প্রয়োজনের তুলনায় ইটভাটা অনেক বেশি। প্রায় ৩৮টির মতো। অনেক ভাটাই পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। যেসব ইটভাটা অনুমোদনহীন শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা যেন ন্যায্য ক্ষতিপূরন পান তার চেষ্টা অব্যহত আছে।

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ): নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে ধান কাটা মাড়াই শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন সময় লাগবে। কাটার শুরুতেই আবহাওয়া ধানের অনুকূলে থাকলেও বর্তমানে তা ধান কাটার প্রতিকূলে চলে যাওয়ায় কৃষক তাদের ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

এর মধ্যে কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে গেছে ইরি-বোরো ধান। পানিতে ভেসে গেছে কৃষকের সোনালী পাকা ধানের স্বপ্ন। দফায় দফায় ঝড়, বৃষ্টি আর শিলা বৃষ্টির কারণে পড়ে গেছে মাঠের আধা-পাকা ধান। এই পড়ে যাওয়া ধান কাটার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। শ্রমিক পাওয়া গেলেও কৃষকে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন মূল্য। ঝড়ে ধান পড়ে যাওয়ার কারণে বিঘা প্রতি ৪-৫মন হারে ধানের ফলন কম হবে বলে আশংকা করছেন এলাকার কৃষকরা।নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির কবলে ইরি-বোরো ধান, পানিতে ভেসেয়ে গেলো কৃষকরে স্বপ্ন

জানা গেছে, পূর্বের বছর গুলোতে এই সময় দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, চিলাহাটি, ডোমারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিকরা এই এলাকাগুলোতে আসে। কিন্তু দেশের সেই সব এলাকাগুলোতেও ধান চাষ শুরু হওয়ায় শ্রমিকরা এখন আর তেমন আমাদের এই এলাগুলোতে আসে না। তাই প্রতি বছর ধান চাষীতে চরম শ্রমিক সংকটে পড়তে হয়।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ৮টি ইউনিয়নে ১৮হাজার ৪শ’ ২৫হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলার কৃষকরা জিরাশাইল, খাটো-১০, স্বর্ণা-৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। নতুন ধান কাটার শুরুতেই বিঘা প্রতি ২০-২২ মন হারে ধান উৎপাদন হচ্ছে।

উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক মো: আব্দুল জলিল জানান, আমি এবছর ৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ যথা সময়ে ভাল পরিচর্যা করায় আমার জমিতে ধান ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু করেছি ফলন ভালই হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা একটাই ধান কাটার শ্রমিক সংকট। দিন যাচ্ছে আর এই সমস্যা প্রকট আকার ধারন করছে। ধান কাটার সময় এলেই আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়।

দড়িয়াপুর গ্রামের কৃষক মো: হাছিন আলী বলেন আমি চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান কাটার শুরুতেই আবহাওয়া ধানের অনুকূলে থাকলেও কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার অর্ধেক জমির আধাপাকা ধান পড়ে গেছে। এতে করে বিঘা প্রতি ধানের ফলন ানেক কম হবে। অপরদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারছি না।

উপজেলার আবাদপুকুর হাটের ধান ব্যবসায়ী মো: বছির আলী মিঠু জানান, রবিবার হাটে তেমন ধান আমদানি শুরু হয়নি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না। যার কারণে হাটে ধানের আমদানী নেই বললেই চলে। তবে টুকটাক বেচা-কেনা হয়েছে, জিরা জাতের ধান প্রতিমন মনে ৮শ’ ৫০থেকে ৭০টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে। আশা করছি দুই চার দিনের মধ্যে পুরোদমে ধান আমদানি শুরু হবে।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, ইরি-বোরো ধান লাগানোর শুরু থেকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড়, বৃষ্টি আর শিলা বৃষ্টিতে ধানের কিছুটা ক্ষতি হবে। জমিতে পড়ে যাওয়া ধানের ফলনে কিছুটা বিপর্যয় হতে পারে। পরবর্তি সময়ে আবহাওয়া ভালো থাকলে ও বাজারে ধানের ভাল দাম বর্তমান থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় ২৬৩তম হ্যানিম্যান বার্ষিকী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় নওগাঁ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আয়োজনে নওগাঁ সরকারী কলেজের অডিটরিয়মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংবর্ধিত অতিথি বাংলাদেশ হোমিও বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বাধীনতা হোমিও পরিষদের সভাপতি ডা: দিলীপ কুমার রায়, নওগাঁ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম.এ ছালেক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সদস্য ডা: শেখ মো: ইফতেখার উদ্দিন, ডা: কায়েম উদ্দিন, ডা: এম.এম মিল্লাত হোসেন।
আলোচনা সভা শেষে ডা: দিলীপ কুমার রায়কে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

ভিডিও:- নওগাঁয় ২৬৩তম হ্যানিম্যান বার্ষিকী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় ২৬৩তম হ্যানিম্যান বার্ষিকী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাইয়ে এক আজব ফুলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ফুল দেখতে এখন প্রতিদিন শত শত নারী পুরুষ ভিড় জমাচ্ছে। ফুলটি উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বড়শিমলা গ্রামের মানিক মন্ডল ওরফে ঝড়ুর বাড়ি সংলগ্ন স্থানে মাটি ফেটে বের হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝড়ুরবাড়ি সংলগ্ন বাড়ির উঠানের এক পাশে মাটি ফেটে একটি ফুল বের হতে দেখা যায়। পরদিন শুক্রবার সকালে ফুলটি আকারে আরো একটু বড় হয়। সন্ধ্যা হতে হতে ফুলটি অনেক বড় আকৃতির হয়ে যায়। অন্যান্য ফুলের সুগন্ধি থাকলেও এ ফুল থেকে চরম দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে।
এদিকে আজব এ ফুলের সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত নারী পুরুষ ফুলটি দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে।

এ বিষয়ে বড়শিমলা গ্রামের সংশ্লিষ্ট ইউ পি সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম ও শাহাদৎ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের বয়সে এ জাতীয় কোনো ফুল দেখিনি। এটি আমাদের কাছে খুব আশ্চর্যজনক বলে মনে হচ্ছে। এবং এই ফুলের ঘ্রাণ অন্য ফুলের তুলনায় অনেক গুন বেশি।

আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ কেএম কাওছার হোসেন বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো সংবাদ পাইনি। তবে আমার মনে হচ্ছে, এটি কোনো আগাছা হতে পারে। এমন আগাছা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে জন্মে থাকে, এখানে কৌতুহলের কিছু নেই।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget