Articles by "শিক্ষা"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

আগামী সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ , জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
 
আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সময় দেবেন সেদিনই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে শুটিং ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সময় দেবেন সেদিনই ঘোষিত হবে ফল।

জানা গেছে, ফল প্রকাশের দিন শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সারসংক্ষেপ তুলে ধরবেন। এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।

করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গত ডিসেম্বরে নেওয়া হয় ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৯৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা থাকলেও দেশের বাইরে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রের খাতা মূল্যায়নে দেরি হয়।

এ অবস্থায় বোর্ড জানায়, সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে। ১২, ১৩ অথবা ১৪ ফেব্রুয়ারির যে কোনো একদিন ফল প্রকাশ করা হবে।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমরা সব কিছু নিয়ে তৈরি হয়ে আছি। সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফলাফল দিয়ে দেব। খুব তাড়াতাড়িই ফল প্রকাশ করা হবে। ১০ তারিখের পর যে কোনো দিন ফল প্রকাশ হতে পারে।


নওগাঁয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা
তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁয় সারাদেশের মত এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে।

নওগাঁর মোট ৭১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়। জেলায় চলতি বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩৩ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ২৫ হাজার ১৭৬ জন, দাখিলে ৬ হাজার ৪২১ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ২হাজার ১৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

পরীক্ষা কনট্রলরুম সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিনে এসএসসি পরীক্ষর্থীদের পদার্থ বিদ্যা, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিদ্যা এবং দখিল পরীক্ষার্থীদের কুরআন মাজিদ/তাজভিদ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।


নওগাঁয় শিক্ষার নতুন দ্বার হতে যাচ্ছে শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁয় শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ফলে নওগাঁয় শিক্ষার আরো একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নওগাঁ রাজশাহী মহাসড়কের পার্শ্বে অতি মনোরম পরিবেশে এই প্রতিষ্ঠনটির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী ২০২২ ইং সেশন থেকে এই প্রতিষ্ঠানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের প্রথম সেশন শুরু হবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের বস্ত্র অধিদপ্তর এই প্রতিষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করেছে। সম্পন্ন প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সেনবাহিনী। এই প্রকল্পের পরিচালক বস্ত্র অধিদপ্তরের উপ-সচিব মোঃ আব্দুর রকিব জানিয়েছেন, প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৮ ইং সালের ১ নভেম্বর। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩২ কোটি টাকা।

ইনস্টিটিউটের অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ২৪৮ জন ছাত্রের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট আবাসিক হোষ্টেল, ৪৮ জন ছাত্রীর জন্য ৩ তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোষ্টেল, দ্বিতল বিশিষ্ট প্রিন্সিপাল কোয়ার্টার, শিক্ষকদের ডরমেটরী, ষ্টাফ ডরমেটরী, জুট স্পিনিং, কটন স্পিনিং, ওয়ার্কশপ কাম লাইব্রেরি, স্বয়ংসম্পূর্ণ অত্যাধুনিক মেশিনসহ ডাইং শেড, অত্যাধুনিক মেশিনসহ স্পিনিং শেড, কম্পিউটার ল্যাব, ফ্যাশন ডিজাইন শেড, মসজিদ এবং শহীদ মিনার।

মোট ১৫ বিঘা জমির উপর এই অবকাঠামোসমূহ নির্মাণের ফলে  ইতিমধ্যেই এলাকার দৃশ্যপট বদলে গেছে। প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুর রকিব জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাজনক সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। সূত্রমতে, এখন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।

মান্দা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম কুমার মহন্ত এবং স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিক জিল্লুর রহমান  বলেন, বর্তমান সরকারের নানাক্ষেত্রে ব্যপক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সম্পূর্ণ নতুন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো মান্দা তথা নওগাঁ জেলাতে।

৯ অক্টোবর খুলছে  ইবির হল , সশরীরে ক্লাস ২০ অক্টোবর


অনলাইন ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলো অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই মাসের ২০ তারিখ থেকে সশরীরে ক্লাস চালু হবে। সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


উপাচার্য বলেন, আমরা ৯ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাবো। শুধু আবাসিক কার্ডধারী ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। আপাতত গণরুম থাকছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সীদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সুবিধাসমূহও চালু করা হবে।

এর আগে সকাল ১১ টায় আবাসিক হলগুলো খোলা ও ক্লাস যথারীতি চালু করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ভিসি হলগুলো পরিদর্শন করেন।

এর আগে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সাথে আবাসিক হলগুলো খোলার আগে এক প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তোলা, হলে কোনভাবেই গণরুম না রাখা, যাদের শিক্ষাজীবন শেষ, তারা কোনভাবেই যেন হলে থাকতে না পারে ও কমপক্ষে ১ ডোজ টিকা গ্রহনকারী শিক্ষার্থী নিশ্চিত করে হলে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া হল খোলার আগে ও পরে সার্বক্ষণিক হলে প্রভোস্টসহ হাউস টিউটরদের হলে অবস্থানের ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করা হয়।

বেহাল দশা সন্দ্বীপ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের : ৭টি পদের ৫ টি খালি !


মিলাদ মুদাছ্ছির, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) : বর্তমানে সন্দ্বীপ উপজেলা মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসে ৭ টি পদ রয়েছে পদ গুলো হলো উপজেলা শিক্ষা অফিসার একজন, ২ জন উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার ১ জন হিসাবরক্ষক,  ১ জন অফিস সহকারী, একজন পিয়ন, ও ১ জন নৌশপ্রহরী, বর্তমানে একজন হিসাবরক্ষক ও একজন নৌশপ্রহরী অফিস চালাচ্ছেন। 

সন্দ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮ টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩ টি, দাখিল মাদ্রাসা ৮'টি ফাজিল মাদ্রাসা ৩ টি, কলেজ ৬ টি, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ছাত্র ছাত্রী রয়েছে ৩৮ ৭৪৪ তার মধ্যে ৬ টি  কলেজে ছাত্র ছাত্রী হলো ৫৫১৭ আর স্কুল মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী ৩৩২২৭ ছাত্র ১৩৬৬৮ ছাত্রী ১৯৫৫৯ মোট ৪৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, কিন্ত সে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চলছে বর্তমানে কর্মকর্তা ছাড়া। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যাই বর্তমানে সন্দ্বীপ  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার না থাকায় এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরি জেলা শিক্ষা অফিসার চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, যদি ও তিনি সন্দ্বীপ নিয়মিত যাতায়াত কম করেন, ফলে কাজের কোন অগ্রগতি নেই বললেই চলে। 

সন্দ্বীপ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সর্বশেষ ১৬ মে ২০১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন কে এম আলমগীর। ২ বছর যাবৎ কোন মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসার নাই সন্দ্বীপে। 

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তীর অফিসিয়াল টেলিফোন(০৩১২৫৫৩১৪৪) বার বার যোগাযোগ করা হলে ও টেলিফোন সংযোগ দেয়া সম্ভব হয় নি। 

এ ব্যাপারে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সন্দ্বীপ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি বলেন, এর দায়বদ্ধতা সম্পুর্নরুপে চট্টগ্রাম-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের। আমি বিভিন্ন সময় মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড-চট্টগ্রাম, চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, আশা করি সন্দ্বীপ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সমস্যা সমাধান করবে কতৃপক্ষ।

তাহিরপুরে সরকারি ভাবে ছুটি  না দিলেও বিদ্যালয়ে তালা !


রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সারাদেশের ন্যায় মধুপুর্নিমা উপলক্ষে উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর ।

এদিকে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা না হলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন ব্যাক্তিগত ভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন।যার ফলে বিদ্যালয়ে কোন ছাত্র/ছাত্রী আসেনি বিদ্যালয়ে।এমন নেক্কার জনক ঘটনায় এলাকা জুরে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বেলা ১১ টা অবধি  বিদ্যালয়ের  প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের দরজায়  তালা ঝুলছে।,

কাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে বন্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে,তারা বলে স্যার আমাদেরকে বলেছেন আজ বিদ্যালয়  বন্ধ তাই আজ আমরা বাড়িতেই রয়েছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আমিরুল ইসলামের কাছে বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোন ছাত্র/ছাত্রীদের বিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ দেইনি সহকারী শিক্ষকগন বন্ধের ঘোষণা করেছেন।’

তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.মিজানুর রহমান বলেন,আজ সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে তবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা আছে।আমি কাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্ধের  বিষয়টি শুনেছি এব্যপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.রায়হান কবির বলেন,শিক্ষকরা কেন ব্যাক্তিগত ভাবে বিদ্যালয়  বন্ধ ঘোষণা করলেন এ ব্যপাওে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ঝালকাঠির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে ঝালকাঠির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঝালকাঠি পৌরসভার সরকারী হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের  ১০ম শ্রেণির ছাত্রী কায়নাদ  মম। সকালে স্কুলে এসে  দুপুর ১২ টায় স্কুল শেষ বাড়ি ফিরছিল খুশি মনে। এছাড়াও  ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের সাথে সেলফি তুলতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। এতদিন পর স্কুলে এসে কেমন লেগেছে জানতে চাইলে তাজ বলে, এ যেন ঈদের দিনের মত। ঈদের দিন বন্ধুদের সাথে  দেখা হলে  যেমন আনন্দ হয়, তেমন আনন্দ হচ্ছে আজ। দীর্ঘদিন পর স্কুলে আসতে পেরেছি প্রিয় সহপাঠী বন্ধু, শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে , এতে টানা দেড় বছর বাড়িতে থাকার কথা ভুলে গিয়েছি। সবার মাস্ক পড়া থাকলেও চিনতে অসুবিদা হয়নি বলে জানায় এ শিক্ষার্থী। শুধু তাজ নয় শত শত শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ পরিলক্ষিত করা যায়।

আব্দুল ওহাব গাজি শিশু বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপ মাত্রা পরীক্ষা করে ভিতরে প্রবেশ করাচ্ছে। হ্যান্ড ওয়াশ স্প্রে রাখা হয়েছে স্কুল গেটে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়।

এদিকে ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে আনন্দ উৎসব করতে দেখা যায়। সবার মাঝে অন্যরকম এ অনুভূতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মারুফা বেগম জানান, “স্কুল খোলাতে  শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলে খুব খুশি। সকলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করছে। আমরা চাই কোভিট-১৯ মহামারিতে আর যেন কেহ আক্রান্ত না হয়। শিক্ষার্থীরা যেন স্কুলে এসে লেখাপড়া করতে পারে। মানুষের স্বাভাবিক জীপনযাত্রা ফিরে আসুক এ কামনা করছি।”

“ঝালকাঠি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: তুহিন হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায়, ক্লাস করতে চায় এবং আমরাও স্কুলে ফিরে যেতে চাই। আমদের শিক্ষাদান অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা করছি।”

অভিভাবক মো: হাবিবুর রহমান জানান, “অনেক দিন পর বাচ্চারা স্কুলে যেতে পেরে খুব খুশি এবং আমাদের ভালো  লাগছে। তবে সকলের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা উচিত।”


দেশের সকল শিক্ষা প্রতিস্থান খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজ পথে প্রতিকি পাঠদান কর্মসূচি


আতাউর শাহ্, নওগাঁ : নওগাঁয় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে, দেশের সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজ পথে প্রতিকি পাঠদান পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার ২২ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় শহরস্থ মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনে আহবায়ক সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট পৌর শাখার মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে এ রাজ পথে প্রতিকি পাঠদান কর্মসূচি পালিত হয়।

রাজ পথে প্রতীকী স্কুলে পাঠদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফুল হক চৌধুরী আরব, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নওগাঁ শহর শাখার সদস্য সচিব পাপ্পু কুমার রবিদাস, বাসদ নওগাঁ জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড জয়নাল আবেদীন মুকুল, জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রহমান রায়হান বাহাদুর, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নওগাঁ জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শামসের মোল্লা।

রাজ পথে প্রতীকী পাঠদান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ে ভেকসিন প্রদান পূর্বক দেশের সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবিতে জানানো হয়।

আর কখনোই স্কুলে যাবে না আড়াই কোটির বেশি শিশু


অনলাইন নিউজ : কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বে আড়াই কোটির বেশি শিশু আর কখনোই শিক্ষার আলো দেখবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, প্রায় ১৬ কোটি শিশু সরাসরি এই মহামারির ক্ষতির শিকার। তাদের শিক্ষা জীবনও হুমকির মুখে পড়বে যদি না এই সংকট অচিরেই দূর করা যায়।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশে প্রায় দুই বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কোভিড মহামারির কারণে কবে স্কুল খুলবে আর কবেই বা শিশুরা ক্লাস শুরু করতে পারবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ অবস্থায় শিশুরা হতাশায় ভুগছেন। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। মিলছে না সুশিক্ষা। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা আর কখনোই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, একটার পর একটা ভ্যারিয়েন্টের কারণে দীর্ঘায়িত হচ্ছে শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। যার পরিণাম হচ্ছে ভয়াবহ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস বলেন, আমরা এখন শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যবর্তী সংকটে অবস্থান করছি। শিশুরা স্কুলে যেতে না পেরে, সমস্যার মধ্যে রয়েছে। প্রায় ১৬ কোটি শিশু সব থেকে খারাপ অবস্থায়। যার মধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ শিশু কখনোই আর ফিরতে পারবে না স্কুলে।

উন্নত দেশগুলো শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের ভ্যাকসিন দিয়ে স্কুল খোলার পথে হাঁটলেও, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সেটিও এখন অনিশ্চিত। এ অবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। যেন কোভিড পরবর্তী সময়ে স্কুল খুললে সংকট দূর করা যায় দ্রুতই।

গত ১২ জুলাই ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসার চলমান ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

 এর আগে ২৯ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক নোটিশে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসার চলমান ছুটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

 আগের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে আবার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি। 

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের (২০২০ সাল) ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকার কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পরিকল্পনার কথা জানালেও মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে হয়েছে।

 

পরিস্থিতির উন্নতি হলে নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা

শিক্ষা ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এসএসসি ও সমমান এবং ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা, দীপু মনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন  শিক্ষামন্ত্রী।পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সব বিষয়ের পরীক্ষা নিতে চাই না। সিলেক্টিভ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ৩টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা হবে। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রণয়ন করা হবে। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। বাকি আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন হবে এসএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষার বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে।

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভুলে যাওয়া একজন আহছানউল্লা


তৌফিক তাপস : মহাকালের রথে চড়ে আজ শতবর্ষে পদার্পণ করছে বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্পন্দন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃথিবীর ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সেই বিশেষ বৈশিষ্টমণ্ডিত বিদ্যায়তন যা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রায় সব আন্দোলনই অঙ্কুরিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী প্রাঙ্গণে। একটি জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও জ্ঞান চর্চার প্রধান বাতিঘর হিসেবে এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক পালাবদলের প্রধানতম কেন্দ্র হিসেবে বিগত একশ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলায় রয়েছে বৈচিত্রময় আড়ম্বর। দীর্ঘ এ চলার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়উচ্চ শিক্ষায় যেমন নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি পথ দেখিয়েছে বাঙালি জাতির ক্রান্তিলগ্নেও। বিগত শতবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, প্রশাসক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজচিন্তকদের তৈরি করেছে। এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হলে গোটা বাঙালি জাতি উত্তরণের দেখা পেত কি না সেটিই আমাদের জাতীয় ইতিহাসের বড় প্রশ্ন। 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা দু’টি অংশে বিভক্ত হয়েছিল। কলকাতাকেন্দ্রিক কিছু বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সুচনালগ্ন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়তাদের বিরোধীতার মুখে পড়ে। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার পক্ষে অনেকে অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন, নানামুখী অবদানে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক ও মূল প্রস্তাবক ছিলেন নবাব সলিমুল্লাহ। ১৯১৫ সালে তার মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনটিকে শক্ত হাতে এগিয়ে নেন ধনবাড়ির জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন পর্বে রাজনৈতিক সমর্থন ও পৃষ্টপোষকতা করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। শুরু থেকেই ইংরেজ সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে এগিয়ে নেয় ।

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভুলে যাওয়া একজন আহছানউল্লা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠাপর্বের ইতিহাসে এসব আলোচিত রাজনৈতিক তৎপরতার বাইরে প্রশাসনিক ও বুদ্ধিভিত্তিক তৎপরতাও বেশ কাজে দিয়েছিল। কিন্তু এসব বুদ্ধিভিত্তিক তৎপরতার খবর ইতিহাসের মূল আলোচ্যে খুব বেশি স্থান পায়নি অথবা ইতিহাসে এই পর্বটি উপেক্ষিত থেকেছে। অনেক বুদ্ধিজীবী শিক্ষাবিদ রাজনৈতিক পরিমন্ডলের বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ছিলেন সরকারের তেমনই একজন শিক্ষাপ্রশাসক যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটে অসামান্য অবদান রাখেন, কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলের নীচে তাঁর বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের খবর অনেক দিন আমাদের ইতিহাসে উপেক্ষিত রয়েছে। অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার একবারে সূচনালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত প্রতিটি পর্বে প্রত্যক্ষ সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা। ১৯১২ সালে নাথান কমিশনের টিচিং সাব কমিটির সদস্য, ১৯১৪ সালে হর্ণেল কমিটির সদস্য, ১৯১৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের কাছে সুস্পষ্ট জোরালো বক্তব্য, ১৯১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার খসড়া আইনের ওপর মতামত প্রদানকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বিশেষ কমিটিতে একমাত্র বাঙালি মুসলমান হিসেবে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে সর্বত্রই অনড় অবস্থান গ্রহণ করেন।


আহ্ছানউল্লা ছিলেন প্রথম ও একমাত্র ভারতীয় মুসলিম যিনি অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারি পরিচালক পদে আসীন হয়েছিলেন, ইন্ডিয়ান এডুকেশন সার্ভিসেও তিনিই প্রথম ভারতীয় আই.ই.এস এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ও মৌলিক প্রায়োগিক চিন্তা-চেতনার জন্য তিনি ১৯১১ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের ফেলো মনোনীত হন। তখন থেকেই অবিভক্ত বাংলায় তাঁর শিক্ষাভাবনাকে ব্রিটিশ সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতো।


১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষনায় পূর্ববঙ্গের জনগণ, বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সম্প্রদায় নিদারূন আশাহত হয়। নবাব সলিমুল্লাহ বঙ্গভঙ্গ রদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে ১৭ এবং ২০ ডিসেম্বর দুটি চিঠি পাঠান ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে। ১৭ তারিখের চিঠিতে তিনি বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে পূর্ববাংলার জনগনের মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা এবং ২০ তারিখের চিঠিতে পূর্ববাংলার সংখ্যাগুরু মুসলমানদের সার্বিক উন্নতিবিধানকল্পে শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু অভিনব সংস্কারের প্রস্তাবনা পাঠান। পত্র পাওয়ার পরদিনই ভাইসরয় তার শিক্ষা উপদেষ্টা স্যার এইচ বাটলারকে নবাবের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তার অভিমত জানতে চেয়ে নোট দেন। এইচ বাটলার নবাব সলিমুল্লাহর প্রস্তাবে ভাইসরয়কে ইতিবাচক মতামত প্রেরণ করেন। ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি ভাইসরয় ঢাকা সফরে এলে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এবং এ কে ফজলুল হক সহ পূর্ববঙ্গের ১৯ জন মুসলিম নেতৃবৃন্দ তার সাথে সাক্ষাত করে বেশ কিছু দাবি পেশ করেন। ভাইসরয় প্রতিনিধিদলকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দেন। প্রতিক্রিয়ায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ড. রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হিন্দু প্রতিনিধিদল ভাইসরয়ের সাথে সাক্ষাত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আপত্তি উত্থাপন করে, কিন্তু ভাইসরয় তাদের আপত্তিতে সম্মত হননি। ২৭ মে বেঙ্গল সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রেজিল্যুশন জারি করে এবং স্কিম তৈরির জন্য ব্যারিস্টার নাথানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। এসময় একজন ‘টিচিং স্কলার’ হিসেবে আহ্ছানউল্লাকে নাথান কমিটির টিচিং সাব কমিটির সদস্য করা হয়। তখন তিনি প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান পদ্ধতি, বিষয়ভিত্তিক অনুষদ ও শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে তার মতামত উপস্থাপন করেন।



প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থেমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালের ১৪ এপ্রিল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি মোহামেডান এডুকেশনাল কনফারেন্সে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকায় বিশ্ব¦বিদ্যালয় স্থাপনে বিলম্বে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই উদ্বেগ নিরসনে বাংলার ডিপিআই হর্নেলর নেতৃত্বে বাংলা সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার কারণ অনুসন্ধানে ‘হর্ণেল কমিটি’ গঠন করে। প্রেসিডেন্সি বিভাগের তৎকালীন এডিশনাল ইন্সপেক্টর আহছানউল্লাকে কমিটির অন্যতম সদস্য করা হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলমানদের পিছিয়ে কারণ ও উত্তরণের সুপারিশসহ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আহ্ছানউল্লা। এই প্রতিবেদন পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও আইন প্রণয়নে তথ্য উপাত্ত হিসেবে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হয়।


১৯১৭ সালে গঠিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন (স্যাডলার কমিশন) দেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষানুরাগীদের কাছ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে লিখিত অভিমত চেয়ে পাঠায়। আহছানউল্লা ২২ টি প্রশ্নের মধ্যে আটটি বিষয়ভুক্ত প্রশ্নের ওপর তার সুচিন্তিত অভিমত পেশ করেন। তার অভিমতসমূহ কমিশন রিপোর্টের ৯ম, ১০ম, ১১শ ও ১২শ খন্ডে সংযোজিত হয়। কমিশনের চার নম্বর প্রশ্নের বিষয়বস্তুই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রসঙ্গটি। মূলত এই বিষয়টিই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আপত্তি ও নেতিবাচক মনোভাবের ভিত্তি। চার নম্বর প্রশ্নের জবাবে খানবাহাদুর আহছানউল্লা তার স্মারকলিপিতে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সীমাবদ্ধতার চিত্র তুলে ধরেন। লিখিত অন্যান্য অভিমতগুলোতেও তিনি যে নির্দিষ্ট প্রস্তাবমালা পেশ করেন তা তখনকার শিক্ষাব্যবস্থায় অবিকৃতভাবে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চুড়ান্ত পর্বে আহছানউল্লা আরও প্রত্যক্ষ ও অবিসংবাদিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৯১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল উত্থাপিত হয়। সরকার ২৩ সেপ্টেম্বর পাঠনো একটি চিঠিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে খসড়া আইনের ওপর চুড়ান্ত অভিমত প্রেরণের আহবান জানায়। এই প্রেক্ষিতে ১ নভেম্বর সিনেটের ১৪তম অধিবেশনে ৯ সদস্য বিশিষ্ট সিনেট কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিতে একমাত্র বাঙালি মুসলমান সদস্য ছিলেন খানবাহাদুর আহছানউল্লা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে তখনো একমাত্র বাঙালি মুসলমান হিসেবে তার গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ছিল। খসড়া বিল পর্যালোচনা কমিটির সদস্য হিসেবে বিলের প্রতিটি অনুচ্ছেদের ধারা উপধারায় কমিটির অন্যান্য প্রভাবশালী সদস্যদের সাথে চরম প্রতিকূলতা ও তীব্র বাদানুবাদে তিনি তার জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করেন। কমিটির অধিকাংশ সদস্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধাচরণ করেন। পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি একাই বুক চিতিয়ে বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইটি চালিয়ে যান। স্বাভাাবিকভাবেই অন্যদের সাথে আহ্ছানউল্লা একমত হতে পারেননি, সে কারণে ২৭ নভেম্বর ১৯১৯ তারিখে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার পক্ষে চার পৃষ্ঠার একটি নোট অব ডিসেন্ট দাখিল করেন। তার নোট অব ডিসেন্টটি কমিটির রিপোর্টের সাথে সংযুক্ত হয়। 


১৯২০ সালের ২৩ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। নাথান ও হর্নেল কমিটিতে দেয়া আহ্ছানউল্লার সুপারিশ, স্যাডলার কমিশনে দেয়া লিখিত অভিমত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট দেয়া যুক্তিতর্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠায় স্পেশাল কমিটিতে দেয়া অভিমত, নোট অব ডিসেন্টের বক্তব্য সকল বিষয়েরই স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়আইনে। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মেম্বর (সিনেট) ছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পথচলার প্রথম একযুগ তিনি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী ছিলেন আহ্ছানউল্লারই পুত্রবধু ফজিলাতুন্নেছা জোহা।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস মানে বাঙালি জাতির উত্থানের ইতিহাস। একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে, শিক্ষা প্রশাসক হিসেবে, বাঙালি মুসলমানের আত্মপ্রত্যয়ী প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠায় অন্যান্য আলোকবর্তিকাদের মতো খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার অবদানও অনস্বীকার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের মূল আলোচনায় খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। শতবছর পরে এসেও যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এই প্রজন্মের কাছে উন্মোচন না করা যায় তবে তা সত্যিই বেদনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছিল রাজনৈতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক সংগ্রামের সমন্বিত প্রয়াস। বাঙালি জাতির বাতিঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়জ্ঞানের আলো জ্বালুক অনাগত কাল। 


লেখক: পরিচালক, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট

দেশের শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে ইইউ এর ৪২৩ কোটি টাকা সহায়তা


বিষেশ প্রতিনিধি : বাংলাদেশের শিক্ষাখাত আরও শক্তিশালী করতে ৪২৩ কোটি টাকা (৪২ মিলিয়ন ইউরো) সহায়তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ সহায়তা হস্তান্তর করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঢাকার ইইউ অফিস এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-২০২১’ এর কর্মসূচির আওতায় এ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষাখাত শক্তিশালী করতে, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানাগেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক বলেছেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে শিক্ষা। সবার জন্য সমানভাবে প্রাথমিক, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ভবিষ্যতের চাকরির বাজার ও কর্মসংস্থান। সে কারণে এ খাতে সহযোগিতায় রয়েছে ইইউ।

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারিতে অব্যাহতভাবে স্কুল বন্ধে ইইউ উদ্বিগ্ন। তবে মহামারি পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সম্ভব পুনরায় স্কুল খোলার পথে অগ্রসর হতে হবে। কারণ দূরবর্তী শিক্ষা প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিকল্প পদ্ধতিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: দীপু মনি

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেওয়া যায়, কিংবা অন্য কোনোভাবে সেটি করা যায় কিনা, সেটি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’


তিনি বলেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিও ছিল, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় করোনা বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।  অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি চলমান রয়েছে।  নতুন পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়ালেখা যেন বাড়িতে চালিয়ে যেতে হবে।  এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়।  নিজেরা নিজেদের পড়াশোনার সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকতে হবে।

‘জীবন থেকে এক বছর চলে গেলেও কিছু হবে না, তার চেয়ে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরস সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রোববার (৩০ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন খোলা হবে স্কুল-কলেজ।

স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি ৫ শতাংশ আসার পরে...স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছি। তাতে করে মানুষের চলাচলের প্রয়োজনীয়তা বা বাধ্যবাধকতা নাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকাটা স্বস্তিদায়ক।’

সংক্রমণের বতর্মান পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খোলাটাও পিছিয়ে যেতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটি তাদের বিষয়। উনি বলেছেন, এটা নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত খুলবে না।’

তাহলে ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেবেন। যদিও আমরা বিকল্প ব্যবস্থাগুলো চিন্তা-ভাবনা করছি স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে।

তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরা দেখি, অবস্থা বুঝে..., আমাদের ছাত্রসংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে তখন সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাবে। আমাদের বিধিনিষেধ থাকার কারণে কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।’

source: https://www.jagonews24.com

 

আবারও বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি
ফাইল ছবি
আরেক দফায় বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে চলমান লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, আগামী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা থাকলেও চলমান লকডাউনের সময়সীমা ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উপর মহলের সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণা দেয়া হবে।

জানা গেছে, যেহেতু আগামী জুন মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেহেতু নতুন করে আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধির চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে যদি লকডাউন তুলে দেয়া হয় তাহলে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি শুরু করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সপ্তাহে ছয় দিন তাদের ক্লাস নেয়া হবে। অন্য স্তরের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেয়া হলেও অনলাইন ও অফলাইনে চলবে নিয়মিত ক্লাস।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন রোববার জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। এ বিষয়ে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে ঘোষণা দেয়া হবে।

নতুন করে আরও কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কতদিন ছুটি বাড়ানো হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে জানানো হবে।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ঈদের পর ২৩ মে স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। নতুন করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে ছুটি বাড়িয়ে তা ২৯ মে পর্যন্ত করা হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই ছুটি বাড়তে বাড়তে এ পর্যন্ত এসেছে।

source: https://www.jagonews24.com 

নওগাঁয় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে গৃহ নির্মাণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সালমান ফার্সী, নওগাঁ : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সুজাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে গৃহ নির্মাণ করায় মানববন্ধন করেছেন অত্র এলাকার সর্বস্থরের মানুষ। বুধবার (০৯ডিসেম্ব) সকাল ১১.০০ টায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সুজাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেবার কারণে এলাকার সর্বস্থরের জনগণ রাস্তায় নেমেছে। এরই অংশ হিসাবে তারা সুজাইল বাজারে মানববন্ধন করেন। এসময় তারা বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান অন্যায় ভাবে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করে গৃহ নির্মান করছেন, এখানে যে জায়গায় গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন সেখানে মাত্র পাঁচটি ঘর তৈরী হচ্ছে, অথচ এখান থেকে মাত্র ৬০ গজ দূরে এই রকম ৩০ টি গৃহ নির্মাণ করার মতো জায়গা দখন করে আছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বক্তারা বলেন, আমরা এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সরাসরি লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত এই স্থানে গৃহ নির্মাণ বন্ধ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এব্যাথারে সুজাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মরিয়ম বেগম বলেন, আমি এব্যাপারে আমার উদ্ধোত্তণ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এখানে যদি আবাসিক হয় তাহলে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির মূখে পড়বে।
এব্যাপারে মহাদেবপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে এখানে গৃহ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

রাজশাহীয় ভুয়া সনদে ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা!



ফেরদৌস সিদ্দিকী, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মোবাসসেরা খাতুন নামের এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভুয়া নিবন্ধন সনদে ১০ বছর ধরে চাকরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মোবাসসেরা খাতুন গোদাগাড়ী উপজেলার রিসিকুল ইউনিয়নের সৈয়দপুর শহীদ মঞ্জু উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ২০১১ সাল থেকে কর্মরত তিনি। তার ইনডেক্স নং ১০৮৪৩৩। শুরু থেকেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে নিচ্ছেন যাবতীয় সুযোগ সুবিধা।

মোবাসসেরা খাতুনের বিরুদ্ধে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নম্বর ও প্রত্যয়ন জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগ এসেছে শিক্ষা দফতরে। গত ১ আগস্ট লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে সত্যতাও পেয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, যেহেতু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চল দফতরের ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোনো প্রকার রেকর্ড এখানে নেই (ঢাকায় রেকর্ড রয়েছে) সেহেতু প্রকৃত নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর রোল নম্বর আমাদের অনলাইন ডেটাবেজের সার্ভার থেকে যাচাইপূর্বক জালিয়াতির সত্যতা পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সম্পর্কে তিনি আরও জানান, এক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে নিয়োগকালে ওই শিক্ষিকার দাখিলকৃত নথিতে দেখা গেছে, ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেন। তার রোল নম্বর ২১১৬০৭৭৯। ৪৬ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। কিন্তু যাচাইয়ে ধরা পড়ে ওই সনদধারী আদতেই মোবাসসেরা খাতুন নন। সেটি রোজি খাতুনের। সনদ জালিয়াতি করে মোবাসসেরা খাতুন নিয়োগ নিয়েছেন। তার এই কাণ্ডে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির যোগসাজস রয়েছে। রহস্যজনক কারণে অডিটেও আপত্তি ওঠেনি।


নিয়োগকালীন প্রধান শিক্ষক খোশ মোহাম্মদ অবসরে যাওয়ার পর তরিকুল ইসলাম বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হন। তিনি জালিয়াতির বিয়ষটি জানতে পেরে ওই শিক্ষককে জিম্মি করেন। প্রতি মাসে তার বেতন থেকে একটি অংশ নিজের পকেটে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক খোশ মোহাম্মদ বলেন, ওই নিয়োগে তার কোনো হাত ছিল না। সব দায়দায়িত্ব নিয়োগ কমিটিরই। সম্প্রতি তিনি জালিয়াতির বিষয়টি শুনেছেন। আগে টেরই পাননি এত বড় জালিয়াতি।

তবে অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি মোবাসসেরা খাতুন।

জানতে চাইলে বর্তমান প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন ২০১৩ সালে। কিন্তু মোবাসসেরা খাতুন নিয়োগ পেয়েছেন তারও দুই বছর আগে। কাজেই বিষয়টি তার জানার কথা নয়।

তিনি যোগ করেন, ২০১৮ সালের অডিটেও ওই শিক্ষকের জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়েনি। এ সময় ওই শিক্ষিকাকে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে আঞ্চলিক শিক্ষা দফতরের উপ-পরিচালক ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী জানান, একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির বিষয়টির প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পরিপূর্ণ সত্যতা মিললে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বদলে যাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি


বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেয়া হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। পরীক্ষার ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হতে পারে। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মাউশি থেকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

মাউশি সূত্র বলছে, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সকল নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় একটি স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক আগের মতো আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে না।

সূত্র বলছে, ক্লাসে দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। প্রতিদিন একসঙ্গে সকল শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে না। কর্মঘণ্টাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন স্তরে ক্লাস নেয়া হবে। এক্ষেত্রে মৌলিক বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। সপ্তাহে একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই অথবা তিনদিন ক্লাস নেয়া হবে। তবে সপ্তম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। পরীক্ষা কমাতে শ্রেণি শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই করোনার ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। সেজন্য স্কুল-কলেজ খুললে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। পরীক্ষা কমাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর দেয়া হবে। ক্লাসে মৌলিক বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গাইডলাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নির্দেশনাগুলো স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে নির্বাচন করা হবে। গাইডলাইন তৈরি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলে দেয়া হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ‘এখনো স্কুল-কলেজ খোলার মতো পরিবেশে তৈরি হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে আজ বৃহস্পতিবার এ- সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।’

‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করে তোলা হবে। এগুলো একটি বই আকারে তৈরি করে তা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠান খোলার আগে কী করণীয় এবং পরে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা গেলে কী করণীয় সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে না। বিদ্যালয় খোলার ১৫ দিন আগে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা হবে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করণীয় ও প্রতিদিন কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করা হবে সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত খসড়া নির্দেশনায় দেখা গেছে, বিদ্যালয় খোলার সরকারি নির্দেশনা আসার পর ন্যূনতম ১৫ দিন আগে শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ক্লাস উপযোগী করে বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের গেটে বা প্রবেশের স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করবে। থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সিডিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমরা দিকনির্দেশনা তৈরি করেছি। সবাইকে সেগুলো মেনে চলতে হবে।’

পাঠ্যক্রম পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগের মতো ক্লাসে এক বেঞ্চে তিন-চারজন বসতে পারবে না, দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থীকে বসাতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগের মতো আর সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হবে না। একটি স্তরে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন অথবা প্রতিদিন দু-তিনটি ক্লাস নেয়া হবে। তবে ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণিকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যক্রম নির্বাচন করে কোন দিন কোন বিষয়ের ক্লাস নেয়া হবে তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও এসএমসির সদস্যদের নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

বিদ্যালয় চলাকালীন করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক পরে আসতে হবে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে উপচেপড়া ভিড় করে খেলাধুলা, আড্ডা-গল্প করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব রেখে হাঁটাচলা করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে বিদ্যালয় শিক্ষক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যোগাযোগ নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।

সাড়ে ৩ বছরেও হয়নি উপবৃত্তির অর্থ লোপাটের বিচার

দেশের ২২ জেলায় শিশুদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালে। অর্থ হাতিয়ে নিয়েও কিছু অসাধু শিক্ষক-কর্মকর্তা পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি তদন্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১১ জন উপসচিবের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বিভিন্ন সময়ে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের মোট ২২টি উপজেলায় অনুসন্ধান করে সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর ও কুমিল্লা জেলার বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা অর্থ আত্মসাতের ঘটনার মূল হোতা বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


পরে ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর অভিযুক্ত এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় তার প্রতিবেদনে জানায়, ভবিষ্যতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় প্রতি জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে টাকা বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন বছর পার হলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানাসহ কয়েকজন কর্মচারী শিশুদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উচ্চমান সহকারীকে বদলি ও অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করেছে ঢাকা বিভাগীয় অফিস। এখন আবার ২০১৬ সালে শিক্ষক-কর্মকর্তার মাধ্যমে ২২ জেলায় উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। যদি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তবে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 স্মার্ট ফোন কিনতে শিক্ষার্থীদের ঋণ দেয়ার প্রস্তাব

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে টানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে দুটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও স্মার্ট ফোন কিনতে সহজ ঋণের ব্যবস্থা করার এ প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত ৩০ জুন ইউজিসি থেকে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবের ফলে বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে। অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে পারেনি অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো। গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে গত ৩০ জুন ইউজিসিতে থেকে দুটি প্রস্তাব উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে শিক্ষার্থীদের ফ্রি ইন্টারনেট প্রদান ও যাদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের লোনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

ইউজিসি থেকে জানা গেছে, অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার প্রস্তাব জানান উপাচার্যরা। সেটি আমলে নেয় ইউজিসি। এছাড়াও অনলাইন ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সার্বিক পরিস্থিতি ও সক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে একটি জরিপ চালায় ইউজিসি। সেখানে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ডিভাইস রয়েছে বলে জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে। ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্ট ফোন বা অন্যকোনো ডিভাইস নেই। এ কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজ ও ১৪ থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে স্মার্ট ফোন কিনতে সহজ শর্তে অর্থ ঋণ দেয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে ইউজিসি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত, তাই আমরা একটা অনিশ্চিত সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এ পরিস্থিতিতে আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। শিক্ষার্থীদের সেসব জটের কবল থেকে রক্ষা করতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে ততটুকু নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম আমাদের বড় একটি সম্ভাবনার দ্বার তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুরুতে আপত্তি জানালেও বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইন ক্লাস করাতে সম্মতি জানানোয় আমি আনন্দিত। সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই এগিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে উপাচার্যদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজ প্রদান ও যাদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি পজিটিভভাবে গ্রহণ করেছেন। আশাকরি দ্রুত এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget