Articles by "স্বাস্থ্য"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় ডিজিটাল হাসপাতাল সিলগালা

ষ্টাফ রিপোটার নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাইয়ে “আত্রাই ডিজিটাল হাসপাতাল” নিবন্ধন না থাকায় এবং ক্লিনিকের ভিতরের পরিবেশ অপরিস্কার থাকায় সিলগালা করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ মে ) ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম জানান, নিবন্ধন বিহিন ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার আদেশ পেয়ে শনিবার সকালে উপজেলার সেভেন স্টার হাসপাতাল ও আত্রাই ডিজিটাল হাসপাতালে অভিযান চালাই। নিবন্ধন না থাকায় এবং ক্লিনিকের ভিতরের পরিবেশ নোংরা থাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে “আত্রাই ডিজিটাল হাসপাতাল” সিলগালা করি।

অভিযানকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার রোকসানা হ্যাপি, ডাক্তার আরিফ হাসান, এস আই কামরুজ্জামান, এস আই মুনিরুল ইসলামসহ হাসপাতালের অফিস সহকারী জামান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


নওগাঁ জেলায় মোট ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭শ ৯ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর’২০২১ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর আওতায় নওগাঁ জেলায় মোট ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭শ ৯ জন শিশুকে ভিাটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়স পর্যন্ত ৩২ হাজার ৯শ ৯ জন শিশুকে ১ লক্ষ আই ইউ ক্ষমতা সম্পন্ন নীল ভিটামিন ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়স পর্যন্ত  বয়সের ৩ লাখ ৩১ হাজার ৮শ শিশুকে ২ লক্ষ আই, ইউ লাল ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

 
বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় নওগাঁ সিভিলসার্জন অফিসের মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মত মত বিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ এ বি এম আবু হানিফ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

 
তিনি জানান জেলার মোট ২ হাজার ৪শ ৩টি কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে এসব শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ ব্যাপারে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তিনি কর্মসূচী সফল করতে সাংবাদিকসহ সকল মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

 
জেলায় এই দুই বয়সের শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপজেলা ভিত্তিক সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় নীল ভিটামিন ৩৪৩০ জন শিশুকে ও ৩৬ হাজার ১৮১ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন, রানীনগর উপজেলায় নীল ভিটামিন ২১৪৯ জনকে ও লাল ভিটামিন ২২ হাজার ১৩৮ জনকে, আত্রাই উপজেলায় নীল ভিটামিন ২০৫১ জনকে ও লাল ভিটামিন ২২ হাজার ৯৬৩ জনকে, মহাদেবপুর উপজেলায় নীল ভিটামিন ৩৭২৫ জন ও লাল ভিটামিন ৩৪ হাজার ৬৭১ জনকে, মান্দা উপজেলায় নীল ভিটামিন ৩৮০০ জনকে ও লাল ভিটামিন ৩৭ হাজার ৯২৫ জনকে, বদলগাছি উপজেলায় নীল ভিটামিন ২৮৯৫ জন ও লাল ভিটামিন ২৩ হাজার ১৫৭ জনকে, পতœীতল্ াউপজেলায় নীল ভিটামিন ৩৫৩৮ জন ও লাল ভিটামিন ২৭ হাজার ৫০ জনকে, ধামইরহাট উপজেলায় নীল ভিটামিন ২১০২ জন ও লাল ভিটামিন ১৭ হাজার ৮৭৪ জনকে, নিয়ামতপুর উপজেলায় নীল ভিটামিন ২৭৮৯ জন ও লাল ভিটামিন ২৬ হাজার ২৪০ জনকে, সাপাহার উপজেলায় নীল ভিটামিন ২০৯৯ জন ও লাল ভিটামিন ১৯ হাজার ৯৪১ জনকে, পোরশা উপজেলায় নীল ভিটামিন ২০৯৯ জন ও লাল ভিটামিন ১৬ হাজার ৯৮৭ জনকে এবং নওগাঁ পৌরসভায় নীল ভিটামিন ২২৩২ জন ও লাল ভিটামিন ১৯ হাজার ৯৫৭ জনকে।

 
এ জন্য ইতমধ্যে নীল রঙের ভিটামিন ৩৪ হাজার ৬শ এ্যাম্পুল এবং লাল রঙের ভিটামিন ৩ লক্ষ ৫ হাজার ৯৪ এ্যাম্পুল সরবরাহ করা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন জানান।


 

ঝালকাঠিতে ডাক্তার ও অক্সিজেনের অভাবে মা ও শিশু কল্যানকেন্দ্রে জরুরী চিকিৎসা সেবা বন্ধ

ইমাম বিমান ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে ডাক্তার ও অক্সিজেনের অভাবে মা ও শিশু কল্যানকেন্দ্রে দীর্ঘদিন যাবৎ জরুরী চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। একজন ( এনেসথেসিয়া )  চিকিৎসক অর্থাৎ জরুরী অপারেশনের ক্ষেত্রে রোগীকে অবস করার ক্ষেত্রে ব্যবহারিত ইনজেকশন প্রয়োগের জন্য একজন অবস এর ডাক্তারের অভাবে দীর্ঘদিন মা ও শিশু হাসপাতালে জরুরী চিকিৎসা সেবা তথা ( সিজারিয়ান অপারেশন )  বন্ধ রয়েছে। একজন গর্ভবতী নারী গর্ভপাত কালিন সময় মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলে অনেক সময় জরুরী অপারেশনের প্রয়োজন হলে সেখানে একজন ডাক্তারের অভাবে জরুরী অপারেশন করাা সম্ভব না হওয়ায় বেশির ভাগ সময় রোগীদের পাঠানো হচ্ছে ক্লিনিকে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অবস এর চিকিৎসক নেই। আর অবস এর চিকিৎসক না থাকায় হাসপাতালে আসা গর্ভবতী নারীদের বিভিন্ন সময় জটিল সমস্যা দেখা দিলেও জরুরী সিজারিয়ান অপারেশনের প্রয়োজন হলেও চিকিৎসকের অভাবে এখানে অপারেশন করা সম্ভব হয়না। জরুরী অপারেশনের জন্য গরীব রোগীদেরকে পাঠানো হয় ডাক্তারের পছন্দনীয় ক্লিনিকে। কখন ও বা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সিজার করা হলে রোগীর পক্ষ থেকে টাকা দিয়ে বাহির থেকে এনেসথেসিয়া ডাক্তার ও অক্সিজেন সংগ্রহ করে সিজার করানো হয়। গত ১১ অাক্টোবর দিবাগত রাতে একজন গর্ভবতী নারী অসুস্থ হয়ে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে জরুরী সিজারের প্রয়োজন হলে হাসপাতালে একজন চিকিৎসক ও অক্সিজেন না থাকায় রাতেই রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে করোনা কালীন সময় ঝালকাঠি স্বেচ্ছায় ফ্রি অক্সিজেন সেবা দানকারী অন্যতম মানবিক প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠি মিডিয়া ফোরাম অক্সিজেন জোন থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করা হলেও সিজার করা হয়নি।

পরের দিন ১২ অক্টোবর সকালে বাহির থেকে রোগীর খরচে একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তার এনে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। যেখানে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে একজন প্রসূতি রোগীর বিনা খরচে সিজারিয়ান অপারশন হওয়ার কথা সেখানে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে একজন ডাক্তার ও অক্সিজেনের অাভাবে রোগীকে চিকিৎসা নিতে গুনতে টাকা। অনেক সময় বাহিরের ডাক্তার না পেয়ে রোগীদের অানত্র পাঠানো হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা গর্ভবতী নারীরা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসলে জরুরী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে কেউবা ডাক্তারের পছন্দনীয় ক্লিনিক অথবা৷ তাদের অনত্র যেতে হচ্ছে। এ বিষয় বিগত বছর ধরে এনেসথিসিয়া ডাক্তার না থাকায় অনেকবার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হললেও কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে আসেনি বলেই স্থানীয়রা মনে করছেন।

এ বিষয় ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসক  ডাঃ জোয়াহের আলীর কাছে বাহির থেকে অক্সিজেন ও ডাক্তার নিয়ে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে ( সিরজারিয়ান অপারেশন ) সিজার করার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। গত ১১ অক্টোবর একজন গর্ভবতী নারী আসলে তাকে দেখে তার স্বজনদেরকে রাতেই অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলি একই সাথে হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় তাদেরকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে বলায় তারা অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে। পরের দিন ১২ অক্টোবর সকালে অপারেশন কাজ সম্পন্ন করি। এছাড়াও মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন করতে আপনারা কত টাকা নিয়ে থাকেন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ( এনেসথেসিয়া)  অবস এর ডাক্তার না থাকায় বাহির থেকে ডাক্তার এনে অবস এর ইজ্ঞেকশন দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে বাহির থেকে নিয়ে আসা ডাক্তারকে সম্মানি বাবদ কিছু টাকা দিতে হয়। আর সেই টাকা রোগীর স্বজনরা দেন এছাড়া কোন টাকা নেয়া হয়না। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অাক্সিজেন না থাকার কারন জানতে চাওয়ায় তিনি জানান, চলতি বছর করোনা ভাইসরাস সংক্রামনের পর থেকেই হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট রয়েছে। এসকল সমস্যার বিষয় সমাধানের জন্য আপনি আপনার উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছেন কি না ? জানতে চাইলে তিনি জানান, হ্যা আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে গর্ভবতী নারীকে সিজার করানো বাবদ কোন টাকার প্রয়োজন আছে কিনা এবং হাসপাতলে কোন অক্সিজেন সরবারহ না থাকার কারন সম্পর্কে ঝালকাঠি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পিয়ারা বেগমের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মা ও শিশু হাসপাতালে সিজার করতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না। আর ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে দুজন ডাক্তারের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে এনেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকায় সেখানে সিজার করা বন্ধ রয়েছে। বহুদিন ধরে সেখানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার নেই। এনেসথেসিয়া ডাক্তার না থাকার কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের জন্য একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তার দেয়া হয়েছে তবে সে কিছু দিনের জন্য একটি প্রশিক্ষনে থাকায় বর্তমানে অপরেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এনেসথেসিয়া ডাক্তার প্রশিক্ষন থেকে আসলে পুনরায় চালু হবে। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে অক্সিজেন না থাকার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকদিন আগেে শুনেছি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট আছে। সাপ্লাইয়ের বিষয় আমরা আমাদের উর্ধতন কতৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছি আশাকরি দ্রুত একজন এনেসথেসিয়া ডাক্তার ও অক্সিজেন সমস্যা সমাধান হবে।

এ বিষয় গত ১১ অক্টোবর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে
চিকিৎসা নিতে আসা গর্ভবতী নারীর এক স্বজনের ( নাম প্রকাশে প্রকাশে অনিচ্ছুক) কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমারা একজন নার্সের সহযোগীতায় আমাদের রোগীকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নিয়ে আসি। এখানে আসার পর ডাক্তার জোয়াহের আলী স্যার আমাদের রোগী দেখেন এবংআজ রাতেই জরুরী সিজার করতে হবে বলে জানান, কিন্তু হাসপতালে অক্সিজেন না থাকায় আমাকে বাহির থেকে অক্সিজেন নিয়ে আসতে বলা হলে আমি রাতেই ঝালকাঠির অক্সিজেন সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি অক্সিজেন নিয়ে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার
পরেরদিন সকালে সিজার করবেন বলে জানায়।

ময়মনসিংহে ১ মাসে ৪০৭ প্রাণহানি-আক্রান্ত প্রায় ২১ হাজার

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছেন ৪০৭ জন। এর আগে গত জুলাই মাসে ৪৮২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

করোনায় আক্রান্তদের চেয়ে উপসর্গেই প্রাণ যাচ্ছে তুলনামূলক অনেক বেশি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২১০টি সাধারণ শয্যা ও ১০টি আইসিইউ শয্যা নিয়ে ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। রোগী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৪০০টি শয্যা রয়েছে।আইসিইউর সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২২টি। 

বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি জেলাসহ সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও গাজীপুর জেলার করোনায় আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার ভরসাস্থল এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটের সাধারণ ওয়ার্ডে কোভিড ও নন–কোভিড মিলে ১৭৫ জন ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১২ জন। এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় দুজন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। 

গেল ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ময়মনসিংহের ৪ জন, নেত্রকোনার ২ জন ও জামালপুরের ১ জন আছেন। সোমবার সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৫৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ২০ হাজার ৯১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯১ জন।


ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তুলনায় মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ স্বাস্থ্য অধিদফতরের


স্বাস্থ ডেস্ক : দেশে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬ হাজার ৪৫০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তুলনায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে দেশের সার্বিক করোনা এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েন অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা যদি রোগীর সংখ্যার দিকে তাকাই তাহলে এই ৬ হাজার ৪৫০ জন রোগীর বিপরীতে এতো মানুষের মৃত্যু, এটি অত্যন্ত শঙ্কার কারণ।

নাজমুল ইসলাম বলেন, বর্ষাকাল এলে আমরা দেখি যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রূপ নেয়। গত ২০১৯ সালে আমরা দেখেছি যে একটি ডেঙ্গু মহামারি আমাদের কীভাবে আক্রান্ত করেছিল। ২০২১ সালে এসেও একই রকম একটি পরিস্থিতির মুখে আমরা দাঁড়িয়েছি। তবে আমরা মনে করি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সেটি মোকাবিলা করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু রোধে আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো যেভাবে করছেন, সে কাজের আরেকটু গতি বাড়িয়ে দিলে খুব সহজেই ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৪ জনে। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৪৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৬ জন।

 

সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও শুরু হয়েছে গণটিকা দান কর্মসূচি

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : কারও মধ্যে বিরূপ কোন প্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও শুরু হয়েছে গণটিকা দান কর্মসূচি।

শনিবার( ০৭ আগষ্ট) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ও ৩টি পৌরসভায় মোট ১১৩টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে একদিনের জন্য এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়ন, নওগাঁ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, ধামইরহাট পৌরসভার ৩টি কেন্দ্র ও নজিপুর পৌরসভার দুইটি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৭০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এই কর্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, ২৫ বছর ও তদুর্ধ্ব ও পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। প্রচুর মানুষ টিকা নিতে আসছে। আমরা মনে করি, এই গণটিকাদান কর্মসূচি মানুষের মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনার তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের এলেও তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। কারণ ভোটার আইডি কার্ড দেখে স্পট রেজিস্ট্রেশন করিয়ে তারপর টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এসময় তিনি টিকা নেয়ার পর টিকাকেন্দ্রে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেন। এছাড়া টিকা নেয়ার পরও জরুরি কাজে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে জানান।

এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিবন্ধন পাওয়া ব্যক্তিরা প্রথম ডোজ টিকা নিতে পারবেন।

নওগাঁয়  খাদ্যমন্ত্রী দেওয়া বায়োসেপটিক ক্যাবিনেটেই আজ উদ্বোধন আরটি পিসিআর ল্যাব

তৌফিক তাপস,নওগাঁ : নওগাঁয় মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে করোনা পরীক্ষার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আরটি-পিসিআর ল্যাব। এতে বায়োসেপটিক ক্যাবিনেট দিলেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ল্যাবের উদ্বোধন করবেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন ও অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে এই ল্যাবের উদ্বোধন করা হবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকেই করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হবে। সোমবার সকালে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বছর ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন পাওয়া গেলেও বিভিন্ন কারণে এতো দিন সেটি স্থাপনের কাজ ঝুলে ছিলো। আরটি-পিসিআর ল্যাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বায়োসেপটিক ক্যাবিনেট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ না করায় ল্যাব উদ্বোধন করা যাচ্ছিলো না।

নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) সাংসদ ও মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বায়োসেপটিক ক্যাবিনেট কিনে দিয়েছেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে ইতোমধ্যে ল্যাব স্থাপনের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ জেলায় প্রায় ৩০ লাখ লোকের বসবাস। এতো বড় জেলায় আরটি-পিসিআর ল্যাব না থাকায় করোনা পরীক্ষায় বেশ বিড়ম্বনা হচ্ছিল।

নওগাঁ থেকে সংগৃহীত নমুনার পরীক্ষা রাজশাহী, ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন ল্যাবে করার ফলে ফলাফল পেতে দেরী হচ্ছিল। তবে এখন আর এ সমস্যা থাকবে না।


সবাই যাতে ভ্যাকসিন পায়, সে পদক্ষেপ নিয়েছি প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌‘কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না থাকে, আমরা সেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি।’

আজ রবিবার (১৮ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমুহের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন দিতে শুরু করেছি। ভ্যাকসিন আসছে। আমাদের দেশের সবাই যেন ভ্যাকসিনটা নিতে পারে, সে জন্য যতো দরকার, আমরা তা কিনবো এবং আমরা সেই ভ্যাকসিনটা দেব।’

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এ পরিস্থিতিতে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলে, সেদিক দৃষ্টি দিতে হবে।’

কোভিড-১৯ আসলে ব্যাকটেরিয়া

অনলাইন ডেস্ক : সিঙ্গাপুর বিশ্বের প্রথম দেশ,  যারা  কোভিড-১৯ লাশের ময়নাতদন্ত করতে সক্ষম হয়েছে।  তদন্তের পরে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ ভাইরাস হিসেবে বিদ্যমান নয়, বরং এটি একটি ব্যাকটিরিয়াম যা বিকিরণের সংস্পর্শে এসে রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে। 

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের  শিরায়  রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ওই ব্যক্তির পক্ষে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, কারণ  মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড  এবং ফুসফুস অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না, ফলে মানুষ মারা যায় দ্রুত। শ্বাসযন্ত্রের শক্তির ঘাটতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা হু-এর প্রটোকল  মানেননি  এবং মৃত কোভিড-১৯ রোগীর ময়নাতদন্ত করেছেন। 

চিকিৎসকরা হাত-পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশগুলোর  ব্যবচ্ছেদ করার পরে দেখেছেন, রক্তনালীগুলোতে একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে, যার জেরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতির ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।  

এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক  কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার প্রটোকল পরিবর্তন করেছে এবং পজেটিভ  রোগীদের অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ দিতে শুরু করেছে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা কোভিড রোগীদের ১০০ মিলিগ্রাম  ইম্রোমাক ওষুধ দেয়া শুরু করেন। ফলস্বরূপ, রোগীরা সুস্থ এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে শুরু করে। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক একদিনে ১৪ হাজারেরও বেশি রোগীকে সারিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পরে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করেছেন, কোভিড-১৯  ধরা পড়লে তাই  রক্তনালীগুলোর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধা আটকাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং এসপিরিনের মতো অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট নিতে হবে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ দরকার পড়বে  না। এই চিকিৎসা পদ্ধতি  ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত হয়েছে। চীন এটি আগে থেকেই  জানে, কিন্তু তারা  কখনো এই খবর প্রকাশ করেনি।

 সূত্র: সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রক

 

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় শঙ্কিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

অনলইন নিউজ ডেস্ক : আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করায় সারা দেশে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বুলেটিনে আশঙ্কার কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই দিনের জন্য লকডাউনের যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে, তাতে সারা দেশে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে চালু হওয়া গণপরিবহন, শপিংমল কোরবানির পশুর হাটে যদি স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা না হয়, তবে সংক্রমণের মাত্রা কমার কোনো সুযোগ থাকবে না।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা ৩০ শতাংশ রয়েছে জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোরবানির পশুর হাটে মাস্কের ব্যবহার ১০০ ভাগ করা না গেলে সংক্রমণের মাত্রা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কমানো যাবে না। তাই জনে জনে যেন স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুরোধ জানাই।

ঈদুল আজহার ছুটিতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান এবং কক্সবাজারে ভ্রমণে না যেতে দেশবাসীকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

রোবেদ আমিন জানান, গত মে জুন মাসে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২১৫ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিন জেলায় বছরের শুরু থেকে পাঁচ শতাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ৪৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনেক রোগীকে আইসিইউতে নিতে হচ্ছে বলে জানান রোবেদ আমিন।

করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন হতেও তিনি দেশবাসীকে অনুরোধ জানান।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৩ জন। নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ জনে। বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন হাজার ২৪৫ জন। নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন লাখ ৯৭ হাজার ৪১২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget