Articles by "লাইফস্টাইল"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 
সোনামণিদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা নয়

ডা. তামীম আহমেদ : করোনাকালে বিশ্বজুড়ে একটি বিষয় অবহেলিত থেকে যাচ্ছে-তা হলো শিশু-কিশোরদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি। এ ব্যাপারে এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে শিশুরা এ জাতির জন্য ভবিষ্যতে অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মানসিক সুস্বাস্থ্য ছাড়া স্বাস্থ্য পূর্ণতা পায় না। ইউনিসেফের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে প্রায় ২২০ কোটিরও বেশি হচ্ছে শিশু, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশ। করোনা মহামারির কারণে স্কুল-কলেজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে তাদের মাঝে দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা এবং বিষণ্নতাসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেন করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ৪৬টি দেশের ১৩২৭৭ জন শিশু এবং ৩১৪৮৩ জন শিশুর অভিভাবকের ওপর একটি গবেষণা পরিচালনা করে। গবেষণাতে শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আশঙ্কাজনক ফলাফল বের হয়ে আসে-

* ৩২ শতাংশ শিশু নিজ ঘরে পারিবারিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়।

* ৮৩ শতাংশ শিশুর মাঝে অবসাদ, বিষণ্নতা এবং বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয় এবং মাত্র ৪৬ শতাংশ পিতামাতা এবং অভিভাবক এ বিষয়গুলো খেয়াল করেন।

* যেসব শিশু তাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল তাদের মাঝে অধিক দুশ্চিন্তা এবং অসুখী মনোভাব তৈরি হয়। যেসব শিশুর স্কুল ১-৪ সপ্তাহ বন্ধ ছিল, তাদের ৬২ শতাংশের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। পাশাপাশি যাদের স্কুল ১৭-১৯ সপ্তাহ বন্ধ ছিল, তাদের মাঝে এ হার ছিল আরও ভয়াবহ (৯৬ শতাংশ)। বাংলাদেশে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়া স্বাভাবিক।
এর পাশাপাশি যেসব শিশুর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন তারা আরও বেশি মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যেমন- ওসিডি, অটিজম, সেরেব্রাল পালসিসহ এ ধরনের অন্যান্য সমস্যায় ভুগতে থাকা শিশুরা এক দুর্বিষহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে অনেক দেশ পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে, তবু এখনো অনেক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন।

* টিকাদান কর্মসূচির মতো মানসিক সুস্বাস্থ্য কর্মসূচি চালু করা দরকার যেখানে সরকারি, বেসরকারি সব স্তরের অংশগ্রহণ এবং অবদান থাকবে।

* সব স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ থাকা লাগবে।

* শিশুদের এবং তাদের পিতামাতাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতির লক্ষ্যে নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সভা করতে হবে।

* যে কোনো শিশু যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তাকে অতিসত্বর চিহ্নিত করে চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে।


কত বছর ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তান নেবেন

 ডা. দীনা লায়লা হোসেন : পরিবার-পরিকল্পনা নিয়ে বেশিরভাগ নবদম্পতি দ্বিধায় থাকেন। আমাদের দেশের বর্তমান স্লোগান— দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়। এটি হয়তো আমাদের জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে নিয়ম করা। সন্তান বেশি হলে, তাদের সমতার সঙ্গে বড় করতে না পারাও একটি কারণ।


আমাদের সমাজে একটি শিশু হলে পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, তার আরেকজন সঙ্গী দরকার। তখন মা-বাবাও আরেকটি সন্তান নিতে আগ্রহী হন।এখন প্রশ্ন হলো—  প্রথম সন্তানের পর কত বছর দেরি করব আরেকটির জন্য?

এ বিষয় নিয়ে কাজ করা বেশিরভাগ সংগঠন প্রায় একই কথা বলেছে। তারা কয়েকটি সময়ের পরামর্শ দিয়েছে। আর এই সময়ের ব্যবধান প্রায় সবই কাছাকাছি। কোথাও বলা হয়েছে— প্রথম সন্তান নেওয়ার দুই থেকে তিন বছর পর দ্বিতীয় সন্তান ভালো। কোথাও এ ব্যবধান তিন থেকে পাঁচ বছর। আবার কেউ কেউ বলছেন, আদর্শ সময় হলো পাঁচ বছর।

এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়— কেন এত দেরি করতে হবে? কারণ একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে পেটের সন্তানের সম্পূর্ণ পুষ্টির জোগান আসে মায়ের কাছ থেকে। মিনারেলস থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কিছু মা থেকে নেয়। সবশেষে প্রসবের ধকলও মায়ের ওপরই যায়।

আবার সন্তানের জন্মের পরই কিন্তু মায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় না। দুই বছর পর্যন্ত স্তন্যপান করান। এ ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে অনেক ঘাটতি দেখা দেয়। শিশু স্তন্যপান  ছেড়ে দিলেও মায়ের এতদিনের শরীরের ঘাটতি পূরণে বেশ সময় প্রয়োজন হয়।

আমরা মনে করি, প্রথম সন্তানের পর মাকে এক থেকে দুই বছর সময় দিতে হবে। তার পর আরেকটি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে তা মায়ের জন্য ভালো হবে। পাশপাশি যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে তার জন্যও ভালো হবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে— দুই সন্তানের মধ্যকার ব্যবধান কম হলে মা ও শিশুর কী কী অসুবিধা হতে পারে? মায়ের রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তশূন্যতা থেকে অনেক রোগের উৎপত্তি হয়। মা দুর্বল থাকেন। ফলে আগে ও পরে মিলে দুটি শিশুর ঠিকমতো যত্ন করতে পারবেন না। ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটের সন্তান সেভাবে বাড়বে না। অ্যানিমিয়া থেকে সিরিয়াস অ্যানিমিয়া হতে পারে।

ভয়ঙ্কর বিষয় হলো— অ্যানিমিয়া থেকে হার্ট ফেইলর পর্যন্ত হতে পারে। রক্তশূন্যতায় মায়ের ডেলিভারির পরে জরায়ুতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রচুর রক্তপাত হতে পারে। রক্তপাতের কারণে আরও রক্তশূন্যতা তৈরি হতে পারে। আরও অনেক জটিলতা হতে পারে। তার পর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।

পেটের শিশুর নানা জটিলতা দেখা দেয়। মায়ের রক্তশূন্যতার কারণে সন্তানও সুস্থ হয় না। মায়ের পানি ভাঙতে পারে। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা লোপ পেতে পারে। বারবার ইনফেকশন হবে। জন্ডিস হবে। গ্রোথ ঠিকমতো হবে না। হাসপাতালে যাওয়া লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিশু বুকের দুধ পায় না। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা লোপ পায়। আমরা তো জনসংখ্যাকে জনশক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চাই, সেটি করা সম্ভব হবে না। 

সূত্র: ডক্টর টিভি

জন্ডিস হয়েছে, কী করে বুঝবেন, কী কী খাবেন


লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাংলাদেশের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে জন্ডিস খুবই প্রচলিত অসুখ। প্রকৃত পক্ষে জন্ডিস কোনো রোগ নয়। জন্ডিস মানে যকৃতের প্রদাহ বা হেপাটাইটিস। এটি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ মাত্র। জন্ডিস বলতে বুঝায়, লিভারের যেকোনো জটিলতার কারণে চোখ হলুদ হওয়া, প্রস্রাব হলুদ হওয়া, খাওয়ায় অরুচি, মুখগহ্বর হলুদ হওয়া এবং কারো কারোর ক্ষেত্রে চামড়া পর্যন্ত হলুদ হয়ে যাওয়া। এসবকে জন্ডিসের লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে জন্ডিস হওয়া মানে কিন্তু লিভার কোনা কোনাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা আক্রান্ত হওয়া।

লিভারের ক্ষতি

ভাইরাস থেকে শুরু করে নানান ধরনের ওষুধ, অ্যালকোহল ইত্যাদি কারণে লিভারে প্রদাহ হতে পারে। আমাদের দেশে লিভার প্রদাহের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস ই, এ এবং বি ভাইরাস। এর মধ্যে প্রথম দুটি পানি ও খাদ্যবাহিত আর তৃতীয়টি ছড়ায় মূলত রক্তের মাধ্যমে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস প্রধানত শিশুদের জন্ডিসের কারণ, তবে যেকোনো বয়সের মানুষই হেপাটাইটিস ই ও বি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

ভুল চিকিৎসা নয়

জন্ডিস যেহেতু কোনো রোগ নয়, তাই এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। ৭ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে গেলে জন্ডিস এমনিতেই সেরে যায়। এ সময়টাতে খুব বেশি করে দরকার বিশ্রাম। বলা যায় বিশ্রামই এ রোগের চিকিৎসা। ব্যথার ওষুধ যেমন: প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় ও কবিরাজি ওষুধ খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এককথায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই সেবন করা ঠিক না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার ঝুঁকিটাই বেশি থাকে।

কী খাবেন

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি পানের প্রয়োজন নেই। পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। আখের রস, ডাবের পানিও শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। তবে রাস্তার পাশের আখের শরবত না পান করে ঘরে তৈরি শরবত খেতে পারেন। লেবু, বাতাবি লেবুর শরবত জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই ভালো। এগুলো শরীরে পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অবশ্য জন্ডিসের সময় বাতাবি লেবু খাওয়া আমাদের বাঙালি ঘরের পুরনো রীতি।

প্রতিদিন বাদামও পরিমাণমতো খেতে পারেন। সামান্য আদা কুঁচি বা রসুন কুঁচি, আদার রস বা আদা চা খাওয়া যেতে পারে দিনে দুই-একবার। এগুলো যকৃতের জন্য ভালো। মাছ, মুরগির মাংস, ডাল পরিমাণমতো খেতে হবে। না হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। অনেকে মনে করেন, জন্ডিসে আক্রান্ত রোগী মাছ-মাংসজাতীয় খাবার খেতে পারবেন না। এটা মারাত্মক ভুল ধারণা।

কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণে বাদামি চাল, রুটি, ওটস খেতে পারেন। গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন থাকে, যা ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়া মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, মুলা, বিট, গাজর, টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও পালংশাক জন্ডিস রোগীর জন্য খুব ভালো।

জন্ডিস থেকে সুস্থতার পথে স্যুপ ও বিভিন্ন ফল রাখতে পারেন পথ্যে। বেরিস, পেঁপে, তরমুজ, আনারস, পাকা আম, কলা, কমলা, জলপাই, অ্যাভোকাডো, আঙুরের মতো সহজপাচ্য ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।


তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

একই তেলে বারবার রান্না করা খাবার কতটা ক্ষতিকর

অনলাইন ডেস্ক : পুরি-সিঙ্গারা ভাজার পর থেকে যাওয়া তেলে আবার তরকারি রান্না বা অন্য কিছু ভাজা হয়। সেখান থেকেও তেল থেকে গেলে তা আবারও ব্যবহার করা হয়। আধুনিক এই সময়ে অধিকাংশ বাসা-বাড়িই এমনটা করা হয়। বাইরের বেশ কিছু দোকানেও এভাবেই তৈরি করা হয় মুখরোচক খাবার। একই তেলে বারবার খাবার রান্না করে খেলে তা শরীরের জন্য ভালো নয়। এবার তাহলে একই তেলে বারবার রান্নার বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, এই অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বারবার একই তেল গরম করার ফলে তাতে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। ফলে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এ থেকে শরীরে কঠিন অসুখও হতে পারে।

‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) জানিয়েছে, কোনো তেল তিন বারের বেশি গরম করা ঠিক নয়। এমনটা করা হলে ট্রান্স-ফ্যাট তৈরির সম্ভাবনা থাকে। একই তেল বারবার গরম করার ফলে বিদ্যমান ফ্যাটের কণা ভেঙে যায়। আর এ থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। পদার্থগুলো শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে। বারবার ফোটানো তেল ব্যবহার করার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে রক্তচাপের পরিমাণও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

কাশ্মীরি পোলাও রান্না রেসিপি


মুক্তা আহম্মেদ : পোলাও খেতে কে না পছন্দ করেন। বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে তো বটেই, পাশাপাশি ঘরোয়া আয়োজনেও পোলাও না হলে চলেই না।

বিভিন্নভাবে পোলাও রান্না করা যায়। তবে কখনও কি ভিন্ন স্বাদের কাশ্মীরি পোলাও খেয়েছেন! এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।

চাইলে ঘরে থাকা কয়েকটি উপাদান দিয়ে দারুণ স্বাদের কাশ্মীরি পোলাও তৈরি করে নিতে পারবেন। জেনে নিন তৈরির সহজ রেসিপি-

উপকরণ


১. ঘি ৩ টেবিল চামচ

২. তেজপাতা ২টি

৩. গরম মসলা পরিমাণমতো

৪. বরবটি কুচি এক কাপ

৫. গাজর কুচি আধা কাপ

৬. মটরশুঁটি আধা কাপ

৭. সেদ্ধ চাল ৫০০ গ্রাম

৮. জাফরান সামান্য পরিমাণ

৯. আলুবোখারা ৫-৬টি

১০. কিসমিস পরিমাণমতো

১১. কাঁচা মরিচ ৪-৫টি

১২. তরল দুধ ১ লিটার

১৩. ফ্রুটস এক কাপ

১৪. লবণ স্বাদমতো



পদ্ধতি

প্রথমে ফ্রাইপ্যানে ঘি দিন। এবার সেদ্ধ চাল ভালে করে ভেজে নিন। তারপর একে একে গরম মসলা, বরবটি কুচি, গাজর কিউব, মটরশুঁটি, জাফরান, আলুবোখারা, কিসমিস, কাঁচামরিচ ও তরল দুধ মিশিয়ে দিন।

এরপর লবণ মিশিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রান্না করে ফ্রুটস মিশিয়ে দিন। তারপর নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ স্বাদের কাশ্মীরি পোলাও।

‘সুপারফুড’ কাঁঠাল মারাত্মক সব রোগের প্রতিষেধক


লাইফস্টাইল ডেস্ক আজকের দেশ সংবাদ : কাঁঠাল হচ্ছে জাতীয় ফল। পর্তুগিজ শব্দ ‘জাকা’ থেকে এসেছে এ ফলের ইংরেজি নাম ‘জ্যাকফ্রুট’। কাঁঠাল অনেকের পছন্দ হলেও তবে এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে একেক জনের একেক রকম পছন্দ রয়েছে। কারো পছন্দ খাজা কাঁঠাল আবার কারো পছন্দ গোলা কাঁঠাল। যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে বলে কাঁঠালকে ‘সুপারফুড’ও বলা হয়। এবার তাহলে কাঁঠালের খাদ্যগুণ ও পুষ্টিগুণ জেনে নেয়া নেয়া যাক।

ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল কাঁঠাল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি বাড়ায়।

কাঁঠাল শর্করায় পরিপূর্ণ একটি ফল। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে প্রায় ৯৪ ক্যালরি থাকে। এ কারণে কাঁঠাল খাওয়ার পর শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসে রোগীদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো।

এ ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে। মৌসুমি এই ফল নিয়মিত খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালন বিঘ্নিত হয় না।

পরিমাণ মতো কাঁঠাল খেলে পরিপাক ক্রিয়ায় অনেক উপকার পাওয়া যায়। অন্যান্য ফলের মতোই ফাইবারসমৃদ্ধ এই ফল।

অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে ভূমিকা পালন করে। এতে করে ক্যানসারের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নয়নে কাঁঠাল অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাঁঠালে ভিটামিন এ উপাদান রয়েছে। ফলে ছানি এবং রেটিনার অন্যান্য সমস্যা দূর হয়।

ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ হওয়ায় কাঁঠাল খেলে শরীরের হাড় মজবুত হয়। এছাড়াও হাড়ের জটিল রোগের আশঙ্কা দূরে থাকে। 

১. কাঁঠাল রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।

২. কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলনের বিষাক্ত অংশ (টক্সিক উপাদান) পরিষ্কার করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ জাতীয় উপাদান কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাইলসের ঝুঁকি কমায়।

৩. কাঁঠালে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট। যাতে রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

৪. হজমের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল খুব উপকারি। এই ফলে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা পাকস্থলির আলসার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এ ছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল অত্যন্ত কার্যকর।

৫. কাঁঠাল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া কাঁঠাল রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৬. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৭. কাঁঠাল হাঁপানি নিরাময়ের মহা ঔষধ। কাঁঠালের শিকড় পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করা হলে হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৮. কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, যা থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কাঁঠাল পথ্য হিসেবে খেতে পারেন।


খাবার খাওয়ার তিন রকম পদ্ধতির কারণে বাড়তে পারে কোমরের পরিধি


লাইফষ্টাইল ডেস্ক : প্লেট ভর্তি করে খাবার নিয়েছেন, তারপর মুখ ভরে খাবার নিলেন আর খরগোশের মতো দ্রুত গতিতে গিলে ফেললেন; যেন খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন!

এভাবে খাবার খেলে, যতই ‘ডায়েট’ কিংবা শরীরচর্চা করা হোক, তারপরও কোমরের মাপে পরিবর্তন হবে না। এমনকি বেড়েও যেতে পারে।

আর এরকম তথ্যই পাওয়া গিয়েছে ‘দি পেন্সিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি’ করা এক গবেষণায়।

গবেষকরা ৪৪ জন অংশগ্রহণকারীকে প্রতি সপ্তাহে একবার ‘ম্যাকরনি অ্যান্ড চিজ’ খেতে দেয়। এভাবে চার সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। প্রতিবার তাদের খাওয়ার গতি, সময় ও মুখের খাবার তোলার পরিমাণের দিকে লক্ষ রাখা হয়।

প্রতি সপ্তাহে খাবারের পরিমাপও ছিল ভিন্ন।

খাবারের পরিমাণ ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি করায় দেখা গেছে গড়ে তারা ৪৩ শতাংশ বেশি খেয়েছেন। পরিমাণ যাই হোক, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি খাবার মুখে তুলেছেন আর দ্রুত খেয়েছেন তাদের মধ্যেই বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে।

‘নিউট্রিশন ২০২১ লাইভ অনলাইন কনফারেন্স’য়ে এই গবেষণা উপস্থাপন করে বলা হয়, “এটা হচ্ছে ‘রিডিউস ওরো-সেন্সরি এক্সপোজার’ বা ‘ওএসই’র ফলাফল। মানে হল যখন খাবার খাওয়া হয় তখন কেমন বোধ হয়। যদিও এরসঙ্গে ক্যালির মাপ ও পরিমাণের তুলনা করা হয় না। তবে কীভাবে খাচ্ছেন সেটার বিশাল প্রভাব পড়ে ওসিই’র ওপর।

ওসিই’র ওপর করা অন্যান্য গবেষণার ফলাফল থেকে ‘ইট দিস, নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশি পরিমাণে খাবার মুখে তোলা ও কম চিবিয়ে গিলে ফেলার তুলনায় যদি ধীর গতিতে মন ভরে খাওয়া হয় তবে এক ধরনের উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়। যা দ্রুত পেট ভরা অনুভূতি দেয়।

বেশি পরিমাণে খাবার মুখে তুলে দ্রুত গতিতে খাওয়া ওজন কমানোর অন্তরায়।

এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ভেনেসা রিসেত্তো বলেন, “সচেতনতা বৃদ্ধি মাধ্যমে এই বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করা যেতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যাদের দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের কাছে অল্প খেয়ে মন ভরানোর বিষয়টা অদ্ভূত লাগতে পারে। তাবে এর জন্য সময় দিতে হবে।”

প্রতি কামড়ে খাবারের স্বাদ উপভোগ করার পন্থা সম্পর্কে পরামর্শ দিতে গিয়ে এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, “ধরা যাক বিস্কুটের কথা। বেশিরভাগই একটা বিস্কুট একেবারে মুখে পুরে দেন অথবা দুই কামড়ে মুখে পুরে শেষ হওয়ার আগেই আরেকটা বিস্কুট মুখে নেন। এরকম না করে বরং বিস্কুটার গন্ধ নিন। তারপর ছোট কামড়ে এক টুকরা বিস্কুট মুখে নিয়ে ধীরে চিবিয়ে খেয়ে নিন। তারপর আরেকটা কামড় দিন।”

যে কোনো অভ্যাস গড়তে সময় লাগে। তাই বলে এক ঘণ্টা ধরে খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

ধীরে খাওয়ার অভ্যাস গড়তে প্রথমে পরিমিত পরিমাণে খাবার মুখে তোলার অভ্যাস করুন। তারপর খাবারের স্বাদ উপভোগ করে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেয়ে নিন।


ব্রেক-আপের পর যেসব কাজ করা জরুরি

সব সম্পর্কেই টানাপোড়েন থাকবেই। সেই টানাপোড়েন কখনো আবার বিচ্ছেদেও রূপ নেয়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব দু’জনের উপরই বর্তায়। কারোর প্রেমে পড়া অথবা কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সবই ভাগ্যের পরিণতি।

একটা সম্পর্ক গড়তে যতটা সময় লাগে, খুব সহজেই তা ভেঙে যেতে পারে। হয়তো বা সম্পর্ক ভাঙলে সঙ্গীর প্রতি রাগ-ক্ষোভ থাকবেই, তাই বলে ওই মুহূর্তে কেউ কারও ক্ষতি করার কথা ভুলেও চিন্তা করবেন না। কারণ রাগের মাথায় কেউই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

ব্রেক-আপের পরে সদ্য-প্রাক্তন হওয়া সঙ্গীর প্রতি কোনো হিংসা না রেখেও জীবনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। মনে রাখতে হবে, যা ঘটে তা ভালোর জন্যই! তাই বিচ্ছেদের পর বেশ কয়েকটি কাজ আছে যেগেুলো করা জরুরি-সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরপরই অন্য কারও সঙ্গে প্রেমে জড়াবেন না। নিজেকে কিছুটা সময় দিন, মনের কথা বুঝতে চেষ্টা করুন। প্রথম প্রেমে আপনার কি ভুল ছিল সেটা আপনার বোঝা উচিত।


বিচ্ছেদের পর নিজের ক্যারিয়ারে ফোকাস দিন। আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন। এই সময়টাই হয়তো আপনার ক্যারিয়ারকে বিকশিত করার সবচেয়ে ভালো সময় হতে পারে।


 একাকি সময় কাটালেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন, তাই বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, আড্ডা দিন। সেই ফাঁকে নিজের পড়াশোনা এবং কাজের প্রতি মনোযোগ দিন।

 

ব্রেক-আপের পর যেসব কাজ করা জরুরি

>> প্রাক্তনকে অযথা দোষারোপ করবেন না। স্বভাবতই তার প্রতি রাগ-ক্ষোভ থাকবে, তাই বলে অন্যের কাছে প্রাক্তনের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করবেন না। বরং তার সঙ্গে যেসব ভালো সময় কাটিয়েছেন, সেগুলো মনে রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।প্রাক্তনের দেওয়া উপহারগুলো সামনে থেকে দূরে রাখুন। তার ছবিগুলোও ফোন, ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলুন। এতে তার কথা কম মনে পড়বে। সঙ্গীর সঙ্গে আপনার যত রকম সম্পর্ক ছিল সেই সমস্ত সম্পর্কের উৎসগুলিকে সরিয়ে দিন।
 

>> সম্পর্ক নিয়ে এবার সিরিয়াস হতে হবে। কেউ হাসিমুখে কথা বললেই তার প্রেমে পড়বেন না। বিচ্ছেদের পর নিজেকে একটু জাজমেন্টাল হিসেবে গড়ে তুলুন।

 

জটমুক্ত চুল পেতে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক : শ্যাম্পু করার সময় চুল মনে হয় সিল্কি আর কোমল। কিন্তু শুকিয়ে গেলে ফুলে ওঠে, দেখতেও রুক্ষ লাগে। আর জট তো বাঁধেই। চুল আঁচড়াতে গিয়ে চিরুনি আর চুলে টানাটানি, ফলস্বরূপ চিরুনে ভরে যায় চুলে! বাড়ির যত্রতত্র চুল ছড়িয়ে থাকে, যা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। চুলে জট পড়া দূর করে চুল সুন্দর রাখার কিছু উপায় জেনে নিন-

চুলে কখন জট পড়ে:-
দীর্ঘদিন ধরে হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ব্লিচ বা নিয়মিত হেয়ার স্প্রের ব্যবহার, চুলে রং করা ইত্যাদি হলো চুলে জট পড়ার উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ। অন্যদিকে পর্যাপ্ত তেল ও যত্নের অভাবেও চুল নিষ্প্রাণ হতে পারে। অনেকে গোসলের সময় মাথায়ও গরম পানি ঢালেন, যা একদমই ঠিক নয়। এছাড়া আবহাওয়া ও দূষণের কারণে চুলে চিটচিটে ভাব তৈরি হয়, সেখান থেকে জট পাকিয়ে যায়।

জট দূর করার উপায়:-
* আমন্ড অয়েল ও ডিমের ব্যবহারে চুল কোমল ও প্রাণবন্ত হতে পারে। এই দুটি উপাদান দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তা চুলে লাগিয়ে চল্লিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
* চুল জটমুক্ত রাখতে নারিকেল তেল ও ভিটামিন ই মিশিয়ে মাসাজ করুন মিনিট পনেরো। এরপর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।
* পাকা কলা চটকে নিন। এরপর এর সঙ্গে মধু ও নারিকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন আধঘণ্টা। এরপর চুল ধুয়ে নিন ভালো করে।
* নারিকেলের দুধ হালকা আঁচে গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এটিও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করবে
* অ্যালোভেরা জেল চুলের যত্নে ভালো কাজ করে। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারিকেল তেল, অলিভ বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।
* তিন চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধুর মিশ্রণ নিয়মিত হেয়ারপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন। চুল থাকবে জটমুক্ত।
* শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুল মসৃণ ও পেলব করে, জটও প্রতিরোধ করে।
* চুল ধোয়ার পরে তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল নরম থাকে, আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কার থাকে। চুল শুকিয়ে আঁচড়ান।
* জট ছাড়ানোর নিয়ম হলো চুলের নিচের দিক থেকে আঁচড়ানো শুরু করা। এতে চুল ছিড়বে না। বড় দাঁতের কাঠের চিরুনির সাহায্যে জট ছাড়ান।


সাবান এবং পানি আমাদের হাত পরিষ্কার করার জন্য সর্বোত্তম উপায়। তবে সাবান-পানির ব্যবস্থা সব জায়গায় না-ও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা নির্ভর করি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর

সংক্রমণের ঝুঁকি রোধ করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা নিরন্তর সাবান এবং পানি আমাদের হাত পরিষ্কার করার জন্য সর্বোত্তম উপায়। তবে সাবান-পানির ব্যবস্থা সব জায়গায় না-ও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা নির্ভর করি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর। মারাত্মক সংক্রামক করোনাভাইরাস এড়াতে হাত সঠিকভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। । এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার আমাদের হাতে কতটা সময় থাকে তা কি আপনি জানেন? বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুব খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয় না। এমনটাই জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

দুই মিনিট! হ্যাঁ, আপনি যে রাসায়নিক জীবাণুনাশকটি হাতে ঘষলেন, তা কেবল দুই মিনিটের জন্য আপনাকে জীবাণুমুক্ত রাখে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার আপনাকে দীর্ঘায়িত সুরক্ষা দেয় না এবং দুই মিনিট পরে জীবাণুমুক্ত হতে চাইলে ফের ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যানিটাইজার কেবল তখনই দরকার হয় যখন আপনি বাইরে বের হবেন এবং আপনার হাত পরিষ্কার করার জন্য সাবান-পানি পাওয়া যাবে না। যাইহোক, হাত জীবাণুমুক্ত রাখার সর্বোত্তম উপায় হ'ল সাবান এবং পানিতে ধুয়ে ফেলা। সংক্রমণ এড়াতে, মুখ স্পর্শ করা উচিত নয় এবং হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়া উচিত নয়।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এর মতে, কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত। জীবাণু মেরে ফেলার জন্য অন্তত ৩০ সেকেন্ড হাতের তালু ঘষতে হবে।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের সুবিধা কী?
সিডিসির হিসাবে, জরুরি পরিস্থিতিতে অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো সাবান এবং পানির বিকল্প হতে পারে। তবে এটি একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নেয়া উচিত নয়। স্যানিটাইজার সমস্ত জীবাণু মারতে পারবে না। তবে এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে জীবাণুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

করণীয় কী : নিজেকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে, খাবার খাওয়ার আগে বা মুখ স্পর্শ করার আগে আপনার হাত সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন। আপনি মিনিট দশেক আগে হাত স্যানিটাইজ করেছেন কি-না, তা বিবেচ্য নয়। এটা আবার করতে হবে।

যদি আপনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন তবে, হাতের সমস্ত জায়গায় ভালো করে ত্রিশ সেকেন্ড ধরে ঘষতে হবে।

তবে আপনার হাত জীবাণুমুক্ত রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো সাবান এবং পানি ব্যবহার। আপনার হাত সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য ঘষুন। পানি দিয়ে ধোয়ার আগে আপনি এটি আঙ্গুলের মধ্যে, হাতের পিছনে এবং নখের নিচে ভালো করে ঘষে নিন।

বর্ষায় অ্যালার্জির সমস্যা দূর করবেন যেভাবে


বর্ষায় যেসব সমস্যা আমাদের কাবু করে রাখে তার মধ্যে একটি হলো অ্যালার্জি। স্যাঁতস্যাঁতে চারপাশ, রোদের দেখা না পাওয়া, ভেজা জামা-কাপড় সব মিলিয়ে ঘরের ভেতরে দূষণ বাড়ে। করোনার ভয়ে ঘরের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। তাই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে এটি সাহায্য করবে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া মানেই করোনাভাইরাসের ভয়টা বেড়ে যাওয়া। বাড়িতে থাকা নানা আসবাবপত্রে সবচেয়ে বেশি ধুলো জমে। সেখান থেকেও বাড়তে পারে অ্যালার্জির সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে অ্যালার্জিকে অবহেলা না করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। কীভাবে সুস্থ থাকবেন তা প্রকাশ করেছে এই সময়।

ঋতু পরিবর্তনের সময়ই যদি অ্যালার্জির সমস্যা হয় তবে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় কোনো খাবার, কোনো বিশেষ সময়, কোনো বিশেষ কাপড়ের পোশাক, কোনো বিশেষ জিনিস থেকেও অ্যালার্জি শুরু হতে পারে। এর পাশাপাশি ধুলোবালি তো রয়েইছে। খেয়াল রাখুন মাস্কের প্রতিও।

পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি যদি সর্দির ধাত থাকে তবে নাক সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। নাকের মাধ্যমেই মূলত অ্যালার্জির উপাদান শরীরের ভেতর ঢোকে। প্রয়োজনে স্টিম নিন, নাকের স্প্রে নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ফেলুন।


সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৩৩ শতাংশ অ্যালার্জির রোগী সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পান না। এর কারণ হলো সচেতনতার অভাব। বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, অ্যালার্জির দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা নেই। তাই যতক্ষণ না রোগ বড় আকারে দেখা দিচ্ছে, ততক্ষণ তারা চিকিৎসা করেন না।

ঘরবাড়ি পরিষ্কার না থাকলে মূলত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। এর কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়ার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র্যাশও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রথমেই ঘরের পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। এরপর সবুজ শাক-সবজি, গ্রিন টি, ঘি খাওয়া এবং ভেপার নেয়া যেতে পারে।

করোনাভাইরাস যেভাবে আপনাকে স্বার্থপর করে তুলতে পারে

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারী এখন বিশ্বজুড়ে। সংক্রমণটি সারা বিশ্বেই মানুষের জীবনকে এক বিশাল হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বদলে দিয়ে অনেকটা কঠোর হতে বাধ্য করেছে বলা চলে। চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা দিনরাত চেষ্টা করছেন এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে। কিন্তু এখনও মেলেনি সমাধান। তাই নিজের প্রতি খেয়াল রাখা ও সচেতন থাকার বিকল্প নেই।

সামাজিক দূরত্ব, লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইন, ঘরে থেকে কাজ করা- এসব আমাদের আগের পৃথিবীকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। একান্তই জরুরি না হলে বাইরে বের হচ্ছেন না বেশিরভাগ মানুষ। ভবিষ্যত জীবনের সবকিছুই অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে, এবং এটি বিশ্বজুড়ে মানুষের মানসিক অবস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এমনটাই বলছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিকূলতার মাঝেও ইতিবাচক এবং আশাবাদী থাকার লড়াইয়ের ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মানসিকতায় একটি পরিবর্তন দেখা যায়।কারণ আমরা ধীরে ধীরে আমাদের প্রয়োজনকে প্রথমে রাখতে শুরু করি। অতএব, যদি আপনিও মনে করেন যে আপনি ধৈর্য ও সহানুভূতির খুব বেশি দেখাতে পারছেন না, তবে আপনি একা নন। আমাদের বেশিরভাগই এখন নানা দায়িত্ব, ঘরের কাজকর্ম নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।

হঠাৎ আসা তুমুল পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে আমরা সবাই এখন কম-বেশি ক্লান্ত। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে খুব কম লোকের শক্তি আছে অন্যদের কথাও ভাবার। প্রতিদিনের নানা নেতিবাচক খবর, চারদিক থেকে মানসিক নানা চাপে যথেষ্ট শক্তি বা মমতা না থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।


মহামারী চলাকালীন আপনি যদি আরও স্বার্থপর বোধ করে থাকেন তবে এর ফলে আপনি প্রচুর চাপের মুখোমুখি হতে পারেন। অবিশ্বাস্যরকম স্ট্রেসাল পরিস্থিতিতে আমাদের দেহটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট-অর-ফাইট মোডে চলে যায়, যার ফলে দীর্ঘকালীন তীব্র মানসিক অবসন্নতা দেখা দেয়।

আমাদের বুঝতে হবে, যেহেতু আমরা সবাই কঠিন পরিস্থিতিতে বেঁচে আছি এবং প্রতিদিন অভিনব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, তাই যদি আপনার প্রথম অগ্রাধিকার নিজের যত্ন নেওয়া হয় তবে এটি স্বার্থপরতা নয়। চাপ এবং উদ্বেগের মধ্যে ডুবে না থাকলেই কেবল অন্যকে সাহায্য করার কথা ভাবা সম্ভব। কিন্তু অন্যের জন্য কিছু করতে না পারার ব্যর্থতাও অনেককে হতাশায় ডোবায়। এজন্য প্রথম পদক্ষেপটি হলো নিজের যত্ন নেয়া। সময়মতো ঘুমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট নিজের জন্য সময় বের করা প্রয়োজন।

আপনি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য আপনার শরীর এবং মনকে সঠিক যোগান দিতে পারলে এরপর অন্যের জন্য চিন্তা করার সময় পাবেন। খুব বেশি চাপ নেবেন না, আপনার যতটুকু সামর্থ্য হয়, ঠিক ততটুকুই করুন। একটা ফোন কলে স্বজনদের খোঁজ নেয়াও কিন্তু এক ধরনের মানসিক সহায়তা। এভাবে ছোট ছোট সহায়তা আপনি করতেই পারেন। তাতে করে নিজেকে স্বার্থপর ভাবার নেতিবাচক মনোভাব দূর হবে।

শীতে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখার ৫ উপায়

শীত এলে ত্বকের লাবণ্য গিয়ে তলানিতে ঠেকে। বছরের এই সময় ত্বকের যত্নে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যদি ভেবে থাকেন সকাল-বিকাল ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েই দায়িত্ব সারবেন, তা হলে ভুল ভাবছেন। কারণ, শুধু ময়েশ্চারাইজার মাখলে কিন্তু লাভ হবে না, যদি না এই নিয়মগুলি মেনে চলেন। চলুন জেনে নেয়া যাক-

শীতে ঠান্ডা পানিতে সমস্যা হলে অতিরিক্ত গরম পানি নয়, হালকা গরম পানিতে মুখ ধোয়া বা গোসলের মতো কাজগুলো সারুন। গোসলের পরপরই মুখে-হাতে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম লাগিয়ে মিনিটপাঁচেক মালিশ করতে ভুলবেন না যেন!

শীতে এমন ক্লিনজার কিনবেন যাতে ময়েশ্চারাইজার রয়েছে, তাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, তাহলে গ্লিসারিন রয়েছে, এমন প্রাসাধনী বেছে নিন। এই উপদানগুলো নানাভাবে ত্বকের খেয়াল রাখে। বিশেষ করে ত্বকের আর্দ্রতা যাতে কোনোভাবে কমে না যায়, সেদিকে তো খেয়াল রাখেই, সেইসঙ্গে ব্রণসহ নানা ত্বকের রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।


শীতে রোদের তেজ খুব বেশি থাকে, যে কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বক দ্রুতই উজ্জ্বলতা হারায়। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে আপনারই ক্ষতি। তাই শীতেও বাইরে বের হওয়ার আগে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।


দিনে দুইবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। একবার সকালে, আরেকবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। মুখ ধোয়ার পরে ভালো করে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে। সেইসঙ্গে মৌসুমী সবজি আর ফল যেমন বেশি করে খেতে হবে, তেমনই স্যুপ, সালাদ, ফলের রস এবং দুধ খেলেও উপকার মিলবে। যেসব ফলে পানির মাত্রা বেশি, সেসব ফলই বেশি খেতে হবে। তাতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে, পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদাও মিটবে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়বেই, পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকবে।


শীতকাল জুড়ে যদি মুখে ভার্জিন নারিকেল তেল লাগিয়ে মালিশ করেন, তাহলে ত্বক নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকবে না। কারণ, এই তেলে রয়েছে য়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শুষ্ক ত্বকের সমস্যাকে দূরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের বয়স কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

করলার এই গুণগুলো জানতেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক   তেতো কথা শুনতে কেউ পছন্দ না করলেও তেতো খাবার কিন্তু খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। গরম একথালা ভাতের সঙ্গে তেতো করলার ভাজি হলে যেন আর কিছু লাগে না! তবে সবারই যে পছন্দ তা কিন্তু নয়, বরং তেতো স্বাদের ভয়ে করলা থেকে দূরেও থাকেন অনেকে।

পুষ্টিবিদরা বরাবরই সুস্থ থাকার জন্য করলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে। করলা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।

নিয়মিত করলা খেলে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে। ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক গ্লাস করলার রস খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। এই জুস আপনার শরীর থেকে সব টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে, তাই ত্বক আর চুল হয়ে উঠবে ঝকঝকে উজ্জ্বল। বলিরেখা পড়বে না, দীর্ঘদিন তারুণ্য বজায় থাকবে।

Korola-1

করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি পাওয়া যায়, জিঙ্ক আর বায়োটিনও থাকে অনেকটাই। ফলে আপনার চুল ক্রমশ শক্তিশালী ও মসৃণ হয়ে ওঠে৷ খুশকি কমে যায়, চুলের ডগা ফাটে না আগের মতো। করলার রস আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন।

লেবু আর করলার রসের মিশ্রণও খুব কার্যকর। মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। যারা বছরের এই সময়টায় মূলত আবহাওয়ার কারণে ব্রণ, চুলকানি বা ফোড়ার সমস্যায় ভোগেন তারাও নিয়মিত করলার রস খেয়ে দেখতে পারেন।

Korola-1

প্রচুর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন থাকে বলে করলার রস চোখের জন্য বেশ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই করলা রাখুন, এর পলিপেপটাইড বি আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি বাঁচাবে ত্বকের সমস্যা থেকে।

যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা যত ইচ্ছে করলা খান। এর মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে, কিন্তু কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম বলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও নেই।


রাতে না খেয়ে ঘুমানোর পাঁচ পরিণতি

স্লিম হতে অথবা শরীরের ওজন কমাতে অনেকে ডিনার করেন না বা রাতের খাবার খান না। হ্যাঁ ঠিক আছে, ওজন কমানোর জন্য এ পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে, যদি আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠে ক্ষুধাকে দমন করে যা পাব তা খাব প্রকৃতির স্বভাব থেকে বিরত থেকে পরিমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকেন। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য রাতে কিছু না খেয়ে সকালে সবকিছু গোগ্রাসে পেটে ভরতে থাকলে ওজন তো কমবেই না, বরং আরে বেড়ে যেতে পারে। একজন মানুষ যে কারণেই ডিনার থেকে বিরত থাকুক না কেন, তাকে কিছু পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে। এখানে রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমানোর পাঁচ পরিণতি আলোচনা করা হলো।

* গভীর ঘুম আসবে না

ডিনার বা রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমাতে গেলে আপনাকে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করতে হতে পারে, অর্থাৎ খালিপেটে বিছানায় গেলে ঘুম বিঘ্নিত হতে পারে। ডিনার এড়িয়ে গেলে আপনি ভালো অনুভব করতে পারেন, কিন্তু যখন আপনি শেষপর্যন্ত ঘুমিয়ে পড়বেন তখন এ ক্ষুধা আপনার মস্তিষ্ককে মানসিকভাবে সতর্ক রাখবে, যার ফলে আপনার রাতে পর্যাপ্ত গভীর ঘুম হবে না, বলেন অ্যাকাডেমি ফর নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সের মুখপাত্র ওয়েসলি ডেলব্রিজ। তিনি আরো বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে খালিপেটে ঘুমাতে গেলে তা ব্যাকফায়ার বা বুমেরাং হতে পারে, কারণ আপনার রাতে যতটুকু বিশ্রাম দরকার ততটুকু পাবেন না।’

* ওজন বেড়ে যেতে পারে

ডা. ডেলব্রিজ বলেন, ‘অনেক লোকে মনে করেন যে তারা খালি পাকস্থলি নিয়ে বিছানায় গিয়ে শরীরের ওজন কমাতে ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা নিজেদের ওজন আরো বাড়িয়ে তোলার ঝুঁকিতে আছেন- কারণ আপনি রাতে যত বেশি ক্ষুধার্ত হবেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠে তত বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেবে।’ যদি আপনি অত্যধিক ক্ষুধার্ত না হওয়া পর্যন্ত খাবার খেতে অপেক্ষা করেন, তাহলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা এত বেশি কমে যেতে পারে যে চোখের সামনে যা দেখবেন তা মুখে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রাতে খালিপেটে ঘুমিয়ে সকালে ওঠে এত বেশি খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর লেভেলে চলে যেতে পারে, যার ফলে দিনের অবশিষ্ট সময়ে আপনার বিপাকে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাতে খাবার এড়িয়ে যেতে চাইলে অন্তত ডার্ক চকলেটের একটি বর্গ অথবা এক মুঠো বাদাম অথবা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন, যেন সকালে জেগে ওঠে যা দেখেন তা খাওয়ার প্রবণতা রোধ হয়।

* পেশির ঘনত্ব কমে যেতে পারে

জিমে গিয়ে ব্যায়াম করলেও লাভ হবে না, যদি আপনি রাতে খালি পাকস্থলি নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে খাবার না খাওয়ার মানে হলো, প্রোটিনকে পেশিতে কনভার্ট করতে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নেই- এর ফলে আপনার শরীর শক্তির জন্য পেশিকে ভাঙ্গতে শুরু করে, ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির একটি গবেষণা অনুসারে। এভাবে (খালিপেটে রাতে ঘুমানো) দীর্ঘদিন চললে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেশি বা হার্টের পেশিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দিনে ব্যায়াম থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে চাইলে রাতে বিছানায় যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পূর্বে ডিনার সেরে নেয়ার চেষ্টা করুন এবং নিশ্চিত হোন যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন খাচ্ছেন, পরামর্শ দেন এ গবেষণার গবেষকরা।

* শরীর শক্তির অভাবে ভুগতে পারে

ভাবছেন যে আপনার শরীরের জন্য রাতের খাবার প্রয়োজন নেই। আবার ভাবুন- আসলে কি তাই? এ প্রসঙ্গে ডা. ডেলব্রিজ বলেন, ‘আপনার শরীর দিনের ২৪ ঘন্টাই প্রতিনিয়ত শক্তি ব্যবহার করছে ও সবসময় ক্যালরি পুড়ছে- এর মানে হলো শরীরের কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পাদনের জন্য ঘুমের সময়ও এটির জ্বালানি প্রয়োজন হয় আর এ জ্বালানি আসে খাবার থেকে।’ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা পেয়েছেন, যেসব পুরুষ বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ শেক খেয়েছিল তাদের রেস্টিং এনার্জি সেসব পুরুষদের তুলনায় বেশি ব্যয় হয়েছিল যারা রাতে কিছুই খাননি- রেস্টিং এনার্জি এক্সপেনডিচারের মানে হলো, বিশ্রামের সময় শরীর যতটুকু শক্তি বা ক্যালরি পুড়ে। যদি আপনি কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে নিঃশেষিত শক্তি মাত্রার প্রভাবে দিনের অবশিষ্ট সময়েও ভুগতে পারেন। তাই ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অন্তত প্রোটিন সমৃদ্ধ স্ন্যাকস খাওয়ার কথা বিবেচনা করুন।

* মেজাজ খারাপ হতে পারে

কেউ রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমালে পরের দিন তার মারাত্মক মুড সুইং হতে পারে, অর্থাৎ মেজাজ খারাপ হতে পারে অথবা রেগে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। ডিনার না করার ফলে মেজাজের যে পরিবর্তন হয় তার পেছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের গবেষকরা পেয়েছেন, খাবার না খেলে আচরণ/মেজাজ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন সেরোটোনিনের মাত্রায় হ্রাসবৃদ্ধি চলতে থাকে- এটি মস্তিষ্কের সে অংশকে প্রভাবিত করে যা মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেট ভরা থাকলেও কোনো মেডিক্যাল কারণে একজন মানুষের মুড সুইং বা মেজাজ খিটখিটে হতে পারে

চিনা বাদাম বেশ সহজলভ্য এবং উপকারী। রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা মেলে চিনা বাদাম বিক্রেতার। শখ করে কখনো কখনো হয়তো খাওয়া হয় তবে এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই বাদাম রাখতে চাইবেন। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন আছে। প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেলে আপনি আপনার শরীরকে অনেক রোগ-বালাই থেকে দূরে রাখতে পারবেন।

বাদাম খাবেন যে কারণে

শরীরের মাত্রাধিক কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস এর মতো কঠিন রোগ সৃষ্টি করে। বাদামের অসাধারণ কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে।

রাতে ১০-১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একমুঠো বাদাম যুক্ত করে আপনি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাছাড়া এটি আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।

চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ বি৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন চিনা বাদাম বা এর মাখন খাবেন, যাতে করে আপনি স্বয়ংক্রিয় মস্তিস্ক পেতে পারেন।

শরীরে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দান করে। তাই প্রতিদিন চিনা বাদাম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।

বাদাম খাবেন যে কারণেচিনা বাদামের সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে প্রতিদিন অবশ্যই একমুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পেতে আপনাকে সাহায্য করবে চিনা বাদাম।

ত্বক ও চেহারার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের যোগসূত্র রয়েছে। আমাদের ত্বক টান টান করে রাখে কোলাজেন নামের প্রোটিন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেহে কোলাজেনের উৎপাদন কমে যায়। ফলে ত্বক কুঁচকে যেতে থাকে, বলিরেখা পড়তে শুরু করে। খাদ্যতালিকায় কোলাজেনসমৃদ্ধ খাবার থাকলে তা বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই কী কী খাবার চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

গাঢ় সবুজ শাকসবজি: গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকারি। খাদ্যতালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ও শিম রাখুন।

গাজর: গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে কোলাজেন পুনরুৎপাদন করে। এর পাশাপাশি মিষ্টি আলু, অ্যাপ্রিকট, খরমুজ ও আমও খাওয়া যেতে পারে।

টমেটো: টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে।

সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বককে কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার।

রসুন ও কাঁচা হলুদ: রসুন উচ্চ সালফারযুক্ত মসলা, যা কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে। আর হলুদকে বলা হয় পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো কাঁচা রসুন ও হলুদ খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে, ত্বকও মসৃণ থাকে।

লেবু: ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষত দূর করতে লেবুর জুড়ি নেই। রোজ সকালে চিনি ছাড়া এক গ্লাস লেবুর রস খেলে ত্বক সজীব থাকে।

কাঠবাদাম: কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই, সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন ই ভিটামিন সিয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোলাজেন তৈরি করে। তাই ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পাঁচ-ছয়টি করে কাঠবাদাম খাদ্যতালিকায় রাখুন।

কিউই ও বেরি: কিউই ও বেরিজাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন সি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোলিন ও গ্লাইসিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাইড্রোক্সিপ্রোলিন তৈরি করে। এটি কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে।

বিটরুট: বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষকে দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।

গ্লিসারিন অনেক উপকার করে ত্বক ও রূপচর্চায়। গ্লিসারিন সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় অথবা মুখের প্যাক ও মুখের মাস্কের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ত্বকের ওপর গ্লিসারিনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

ময়েশ্চারাইজার

গ্লিসারিনকে ত্বকের খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মানা হয়। এটা খুব কাজে লাগে শুকনো, ছোপ পড়ে যাওয়া বিবর্ণ চামড়ায়। তাই এটা শীতের জন্য খুবই আবশ্যক জিনিস। গ্লিসারিনকে আপনি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। একটা তুলোয় গ্লিসারিনে চুবিয়ে সেটা ত্বকের ওপর লাগান। গ্লিসারিন লাগানোর পরই চামড়া নরম ও আর্দ্র থাকে। গ্লিসারিনের ওষুধের মতো কিছু গুণ আছে যা চট করে শুকনো, রুক্ষ ও খসখসে চামড়া সারাতে সক্ষম। এই গুণের জন্যই চামড়া মোলায়েম ও নরম থাকে। তাই ত্বকের জন্য গ্লিসারিন খুবই কার্যকর।

ক্লিনজার

গ্লিসারিন ত্বকের ময়লা ও ধুলো সরায় এবং চামড়াকে পরিষ্কার করে। গ্লিসারিন গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। রাতে শোয়ার আগে গোলাপজলে গ্লিসারিন মেশান। ভালো করে সেটা দিয়ে মুখ মুছুন। এটা নিয়মিত করুন যাতে চামড়া ভালো করে পরিষ্কার হয় এবং বন্ধ কোষগুলো খোলে। এটা চামড়ার জন্য খুবই উপকারী।

পুষ্টি যোগায়

ত্বকের পুষ্টি জোগাতে গ্লিসারিন খুব কার্যকর। তাই যে কোনও প্রসাধনীতে গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়। গ্লিসারিন ত্বকের পানির মাত্রা বা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে চামড়া সুস্থ থাকে। গ্লিসারিনকে পুষ্টিদাতা হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের ময়েশ্চারাইজারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আপনি মুখের প্যাক বা মাস্কে গ্লিসারিন যোগ করতে পারেন। কারণ গ্লিসারিন ত্বকের পুষ্টি যোগায় ও নরম রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে চামড়া সুস্থ ও তরতাজা থাকে।

ত্বকচর্চা


গ্লিসারিনকে ওষুধ ও ক্রিমে ব্যবহার করা যায়, যা দিয়ে রুক্ষ ও খসখসে ত্বকের চিকিৎসা হয়। অনেক সময় ঠাণ্ডার জন্য, দূষণ ও অন্য নানা কারণে ত্বকের ওপরটা খসখসে হয়ে উঠতে শুরু করে। এই সময় গ্লিসারিন ব্যবহার করলে চামড়ার রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়, চামড়া নরম-মসৃণ থাকে। চামড়ার রোগ সারানোর ওষুধে বেশিরভাগ সময়ই গ্লিসারিন থাকে। তাই নিজের ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখতে নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহার করুন।

চামড়ার খুঁত কমায়

গ্লিসারিন ত্বকের ব্রণ ও খুঁত সারাতে সাহায্য করে। এটার জন্য নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়। ব্রণের জায়গায় বা যেখানে খুঁত আছে সেখানে ভালো করে গ্লিসারিন মাখুন। আস্তে আস্তে মুখের দাগগুলো মুছে যাবে এবং ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বাইরে থেকে ঘুরে ঢুকেই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি করে ঢক ঢক পান করছেন। বেশির ভাগ দিন এমনটাই করেন!

এবারও কি ভেবে দেখেছেন, এমন কাজ আপনার শরীরের জন্য কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে?

অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেলে তার প্রভাবে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, হজমের সময় যে সমস্ত পুষ্টিগুণ আমাদের দেহে মিশতে থাকে, তাও বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে হজমের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

এছাড়া অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে দাঁতের ভেগাস নার্ভের উপর। এই ভেগাস স্নায়ু হল আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বেশি ঠান্ডা পানি খেলে ভেগাস স্নায়ু উদ্দীপিত হয়ে ওঠে। যার ফলে হৃদগতি অনেকটাই কমে যেতে পারে।

শরীরচর্চা বা ওয়ার্কআউটের পর ঠান্ডা পানি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ, ওয়ার্কআউটের পর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময় ঠান্ডা পানি খেলে তা দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে পারে না। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই আজ থেকেই এই খারাপ অভ্যাসটি ত্যাগ করুন। না হলে খুব শিগগিরই আপনার শরীরে রোগ বাসা বাধতে পারে।

ক্ষুধার্ত থাকলে যেকোনো খাবারই দেখতে ভালোলাগে। খেতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় খালি পেটে থেকে হুট করেই আপনি যেকোনো কিছু খেতে পারবেন না। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খালি পেটে খেলে উপকার তো হবেই না বরং তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চলুন জেনে নেই খালি পেটে কোন খাবারগুলো খেতে বারণ-

খালি পেটে টমেটো ও শসা খেলেও কিন্তু তা আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতিসাধন করে। কারণ টমেটো ও শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটি সৃষ্টি করে।

কমলা, লেবু, জাম, আঙ্গুর, জাম্বুরা ইত্যাদি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি। কিন্তু খালি পেটে এগুলো খেলেও শরীরের অনেক ক্ষতি করে। কারণ এগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের অ্যাসিড যা শরীরের অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন রোগ উৎপন্ন করে।

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও মিনারেল। খালি পেটে কলা খেলে তা রক্তে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও মিনারেল-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে রক্তে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম-এর ভারসাম্য নষ্টসহ হৃদরোগের সমস্যা সৃষ্টি হয়।

খালি পেটে চা বা কফি খেলে তা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি আমাদের হনমোনাল প্রক্রিয়াকেও ক্ষতিগ্রস্থ করে। আর চায়ে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যাসিড যা খালি পেটে খাওয়ার ফলে শরীরে গ্যাস্ট্রিক ও আলসারের মতো রোগের সৃষ্টি করে।

খালি পেটে কোল্ডড্রিংকস খেলে এতে বিদ্যমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড পাকস্থলির মিউকাস মেমব্রেনে প্রভাব বিস্তার করে। শুধু তাই নয়, শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার হারও এর ফলে কমে যায়। এতে শরীরে হজমের সমস্যাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

মিঠাই, সন্দেশ, রসমালাই, গুড়, চিনি- এগুলো খালি পেটে খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

মসলাজাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে খালি পেটে মসলাজাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে ঠিক নয়। অ্যাসিডিটিক বিক্রিয়ার কারণে পেটে জ্বালাপোড়া হয়।

পেস্ট্রি বা প্যাটিস, কেক, পাউরুটি, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি খাবারগুলো আমরা সাধারণত চা-নাস্তার সময় খাই। তবে মনে রাখবেন এসব খাবার খালি পেটে একেবারে খাওয়া যাবে না। খালি পেটে এগুলো খেলে পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, যা আলসারের মতো রোগের সৃষ্টির কারণ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget