Articles by "রাজশাহী"
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

রাজশাহীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাইবার আইনে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহীতে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী শাখা।দ্রুত সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয় মানববন্ধনে। আজ শনিবার (১১ মে) বেলা ১১ টায় রাজশাহী মহানগরীর এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্ত্বর রেলগেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সদস্য রহমতুল্লাহ’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন সভাপতি শামসুল ইসলাম।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্লাবের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহিনুর রহমান সোনা, লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আনিসুজ্জামান আনিস, রুর‍্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সাগর।এসময় মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করবেন এবং সংবাদ প্রকাশ করবেন।প্রচলিত আইনে সংবাদের ভুল তথ্য বা সম্মানহানি হলে প্রতিবাদসহ বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার সুযোগ আছে।কিন্তু একটি সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে কালো আইনে সাইবার আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে।এ ঘটনায় সাংবাদিকরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন।টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজী শাহেদ ওই সংবাদে অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য প্রচার করেছেন।সংবাদে কাজী শাহেদ নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচার বা মতামত প্রদান করেননি।তবুও অতিউৎসাহী হয়ে রাসিকের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন সাইবার আদালতে মামলা দায়ের করেন।এ মামলার প্রতিবাদে শনিবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো সংবাদে টিভি রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ থাকে না।কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলা দায়ের প্রকৃত আইনের অপব্যবহার, যা না করার ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার আছে।দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে।অবিলম্বে সাইবার আদালতের উক্ত মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে সিনিয়র সাংবাদিকরা বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন এ আইন দিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন।তিনি তাঁর অতীত ভুলে যেতে পারেন আমরা কিন্তু ভুলিনি।কোনো আইন দিয়ে সংবাদ কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে না। সুমনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আপনি সাংবাদিকদের এ কালো আইনে ভয় দেখাতে এবং নিজের অপরাধ ঢাকতে চাইছেন।সে সুযোগ আপনি পাবেন না, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন।তা না হলে থলের কালো বিড়াল বের হয়ে যাবে।কতজনের নামে মামলা করবেন।এক এক করে সবাই যখন সংবাদ প্রকাশ শুরু করবে তখন কোথায় যাবেন।

হুমকি ধমকি দিয়ে বিএমএসএফের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করা যাবে না

রাজশাহী, বুধবার,৭ ডিসেম্বর ,২০২২ হুমকি ধমকি দিয়ে বিএমএসএফ এর অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতে চাইলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। তবে বিএমএসএফের মাঝে আর রাক্ষুসে সাংবাদিকদের স্থান হবে না। বিএমএসএফ অতীতের চেয়ে বেশি শক্তিশালী দাবি করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেন, সংগঠনটি সাংবাদিকদের স্বার্থ, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে ১১ বছর ধরে কাজ করছে, আগামীতেও যেকোনো প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পাশে থাকবে। জেনে রাখুন বিএমএসএফের নেতা কর্মীরা কোন রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না।

হুমকি ধমকি দিয়ে বিএমএসএফের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করা যাবে না

রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাফিকুর রহমান লালুর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক ইমদাদুল হকের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সেবা মাস উপলক্ষে এবং সাংবাদিকদের ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সাংবাদিকদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার ১৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশে ৩ শতাধিক শাখায় প্রায় ১৫ হাজারের বেশি সাংবাদিক কাজ করছেন।এই ১৪ দফা দাবি সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং নিশ্চয়তা রক্ষা করবে। এটি সাংবাদিকদের বেঁচে থাকার রক্ষা কবচ। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৪ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বিএমএসএফ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সংগঠন হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে সারাদেশের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে আসছে। এছাড়া যে কোন ধরনের হয়রানি মামলা নির্যাতন এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের পাশে থাকছে সংগঠনটি।


সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএমএসএফ জাতীয় পরিষদের নেতা ও নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোফাজ্জ্বল হোসেন, জাতীয় পরিষদের নেতা ও আজীবন সদস্য মোস্তাক আহমেদ খান, জাতীয় পরিষদের নেতা ফয়সাল আজম অপু।


বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবির, মোমিন ওয়াহিদ হীরা, বারিউল আলম শান্ত, বাবুর মোল্লা,বজলুর রহমান, মানিক হোসেন ,জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।


এদিকে নতুন করে রাজশাহী জেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। কমিটিতে রাজশাহী জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমদাদুল হক জাতীয় পরিষদ নওগাঁ জেলা সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, জাতীয় পরিষদ সদস্য ফয়সাল আজম অপু, রাজশাহী জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আবু কাওসার মাখন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাফিপুর রহমান লালু ও সহসভাপতি মমিন ওয়াহিদ হিরোকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

রাজশাহীতে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার অফিস উদ্বোধন

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক: দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। 

পহেলা ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী বাসটার্মিনাল সংলগ্ন পূবালী মার্কেট এর ২য়তলায় দোয়া মাহফিল ও ফিতা এবং কেক কাটার মাধ্যমে পত্রিকাটির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান অফিস উদ্বোধন করা হয়। 


দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ওদুদুজ্জামান সুবাসের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পত্রিকাটির জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম। 

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা ও কেক কেটে অফিস উদ্বোধন করেন। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া পাঠ করেন দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান ফারুক আহমেদ। 


প্রধান অতিথি যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকাটি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে রাজশাহীবাসী আশা আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পত্রিকাটি উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক- মাহমুদ হাসান খান চৌধুরী ইতু, আনন্দ টিভি'র রাজশাহী প্রতিনিধি ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহঃ সভাপতি শামসুল ইসলাম, দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, আজকের দর্পণ পত্রিকার নঁওগা প্রতিনিধি ফয়সাল আহম্মেদ, দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার প্রতিনিধি ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল যমুনা প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক নেহাল খান প্রমুখ।

বাগমারায় ৬৫০ পিচ ইয়াবা ও ৬১ হাজার টাকা সহ মাদক সম্রাট গ্রেপ্তার

মোঃ সাইফুল ইসলাম  বাগমারা (রাজশাহী) : রাজশাহী বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রাম থেকে এক মাদক সম্রাট কে গ্রেফতার করেছে তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

এলাকা বাসি ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বুধবার আনুমানিক রাত ৯টার সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে তাহেরপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জিলালুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রামরামা গ্রামের হাজরা পুকুর পাড়ার শ্রী সুবোধ চন্দ্র মোহন্ত এর ছেলে মাদক সম্রাট সনাতন মোহন্ত (২৫) কে তার নিজ বাড়ী থেকে ১২ গ্রাম হেরোইন, ৬৫০ পিস ইয়াবা এবং, মাদক বিক্রয়ের ৬১৫০০/-(একষট্টি হাজার পাঁচশত) টাকা সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের

 এস আই জিলালুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মাদক সম্রাট সনাতন মোহন্তকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে  বাগমারা থানায় হস্তান্তর করে মাদক আইনে এক টি মামলা দেয়া হয়েছে।





বাগমারায় সত্তর বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ

মো: সাইফুল ইসলাম, বাগমারা রাজশাহী : বাগমারায় এবার সত্তর বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণের এই অভিযোগে রবিবার বিকেলে বাগমারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মামলাটি দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধার ছেলে । পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে।


ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দুপুরে তাহেরপুর পৌরসভার চৌকিরপাড়া মহল্লায়।


পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, চৌকিরপাড়া মহল্লার সুলতান এর পুত্র লোকমান ওরফে রুকু (৪০) গত শুক্রবার সকালে তার প্রতিবেশি জনৈকা সত্তরোর্ধ বিধবা নারীকে তার বাড়িতে চাল ঝাড়ার জন্য ডাক দেয়। বিধবা সকাল থেকে দুপুর অবধি রুকুর বাড়িতে চাল ঝাড়ার কাজ করে।বেলা বারোটার দিকে রুকু তার বাড়িতে বিধবাকে রেখে পাশ্ববর্তী মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে যায়।


বেলা দুইটার দিকে রুকু বাড়িতে এসে বিধবাকে তার চাল ঝাড়ার মজুরী বাবদ কিছু চাল ও নগদ টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়। এসব নিয়ে বিধবা বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় রুকু পিছন থেকে বিধবার হাত ধরে টেনে ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে বিধবার কাপড়ে রক্তের দাগ লেগে যায় এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় বিধবা কোনরকমে ওঠে বাড়িতে গিয়ে বারান্দায় শুয়ে পড়ে।


এ সময় বাড়িতে থাকা তার বড় মেয়ে মায়ের অসুস্থভাব লক্ষ্য করে এবং রক্তের দাগ দেখে তার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বিধবা জানায় রুকু তার এই সর্বনাশ করেছে। এ সময় বিধবার মেয়ে মহল্লার পল্লী চিকিৎসক ডা: রনিকে খবর দিয়ে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।


ওই দিন সন্ধ্যায় বিধবার ছোট ছেলে ও বড় মেয়ে বিষয়টি তাহেরপুর পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদতে অবহিত করেন। মেয়র কালাম ওই দিন রাত আটটার দিকে তাহেরপুর হরিতলা মোড় আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে রুকে কে ডেকে নিয়ে আসে

এবং অভিযোগের বিষয় টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।তবুও জনসাধারণের সামনে রুকুকে চড় থাপ্পর মেরে অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে জানান। অভিযোগ যেহেতু ধর্ষনের তাই বৃদ্ধার পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেন।


পরদিন শনিবার সকালেই চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।


এ দিকে সত্তরোর্ধ ওই বৃদ্ধার ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ায় তাহেরপুর বাজার ও আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, রুকুর নামে এমন বদনামে তারা হতবাগ হয়েছেন। অনেকে তাকে নিয়মিত নামাজ পড়তে মসজিদেও দেখেছেন ।ঘটনার দিনেও সে জুম্মার নামাজ পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।


স্থানীয়রা আরো জানায়, রুকু বিবাহিত।সে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।বছর দুই আগে তার স্ত্রী সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলে রুকু আর বিয়ে করেনি।মাস দুয়েক আগে রুকু তার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ে দেবার পর স্বেচ্ছায় আওয়ামীলীগ অফিসের দপ্তরীর কাজ ছেড়ে দিয়ে সংসার দেখাশুনা করে চলত।


এ দিকে মামলা দায়েরের পর থেকে রুকু গ্রেফতার এড়াতে গাঢাকা দিয়েছে বলে জানান,থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদা ইয়াসমীন।


তিনি আরো জানান,রুকুকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নেমেছে।


অভিযোগের বিষয় জানতে রুকুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে সেটি বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।


এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন,মামলটি এজাহার হিসাবে গ্রহন করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মাদকে সয়লাব পশ্চিম বাগমারা, হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক পাড়া-মহল্লায়
 

সাইফুল ইসলাম, বগমারা রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ যে কোনো মাদক। মাদক সেবন যেমন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তেমনি আইন শৃঙ্খলা অবনতির জন্যই অন্যতম দায়ী। দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে মাদকসেবনকারীদের শরীর দুর্বল হয়ে যেমন কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায় তেমনি বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধি শরীরের তাদের বাসা ও বাঁধে এবং  ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি লোপ পায় এবং  স্বাভাবিক যৌনশক্তি হারিয়ে যায়।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় তেমনিভাবে যুবসমাজ ধ্বংসের জন্য চলছে মাদককের ছড়াছড়ি হাত বাড়ালেই মিলছে পাড়া-মহল্লায় সব ধরনের মাদকদ্রব্য। মরণনেশা ইয়াবা ও ফেনসিডিলে  ডুবে থাকছে উপজেলার উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেণির হাজারো মানুষ। এই তালিকায় রয়েছে উঠতি বয়সী যুবসমাজ, স্কুল-কলেজের ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এতে করে উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এলাকায় উঠতি তরুণ ও যুবক ইয়াবাসেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবক মহলসহ সচেতন ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠায় আছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। ক্ষমতাসীন দলসহ চেয়ারম্যানদের  নাম ব্যবহার করে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করছে পশ্চিম বাগমারায়। এই সব মাদক বিক্রির তালিকায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানেরাও জড়িত। আর প্রভাবশালীদের কারণেই প্রশাসনও রয়েছে ‘নীরব’। পুলিশ রাজনৈতিক দলের কর্মীকে ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার করলে সঙ্গে সঙ্গে তদবির শুরু করে দেয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাদকদ্রব্যের মামলায় মাদক ব্যবসায়ীদের আদালতে চালান দেয়ার কিছুদিন পর জামিনে এসে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দুর্বলের কারণে আসামিরা ছাড়াও পেয়ে যায়। ফলে উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।প্রতিদিন বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা, এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকেরা। বর্তমানে উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাকে মাদকের আখড়া বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, এই উপজেলায় কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে তার মধ্যে পশ্চিম বাগমারায় অর্ধশতাধিক    মাদক ব্যবসায়ী। এইসব মাদক ব্যবসায়হীরা মূলত প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির টাকায় কিনে মাদক। আর ডেলিভারি ম্যানের সাহায্যে মাদক বিক্রি হয় পশ্চিম বাগমারার ৫টি ইউনিয়নের  বিভিন্ন স্পটে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যারা কিছুটা বিত্তশালী তারাই ফেনসিডিলের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে। আর ‘ইয়াবা’ ‘গাঁজা’র দাম তুলণামূলক কম হওয়ায় এ দুটি মাদকের দিকে নজর ও আকৃষ্ট সবার।

উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটখালগ্রাম, হাটগাঙ্গোপাড়া, মুগাইপাড়া,গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের   মাড়িয়া, শান্তপাড়া, দামনাশা বাজার, সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমলা বাজার, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল বাজার, সহ বাগমারা ও পশ্চিম বাগমারার বিভিন্ন স্পর্ট গুলোতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয়। গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়হির মাদক বিক্রয়ের কৌশুল রাতের আধারে ফেনসিডিল, ইয়াবা, চিহ্নিত কোন জায়গায় মাটি গর্তে করে রেখে আসে এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে চিহ্নিত মাদক রাখার কথা বলে দেয় মাদক সেবনকারীকে এভাবে মাদক বিক্রয় করে মাদকব্যবসায়হিরা। এসব এলাকায় সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় বিভিন্ন স্পটে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ইয়াবা বিক্রেতাদের দেখা যায়। এ ছাড়া উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্পটে প্রকাশ্যেই মাদকের ব্যবসা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় পশ্চিম বাগমারার ৫টি ইউনিয়নে ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদের ব্যবসা করতেন গুটিকয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী তাও খুব গোপনে বেচাকেনা হতো অত্যন্ত সর্তকতার সহিত । এখন গাঁজা- ফেনসিডিল ও মদের পাশাপাশি চলছে মরণনেশা ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা। যা প্রকাশে বিক্রি করছে মাদক ব্যবসায়ীরা । শুধু তাই নয়, এসব ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন উপজেলার নামী-দামি পরিবারের অনেকে। যাদের প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয়রাও ভয়ে কেউ এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, চিহ্নিত ব্যবসাহিকেরা নিজেরা মাদক ডেলিভারি না করে অল্পবয়সী ক্ষমতাধর ছেলেদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করাচ্ছে।  এরা মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত একথা শুনলে কেউ বিশ্বাসও করবে না। কারণ এরা সবাই ভালো পরিবারের সন্তান। প্রতিদিন সকাল বেলা উন্নতমানের পোশাক পরে বাড়ি থেকে বের হয়, আর রাতে বাড়িতে ফেরে। পোশাকধারী এসব যুবকদের পকেটে থাকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা  যা প্রকাশ্যে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে পরিচিত মাদক সেবনকারীদের কাছে। এ কারণে এসব আল্পবয়সী মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারছে না পুলিশ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, মাদক সেবন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন মাদক সেবনে শরীর দুর্বল হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায়। বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধে। ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি লোপ পায়। স্বাভাবিক যৌনশক্তি হারিয়ে যায়। মানে রাখতে হবে, মাদক মানে মরণ।

মাদকের নেশার ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের অল্পবয়সী যুবক ছেলেরা। ধ্বংস হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। নতুন নতুন এসব মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে বাড়ছে মাদক সেনবকারীর সংখ্যা। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক তুলে দিচ্ছে উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে। যার মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। মা-বাবার চোখের সামনে মাদকাসক্ত হচ্ছে ছেলে। এ কষ্ট কিভাবে মেনে নেবে অভিভাবকরা। তাই মাদকাসক্ত সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরে বাবা-মা।

স্থানীয়রা বলেন,বাগমারা তথা দেশের যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে যুব সমাজ ধংস হবে।চুরি ছিনতাই,খুন অপরাধ বেড়ে যাবে।আর এ জন্য পুলিশকে আরো সক্রিয়ভাবে মাঠে নামতে হবে। এবং অভিয়ান পরিচালনা করে মাদক ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতার করে কঠিন বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ মোস্তাক আহমেদর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদককের বিরুদ্ধে আমাদের জরুরি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে আমরা কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবনকারী কাউকে আমরা ছাড়া দিবেনা।                  


 

বাগমারায় দুস্থ, অসহায় গরীবদের মাঝে এমপি এনামুল হকের ঈদ উপহার বিতরণ


আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস রমজানের শেষ দশক চলছে, ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিতে উপজেলা ১০ হাজার গরীব ও দুস্থ নারীর মাঝে ঈদ উপহার স্বরুপ একটি করে শাড়ি বিতরণ করলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।


প্রতি বছর তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে শাড়ি বিতরণ করে থাকেন। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এই খুশি গরীব-দুঃখী সবাই যেন সমান ভাবে উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে ঈদের আগে শাড়ি বিতরণ করে থাকেন তিনি।


আজ শনিবার সকাল ৮ টায় শাড়ি বিতরণ শুরু হলেও ভোর থেকেই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার নারীরা এসে জড়ো হতে থাকেন উপজেলার শিকদারীস্থ সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ প্রাঙ্গণে। শাড়ি বিতরণের আগেই লোকে লোকারন্ন হয়ে যায় সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরেজের প্রাঙ্গণ সহ আশপাশের এলাকা। এটি যেন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দের আগেই আরো একটি আনন্দ।


এমপি এনামুল হকের ঈদ উপহার পেয়ে অনেকেই হয়তো ভালো ভাবে ঈদ করতে পারবেন। ঈদে কষ্ট করে হলেও একটা নতুন শাড়ি কেনার সামর্থও নেই অনেকের। গরীব-দুঃখী আর অসহায়দের কথা চিন্তা করে উপজেলার সর্বস্তরের নারীর মাঝে শাড়ি বিতরণ করেন।


শাড়ি বিতরণের উদ্বোধন কালে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিনে কেউ যেন আনন্দ থেকে বাদ না পড়ে সে জন্যই সর্বস্তরের নারীর মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। এটা শুধু একটা শাড়ি নয় এর মাধ্যমে সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া।


এ সময় উপস্থিত থেকে শাড়ি বিতরণ করেন সাংসদের পত্নী তহুরা হক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল, ম্যানেজার একাউন্ট সোহরাব হোসেন, রেজাউল করিম, আব্দুল মজিদ প্রমুখ।



মোঃ সাইফুল ইসলাম 

বাগমারা প্রতিনিধি

বাগমারায় ষড়যন্ত্রমুলক চাঁদাবাজি মামলায় জামিন পেলেন প্রেসক্লাব সভাপতি

আজকের দেশসংবাদ : রাজশাহীর বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন মন্ডলকে অবশেষে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলায় জামিন মুঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার রাজশাহীর জজ কোর্টের বিচারক আলতাফ হোসেন মন্ডলের জামিন মুঞ্জুর করেন। ইতোপূর্বে ওই মামলায় দুইবার জামিনের আবেদন করলেও তার জামিন নামুঞ্জুর করে আদালত।

    জানাগেছে, উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের শালমারা বিগোপাড়া এলাকার ইটভাটার মালিক জনৈক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে রাজশাহীর আদালতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৭৬২১। ওই মামলায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাগমারা থানা পুলিশ একটি অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।

    ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির ওই মামলা থেকে প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন মন্ডলের দ্রুত জামিন চেয়ে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছিল।

    ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির ওই মামলায় ১ মাস ১৮ দিন পর তাকে জামিন দেয়া হয়। ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলায় দীর্ঘদিন হলেও জামিন না পাওয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল।

    আলতাফ হোসেন মন্ডলের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে জামিনের আবেদন করলেও অদৃশ্য কারনে দীর্ঘ সময় জামিন দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।

    উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল ওই ইট ভাটার মালিক আবুল কালাম আজাদের ভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে ইট ভাটা চালানোর দায়ে এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট।




    মোঃ সাইফুল ইসলাম

    বাগমারা, রাজশাহী

বাগমারায় আনসার ভিডিপি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
 আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি সমাবেশ-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সমাবেশ উপলক্ষে সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় বাগমারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ান।

উপজেলা আনসার প্রশিক্ষক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কামাল হোসেন, পরিচালক ৪ আনসার ব্যাটেলিয়ন নওহাটা, রাজশাহী ও জেলা কমাড্যান্ট (অতি দাঃ) আনসার ও ভিডিপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাগমারা উপজেলা পরিষদের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল করিম, বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ, আনসার ও ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম, বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, ইউনিয়ন আনসার কমান্ডারের মধ্যে শাহাদত হোসেন, রোকেয়া খাতুন প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক নারগীর খাতুন সহ উপজেলার আনসার ও ভিডিপি সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শেষে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৫ জন আনসার সদস্যের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন কমান্ডারদের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।



মোঃ সাইফুল ইসলাম

বাগমারা রাজশাহী

 

বাগমারায় বড়বিহানালী ইউনিয়ন মহিলা লীগের কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ৪নং বড়বিহানালী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মহিলা আওয়ামীলীগ কে আরও শক্তিশালী করার লক্ষে মহিলালীগের কার্যকরী কমিটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার ২৩ই মার্চ বিকাল ৪ঘটিকার সময় বড়বিহানালী কলেজ চত্বরে মহিলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মামুন প্রমানিক। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়বিহানালী ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোছাঃ কবরি বিবি। এছাড়াও উক্ত সভায়  আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোছাঃ কোহিনুর বিবি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিরা খাতুন, আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য মাস্টার আখতারুজ্জামান বুলবুল, জেলা যুবলীগের অন্যতম সদস্য খন্দকার মতিন, বড়বিহানালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইন্জিঃ আলমগীর হোসেন,   গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আলামিন, সহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী প্রমুখ।


মোঃ সাইফুল ইসলাম 

বাগমারা, রাজশাহী

বাগমারায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি দোকান ঘর ভূষ্মিভূত
আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়ায় ভয়াবহ  অগ্নিকান্ডে ৫টি দোকান ঘর পুড়ে ভূষ্মিভূত হয়েছে। 

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার ৮ই মার্চ আউচপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রক্ষিতপাড়া গ্রামে স্কুল মোড়ে গভীর রাতে চায়ের দোকানের চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দুটি চায়ের দোকান ও তিনটি ইলেকট্রনিক দোকানসহ ৫টি দোকান ঘর পুড়ে ভূষ্মিভূত হয়। 

হঠাৎ করে এমন আগুনের তীব্রতায় এলাকাবাসী চরম হতভম্ব। আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ার কারণে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করলো ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে গভীর রাতে এমন আগুনের সূত্রপাতের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সব কয়েকটি দোকান ঘর পুড়ে প্রায় আনুমানিক ১০/১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এই ক্ষতি সাধিত হওয়ার ফলে দোকান মালিকেরা অসহায় পড়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম সাফিকুল ইসলাম সাফির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গভীর রাতে হঠাৎ করে এমন অগ্নিপাতের কারণে  স্থানীয় দোকানদারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে যা অপূরণীয়। তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়াঁনোর জন্য আমার পক্ষ থেকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা থাকবে।  


মোঃ সাইফুল ইসলাম 
বাগমারা রাজশাহী


বাগমারায় পিতার লাশ দাফন করে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন শামীম
 

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) :  সামনে খাতা থাকলেও মনোযোগ নেই লিখার। দু’চোখ দিয়ে টপ টপ করে পড়ছিল কান্নার জল। ভালো ছাত্র হলেও কিছুই করার ছিল না। খাতায় লিখার পরিবর্তে চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল তার। শান্তনা দেয়ার কেউ নেই।

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে অর্ধেক সময়ে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা। সবাই লিখায় ব্যস্ত। হাতে তেমন সময়ও নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে পরীক্ষা। সেই চিন্তাও যেন পিছু ছাড়ছে না চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থী শামীম হোসেনের। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধিনে দিচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা।

মঙ্গলবার ছিল তার রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা। সে উপজেলার চকমহব্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মচমইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দিচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। রোববার এসএসসির প্রথম পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে যায়। মঙ্গলবার তাকে আরেকটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সোমবার রাতে মেধাবী সেই শিক্ষার্থী শামীম হোসেনের বাবা আব্দুর রশিদ (৫০) দুনিয়ার মায়া ছেড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সকল স্বপ্নই যেন মুহূর্তের মধ্যে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় শামীম হোসেনের। সারা রাত বাবার লাশের পাশেই ছিলেন একমাত্র ছেলে।

বাগমারায় পিতার লাশ দাফন করে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন শামীম
পরীক্ষার কারনে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পরীক্ষার পূর্বেই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দাফন সম্পন্ন করা হয়। বাবার জানাযায় একমাত্র ছেলে যেন উপস্থিত থাকতে পারে সে কারনে পরীক্ষার পূর্বেই জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত জানাযায় স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

দুই মেয়ে আর একমাত্র ছেলে নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে চলছিল তাদের সংসার। দীর্ঘদিন থেকে শামীম হোসেনের পিতা মেরুদন্ডের সমস্যায় ভূগছিলেন। সংসারের হাল ধরার মতো তেমন কেউ নেই। কষ্ট করেই পাশের গ্রামে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মচমইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব, প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন খাঁন বলেন, আমরা শামীম হোসেনের বিষয়টা শুনেছি। সত্যিই ঘটনাটি অনেক কষ্টের। তবে শামীম হোসেন যেন সুন্দর ভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সে বিষয়ে সর্বদায় খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। আমরা তার পাশে রয়েছি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে।


আধুনিকতার ছোয়া লেগে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য- হারিকেন

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) : হারিকেনকে একটা সময় রাতের সঙ্গী হিসেবে মনে করত মানুষ। হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন শহর থেকে গ্রামে গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতে হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হত বিভিন্ন যানবাহনে।

কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার আজ ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের আলোর গ্রাম বাংলার একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন!

সরেজমিনে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসত। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের ভাসমান দোকান। তারা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে-ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত।
এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না আগের মতো।

উপজেলার ভবানিগঞ্জেের  গ্রামের সাবেক এক হারিকেন মিস্ত্রি রুবেল মিঞা জানান, কয়েক বছর আগেও তিনি হারিকেন মেরামত করে সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু এখন মানুষ আর হারিকেন ব্যবহার করেন না। তাই তিনি তার ব্যবসা পরিবর্তন করে কৃষিকাজ করছেন। হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে এক সময়ের  হারিকেন মেরামতের এক মিস্ত্রি বলেন, হারিকেন মেরাাম করে আমার জীবন সংসার চলতে বর্তমানে কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছি।
      
তাহেরপুর বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, এখন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির হাজার রকমের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। তাই তিনি আর হারিকেন বিক্রি করেন না।


 

রাজশাহীর বাগমারায় মাদকের লাগাম টেনে ধরার ঘোষণা ইউএনও'র

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাগমারায় এবার ভয়াবহ মাদকের লাগাম কঠোর হস্তে টেনে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন নব যোগদানকারী ইউএনও ফারুক সুফিয়ান।

সোমবার উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণার কথা ব্যক্ত করেন। এ সময় ইউএনও বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক এবং প্রশাসনিক দুটোর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে মাদককে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মঙ্গলের জন্যই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদক চক্র খুবই শক্তিশালী। এই শক্তিশালী চক্রকে দমন করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।

এ সময় ইউএনও বাগমারা থেকে মাদক নিমূল করে জিরো টালারেন্সে নিয়ে আসতে সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাগমারায় আমি সবে মাত্র এসেছি। আমাকে মাদক সম্পর্কিত সার্বিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমিও আমার আইনী কাঠামোর মাধ্যমে বাগমারা থেকে মাদক নিমূলে সর্বাত্বক চেষ্টা চালাবো।

এর আগে বাগমারা ও ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে সভায় বক্তব্য প্রদান করেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাচেন আলী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি। তাদের বক্তব্যের বিষয়ে জবাব প্রদান করেন সভায় উপস্থিত বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, মাদক নিমূলে আমরাও দিনরাত অভিযান পরিচালনা করছি। সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকায় রাজু নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক (ফেন্সিডিল) সহ হাতেনাতে আটক করা হলে তার ব্যাপারে বিভিন্ন (উপর মহল) থেকে সুপারিশ আসতে থাকে। আমরা পুলিশরা পড়ে যাই বেকায়দায়। তাই মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষাবলম্বন না করে তাদেকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য বাখেন উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক কর্তকর্তা মাহমুদ হাসান, গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার ও বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন। সভায় বাগমারায় অবৈধ ডাম চিমনির ইটভাটা বন্ধ ও আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাগমারায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সমাপনী অনুষ্ঠিত

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) :  মুজিববর্ষে শপথ করি, দুযোর্গে জীবন-সম্পদ রক্ষা করি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীর বাগমারায় পালিত হলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ। শনিবার সকাল ১০ টায় বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাগমারায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম, বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান তুহিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন সাব স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের সমাপনী উপলক্ষে স্টেশনের ভেতরে অগ্নি নির্বাপক বিভিন্ন মহড়া প্রদর্শন করা হয়।


বাগমারায় ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা দিতে প্রত্যন্ত গ্রামে এলো হেলিকপ্টার

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা(রাজশাহী) : বাগমারায়  কেউ কোন দিন ভাবতেই পারেনি প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল মাঠে আসবে হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার আসলেও তাকে নেই কোন গুরুত্বপর্ণ ব্যক্তি। হচ্ছে না কোন বিয়েরও অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই সেই হেলিকপ্টার দেখতে স্কুল মাঠে জড়ো হতে থাকে গ্রামের সহজ সরল নিরীহ মানুষ। ছোট থেকে আবাল বৃদ্ধ সবার লক্ষ্য চড়তে না পারলেও কাছে গিয়ে একটি বার হেলিকপ্টার দেখতে পাবো। সেই আসা নিয়ে স্কুল মাঠের চারপাশে ভিড় জমিয়েছে হাজারো মানুষ।

আসল কথা হলো প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুল মাঠে যে হেলিকপ্টার এসে পড়েছে সেটা হচ্ছে আবুল হোসেন আকাশ নামে এক ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীকে তার ব্যবসায়ীক সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরুপ কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হলো সংবর্ধনা জানাতে।

আবুল হোসেন আকাশ মূলত আরএফএল কোম্পানীর ভিশন গ্রুপের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ডিলার। ভিশন গ্রুপের পণ্য বিক্রয়ে সমগ্র দেশে দ্বিতীয় বারের মতো প্রথম স্থান অর্জন করেন। প্রথম স্থান অর্জন করায় ভিশনের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পাতে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হলো।

শুক্রবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে আবুল হোসেন আকাশ এর জন্ম স্থান রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম বিলবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যান্ড করে হেলিকপ্টরটি। গ্রামটিতে যাতায়াত করার জন্য নেই তেমন কোন ভালো রাস্তা। তারপরও নিজের গ্রামকে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করার পাশাপাশি নাড়ির যে বন্ধন সেটা প্রকাশ করা হচ্ছে। গ্রামের যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেছিলেন সেই স্কুলেই নামালো তাকে নিতে আসা হেলিকপ্টারটি।

আবুল হোসেন আকাশ বিলবাড়ি গ্রামের তফিজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং পরিচালনা করেছেন। লেখাপড়া শেষ করে সোজা গ্রামেই চলে আসেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে ২০১৫ সালে স্থানীয় মচমইল বেলতলা মোড়ে শুরু করেন আকাশ ইলেকট্রনিক্স নামে একটি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা। সেই থেকে শুরু হয় তার পথচলা। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১৯ সালে আকাশ ইলেকট্রনিক্সের অংগ সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুবা ইলেকট্রনিক্স নামে শুরু করে আরেকটি ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা। সেটাতে নেয়া হয় আরএফএল কোম্পানীর ভিশন গ্রুপের ডিলারশীপ। প্রতিষ্ঠাকালে সমগ্র দেশে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন আবুল হোসেন আকাশ এর তুবা ইলেকট্রনিক্স।

দ্বিতীয় বছরে প্রতিষ্ঠানটি ভিশন গ্রুপে সারা দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেন। প্রথম স্থান অর্জন করায় সৈয়দপুর-মচমইল রাখাল দাশ বিদ্যানিকেতন থেকে হেলিকপ্টারে করে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয় সংবর্ধনা প্রদান করতে। চলতি বছর আবারও ভিশন গ্রুপে দেশ সেরা হয় তুবা ইলেকট্রনিক্স। এবার আবুল হোসেন আকাশকে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হল সংবর্ধনা জানাতে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে ধিরে ধিরে মাত্র কয়েক বছরে গড়ে তুলেছেন বৃহৎ ব্যবসা। তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে ২০ জনের।

বিলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক আব্দুল মমিন বলেন, আবুল হোসেন আকাশ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। সততা আর একনিষ্ঠতা নিয়ে ব্যবসা করলে সফলতা আসবেই। প্রত্যন্ত গ্রামে মাত্র কয়েক বছরে পরপর দুই বছর প্রথম স্থান অর্জন করে। সেই সাথে হেলিকপ্টারে নিয়ে গিয়ে তাকে দেয়া হচ্ছে সংবর্ধনা। এটা শুধু আবুল হোসেন আকাশের একার অর্জন না এটা বাগমারাবাসীর অর্জন। বাগমারাবাসীর কারনে তিনি প্রথম হতে পেরেছেন।

আবুল হোসেন আকাশ জানান, তিনি ব্যবসা থেকে অর্জিত মুনাফার একটা অংশ এলাকাবাসী সহ মসজিদ, মাদ্রাসা, এলাকার উন্নয়ন এবং গরীব,দুস্থ মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেন। সেই সাথে শুধু নিজের জন্য না অন্যের যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সৃষ্টি করা যায় সেটাও তার লক্ষ্য। তিনি আরো জানান, এটা তার একার অর্জন না। এটা সকলের অর্জন। লোকজনের আন্তরিক সহযোগিতায় তিনি প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছেন। আগামীতে তাঁর ব্যবসায়ের পরিধি আরো বৃদ্ধি সহ অনেক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় সে জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।


রাজশাহীর তিন ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শূন্য

মোঃ সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী :  দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীসহ সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন অফিস। সোমবার বিকেলে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ছিল। শুনানিতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীসহ চারজনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা নির্বাচন অফিস।

এদিকে, গোদাগাড়ীর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। হঠাৎ অসুস্থতার কারণে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ফলে সেখানেও প্রার্থীশূন্য আওয়ামী লীগ। ফলে রাজশাহীর দুই উপজেলার তিন ইউনিয়নে থাকছে না আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। তবে এই তিন ইউনিয়নেই আছেন আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী।

আপিলের পর বাতিল হয়ে যাওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন তানোরের সরনজাই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবদুল মালেক, গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী জালাল উদ্দিন, গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবদল নেতা নাসিরুদ্দীন ও তানোরের বাধাইড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেন হোসাইন। খেলাপি ঋণের কারণে তাঁদের প্রত্যেকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন অফিস।

এদিকে, প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাগর আলী, তানোরের কলমা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাপ হোসেন, বাধাইড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশিপ থাকায় নির্বাচন অফিস তাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করেছিল।

আগামী ১১ নভেম্বর মোট ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে তানোরে সাতটি আর গোদাগাড়ীতে নয়টি ইউপিতে নির্বাচনে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ৭২ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ২৪ জন।

রাজশাহী জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঋণখেলাপি ও বিভিন্ন পণ্যের ডিলারশিপের কারণে সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঋণখেলাপি চারজনের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে। তবে তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। যাঁদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা উচ্চ আদালতে গিয়ে আপিল করতে পারবেন।

কেশরহাট জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদযাপন

মোঃ সাইফুল ইসলাম বাগমারা রাজশাহী : রাজশাহী জেলার মােহনপুর উপজেলায় বেসরকারী সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ৯৯ নম্বর কেশরহাট ইউনিটের সহযােগীতায় দর্শনপাড়া গ্রামে রিয়া মহিলা সমিতির সদস্যদের উদ্যোগে জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০২১ উদযাপনে “নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করি, সুস্থ্য-সবল বাংলাদেশ গড়ি” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলােচনা সভা ও শােভা যাত্রা করা হয়েছে। সভায় স্যানিটেশন, নিরাপদ পানি ও হাইজিনের গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা হয়।

আলােচক ছিলেন মােহনপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হােসেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এরিয়া ম্যানেজার পারভেজ মাহমুদ খান। এছাড়াও আলােচনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন ইউনিট ম্যানেজার মােঃ মাজিদুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব রিপন আলী। অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অফিসার মােছা: আয়েশা খাতুন ও দর্শনপাড়া গ্রামের সাধারণ জনগন ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

আলােচনা শেষে সমিতির সভানেত্রির নেতৃত্বে শােভা যাত্রা করা হয়। অনুষ্ঠানটি আর্থিক ভাবে সহযােগীতা করেন ওয়াটার ডট ওআরজি, অনুষ্ঠানের সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন রিজিওনাল ম্যানেজার বিকাশ চন্দ্র কুন্ড ও এ্যাকসেস প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মােঃ আক্তারুজ্জামান।

রাজশাহীর বাগমারায় কৃষক লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ সাইফুল ইসলাম , বাগমারা (রাজশাহী) :  বাংলাদেশ কৃষক লীগ বাগমারা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভার উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সদস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পদ বিষয়ক সহ সম্পাদক কৃষিবিদ সামসুদ্দীন আল-আজাদ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাজবুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, বাংলাদেশ কৃষক লীগ রাজশাহী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মহসিন আলী, আবুল হোসেন, বিমল সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজাজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, কৃষক লীগ নেতা আবুল কাশেম, বাগমারা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাবু, আউচপাড়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন প্রমুখ।

বর্ধিত সভায় জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আগামী নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।


রাজশাহী বাগমারায় নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন, নেই কোন মনিটরিং

মোঃ সাইফুল ইসলাম বাগমারা, (রাজশাহী) :  বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে। বেশ কিছু বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এখানে ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, ময়দা পিঁয়াজের দাম অসহনীয় মাত্রায় বেড়েছে। তবে চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে কাচা মরিচ সহ শাক সবজি ও অন্যান্য তরি তরকারির দাম।

    স্থানীয় বাজারে বেড়েছে মুরগী ও মুরগীর ডিমের দাম।বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ বাজার সহ তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ, শিকদারী, হাটগাঙ্গোপাড়া, মচমইল সহ বেশ কিছু বাজার ঘুর দেখা যায়, সয়াবিন তৈল ১৬০, সরিষা তৈল ১৮০, পিঁয়াজ ৬০, আদা ১৮০, আটা ৩৫ থেকে ৩৮, ময়দা ২৫, চিনি ৮৫, মসুরডাল ৯০, মুগডাল ১৪০, বুটরে ডাল ৫০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানে দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা ও গরুর গোস্ত ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা প্রতিকেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    তবে এসব বাজারে একই পণ্য কিছুটা ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে বিক্রেতারা জানান, দাম বাড়ার আগে যাদের কাছে পণ্য মওজুদ ছিল তারা আগের দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন। আর যারা পরে বেশি দামে পণ্য নিয়েছেন তারা কিছুটা বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করছেন।

    স্থানীয় ভবানীগঞ্জ বাজারে কথা হয়, ক্রেতা শহিদুল, নাদিরুজ্জামান মিলন, বেলাল উদ্দিন সহ ১০/১২ জন ক্রেতারা জানান, টিসিবি তেল চিনি ডাল সহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের বিক্রির ব্যবস্থা করলে বাজারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া স্থানীয় বাজারে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কোনো মনিটরিং এর ব্যবস্থা ও দোকানে কোনো মূল্য তালিকা নেই বললেই চলে। এসব কারণে অনেক দোকানী ইচ্ছামত দাম আদায় করছেন। দোকানী সাইদুর রহমান ও মুকুল হোসেন জানান, আগের চেয়ে এখন কিছুটা বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে কিছুটা বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া এই বাজারের হাট গুলোর খাবারের মানও একবারেব নিম্ন। সুযোগ মত তারা পঁচা বাসি খাবার ভালো খাবারের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করতে দ্বিধা করছে না।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান জানান, অচিরেই ভবানীগঞ্জ সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এসব অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।




যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget